يُطَافُ عَلَيْهِم بِصِحَافٍ مِّن ذَهَبٍ وَأَكْوَابٍ ۖ وَفِيهَا مَا تَشْتَهِيهِ الْأَنفُسُ وَتَلَذُّ الْأَعْيُنُ ۖ وَأَنتُمْ فِيهَا خَالِدُونَ

অর্থাৎ, স্বর্ণের থালা ও পান পাত্র নিয়ে ওদের মাঝে ফিরানো হবে, সেখানে রয়েছে এমন সমস্ত কিছু, যা মন চায় এবং যাতে নয়ন তৃপ্ত হয়। সেখানে তোমরা চিরকাল থাকবে। (যুখরুফঃ ৭১)।

وَلَكُمْ فِيهَا مَا تَشْتَهِي أَنفُسُكُمْ وَلَكُمْ فِيهَا مَا تَدَّعُونَ

অর্থাৎ, সেখানে তোমাদের জন্য সমস্ত কিছু রয়েছে যা তোমাদের মন চায়, যা তোমরা আকাঙ্ক্ষা কর। (হা-মীম সাজদাহঃ ৩১)

لَهُمْ فِيهَا فَاكِهَةٌ وَلَهُم مَّا يَدَّعُونَ

অর্থাৎ, সেখানে তাদের জন্য থাকবে ফল-মূল এবং বাঞ্ছিত সমস্ত কিছু। (ইয়াসীনঃ ৫৭)

জান্নাতে সকল ইচ্ছা পূরণ হবে বলেই এক এক জান্নাতী এক এক আজব ইচ্ছাও প্রকাশ করবে। তার কতিপয় নমুনা নিম্নরূপঃ

একদা নবী (ﷺ) কথা বলছিলেন। তাঁর কাছে এক বেদুঈনও ছিল। তিনি বলতে লাগলেন, “জান্নাতে এক ব্যক্তি নিজ প্রতিপালকের নিকট চাষ করার অনুমতি চাইবে। আল্লাহ বলবেন, তুমি কি ইচ্ছাসুখে বাস করছ না? (ইচ্ছামত পানাহার করছ না?)’ সে বলবে, 'অবশ্যই। তবে আমি চাষ করতে ভালবাসি। সুতরাং সে বীজ বপন করবে। আর নিমেষের মধ্যে চারা অঙ্কুরিত হবে, ফসল পেকে যাবে এবং পাহাড়ের মত জমাও হয়ে যাবে। আল্লাহ তাআলা বলবেন, নাও হে আদম সন্তান! তুমি কিছুতেই পরিতৃপ্ত হবে না।”

এ হাদীস শুনে বেদুঈন বলে উঠল, 'আল্লাহর কসম! ঐ লোক কুরাশী হবে, নচেৎ আনসারী। কারণ চাষী ওরাই। আমরা চাষী নই। এ কথা শুনে আল্লাহর রসূল (ﷺ) হেসে ফেললেন। (বুখারী)

মহানবী (ﷺ) বলেন, “জান্নাতে মু’মিন সন্তান কামনা করলে, কিছু সময়ের মধ্যে গর্ভধারণ, জন্মদান ও বয়ঃপ্রাপ্তি হবে---যেমন তার কামনা হবে।” (তিরমিযী, ইবনে মাজাহ)

এক ব্যক্তি নবী (ﷺ)-কে জিজ্ঞাসা করল, হে আল্লাহর রসূল! জান্নাতে কি উট আছে? উত্তরে তিনি বললেন, “আল্লাহ যদি তোমাকে জান্নাতে প্রবিষ্ট করেন, তাহলে সেখানে তোমার মন যা চাইবে এবং তোমার চোখ যাতে তৃপ্ত হবে, তোমার জন্য তাই হবে।” (তিরমিযী, সিঃ সহীহাহ ৩০০১নং)