دلائل النبوة - নবুওয়াতের দলীল-প্রমাণসমূহ

দালায়েলুন নুবুওয়াত বলতে এমনসব দলীল-প্রমাণ উদ্দেশ্য, যার মাধ্যমে সত্য নবীর নবুওয়াত সম্পর্কে জানা যায় এবং নবুওয়াতের মিথ্যুক দাবিদারদের মিথ্যাবাদিতা জানা যায়। সে হিসাবে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নবুওয়াতের অনেক দলীল-প্রমাণ রয়েছে, যা গণনা করে শেষ করা যাবে না। নিম্নে কতিপয় দলীল বর্ণনা করা হলো।

(১) المعجزة মুজিযা অক্ষমকারী: القدرة (ক্ষমতা) এর বিপরীত অর্থবোধক শব্দ العجز (অক্ষমতা) থেকে المعجزة শব্দটি ইসমে ফায়েল হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে। অভিধান গ্রন্থে নবীর মুজিযা বলতে এমন জিনিস বুঝানো হয়েছে, যা দ্বারা তিনি চ্যালেঞ্জের মোকাবেলায় প্রতিপক্ষকে অক্ষম করে দিতে পারেন। المعجزة শব্দের মধ্যকার তা বর্ণটি আধিক্য বুঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়েছে।

আর ইসলামের পরিভাষায় মুজিযা হলো সাধারণ অভ্যাসের বিপরীত এমন বিষয়, যা আল্লাহ তা‘আলা নবীর হাতে প্রকাশ করে থাকেন। উদ্দেশ্য হলো এর মাধ্যমে তিনি নবীর সত্যতা ও তার রিসালাতের বিশুদ্ধতা প্রমাণ করেন।

নবী রসূলদের অনেক মুজিযা রয়েছে। যেমন সালেহ আলাইহিস সালামের উটনী। তার গোত্রের লোকদের উপর হুজ্জত কায়েম করার জন্য তিনি তাকে তা দান করেছিলেন। মূসা আলাইহিস সালামের নবুওয়াতের দলীল হিসাবে হাতের লাঠিকে আল্লাহ তা‘আলা সাপে পরিণত করেছিলেন। জন্মান্ধ ও কুষ্ঠরোগীকে ভালো করা এবং মৃতদেরকে জীবিত করা ছিল ঈসা আলাইহিস সালামের মুজিযা।

আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামেরও রয়েছে অনেক মুজিযা। তার মুজিযাসমূহের মধ্যে কুরআনুল কারীম হলো সবচেয়ে বড় মুজিযা। এ চিরন্তন মুজিযার মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলা জিন ও ইনসানকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। ইসরা ও মিরাজ, চন্দ্র দ্বিখ--ত করা, তার হাতের তালুতে পাথরের তাসবীহ পাঠ করা, খেজুর গাছের গুড়ির তার বিচ্ছেদে কান্নাকাটি করা এবং অতীত ও ভবিষ্যতের কিছু কিছু ঘটনা সম্পর্কে সংবাদ প্রদান করা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অন্যতম মুজিযা।

তর্কশাস্ত্রবিদরা বলে থাকে যে, নবুওয়াতের দলীল-প্রমাণ শুধু মুজিযার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। সঠিক কথা হচ্ছে, তা কেবল মুজিযার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং তা অসংখ্য। তার মধ্যে রয়েছে,

(১) নবীগণ তাদের জাতির লোকদেরকে সুসংবাদ দিয়েছেন যে, তারা অচিরেই বিজয়ী হবেন, তাদের শত্রুরা ধ্বংস হবে এবং শুভ পরিণাম তাদেরই হবে। নবীগণ যে সংবাদ দিয়েছেন, তাই হয়েছে। তাদের একটি সংবাদও মিথ্যা হয়নি। যেমন হয়েছিল নূহ আলাইহিস সালাম, হুদ আলাইহিস সালাম, সালেহ আলাইহিস সালাম, শুআইব আলাইহিস সালাম, ইবরাহীম আলাইহিস সালাম, লুত আলাইহিস সালাম, মূসা আলাইহিস সালাম এবং আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সংবাদগুলোর ক্ষেত্রে। আল্লাহ তা‘আলা তার কিতাবে এ সংবাদ দিয়েছেন।

(২) নবীগণ যে শরী‘আত ও সংবাদ নিয়ে এসেছেন, তা দৃঢ়তা, নিপুণতা, সত্যবাদিতা এবং সৃষ্টির জন্য সঠিক দিক নির্দেশনা প্রদান করায় পূর্ণতম। বিবেক-বুদ্ধির মাধ্যমে জানা যায় যে, সর্বাধিক জ্ঞানী ও সৎ লোক ছাড়া অন্য কারো মাধ্যমে এ রকম সুনিপুন কথা প্রকাশিত হওয়া সম্ভব নয়।

(৩) নবীদের আরেকটি মুজিযা হলো আল্লাহ তা‘আলা সবসময় তাদেরকে সাহায্য করেন। আল্লাহ তা‘আলার সুন্নাত (রীতি-নীতি) থেকে অবগত হওয়া গেছে যে, সত্যবাদীকে তিনি যেভাবে সাহায্য করেন মিথ্যাবাদীকে সেভাবে সাহায্য করেন না। বরং তিনি বিথ্যাবাদীকে লাঞ্ছিত করেন। তবে কখনো কখনো তাকে অবকাশ দেয়া হয়। অতঃপর ধ্বংস করেন।

(৪) আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত ও আনুগত্য করা এবং শেষ দিবসের প্রতি ঈমান আনয়ন করা, সমস্ত আসমানী কিতাবসমূহের প্রতি ঈমান আনয়ন করা ও রসূলদের প্রতি ঈমান আনয়ন করার ব্যাপারে সমস্ত নবী-রসূলের তরীকা মাত্র একটি। তাদের এক ও অভিন্ন কাজের বিরোধিতা করা কারো জন্য বৈধ নয়। তাদের পরবর্তীগণ পূর্ববর্তীদেরকে সত্যায়ন করেন এবং পূর্ববর্তীগণ পরবর্তীদের আগমণের সুসংবাদ প্রদান করেন। যেমন ঈসা আলাইহিস সালাম মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আগমণের সুসংবাদ দিয়েছেন এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার পূর্বের সমস্ত নবীকে সত্যায়ন করেছেন।

(৬) নবুওয়াতের আরেকটি দলীল হলো, আল্লাহ তা‘আলা নবীদেরকে সাহায্য করেন। আল্লাহ তা‘আলার চিরন্তন রীতি-নীতি সম্পর্কে অবগত হওয়া গেছে যে, তিনি সত্যাবাদীকে সাহায্য করার মত মিথ্যাবাদীকে সাহায্য করেন না। বরং মিথ্যুককে তিনি অপমানিত ও লাঞ্ছিত করেন, তাকে সাহায্য করেন না। বরং তাকে ধ্বংস করেন। তিনি যদি কোনো প্রভাবশালী যালেমকে কখনো সাহায্য করেন, তাহলে সে নবুওয়াত দাবি করে না এবং আল্লাহর নামে মিথ্যাও বলে না। বরং সে এমন যালেম হয়, যাকে আল্লাহ তা‘আলা তার মতই অন্য যালেমের উপর শক্তিশালী ও সক্ষম করেছেন।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَكَذَلِكَ نُوَلِّي بَعْضَ الظَّالِمِينَ بَعْضًا بِمَا كَانُوا يَكْسِبُونَ ﴾

‘‘এভাবেই আমি কতক যালেমকে অন্যসব যালেমের উপর শক্তিশালী করে দেই তাদের কৃতকর্মের কারণে’’। (সূরা আল আনআম: ১২৯)

যারা বলে আল্লাহ তা‘আলা মিথ্যুক লোককে রসূল বানিয়ে পাঠিয়েছেন, তাদের কথা সত্যের বিপরীত। কেননা মিথ্যুকের জন্য আল্লাহ তা‘আলার সাহায্য-সহযোগিতা অব্যাহত থাকেনা। তবে তিনি কিছুকাল তাকে অবকাশ দেন। অতঃপর তাকে ধ্বংস করেন। আরেকটি কথা হলো নবুওয়াতের দাবি ছাড়াও অন্যান্য বিষয়ে সত্যবাদী মানুষ ও মিথ্যুক মানুষের মধ্যে পার্থক্য করার অনেক পদ্ধতি রয়েছে। সুতরাং নবুওয়াতের সত্য দাবিদার এবং মিথ্যুক দাবিদারের মধ্যে পার্থক্য করার উপায় থাকবে না কেন?

এ কথা সকলের জেনে রাখা আবশ্যক যে, রিসালাতের দাবিদার হয়ত মানুষের মধ্যে সর্বাধিক শ্রেষ্ঠ হবে অথবা তাদের মধ্যে সর্বাধিক নিকৃষ্ট হবে। এ জন্যই নবী সাল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন ছাকীফ গোত্রে গেলেন এবং তাদেরকে ইসলামের দাওয়াত দিলেন তখন তাদের জনৈক নেতা তাকে বলেছিল, আল্লাহর কসম! আমি তোমাকে একটি কথাও বলবোনা। তুমি যদি সত্যবাদী হয়ে থাকো, তাহলে আমার দৃষ্টিতে তোমার কথার প্রতিবাদ করা অনর্থক। আর যদি তুমি মিথ্যুক হয়ে থাকো, তাহলে আমার দৃষ্টিতে তুমি এত নিকৃষ্ট যে, তোমার কথা প্রতিবাদের যোগ্য নয়।

নবুওয়াত সাধারণত সৃষ্টির সেরা ব্যক্তি এবং সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তিই দাবি করে। সুতরাং সৃষ্টির শ্রেষ্ঠতম ব্যক্তির বিষয়টি কিভাবে নিকৃষ্টতম ব্যক্তি থেকে অস্পষ্ট হতে পারে! মিথ্যুকদের যে কেউ নবুওয়াত দাবি করেছে, তার মিথ্যাবাদিতা, মূর্খতা, পাপাচার এবং তার উপর শয়তান বিজয়ী হওয়ার বিষয়টি সামান্য বিবেক-বুদ্ধিমান লোকের নিকটও সুস্পষ্ট হয়েছে। আর নবুওয়াতের প্রত্যেক সত্য দাবিদার থেকে এমন জ্ঞান, সত্যবাদিতা, সৎ আমল এবং বিভিন্ন প্রকার কল্যাণ প্রকাশিত হয়েছে, যার মাধ্যমে সামান্যতম বিবেক-বুদ্ধিমান লোকের কাছেও তার সত্যবাদিতা সুস্পষ্ট হয়েছে। কেননা রসূলগণ অবশ্যই মানুষকে অনেক বিষয়ের সংবাদ দেন, অনেক কাজের আদেশ দেন এবং তারা অবশ্যই অনেক কাজ-কর্ম সম্পাদন করেন। মিথ্যুকরা যা বলে, যা আদেশ দেয়, যেসব বিষয়ের সংবাদ দেয় এবং তারা যেসব কাজ-কর্ম করে, তা থেকেই বিভিন্নভাবে তাদের মিথ্যাবাদিতা ধরা পরে। তাদের মিথ্যাবাদিতা সাব্যস্ত করতে বাইরের কোনো দলীলের প্রয়োজন হয় না।

কেউ কেউ প্রশ্ন করে, নবুওয়াতের দলীল-প্রমাণ এবং যাদুকর, গণক ও সাম্প্রতিক কালের বিস্ময়কর আবিষ্কারের মধ্যে পার্থক্য কী?

এ প্রশ্নের জবাব হলো, নবুওয়াতের দলীল-প্রমাণ এবং যাদুকর, গণক ও সাম্প্রতিক কালের বিস্ময়কর আবিস্কারের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে।

(১) নবী-রসূলদের কথার মধ্যে কোনো খেলাপী কিংবা ভুল হয় না। কিন্তু গণক ও জ্যোতিষীর সংবাদ এর সম্পূর্ণ বিপরীত। তাদের অধিকাংশ সংবাদ মিথ্যা হয়। তবে শয়তানদের চুরি করা কথা থেকে গণকরা যা শুনে তার মধ্য থেকে কিছু কিছু বিষয়ে তাদের কথা কখনো কখনো সত্য হয়।

(২) যাদুকর ও গণকের কাজ-কারবার এবং আধুনিক আবিস্কারের বিষয়গুলো মানুষের নিকট খুবই স্বাভাবিক ও পরিচিত। মানুষ এগুলো শিখতে পারে। এগুলো মানুষ ও জিনের ক্ষমতার বাইরে নয়। সমপর্যায়ের বিষয় দ্বারা এগুলোর মোকাবেলা করা সম্ভব। কিন্তু নবীদের নিদর্শন ও মুজিযার ব্যাপারটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। এগুলোর মোকাবেলা করা কোনো জিন-ইনসানের পক্ষে সম্ভব নয়। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿قُلْ لَئِنِ اجْتَمَعَتِ الْإِنْسُ وَالْجِنُّ عَلَى أَنْ يَأْتُوا بِمِثْلِ هَذَا الْقُرْآنِ لاَ يَأْتُونَ بِمِثْلِهِ وَلَوْ كَانَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ ظَهِيرًا﴾

‘‘হে নবী! বলো, সমস্ত মানব ও জিন যদি এ কুরআনের অনুরূপ রচনা করার জন্য জড়ো হয় এবং তারা পরস্পরের সাহায্যকারী হয়; তবুও তারা কখনো এর অনুরূপ রচনা করে আনতে পারবে না’’। (সূরা বনী ইসরাঈল: ৮৮)

সুতরাং সৃষ্টির পক্ষে নবীদের নিদর্শনের অনুরূপ কিছু আনয়ন করা সম্ভব নয়। কেননা আল্লাহ তা‘আলাই নবীদের সত্যবাদিতার জন্য নিদর্শন ও আলামত নির্ধারণ করেন। যেমন চন্দ্র দ্বিখ--ত করা, হাতের লাঠিকে সাপে পরিণত করা, পাথরের তাসবীহ শ্রবণ করা, খেজুর কাঠের বিরহ-বিচ্ছেদের বেদনা মূলক ক্রন্দনের আওয়াজ শ্রবণ করা এবং সামান্য পরিমাণ পানি ও খাদ্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়া এবং অনুরূপ অন্যান্য বিষয় সংঘটিত করা আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত অন্য কারো ক্ষমতাধীন নয়।

(৩) নবীগণ ঈমানদার মুসলমান হয়ে থাকেন। তারা এক আল্লাহর আদেশ অনুযায়ী ইবাদত-বন্দেগী করেন। তারা সমস্ত নবীর আনীত দীনকে সত্যায়ন করেন। অপর পক্ষে যাদুকর, গণক এবং ভ- নবীরা কাফের, মুশরেক এবং আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ কিতাবের প্রতি কুফুরী করে।

(৪) সৃষ্টিগত স্বভাব এবং বিবেক-বুদ্ধি নবী-রসূলদের আনীতি দীনকে সমর্থন করে। ঐদিকে যাদুকর, গণক ও মিথ্যুক দাজ্জালদের কাজকর্ম শরী‘আতের দলীল এবং বিবেক-বুদ্ধি ও সৃষ্টিগত স্বভাবের পরিপন্থী।

(৫) নবী-রসূলগণ এসেছেন মানুষের সৃষ্টিগত স্বভাব ও বিবেক-বুদ্ধিকে পূর্ণতা প্রদান করার জন্য। বিপরীত পক্ষে যাদুকর, গণক ও মিথ্যুকরা মানুষের বিবেক-বুদ্ধি ও সৃষ্টিগত পরিশুদ্ধ স্বভাবকে নষ্ট করে দেয়।

(৬) নবীদের মুজিযা তাদের নিজস্ব কাজের ফসল নয়। নবুওয়াতের আলামত ও নিদর্শন স্বরূপ এটি আল্লাহ তা‘আলাই তাদেরকে দান করেন। যেমন চন্দ্র দ্বিখন্ডিত করা, হাতের লাঠিকে সাপে পরিণত করা, কুরআন প্রদান করা এবং আল্লাহ তা‘আলার নিজস্ব ছিফাত ইলমুল গায়েবের খবর প্রদান করা। সুতরাং নিদর্শন প্রদান করার বিষয়টি সম্পূর্ণ রূপে আল্লাহর হাতে। এতে সৃষ্টির কোনো হাত নেই। মুশরেকরা যখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে নিদর্শন চাইলো, তখন আল্লাহ তা‘আলা তার নবীকে বললেন,

﴿قُلْ إِنَّمَا الْآيَاتُ عِندَ اللَّهِ وَإِنَّمَا أَنَا نَذِيرٌ مُّبِينٌ﴾

‘‘বলো, নিদর্শনাবলী তো রয়েছে আল্লাহর কাছে এবং আমি কেবলমাত্র সুস্পষ্ট সতর্ককারী’’। (সূরা আনকাবুত: ৫০) আর যাদুকর, গণক এবং শিল্প ও কারিগরি বিষয়ক আধুনিক আবিস্কার সম্পর্কে কথা হলো এগুলো সৃষ্টির কাজের অন্তর্ভুক্ত।

উপরোক্ত বিষয়গুলো ছাড়াও নবীদের মুজিযা এবং যাদুকর ও গণকদের ভেলকিবাজির মধ্যে পার্থক্য করার অনেক উপায় রয়েছে। যে এ বিষয়ে অধিকতর জানতে চান, তিনি যেন শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমীয়া রাহিমাহুল্লাহর النبوات নামক কিতাবটি অধ্যায়ন করে।