সহীহ দুআ ও যিক্‌র দুআয়ে কুনুত আবদুল হামীদ ফাইযী ১ টি

১।

اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ، وَعَافِنِي فِيمَنْ عَافَيْتَ، وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ، وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ، وَقِنِي شَرَّمَا قْضَيْتَ، إِنَّهُ لا يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ، تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ.
لا منجا منك إلا إليك، وصلى الله على نبينا محمدٍ

উচ্চারণঃ- আল্লা-হুম্মাহদিনী ফী মান হাদাইত। অআ-ফিনী ফীমান আ ফাইত। অতাওয়াল্লানী ফী মান তাওয়াল্লাইত। অবা-রিকলী ফী মা আত্বাইত। অক্বিনী শারামা ক্বায্বাইত। ফাইন্নাকা তাক্বয্বী অলা য্যুকয্বা আলাইক। ইন্নাহু লা য়্যাযিল্লু মাউ ওয়া-লাইত। অলা য়্যাইয্‌যু মান আ’-দাইত। তাবারাকতা রাব্বানা অতাআ’লাইত। লা মানজা মিনকা ইল্লা ইলাইক। অ স্বাল্লাল্লাহু আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ।

অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি আমাকে হিদায়াত করে তাদের দলভুক্ত কর, যাদেরকে তুমি হিদায়াত করেছ। আমাকে নিরাপদে রেখে তাদের দলভুক্ত কর, যাদেরকে তুমি নিরাপদে রেখেছ। আমার সকল কাজের তত্ত্বাবধান করে আমাকে তাদের দলভুক্ত কর, যাদের তুমি তত্ত্বাবধান করেছ। তুমি আমাকে যা কিছু দান করেছ, তাতে বৰ্কত দাও। আমার ভাগ্যে তুমি যা ফায়সালা করেছ, তার মন্দ থেকে রক্ষা কর। কারণ তুমিই ফায়সালা করে থাক এবং তোমার উপর কারো ফায়সালা চলে না। নিশ্চয় তুমি যাকে ভালোবাস, সে লাঞ্ছিত হয় না এবং যাকে মন্দ বাস, সে সম্মানিত হয় না। তুমি বৰ্কতময় হে আমাদের প্রভু এবং তুমি সুমহান! তোমার আযাব থেকে তুমি ছাড়া কোন আশ্রয়স্থল নেই। আর আমাদের নবীর উপর আল্লাহ রহমত বর্ষণ করুন। (আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ, আহমাদ, বইহাবী, ইবনে মাজাহ ইরওয়াউল গালীল ২/১৭২)

২। সিজদার ১২নং দুআও পড়া যায়। (ইরওয়াউল গালীল ২/১৭৫)

৩। বিপদে কোন সম্প্রদায়ের জন্য দুআ অথবা বন্দুআ করতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাযে শেষ রাকআতের রুকুর পরে কুনুতে নাযেলাহ পড়তে হয় ;

اللَّهُمَّ إِنَّا نَسْتَعِينُكَ وَنَسْتَغْفِرُكَ ، وَنُثْنِي عَلَيْكَ الْخَيْرَ كُلَّهُ ، وَنَشْكُرُكَ وَلا نَكْفُرُكَ ، وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَفْجُرُكَ اللَّهُمَّ إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَلَكَ نُصَلِّي ، وَنَسْجُدُ وَإِلَيْكَ نَسْعَى ، وَنَحْفِدُ نَرْجُو رَحْمَتَكَ وَنَخْشَى عَذَابَكَ ، إِنَّ عَذَابَكَ بِالْكُفَّارِ مُلْحِقٌ

উচ্চারণঃ- আল্লা-হুম্মা ইন্না নাসতাঈনুকা অ নাসতাগফিরুক, অনুসনী আলাইকাল খায়রা কুল্লাহ, অনাশকুরুকা অলা নাকফুরুক, অনাখলাউ অনাতরুকু মাঁই য়্যাফজুরুক, আল্লা-হুম্মা ইয়্যাকা না'বুদ, অলাকা নুসাল্লী অনাসজুদ, অইলাইকা নাসআ অ নাহফিদ, নারজু রাহমাতাকা অনাখশা আযা-বাক, ইন্না আযা-বাকা বিল কুফফা-রি মুলহাক্ব।

অর্থঃ হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমরা তোমার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করছি এবং ক্ষমা ভিক্ষা করছি, তোমার নিমিত্তে যাবতীয় কল্যাণের প্রশংসা করছি, তোমার কৃতজ্ঞতা করি ও কৃতঘ্নতা করি না, তোমার যে অবাধ্যতা করে তাকে আমরা ত্যাগ করি এবং তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করি। হে আল্লাহ! আমরা তোমারই ইবাদত করি, তোমার জন্যই নামায পড়ি এবং সিজদা করি, তোমার দিকেই আমরা ছুটে যাই। তোমার রহমতের আশা রাখি এবং তোমার আযাবকে ভয় করি, নিশ্চয় তোমার আযাব কাফেরদেরকে পৌঁছবে।

এরপর অত্যাচারিতদের জন্য দুআ এবং অত্যাচারীদের উপর বদুআ করতে হয়। যেমন “আল্লা-হুম্মা আযিবিল কাফারাতাল্লাযীনা য়্যাসুদ্দুনা আন সাবীলিক, অয়্যুকাযযিবুনা রুসুলাক, আয়্যুক্বা-তিলুনা আউলিয়া-আক। আল্লা-হুম্মাগফির লিল মু'মিনীনা অল মু’মিনা-ত, অ আস্বলিহ যা-তা বাইনিহিম অ আল্লিফ বাইনা কুলুবিহিম, অজআল ফী কুলুবিহিমুল ঈমানা অল হিকমাহ, অসাব্বিতহুম আলা মিল্লাতি রাসুলিল্লা-হি সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম। অনসুরহুম আলা আদুউবিকা অ আদুউবিহিম। আল্লাহুম্মা ফাররিক জামআহুম অশাত্তিত শামলাহুম অ খাররিব বুনয়্যা-নাহুম অ দাম্মির দিয়া-রাহুম।” ইত্যাদি। (বাইহাকী, ২/২১১, ইরওয়াউল গালীল ২/ ১৬৪- ১৭০)

রমযানের কুনুতে উক্ত দুআ, অর্থাৎ কাফেরদের উপর বদদুআ এবং মুমিনদের জন্য দুআ ও ইস্তেগফার করার কথা সাহাবীদের আমলে প্রমাণিত। (সহীহ ইবনে খুযাইমা ১১০০ নং)