প্রশ্ন-১ : গ্রীষ্মকালীন কেন্দ্রসমূহে অংশগ্রহণকারী ভাইদের প্রতি আপনার উপদেশ কী? যখন শায়খ ও আলিমগণের ক্লাস এবং গ্রীষ্মকালীন কেন্দ্রের কোর্সের সময় পরস্পর বিরোধী হয়, তখন তারা কি ক্লাসে অংশগ্রহণ করবে নাকি কেন্দ্রসমূহে অবস্থান করবে? যুবকদের মাঝে এ বিষয় নিয়ে বেশি বেশি আলোচনা হওয়ায় বিষয়টি সবিস্তারে জানাবেন

উত্তর : (গ্রীষ্মকালীন কেন্দ্রসমূহ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো) ছাত্রদেরকে জ্ঞান ও সংস্কৃতি শিক্ষা দেয়া। সুতরাং আমার মতে কেন্দ্রসমূহের পরিচালকগণ সময়কে এমনভাবে ভাগ করে নিবেন যাতে কেন্দ্রের সাথে সম্পর্কিত ব্যক্তিদেরকে দারস ও বক্তৃতা প্রদানের জন্যে মাসজিদে নিয়ে যাওয়া যায়। কেননা দারস ও আলোচনায় অংশগ্রহণ কেন্দ্রের অন্যতম একটি কাজ। আর এর জন্য কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার চেয়ে মাসজিদে উপস্থিত হওয়া উত্তম। কেননা ইলমি (জ্ঞানসংক্রান্ত) আলোচনা শ্রবণ করার জন্য কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার চেয়ে আল্লাহর ঘরে উপস্থিত হওয়াই শ্রেয়।[1]

মোটকথা : কেন্দ্রসমূহের পরিচালকদের জন্য করণীয় হলো, তারা এমনভাবে কর্মসূচি নির্ধারণ করবেন, যাতে মাসজিদে আলোচনার/বক্তৃতার জন্য নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ রাখবেন এবং লক্ষ্য রাখবেন যেন বক্তৃতা ও প্রোগ্রাম পরস্পর বিরোধী না হয়। কেন্দ্রসমূহের উদ্দেশ্য এমনটাই হতে হবে। যেমনটা আমরা উল্লেখ করেছি।

[1]. ইসলামের প্রাথমিক যুগে মাসজিদই ছিল জ্ঞানের উৎস এবং আলিমগণের জ্ঞান পিপাসা মিটানোর ঝরণা স্বরূপ। মাসজিদ থেকেই অনেক সুবিজ্ঞ বিদ্বান পাণ্ডিত্য অর্জন করেছেন। অনেক হাদীছ বিশারদ হাদীছ ও উলুমুল হাদীছে, ফিক্বাহবিদগণ ফিক্বাহ ও উসূলুল ফিকহে, তাফসিরবিদগণ তাফসীর ও উসূলুল তাফসির, ভাষাবিদগণ ইলমুন নাহু ও কলা শাস্ত্রে ব্যুৎপত্তি অর্জন করেছেন। আবার কেউ কেউ মাসজিদের আলোচনা সভা থেকেই উল্লেখিত সকল বিষয়ে পাণ্ডিত্য অর্জন করেছেন। সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, জ্ঞানের জন্য গমন করতে হয়, জ্ঞান কারো নিকট আসে না। সুতরাং কেউ যেন উত্তমকে অনুত্তমের বিনিময়ে পরিবর্তন না করে।