তাওহীদে রুবুবিয়্যার বিপরীত হল, মহাবিশ্ব পরিচালনার কোন কিছুতে আল্লাহ তা’আলার সাথে অন্য কোন পরিচালক ও ব্যবস্থাপক আছে বলে বিশ্বাস করা। যেমন সৃষ্টি করা, ধ্বংস করা, জীবন দান করা, মৃত্যু দান করা, কল্যাণ দান করা, অকল্যাণ করা ইত্যাদি। এমনিভাবে তাঁর নাম ও গুণাবলীর দাবীগুলোতে তাঁর কোন প্রতিদ্বন্দ্বী স্থির করা। যেমন আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ গায়েবের খবর জানে বলে বিশ্বাস করা কিংবা অন্য কাউকে আল্লাহর ন্যায় মহান ও বড় মনে করা ইত্যাদি। আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ

مَا يَفْتَحْ اللَّهُ لِلنَّاسِ مِنْ رَحْمَةٍ فَلاَ مُمْسِكَ لَهَا وَمَا يُمْسِكْ فَلاَ مُرْسِلَ لَهُ مِنْ بَعْدِهِ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ * يَاأَيُّهَا النَّاسُ اذْكُرُوا نِعْمَةَ اللَّهِ عَلَيْكُمْ هَلْ مِنْ خَالِقٍ غَيْرُ اللَّهِ يَرْزُقُكُمْ مِنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ

‘‘আল্লাহ মানুষের জন্য তাঁর অনুগ্রহ থেকে যা খুলে দেন, তা ফেরাবার কেউ নেই এবং তিনি যা বারণ করেন, তাঁর পরে কেউ তা প্রেরণ করতে পারে না। তিনি পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়। হে লোক সকল! তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর। আল্লাহ ছাড়া কোন স্রষ্টা আছে কি, যে তোমাদেরকে আকাশ ও জমিন হতে জীবিকা প্রদান করে?’’ (সূরা ফাতিরঃ ২-৩) আল্লাহ তা’আলা আরো বলেনঃ

وَإِنْ يَمْسَسْكَ اللَّهُ بِضُرٍّ فَلاَ كَاشِفَ لَهُ إِلاَّ هُوَ وَإِنْ يُرِدْكَ بِخَيْرٍ فَلاَ رَادَّ لِفَضْلِهِ

‘‘আর আল্লাহ যদি তোমাকে কোন কষ্টে নিপতিত করেন, তবে তিনি ব্যতীত কেউ তা মোচনকারী নেই। আর তিনি যদি তোমার কল্যাণ চান, তবে তাঁর কোন অনুগ্রহকে রহিত করার মতও কেউ নেই’’। (সূরা ইউনুসঃ ১০৭) আল্লাহ্ তা’আলা আরো বলেনঃ

قُلْ أَفَرَأَيْتُمْ مَا تَدْعُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ إِنْ أَرَادَنِي اللَّهُ بِضُرٍّ هَلْ هُنَّ كَاشِفَاتُ ضُرِّهِ أَوْ أَرَادَنِي بِرَحْمَةٍ هَلْ هُنَّ مُمْسِكَاتُ رَحْمَتِهِ قُلْ حَسْبِي اللَّهُ عَلَيْهِ يَتَوَكَّلُ الْمُتَوَكِّلُونَ

‘‘বলুনঃ তোমরা ভেবে দেখেছ কি, আল্লাহ যদি আমার অনিষ্ট করার ইচ্ছা করেন, তবে তোমরা আল্লাহ ছাড়া যাদেরকে ডাক তারা কি সে অনিষ্ট দূর করতে পারবে? অথবা তিনি আমার প্রতি অনুগ্রহ করতে চাইলে তারা কি সে অনুগ্রহ রোধ করতে পারবে? বলুনঃ আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। নির্ভরকারীগণ তারই উপর নির্ভর করে’’। (সূরা যুমারঃ ৩৮) আল্লাহ তা’আলা আরো বলেনঃ

وَعِنْدَهُ مَفَاتِحُ الْغَيْبِ لاَ يَعْلَمُهَا إِلاَّ هُوَ

‘‘তাঁর কাছেই রয়েছে গায়েব বা অদৃশ্য জগতের চাবিকাঠি। তিনি ব্যতীত অন্য কেউ তা অবগত নয়’’। (সূরা আন-আমঃ ৫৯) আল্লাহ তা’আলা আরো বলেনঃ

قُلْ لاَ يَعْلَمُ مَنْ فِي السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ الْغَيْبَ إِلاَّ اللَّهُ

‘‘হে নবী আপনি বলে দিন! আকাশ এবং জমিনে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেউ গায়েবের সংবাদ জানে না’’। (সূরা নামলঃ ৬৫) আল্লাহ তা’আলা আরো বলেনঃ

وَلاَ يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِنْ عِلْمِهِ إلاَّ بِمَا شَاءَ

‘‘তার জ্ঞানসীমা থেকে কোন কিছুই তারা পরিবেষ্টিত করতে পারেনা কিন্তু তিনি যা ইচ্ছা করেন তা ব্যতীত’’। (সূরা বাকারাঃ ২৫৫) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদীছে কুদসীতে বলেনঃ আল্লাহ তা’আলা আরো বলেনঃ

(العظمة إزاري والكبرياء ردائي فمن نازعني واحدا منهما أسكنته ناري)

‘‘বড়ত্ব আমার লুঙ্গি এবং অহংকার আমার চাদর। কেউ যদি এ দু’টি থেকে একটি আমার নিকট থেকে ছিনিয়ে নিতে চায়, আমি তাকে আমার জাহান্নামে নিক্ষেপ করব’’।[1]

[1] - সহীহ মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতবিুল বির্ ওয়াস্ সিলাত।