(৩৫) যদি কেউ ইসলামের রুকনসমূহ স্বীকার করে; কিন্তু অলসতা বশতঃ কিংবা অপব্যাখ্যার মাধ্যমে তা প্রত্যাখ্যান করে তবে তার হুকুম কী?

অলসতা করে কেউ যদি নামায ত্যাগ করে, তবে তাকে তাওবা করতে বলা হবে। সে যদি তাওবা করে, তবে তার তাওবা গ্রহণযোগ্য হবে। আর তাওবা না করলে তাকে শাস্তিস্বরূপ হত্যা করতে হবে। কারণ আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ

فَإِنْ تَابُوا وَأَقَامُوا الصَّلاَ وَآتَوْا الزَّكَاةَ فَخَلُّوا سَبِيلَهُمْ

‘‘তারা যদি তাওবা করে, নামায কায়েম করে এবং যাকাত প্রদান করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও’’। (সূরা তাওবাঃ ৫) সহীহ হাদীছে এসেছেঃ

أمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَشْهَدُوا أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ وَيُقِيمُوا الصَّلَاةَ

‘‘আমাকে মানুষের সাথে যুদ্ধ করার আদেশ দেয়া হয়েছে যে পর্যন্ত না তারা এ সাক্ষ্য দিবে যে, আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন মা’বূদ নেই, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর রাসূল এবং নামায কায়েম করবে’’।[1] এ মর্মে আরো অনেক হাদীছ রয়েছে।

আর যাকাতের ব্যাপারে কথা হল সে যদি শক্তিশালী না হয়, তাহলে ইমাম তার নিকট থেকে জোর করে যাকাত আদায় করবে এবং তার মাল থেকে শাস্তি মূলক অতিরিক্ত কিছু জরিমানও আদায় করে নিবে। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

(وَمَنْ مَنَعَهَا فَإِنَّا آخِذُوهَا وَشَطْرَ مَالِهِ معهَا)

‘‘যে ব্যক্তি যাকাত দিতে অস্বীকার করবে, আমরা তার নিকট থেকে জোর করে তা আদায় করে নিব এবং তার সাথে জরিমানাস্বরূপ তার অর্ধেক মাল নিয়ে নিব’’।[2]

আর যদি যাকাত অস্বীকারকারীগণ সংঘবদ্ধ হয় এবং তারা যদি শক্তিশালী হয়ে থাকে, তাহলে ইমামের উপর আবশ্যক হল, তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাকাত দিতে বাধ্য করবে। পূর্বের আয়াতসমূহ এবং হাদীছ এর সুস্পষ্ট দলীল। আবু বকর (রাঃ) এবং সমস্ত সাহাবী তাই করেছেন।

আর রোজা না রাখার শাস্তির ব্যাপারে কুরআন ও হাদীছে কোন দলীল পাওয়া যায় না। তবে শাসক বা তার প্রতিনিধি তাকে এমন শাস্তি দিতে পারবে, যাতে সে এবং অন্যরা শিক্ষা পায়।

আর হজ্জের ব্যাপারে কথা এই যে, বান্দার মৃত্যু পর্যন্ত হজ্জ আদায় করার সময়। মৃত্যুর মাধ্যমেই এটি ছুটে যেতে পারে। তাই হজ্জ ফরজ হলে তা দ্রুত আদায় করে নেওয়া আবশ্যক। অলসতা করে কেউ হজ্জ না করে মৃত্যু বরণ করলে পরকালে তার ব্যাপারে কঠিন শাস্তির ধমকি এসেছে। তবে হজ্জ না করলে দুনিয়াতে কোন শাস্তির দলীল পাওয়া যায় না।

[1] - বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ঈমান।

[2] - আবু দাউদ, অধ্যায়ঃ কিতাবুয্ যাকাত। ইমাম আলবানী এই হাদীছটিকে হাসান বলেছেন। সহীহুল জামে, (২/১০১)