আল্লাহ সুবহানাহু তা'আলা বলেন,

وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ

‘এবং হিংসুকের অনিষ্ট হতে যখন সে হিংসা করে।[১]

অন্যত্র বলা হয়েছে,

أَمْ يَحْسُدُونَ النَّاسَ عَلَىٰ مَا آتَاهُمُ اللَّهُ مِن فَضْلِهِ

‘এরা কি শুধু মানুষের প্রতি এজন্য হিংসা পোষণ করে যে, আল্লাহ তাদরেকে বিশেষ অনুগ্রহ দান করেছেন?[২]

সহীহ মুসলিমে আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,

لَا تَحَاسَدُوا، وَلَا تَبَاغَضُوا، وَلَا تَقَاطَعُوا، وَكُونُوا عِبَادَ اللَّهِ إِخْوَانًا

তোমরা পরস্পর হিংসা করো না, বিদ্বেষ পোষণ করো না, সম্পর্ক ছিন্ন করো না, তোমরা আল্লাহর বান্দা ও পরস্পর ভাই ভাই হয়ে থাক।'[৩]

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন,

لاتباغضوا وتحاسدوا ولاتدابروا وكونوا عباد الله اخوانا ولايحل لمسلم أن يهجر أخاه فوق ثلاث ليال يلتقيان يصد هذا ويصد هذا وخيرهما الذي يبدأ بالسلام

‘তোমরা পরস্পর ঘৃণা করো না, হিংসা করো না, একজন আরেকজনের পেছনে লেগে যেও না, আল্লাহর বান্দা ও ভাই হয়ে থাক। একজন মুসলমান আরেকজন মুসলমানের সাথে তিন দিনের বেশী কথা না বলা ঠিক নয়, পরস্পর দেখা হলে একজন এদিক আরেকজন ওদিক মুখ ফিরিয়ে নেবে এটি ভালো কথা নয়। দু'জনের মধ্যে উত্তম সেই, যে আগে সালাম দিয়ে কথা বলবে।[৪]

‘এবং হিংসুটের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে।' (সূরা আল ফালাক : ৫)

এই আয়াতের ব্যাখ্যায় হাসান বসরী (র) বলেছেন- এটিই প্রথম অপরাধ যা জান্নাতে সংঘটিত হয়েছিল।[৫]

আহনাফ ইবনু কাইস (র) বলেছে- পাঁচটি কথা আমাদের মধ্যে বহুল প্রচলিত ছিল, কথাগুলো হচ্ছে- হিংসুটের শান্তি নেই, মিথ্যেবাদীর কোনো ভাবমূর্তি নেই, লোভীকে দিয়ে কোনো বিশ্বাস নেই, কৃপণের কোনো মনোবল নেই এবং অসৎ লোকের কোনো চরিত্র নেই।[৬]

[১]. সূরা আল ফালাক, আয়াত : ৫।

[২]. সূরা আন নিসা, আয়াত : ৫৪।

[৩]. সহীহ মুসলিম।

[৪]. ১৭২. সহীহ্ আল বুখারী।

[৫]. ইমাম বাইহাকী নিজস্ব সনদে বর্ণনা করেছেন।

[৬]. ইমাম বাইহাকী নিজস্ব সনদে বর্ণনা করেছেন।