৭- حشر الناس إلى أرض المحشر - ৭. ভয়াবহ একটি আগুন মানুষকে সিরিয়ার যমীনে একত্রিত করবে

ইমাম ইবনে কাছীর নেহায়া গ্রন্থে বলেন, সহীহ বুখারী ও মুসলিমে আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হয়েছে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

«يُحْشَرُ النَّاسُ عَلَى ثَلَاثِ طَرَائِقَ رَاغِبِينَ رَاهِبِينَ وَاثْنَانِ عَلَى بَعِيرٍ وَثَلَاثَةٌ عَلَى بَعِيرٍ وَأَرْبَعَةٌ عَلَى بَعِيرٍ وَعَشَرَةٌ عَلَى بَعِيرٍ وَيَحْشُرُ بَقِيَّتَهُمُ النَّارُ تَقِيلُ مَعَهُمْ حَيْثُ قَالُوا وَتَبِيتُ مَعَهُمْ حَيْثُ بَاتُوا وَتُصْبِحُ مَعَهُمْ حَيْثُ أَصْبَحُوا وَتُمْسِي مَعَهُمْ حَيْثُ أَمْسَوْا»

‘‘মানুষকে তিনভাবে একত্রিত করা হবে। (১) একদল লোককে আশা ও ভয় মিশ্রিত অবস্থায় হাঁকিয়ে নেয়া হবে। (২) দু’জনকে একটি উটের উপর, তিনজনকে একটি উটের উপর, চারজনকে একটি উটের উপর এবং দশজনকে একটি উটের উপর আরোহিত অবস্থায় হাশরের দিকে হাঁকিয়ে নেয়া হবে। (৩) বাকি সব মানুষকে আগুন হাঁকিয়ে নিবে। মানুষ যেখানে দুপুরের বিশ্রাম নেয়ার জন্যে অবস্থান করবে আগুনও সেখানে থেমে যাবে। মানুষ যে স্থানে রাত অতিবাহিত করার  জন্য অবস্থান করবে আগুনও সেখানে থেমে যাবে। এরপর আবার তাদেরকে নিয়ে চলবে। তারা যেখানে সকাল করবে আগুনও সেখানে থেমে যাবে। তারা যেস্থানে বিকালে অবস্থান করবে আগুনও সেস্থানে অবস্থান করবে। এরপর আবার তাদেরকে হাঁকিয়ে নিবে।[1]

অন্য বর্ণনায় এসেছে, আদনের গর্ত হতে একটি আগুন বের হয়ে মানুষকে বেষ্টন করে নিবে। চতুর্দিক থেকে তাদেরকে হাশরের মাঠের দিকে হাঁকিয়ে যাবে। যে পিছিয়ে থাকবে আগুন তাকে জ্বালিয়ে ফেলবে।[2]

অতঃপর ইমাম ইবনে কাছীর এ অর্থে আরো অনেক হাদীছ বর্ণনা করেছেন। পরিশেষে বলেছেন, হাদীছগুলোর বর্ণনা প্রসঙ্গ প্রমাণ করে যে, এটি হবে আখেরী যামানায় দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সমস্ত মানুষকে সিরিয়ার একটি স্থানে সমবেত করণ। তারা তিনভাগে বিভক্ত হবে। এক শ্রেণীর লোক তখন পানাহার করবে, কাপড়চোপড় পরিধান করবে এবং আরোহন করবে। আরেক শ্রেণীর লোক কখনো পায়ে হেঁটে চলবে আবার কখনো আরোহন করবে। তারা পালাক্রমে মাত্র একটি উটের উপর আরোহন করবে। যেমন সহীহ বুখারী ও মুসলিমের হাদীছ ইতিপূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে। দু’জন মিলে একটি উটের উপর আরোহন করবে....তিনজন মিলে একটি উটের উপর আরোহন করবে.....দশজন একটি উটের উপর আরোহন করবে। বাহন কম থাকার কারণে এভাবেই তারা একই বাহনের উপর পালাক্রমে আরোহন করবে। যেমন ইতিপূর্বে হাদীছে অতিক্রান্ত হয়েছে এবং হাদীছের শেষাংশে এসেছে যে, বাকীদেরকে আগুন হাঁকিয়ে নিবে। এ আগুনটি ইয়ামানের আদানের গর্ত থেকে বের হয়ে সমস্ত মানুষকে ঘেরাও করবে এবং প্রত্যেক দিক থেকে হাশরের যমীনের দিকে হাঁকিয়ে নিবে। যে কেউ পিছিয়ে থাকবে আগুন তাকে জ্বালিয়ে ফেলবে।

এমনটি হবে আখেরী যামানায়। তখন পানাহার, ক্রয়-বিক্রি ও বাহনের উপর আরোহন করা এবং অন্যান্য কাজ-কর্ম বাকী থাকবে। যারা আগুনের তাড়া খেয়েও পিছিয়ে থাকবে, আগুন তাদেরকে ধ্বংস করবে। এটি যদি সিঙ্গায় ফুঁ দেয়ার পরের ঘটনা হতো, তাহলে মাওত, যানবাহন ক্রয়-বিক্রয়, পানাহার ইত্যাদি অবশিষ্ট থাকার কথা নয়।

আখেরী যামানায় আদনের গর্ত থেকে আগুন বের হয়ে সিরিয়ার যমীনে মানুষকে হাঁকিয়ে নেয়ার ব্যাপারে অনেক হাদীছ রয়েছে। এগুলো থেকে একটি হাদীছ বর্ণনা করেছেন ইমাম মুসলিম, আহমাদ ও সুনান গ্রন্থকারগণ। আদনের গর্ত থেকে একটি আগুন বের হবে এবং মানুষকে হাঁকিয়ে নিবে। মানুষ যেখানে রাত্রি যাপন করবে, আগুনও সেখানে থেমে যাবে এবং মানুষ যেখানে বিশ্রাম নিবে আগুনও সেখানে থেমে যাবে। এ মর্মে আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদ্বিয়াল্লাহু থেকে বর্ণিত হয়েছে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

«سَتَخْرُجُ نَارٌ مِنْ حَضْرَمَوْتَ أَوْ مِنْ نَحْوِ بَحْرِ حَضْرَمَوْتَ قَبْلَ يَوْمِ الْقِيَامَةِ تَحْشُرُ النَّاسَ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ فَمَا تَأْمُرُنَا قَالَ عَلَيْكُمْ بِالشَّامِ»

‘‘অচিরেই কিয়ামত দিবসের পূর্বে হাযারামাউত শহর বা হাযারামাওতের দিক থেকে একটি আগুন বের হবে এবং মানুষকে হাঁকিয়ে নিবে। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! আপনি আমাদেরকে কিসের আদেশ দিচ্ছেন? তিনি বললেন, তোমরা সিরিয়াতে বসবাস করো।[3] আহমাদ, তিরমিযী এবং ইবনে হিববান তার সহীহ গ্রন্থে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন। ইমাম তিরমিযী রাহিমাহুল্লাহ বলেন, হাদীছটি হাসান সহীহ গরীব।

ইমাম সাফারায়েনী রাহিমাহুল্লাহ বলেন পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকের হাশর বা মানুষকে হাঁকিয়ে নেয়ার ব্যাপারে আলেমগণ মতভেদ করেছেন। এটি কি কিয়ামতের দিন হবে? না কি কিয়ামতের পূর্বে পৃথিবীতেই হবে?

ইমাম কুরতুবী, খাত্তাবী বলেন, এ হাশর হবে কিয়ামত দিবসের পূর্বে দুনিয়াতেই। কাযী ইয়ায এ মতকে সঠিক বলেছেন। আর কবর থেকে উঠিয়ে হাশরের মাঠে একত্রিত করার কথা ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর মারফু হাদীছে বর্ণিত হয়েছে। যেমন ইবনে আব্বাস থেকে সহীহ বুখারী ও মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,

«إِنَّكُمْ مَحْشُورُونَ حُفَاةً عُرَاةً غُرْلًا ثُمَّ قَرَأَ كَمَا بَدَأْنَا أَوَّلَ خَلْقٍ نُعِيدُهُ وَعْدًا عَلَيْنَا إِنَّا كُنَّا فَاعِلِينَ وَأَوَّلُ مَنْ يُكْسَى يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِبْرَاهِيمُ»

‘‘নিশ্চয় তোমাদেরকে একত্রিত করা হবে নগ্নপদ, বস্ত্রহীন এবং খাতনা বিহীন অবস্থায়। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুরআনের এই আয়াতটি পাঠ করলেন,

﴿كَمَا بَدَأْنَا أَوَّلَ خَلْقٍ نُعِيدُهُ وَعْدًا عَلَيْنَا إِنَّا كُنَّا فَاعِلِينَ﴾

‘‘যেভাবে আমি প্রথমবার সৃষ্টি করেছিলাম সেভাবে পুনরায় সৃষ্টি করবো। আমার ওয়াদা নিশ্চিত, আমাকে পূর্ণ করতেই হবে। (সূরা আম্বীয়া: ১০৪) কিয়ামতের দিন ইবরাহীম (আঃ) কে সর্বপ্রথম কাপড় পরিধান করানো হবে।[4]

ইমাম সাফারায়েনী রাহিমাহুল্লাহ বলেন, কাযী ইয়ায রাহিমাহুল্লাহ খাত্তাবী ও কুরতুবীর কথা সমর্থন করতে গিয়ে বলেন, আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর হাদীছে এসেছে, তারা যেখানে বিশ্রাম নিবে, আগুন সেখানে থেমে যাবে, তারা যেখানে রাত্রি যাপন করবে, আগুনও সেখানে থেমে যাবে, তারা যেখানে সকাল কাটাবে আগুন সেখানে থেমে থাকবে এবং তারা যেখানে বিকাল কাটাবে আগুন সেখানে থেমে যাবে.....এসব কথার মধ্যে দলীল পাওয়া যায় যে, এ হাশর হবে দুনিয়াতে সিরিয়ার যমীনে। কেননা এগুলো পার্থিব জীবনের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়।

ইমাম সাফারায়েনী রাহিমাহুল্লাহ তার তাযকিরা নামক গ্রন্থে আরো বলেন, হাশর মোট চারটি। দু’টি হাশর  দুনিয়ার এবং অন্য দু’টি আখিরাতের। দুনিয়ার হাশর দু’টির কথা সূরা হাশরে উল্লেখিত হয়েছে। একটি হচ্ছে ইয়াহূদীদেরকে সিরিয়াতে একত্রিত করার হাশর। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদেরকে বলেছিলেন, তোমরা বের হয়ে যাও। তারা বলেছিল, আমরা কোথায় যাবো? তিনি বলেছিলেন, হাশরের যমীনে চলে যাও। অতঃপর উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বাকীদেরকে আরব উপদীপ থেকে সিরিয়ায় নির্বাসন দিয়েছিলেন।

দুনিয়ার দ্বিতীয় হাশরটি হবে কিয়ামতের আলামত হিসাবে। যেমন আনাস ও আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন,

نَارٌ تَحْشُرُ النَّاسَ مِنْ الْمَشْرِقِ إِلَى الْمَغْرِبِ

‘‘একটি আগুন সমস্ত মানুষকে পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে তাড়িয়ে নিবে’’।[5]

আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত মারফু হাদীছে এসেছে, পূর্বাঞ্চলের বাসিন্দাদের প্রতি একটি আগুন প্রেরণ করা হবে, যা তাদেরকে পশ্চিম দিকে একত্রিত করবে। তারা যেখানে রাত্রি যাপন করবে, আগুন সেখানে থেমে যাবে। তারা যেখানে বিশ্রাম নেবে, আগুন সেখানে থেমে যাবে এবং যারা পিছিয়ে থাকবে, আগুন তাদেরকে জ্বালিয়ে দিবে। মূলত আগুনটি তাদেরকে উট তাড়িয়ে নেয়ার মতো তাড়িয়ে নিবে।

হাফেয ইবনে হাজার রাহিমাহুল্লাহ বলেন, আদনের গর্ত থেকে আগুনটি বের হওয়ার অর্থ এ নয় যে, সেটা তাদেরকে পূর্ব থেকে পশ্চিমে হাঁকিয়ে নিবে না। কারণ এটি প্রথমত বের হবে আদন থেকে। বের হওয়ার পর সমগ্র পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে। মূলত এখানে পশ্চিম বা পূর্ব উদ্দেশ্য নয়; উদ্দেশ্য হলো তখন পৃথিবীতে জীবিত সমস্ত মানুষকে একত্রিত করা হবে। অথবা এটি প্রথমে পূর্ব দিক থেকে বের হয়ে পরবর্তীতে সমস্ত যমীনে ছড়িয়ে পড়বে।

ইমাম কুরতুবী রাহিমাহুল্লাহ বলেন, আখিরাতের হাশর দু’টি হলো মৃত্যুর পর কবর থেকে সমস্ত মানুষকে উঠিয়ে একটি মাত্র মাঠে একত্রিত করার নাম।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ﴿وَحَشَرْنَاهُمْ فَلَمْ نُغَادِرْ مِنْهُمْ أَحَدًا﴾ ‘‘সেদিন আমি মানুষকে একত্রিত করবো এবং তাদের কাউকে ছাড়বো না’’। (সূরা কাহাফ: ৪৭) আর অন্য হাশরটি হলো তাদেরকে জান্নাত কিংবা জাহান্নামে একত্রিত করার নাম। দুনিয়ার হাশর সম্পর্কে কবি বলেন, وآخر الأيات حشر النار كما أتى في محمكم الأخبار কিয়ামতের আলামতগুলোর মধ্যে সর্বশেষ হলো একটি আগুন, যা মানুষকে একত্রিত করবে। যেমন এসেছে সহীহ হাদীছসমূহে। এখানে আলামতগুলো বলতে বড় বড় নিদর্শনসমূহ উদ্দেশ্য। ভয়াবহ একটি আগুন লোকদেরকে পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে এবং ইয়ামান থেকে ইবরাহীম আলাইহিস সালামের হিজরতের যমীন সিরিয়াতে একত্রিত করবে। সহীহ হাদীছসমূহে সুস্পষ্টভাবে এ কথা উল্লেখ আছে। অতঃপর হাফেয ইবনে হাজার আসকালানী রাহিমাহুল্লাহ ইয়ামান থেকে আগুনটি বের হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। আদানের গর্ত থেকে আগুনটি বের হওয়ার কথাও সুস্পষ্ট। সেই সঙ্গে পূর্ব থেকে পশ্চিমের দিকে মানুষকে তাড়িয়ে নেয়ার কথা এবং সিরিয়ার যমীনে একত্রিত করার কথাও বর্ণিত হয়েছে। উভয় বর্ণনার মধ্যে সমন্বয় এভাবে করা যেতে পারে যে, দু’টি আগুন বের হবে। একটি পূর্ব দিক থেকে বের হয়ে পশ্চিম দিকে মানুষকে ধাওয়া করবে এবং অন্যটি ইয়ামান থেকে বের হয়ে মানুষকে সিরিয়ার যমীনে নিয়ে যাবে।

ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী রাহিমাহুল্লাহ আরো বলেন, আগুন একটি হলেও হাদীছগুলোর মধ্যে সমন্বয় করা সম্ভব। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, «تَخْرُجُ نَارٌ مِنْ حَضْرَمَوْتَ فَتَسُوقُ النَّاسَ ‘‘হাযারা মাওত থেকে একটি আগুন বের হবে অতঃপর মানুষকে হাঁকিয়ে নিবে’’। অন্য বর্ণনা এসেছে, আদানের গর্ত থেকে আগুন বের হবে এবং মানুষকে হাশরের দিকে তাড়িয়ে নিবে।

অন্য হাদীছে আছে,«نَارٌ تَحْشُرُ النَّاسَ مِنْ الْمَشْرِقِ إِلَى الْمَغْرِبِ ‘‘একটি আগুন মানুষকে পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে জড়ো করবে’’। উক্ত হাদীছগুলোর মধ্যে এভাবে সমন্বয় করা সম্ভব যে, সিরিয়া হলো একত্রিত করার স্থান এবং এটি পূর্বের দেশগুলোর তুলনায় পশ্চিমে। অতএব ইয়ামানের আদানের গর্ত থেকে সর্বপ্রথম বের হবে। সেখান থেকে বের হয়ে পূর্ব দিকে ছড়িয়ে পড়বে। অতঃপর পূর্বের বাসিন্দাদেরকে পশ্চিমে তথা সিরিয়াতে একত্রিত করবে। সুতরাং সিরিয়া হবে দুনিয়ার হাশরের যমীন; আখিরাতের হাশরের যমীন নয়। যেমনটি মনে করে থাকেন এক শ্রেণীর আলেম।


[1]. সহীহ বুখারী ৬৫২২, অধ্যায়: কিতাবুর্ রিকাক, মুসলিম ২৮৬১।

[2]. নিহায়া, অধ্যায়: ফিতান ওয়া মালাহিম।

[3]. সহীহ: তিরমিযী ২২১৭।

[4]. সহীহ বুখারী ৩৩৪৯, অধ্যায়: কিতাবুর্ রিকাক।

[5]. সহীহ বুখারী ৭১১৮ নং হাদীছের অধ্যায়ে: আগুন বের হওয়া।