গণক এবং তাদের অনুরূপ লোকদের ব্যাপারে যা বর্ণিত হয়েছে

ব্যাখ্যাঃ الكاهن (গণক) হচ্ছে, ঐ ব্যক্তি যে চুরি করে কথা শ্রবণকারী শয়তানের নিকট থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রেরণের পূর্বে এদের সংখ্যা ছিল প্রচুর। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আগমণের পর এদের সংখ্যা কমে গেছে। কেননা আল্লাহ তাআলা অগ্নিশিখার মাধ্যমে আসমানকে হেফাযত করেছেন।

এই উম্মতের মধ্যে এ বিষয়ে যা সর্বাধিক বেশী সংঘটিত হয়, তা হচ্ছে জিনেরা তাদের মানব বন্ধুদেরকে হারানো বস্ত্তর সন্ধান দেয় এবং যমীনে যেসব ঘটনা ঘটে তার সংবাদ এনে দেয়। মূর্খরা এটিকেই কাশফ ও কারামত মনে করে। অনেক মানুষ এর মাধ্যমে ধোঁকায় পড়েছে। যারা জিনদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে খবর দেয়, মূর্খরা তাদেরকে আল্লাহর অলী মনে করে। অথচ তারা হচ্ছে শয়তানের বন্ধু। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

وَيَوْمَ يَحْشُرُهُمْ جَمِيعًا يَا مَعْشَرَ الْجِنِّ قَدِ اسْتَكْثَرْتُمْ مِنَ الْإِنْسِ وَقَالَ أَوْلِيَاؤُهُمْ مِنَ الْإِنْسِ رَبَّنَا اسْتَمْتَعَ بَعْضُنَا بِبَعْضٍ وَبَلَغْنَا أَجَلَنَا الَّذِي أَجَّلْتَ لَنَا قَالَ النَّارُ مَثْوَاكُمْ خَالِدِينَ فِيهَا إِلَّا مَا شَاءَ اللَّهُ إِنَّ رَبَّكَ حَكِيمٌ عَلِيمٌ

‘‘যেদিন আল্লাহ্ সবাইকে একত্রিত করবেন, সেদিন তিনি জিনদের সম্বোধন করে বলবেনঃ হে জিন সম্প্রদায়, তোমরা মানুষদের মধ্যে অনেককে অনুগামী করে নিয়েছো। তাদের মানব বন্ধুরা বলবেঃ হে আমাদের প্রতিপালক, আমাদের কতক কতিপয়কে খুব ব্যবহার করেছে।[1] তুমি আমাদের জন্য যে সময় নির্ধারণ করেছিলে, আমরা তাতে উপনীত হয়েছি। আল্লাহ্ বলবেনঃ আগুন হলো তোমাদের বাসস্থান। তথায় তোমরা চিরকাল অবস্থান করবে; তা থেকে রক্ষা পাবে একমাত্র তারাই যাদেরকে আল্লাহ রক্ষা করতে চাইবেন। নিশ্চয়ই তোমার রব প্রজ্ঞাবান ও মহাজ্ঞানী’’। (সূরা আনআমঃ ১২৮)

সহীহ মুসলিম শরীফে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কতিপয় স্ত্রী থেকে বর্ণিত আছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ

«مَنْ أَتَى عَرَّافاً فسأله عن شيئ فَصَدَّقَهُ بِمَا يَقُولُ لَمْ تُقْبَلْ لَهُ صَلاَةٌ أَرْبَعِينَ يَوْماً»

‘‘যে ব্যক্তি গণকের কাছে গেল, তারপর তাকে কিছু জিজ্ঞাসা করল, অতঃপর গণকের কথাকে সত্য বলে বিশ্বাস করল, চল্লিশ দিন পর্যন্ত তার নামাজ কবুল হবেনা’’।[2]

ব্যাখ্যাঃ এখানে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কতক স্ত্রী বলতে হাফসা রাযিয়াল্লাহু আনহু উদ্দেশ্য। আবু মাসউদ আছ ছাকাফী স্বীয় কিতাব ‘আতরাফ’এর মুসনাদে এ হাদীছ বর্ণনা করেছেন।

ইমাম বগবী (রঃ) বলেনঃ আর্রাফ ঐ ব্যক্তিকে বলা হয়, যে বেশ কিছু আলামতের মাধ্যমে চুরি হয়ে যাওয়া সম্পদ, হারানো বস্ত্তর স্থান এবং অন্যান্য গোপন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান রাখার দাবী করে।

কেউ কেউ বলেছেনঃ গণককেই আর্রাফ বলা হয়। অর্থাৎ العراف এবং الكاهن -এর অর্থ একই। সুতরাং গণক ঐ ব্যক্তিকে বলা হয়, যে ভবিষ্যতে সংঘটিত হবে, এমন গায়েবের খবর দেয়।

কেউ কেউ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি অন্তরের খবর দিতে পারে বলে দাবী করে তাকে গণক বলা হয়।

শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমীয়া (রঃ) বলেনঃ গণক, জ্যোতির্বিদ, বালুর উপর রেখা অঙ্কনকারী এবং অনুরূপ অন্যান্য লোকদেরকে عراف বলা হয়। তিনি আরো বলেনঃ জ্যোতিষীও عراف -এর অন্তর্ভূক্ত।

ইমাম ইবনুল কায়্যিম (রঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি পাখি উড়িয়ে ভাগ্য পরীক্ষা করায় খুব খ্যাতি অর্জন করেছে, আরবরা তাকে عائف (আয়েফ) এবং عراف (আর্রাফ) নামে নামকরণ করেছে।

চল্লিশ দিন পর্যন্ত তার নামাজ কবুল হবেনাঃ ইমাম নববী (রঃ) এবং অন্যান্য আলেম বলেনঃ এ ব্যক্তির ফরয নামায আদায় হলেও সে ছাওয়াব থেকে বঞ্চিত হবে। হাদীছের এই ব্যাখ্যা করা জরুরী। কেননা আলেমগণ একমত যে, কোনো ব্যক্তি গণকের কাছে গেলেই তার চল্লিশ দিনের নামায পুনরায় পড়া জরুরী নয়। ইমাম নববীর কথা এখানেই শেষ।

আবু হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

«مَنْ أَتَى كَاهِناً فَصَدَّقَهُ بِمَا يَقُولُ فَقَدْ كَفَرَ بِمَا أُنْزِلَ عَلَى مُحَمَّدٍ»

‘‘যে ব্যাক্তি গণকের কাছে আসল, অতঃপর গণক যা বলল তা সত্য বলে বিশ্বাস করল সে মূলতঃ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর যা নাযিল করা হয়েছে তা অস্বীকার করল। ইমাম আবু দাউদ এই হাদীছটি বর্ণনা করেছেন’’।[3]

ব্যাখ্যাঃ আবু দাউদের অন্য বর্ণনায় এসেছে, যে ব্যক্তি তার ঋতুবতী স্ত্রীর সাথে সহবাস করবে অথবা স্বীয় স্ত্রীর পশ্চাৎ পথে সহবাস করবে, সে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর অবতীর্ণ দ্বীন থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে যাবে।

আবু দাউদ, তিরমিজি, নাসায়ী, ইবনে মাজাহ এবং হাকিম বর্ণনা করেছেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ যে ব্যাক্তি জ্যোতিষী অথবা গণকের কাছে আসল, অতঃপর গণক যা বলল তা সত্য বলে বিশ্বাস করল সে মূলতঃ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর যা নাযিল করা হয়েছে তা অস্বীকার করল। এ হাদীছ বর্ণনা করার পর ইমাম হাকেম বলেনঃ সহীহ বুখারী ও মুসলিমের শর্ত মুতাবেক হাদীছটি সহীহ। আবু ইয়ালা ইবনে মাসউদ থেকে অনুরূপ মাউকুফ হাদীছ বর্ণনা করেছেন।

ব্যাখ্যাঃ লেখক এ হাদীছের রাবীর নাম উল্লেখ করেন নি। ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল, ইমাম বায়হাকী এবং হাকেম (রঃ) হাদীছটি আবু হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন।

ইমাম কুরতুবী (রঃ) বলেনঃ এখানে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর উপর যা নাযিল হয়েছে, তা দ্বারা কুরআন এবং সুন্নাহ উদ্দেশ্য।

আবু ইয়ালা হচ্ছেন মুসনাদ এবং আরও অনেক গ্রন্থ প্রণেতা ইমাম আহমাদ বিন আলী ইবনুল মুছান্না আল-মুসেলী (রঃ)। তিনি ইয়াহইয়া ইবনে মাঈন, আবু খাইছামা, আবু বকর ইবনে আবী শায়বা এবং আরও অনেক মুহাদ্দিছ থেকে হাদীছ বর্ণনা করেছেন। তিনি হাদীছের হাফেয এবং ইমামদের অন্তর্ভূক্ত ছিলেন। ৩০৭ হিজরী সালে তিনি ইন্তেকাল করেন।

ইমাম বায্যারও উক্ত আছারটি বর্ণনা করেছেন। বায্যারের বর্ণনা শব্দগুলো এ রকমঃ

«مَنْ أَتَى كَاهِناً أو سَاحِرًا فَصَدَّقَهُ بِمَا يَقُولُ فَقَدْ كَفَرَ بِمَا أُنْزِلَ عَلَى مُحَمَّدٍ»

‘‘যে ব্যাক্তি গণক কিংবা যাদুকরের কাছে আসল, অতঃপর গণক যা বলল তা সত্য বলে বিশ্বাস করল সে মূলতঃ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর অবতীর্ণ কুরআনের প্রতি কুফুরী করল’’।

এ সমস্ত হাদীছে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, গণকের কাছে যাওয়া এবং তার কাছে জিজ্ঞেস করা কুফরী।

ইমরান বিন হুসাইন থেকে ‘মারফু’ হাদীছে বর্ণিত আছেঃ

«لَيْسَ مِنَّا مَنْ تَطَيَّرَ أَوْ تُطِيَّرَ لَهُ أَوْ تَكَهَّنَ أَوْ تُكِهِّنَ لَهُ أَوْ سَحَرَ أَوْ سُحِرَ لَهُ وَمَنْ أَتَى كَاهِنًا فَصَدَّقَهُ بِمَا يَقُولُ فَقَدْ كَفَرَ بِمَا أُنْزِلَ عَلَى مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم»

‘‘যে ব্যক্তি পাখি উড়িয়ে ভাগ্যের ভাল-মন্দ যাচাই করল অথবা যার ভাগ্যের ভাল-মন্দ যাচাই করার জন্য পাখি উড়ানো হল, অথবা যে ব্যক্তি ভাগ্য গণনা করল, অথবা যার ভাগ্য গণনা করা হল, অথবা যে ব্যক্তি যাদু করল অথবা যার জন্য যাদু করা হল, সে আমাদের দলের নয়। আর যে ব্যক্তি গণকের কাছে আসল অতঃপর গণক যা বলল তা বিশ্বাস করল সে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর যা নাযিল করা হয়েছে তা অস্বীকার করল। ইমাম বায্যার (রঃ) এ হাদীছটি ভাল সনদে বর্ণনা করেছেন।[4] ইমাম তাবরানীও স্বীয় কিতাব ‘আওসাত’এ হাসান সনদে আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন। তবে তাবরানীর বর্ণনায় ومن أتى থেকে শেষ পর্যন্ত উল্লেখ নেই।

ব্যাখ্যাঃ যে ব্যক্তি পাখি উড়িয়ে ভাল-মন্দ যাচাই করল........সে আমাদের দলের নয়ঃ এতে দলীল পাওয়া যায় যে, উপরোক্ত কাজগুলো করলে সম্পূর্ণ ঈমান চলে যাবে। এটি পূর্বের সেই হাদীছের বিরোধী নয়, যেখানে বলা হয়েছে পাখি উড়িয়ে ভাগ্য পরীক্ষা করা শির্ক এবং গণকের কাজ বা গণকের কাছে যাওয়া কুফরী।

ইমাম বায্যার হচ্ছেন আবু বকর আহমাদ বিন আমর বিন আব্দুল খালেক আল বায্যার আল-বসরী। তিনি আলমুসনাদুল কাবীর রচনা করেছেন। তিনি ইবনে বাশ্শার, ইবনুল মুছান্না এবং আরো অনেক আলেম থেকে হাদীছ বর্ণনা করেছেন। ২৯২ হিজরী সালে তিনি মৃত্যু বরণ করেন।

ইমাম বাগাবী (রঃ) বলেন عراف (গণক) ঐ ব্যক্তিকে বলা হয়, যে চুরাই জিনিষ, হারিয়ে যাওয়া জিনিষ ইত্যাদির স্থান অবগত আছে বলে দাবী করে। অন্য বর্ণনায় আছে, এ ধরনের লোককেই গণক বলা হয়। মূলতঃ গণক বলা হয় এমন ব্যক্তিকে যে ভবিষ্যতের গায়েবী বিষয় সম্পর্কে সংবাদ দেয় অর্থাৎ যে ভবিষ্যদ্বানী করে। আবার কারো মতে যে ব্যক্তি ভবিষ্যতের গোপন খবর বলে দেয়ার দাবী করে তাকেই গণক বলা হয়। কারো মতে যে ব্যক্তি অন্তরের খবর দেয়ার দাবী করে, সেই গণক।

আবুল আববাস ইবনে তাইমিয়া (রঃ) বলেছেন كاهن (গণক), منجم (জ্যোতির্বিদ) এবং رمال (বালির উপর রেখা টেনে ভাগ্য গণনাকারী) এবং এ জাতীয় পদ্ধতিতে যারাই গায়েব সম্পর্কে কিছু জানার দাবী করে তাদেরকেই আররাফ (عراف)বলা হয়।

আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, এক কওমের কিছু লোক أباجادলিখে নক্ষত্রের দিকে দৃষ্টি দেয় এবং তা দ্বারা ভাগ্যের ভাল-মন্দ যাচাই করে। পরকালে তাদের জন্য আল্লাহর কাছে কোনো ভাল ফল আছে বলে আমি মনে করিনা।

ব্যাখ্যাঃ আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছারটি ইমাম তাবারানী মারফু হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তবে হাদীছের সনদ দুর্বল।

আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস রাযিয়াল্লাহু আনহু এর কথাঃ لاأرى এর হামযাহ বর্ণের উপর যবর দিয়ে পড়া জায়েয। তখন অর্থ হবে لاأعلم অর্থাৎ আমি জানিনা। আর ‘হামযাহ’এর উপর পেশ দিয়ে পড়াও জায়েয আছে। তখন অর্থ হবে لاأظن অর্থাৎ আমি মনে করিনা। أباجاد লেখা এবং তা শিক্ষা করার মাধ্যমে যে ব্যক্তি ইলমুল গায়েবের দাবী করে, তার জন্য কঠোর শাস্তির কথা এসেছে। ইহাকে علم الحروف (ইলমুল হুরুফ) তথা অক্ষর বিদ্যাও বলা হয়। তবে লেখা-পড়া শিক্ষা করার জন্য এবং হিসাব বিদ্যা শেখার জন্য তা শিখতে কোনো অসুবিধা নেই।

নক্ষত্রের দিকে দৃষ্টি দেয় এবং তা দ্বারা ভাগ্যের ভাল-মন্দ যাচাই করেঃ অর্থাৎ তারা বিশ্বাস করে যে, যমীনের ঘটনাবলীতে আকাশের তারকাসমূহের প্রভাব রয়েছে।

যে সমস্ত ইল্ম আল্লাহর কিতাব ও রাসূলের সুন্নাত দ্বারা সত্যায়িত নয় এবং কুরআন ও সুন্নাহএর আলোকে যার বিশুদ্ধতা প্রমাণিত নয়, এ হাদীছে এমন প্রত্যেক ইল্ম থেকে সাবধান করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তা থেকে নিষেধও করা হয়েছে। যাদের কাছে এ প্রকার জ্ঞান রয়েছে, তাদের নিকটবর্তী হতে, তাদের কাছে কোনো কিছু জিজ্ঞাসা করতে এবং তাদের বাতিল ও মিথ্যা খবরগুলোকে বিশ্বাস করতে নিষেধ করা হয়েছে। এ ধরণের কথা দ্বারা অগণিত মানুষ ধোঁকা খাচ্ছে! এ অধ্যায় থেকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো জানা যায়ঃ

১) ভাগ্য গণনাকারীকে সত্য বলে বিশ্বাস করা এবং কুরআনের প্রতি ঈমান রাখা, এ দুটি বিষয় একই ব্যক্তির অন্তরে এক সাথে অবস্থান করতে পারেনা।

২) ভাগ্য গণনা করা কুফরী হওয়ার ব্যাপারে সুস্পষ্ট ঘোষণা।

৩) যার জন্য ভাগ্য গণনা করা হয়, তার হুকুমও উল্লেখ করা হয়েছে।

৪) পাখি উড়িয়ে ভাগ্য পরীক্ষাকারীর হুকুম কী, তা উল্লেখ করা হয়েছে।

৫) যার জন্য যাদু করা হয়, তার হুকুম উল্লেখ করা হয়েছে।

৬) ঐ ব্যক্তির হুকুমও জানা গেল, যে أباجد (আবাজাদ) লিখে গায়েবের খবর বলার দাবী করে।

৭) ‘কাহেন’ كاهن এবং ‘আররাফ’ عراف এর মধ্যে পার্থক্য কী? তাও উল্লেখ করা হয়েছে।

[1] - অর্থাৎ আমাদের কতক কতিপয়কে অবৈধভাবে কাজে লাগিয়েছে এবং তার দ্বারা লাভবান হয়েছে। প্রত্যেকে অন্যকে প্রতারণা করে নিজের কামনা বাসনা চরিতার্থ করেছে।

[2] - সহীহ মুসলিম, অধ্যায়ঃ গণকের কাজ নিষিদ্ধ এবং গণকের কাছে যাওয়াও নিষিদ্ধ।

[3] - ইমাম আলবানীও হাদীছটিকে সহীহ বলেছেন, দেখুনঃ সিলসিলায়ে সহীহা, হাদীছ নং- ৩৩৮৭।

[4] - ইমাম আলবানী (রঃ) এই হাদীছকে সহীহ বলেছেন, দেখুনঃ সিলসিলায়ে সহীহা, হাদীছ নং- ৩০৪১।