এ প্রশ্নের উত্তর স্বরূপ হাদীসে নিম্নবর্ণিত বাণী রয়েছে:
১. এ রাতটি রমযান মাসে। আর এ রাতের ফযীলত কিয়ামত পর্যন্ত জারী থাকবে।
২. এ রাতটি রমযানের শেষ দশকে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “রমযানের শেষ দশদিনে তোমরা কদরের রাত তালাশ কর।” (বুখারী: ২০২০, মুসলিম: ১১৬৯)
৩. আর এটি রমযানের বেজোড় রাতে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। রাসূল (সা.) বলেছেন,
“তোমরা রমযানের শেষ দশ দিনের বেজোড় রাতগুলোতে কদর খোঁজ কর।” (বুখারী: ২০১৭)
৪. এ রাত রমযানের শেষ সাত দিনে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। রাসূল (সা.) বলেছেন,
“যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদর (কদরের রাত) অন্বেষণ করতে চায়, সে যেন রমযানের শেষ সাত রাতের মধ্যে তা অন্বেষণ করে।” (বুখারী: ২০১৫, মুসলিম: ১১৬৫)
৫. রমযানের ২৭ রজনী লাইলাতুল কদর হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
ক. হাদীসে আছে, “উবাই ইবনে কাব রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত হাদীসে এসেছে, তিনি বলেন যে, আল্লাহর শপথ করে বলছি, আমি যতদূর জানি রাসূল (সা.) আমাদেরকে যে রজনীকে কদরের রাত হিসেবে কিয়ামুল্লাইল করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন তা হলো রমযানের ২৭তম রাত।” (মুসলিম: ৭৬২) আব্দুল্লাহ বিন উমর থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন,
“যে ব্যক্তি কদরের রাত অর্জন করতে ইচ্ছুক, সে যেন তার রমযানের ২৭ রজনীতে অনুসন্ধান করে।” (আহমাদ- ২/১৫৭)
৬. কদরের রাত হওয়ার ব্যাপারে সম্ভাবনার দিক থেকে পরবর্তী দ্বিতীয় সম্ভাবনা হলো ২৫ তারিখ, তৃতীয় হলো ২৯ তারিখ, চতুর্থ হলো ২১ তারিখ, পঞ্চম হলো ২৩ তারিখের রজনী।
৭. সর্বশেষ আরেকটি মত হলো- মহিমান্বিত এ রজনীটি স্থানান্তরশীল। অর্থাৎ প্রতি বৎসর একই তারিখে বা একই রজনীতে তা হয় না এবং শুধুমাত্র ২৭ তারিখেই এ রাতটি আসবে তা নির্ধারিত নয়। আল্লাহর হিকমত ও তাঁর ইচ্ছায় কোন বছর তা ২৫ তারিখে, কোন বছর ২৩ তারিখে, কোন বছর ২১ তারিখে, আবার কোন বছর ২৯ তারিখেও হয়ে থাকে।