বড় শির্ক ও ছোট শির্ক ছোট শির্কের প্রকারভেদ (ক . প্রকাশ্য শির্ক) মোস্তাফিজুর রহমান বিন আব্দুল আজিজ আল-মাদানী ১ টি
১৩. আল্লাহ্ তা’আলা এবং তুমি না চাইলে কাজটা হতোনা এমন বলার শির্ক

এ জাতীয় কথা বলা ছোট শির্ক।

’আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:

قَالَ رَجُلٌ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم: مَا شَاءَ اللهُ وَشِئْتَ، فَقَالَ: أَجَعَلْتَنِيْ لِلَّهِ نِدًّا؟ بَلْ مَا شَاءَ اللهُ وَحْدهُ

‘‘জনৈক ব্যক্তি নবী (সা.) কে উদ্দেশ্য করে বললেন: আল্লাহ্ তা’আলা এবং আপনি চেয়েছেন বলে কাজটি হয়েছে। নতুবা হতো না। তখন নবী (সা.) বললেন: তুমি কি আমাকে আল্লাহ্ তা’আলার শরীক বানাচ্ছো? এমন কথা কখনো বলবে না। বরং বলবে: একমাত্র আল্লাহ্ তা’আলাই চেয়েছেন বলে কাজটি হয়েছে। নতুবা হতো না।

(আহমাদ : ১/২১৪, ২২৪, ২৮৩, ৩৪৭ বুখারী/আদাবুল্ মুফরাদ্, হাদীস ৭৮৩ নাসায়ী/আমালুল্ ইয়াওমি ওয়াল্লাইলাহ্, হাদীস ৯৮৮ বায়হাক্বী : ৩/২১৭ ত্বাবারানী/কাবীর, হাদীস ১৩০০৫, ১৩০০৬ আবু নু’আইম/হিল্ইয়াহ্ : ৪/৯৯)

’হুযাইফাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: স্বপ্নের মধ্যে জনৈক মুসলমানের সাথে জনৈক ইহুদী বা খ্রিষ্টানের সাক্ষাৎ হলে সে মুসলমানকে বললোঃ তোমরা তো উৎকৃষ্ট সম্প্রদায় যদি তোমরা শির্ক না করতে। তোমরা বলে থাকো: আল্লাহ্ তা’আলা এবং মুহাম্মদ (সা.) কাজটি চেয়েছে বলে হয়েছে। নতুবা হতো না। নবী (সা.) কে ব্যাপারটি জানানো হলে তিনি বলেন:

أَمَا وَاللهِ! إِنْ كُنْتُ لَأَعْرِفُهَا لَكُمْ، قُوْلُوْا: مَا شَاءَ اللهُ ثُمَّ شَاءَ مُحَمَّدٌ

‘‘জেনে রাখো, আল্লাহ্’র কসম! নিশ্চয়ই আমি ব্যাপারটি জানতাম। তোমরা বলবে: আল্লাহ্ তা’আলা অতঃপর মুহাম্মদ (সা.) কাজটি চেয়েছেন বলে হয়েছে। নতুবা হতো না। কারণ, এবং (ওয়াও) শব্দটি সমকক্ষতা বুঝায় যা শির্ক। এর বিপরীতে অতঃপর (সুম্মা) শব্দটি কখনো সমকক্ষতা বুঝায় না’’। (ইবনু মাজাহ্, হাদীস ২১৪৮ আহমাদ : ৫/৩৯৩)

মানুষের মুখে এ জাতীয় আরো অনেক বাক্য প্রচলিত রয়েছে। যেমন: ‘‘আল্লাহ্ এবং আপনি না থাকলে আমার অনেক সমস্যা হয়ে যেতো’’। ‘‘আমার জন্য শুধু আল্লাহ্ এবং আপনিই রয়েছেন’’। ‘‘আমি আল্লাহ্ এবং আপনার উপর নির্ভরশীল’’। ‘‘এটি আল্লাহ্ এবং আপনার পক্ষ হতে’’। ‘‘এটি আল্লাহ্ এবং আপনার বরকতেই হয়েছে’’। ‘‘আমার জন্য আকাশে আছেন আল্লাহ্ এবং জমিনে আছেন আপনি’’।