দূর হ’তে দেখতে পেয়ে খুশীতে রাসূল (ছাঃ) বলে ওঠেন,هَذِهِ طَابَةٌ وَهَذَا أُحُدٌ ‘এই যে মদীনা, এই যে ওহোদ’। جَبَلٌ يُحِبُّنَا وَنُحِبُّهُ ‘এই পাহাড় আমাদের ভালবাসে এবং আমরা একে ভালবাসি’।[1] মদীনার নারী-শিশু ও বালকেরা ঘর থেকে বেরিয়ে এসে বিপুল উৎসাহে রাসূল (ছাঃ) ও তাঁর সেনাবাহিনীকে অভিনন্দন জানান।[2]
উল্লেখ্য যে, এটাই ছিল রাসূল (ছাঃ)-এর জীবনের সর্বশেষ যুদ্ধ। ৫০ দিনের এই সফরে ৩০ দিন যাতায়াতে ও ২০ দিন ছিল তাবূকে অবস্থান (আহমাদ হা/১৪১৭২)। রজব মাসে গমন ও রামাযান মাসে প্রত্যাবর্তন।[3]
[1]. বুখারী হা/৪৪২২; মুসলিম হা/১৩৯২।
[2]. ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেন, এসময় মদীনার নারী-শিশু ও বালকেরা বেরিয়ে রাসূল (ছাঃ)-কে অভিনন্দন জানিয়ে طَلَعَ الْبَدْرُ عَلَيْنَا + مِنْ ثَنِيَّاتِ الْوَدَاع، وَجَبَ الشُّكْرُ عَلَيْنَا + مَا دَعَا ِللهِ دَاعِ কবিতা পাঠ করেন (যাদুল মা‘আদ ৩/৪৮২; আর-রাহীক্ব ৪৩৬ পৃঃ)।
বায়হাক্বী বলেন, আমাদের বিদ্বানগণ এটিকে মক্কা থেকে মদীনায় হিজরতকালীন সময়ের কথা বলেছেন, তাবূক থেকে ফেরার সময় নয়’ (আল-বিদায়াহ ৫/২৩)। জীবনীকার আলী আল-হালাবী (৯৭৫-১০৪৪ হি.) বলেন, ولا مانع من تعدد ذلك ‘এটি একাধিক বার হওয়ায় কোন বাধা নেই’ (সীরাহ হালাবিইয়াহ ৩/১২৩)। তাছাড়া ‘ছানিয়াহ’ বা টিলা মক্কা ও তাবূক দু’দিকে হওয়াটা অসম্ভব নয়। বস্ত্ততঃ এ ব্যাপারে প্রমাণিত সেটুকুই যা উপরে ছহীহ হাদীছ সমূহে বর্ণিত হয়েছে। বিস্তারিত দ্রষ্টব্য : ‘১ম জুম‘আ আদায় ও ইয়াছরিবে প্রবেশ’ অনুচ্ছেদ, টীকা-৩২২।
[3]. ইবনু হিশাম ২/৫১৫-১৬, ৫৩৭; যাদুল মা‘আদ ৩/৪৯১; আর-রাহীক্ব ৪৩৬ পৃঃ।
[2]. ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেন, এসময় মদীনার নারী-শিশু ও বালকেরা বেরিয়ে রাসূল (ছাঃ)-কে অভিনন্দন জানিয়ে طَلَعَ الْبَدْرُ عَلَيْنَا + مِنْ ثَنِيَّاتِ الْوَدَاع، وَجَبَ الشُّكْرُ عَلَيْنَا + مَا دَعَا ِللهِ دَاعِ কবিতা পাঠ করেন (যাদুল মা‘আদ ৩/৪৮২; আর-রাহীক্ব ৪৩৬ পৃঃ)।
বায়হাক্বী বলেন, আমাদের বিদ্বানগণ এটিকে মক্কা থেকে মদীনায় হিজরতকালীন সময়ের কথা বলেছেন, তাবূক থেকে ফেরার সময় নয়’ (আল-বিদায়াহ ৫/২৩)। জীবনীকার আলী আল-হালাবী (৯৭৫-১০৪৪ হি.) বলেন, ولا مانع من تعدد ذلك ‘এটি একাধিক বার হওয়ায় কোন বাধা নেই’ (সীরাহ হালাবিইয়াহ ৩/১২৩)। তাছাড়া ‘ছানিয়াহ’ বা টিলা মক্কা ও তাবূক দু’দিকে হওয়াটা অসম্ভব নয়। বস্ত্ততঃ এ ব্যাপারে প্রমাণিত সেটুকুই যা উপরে ছহীহ হাদীছ সমূহে বর্ণিত হয়েছে। বিস্তারিত দ্রষ্টব্য : ‘১ম জুম‘আ আদায় ও ইয়াছরিবে প্রবেশ’ অনুচ্ছেদ, টীকা-৩২২।
[3]. ইবনু হিশাম ২/৫১৫-১৬, ৫৩৭; যাদুল মা‘আদ ৩/৪৯১; আর-রাহীক্ব ৪৩৬ পৃঃ।