প্রশ্নঃ (১৯৪) তাওহীদপন্থী কোন লোক কবীরা গুনাহ্তে লিপ্ত থাকাবস্থায় মৃত্যু বরণ করলে তার হুকুম কী?

উত্তরঃ যে সমস্ত তাওহীদপন্থী মু’মিন আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করেনি এবং তাদের মধ্যে ইসলাম থেকে বের হয়ে যাওয়ার কোন কারণও পাওয়া যায়নি কিন্তু তারা গুনাহ ও পাপের কাজে লিপ্ত থাকাবস্থায় মৃত্যু বরণ করলে তাদের ব্যাপারটি সম্পূর্ণ আল্লাহর হাতে। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাদেরকে শাস্তি দিবেন অথবা ক্ষমা করে দিবেন। আল্লাহ বলেনঃ

إِنَّ اللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَنْ يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَنْ يَشَاءُ

‘‘নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে শির্ক করাকে ক্ষমা করেন না। শির্ক ব্যতীত অন্যান্য গুনাহ যাকে ইচ্ছা তিনি ক্ষমা করে থাকেন’’। (সূরা নিসাঃ ৪৮)

আর কিয়ামতের দিন তাদের নেক কাজ ও বদ কাজ উভয়টিই ওজন করা হবে। সে দিন কাউকে যুলুম করা হবে না। আল্লাহ তাআ’লা বলেনঃ

وَنَضَعُ الْمَوَازِينَ الْقِسْطَ لِيَوْمِ الْقِيَامَةِ فَلَا تُظْلَمُ نَفْسٌ شَيْئًا وَإِنْ كَانَ مِثْقَالَ حَبَّةٍ مِنْ خَرْدَلٍ أَتَيْنَا بِهَا وَكَفَى بِنَا حَاسِبِينَ

‘‘আমি কিয়ামতের দিন ন্যায় বিচারের মান দন্ড স্থাপন করব। সুতরাং কারো প্রতি জুলুম হবেনা। যদি কোন আমল সরিষার দানা পরিমাণও হয়, আমি তা উপস্থিত করব এবং হিসাব গ্রহণের জন্যে আমিই যথেষ্ট’’। (সূরা আম্বীয়াঃ ৪৭) আল্লাহ্ তাআ’লা আরও বলেনঃ

وَالْوَزْنُ يَوْمَئِذٍ الْحَقُّ فَمَنْ ثَقُلَتْ مَوَازِينُهُ فَأُوْلَئِكَ هُمْ الْمُفْلِحُونَ وَمَنْ خَفَّتْ مَوَازِينُهُ فَأُوْلَئِكَ الَّذِينَ خَسِرُوا أَنفُسَهُمْ بِمَا كَانُوا بِآيَاتِنَا يَظْلِمُونَ

‘‘আর সে দিন যথাযথই ওজন হবে। অতঃপর যাদের পাল্লা ভারী হবে তারাই সফলকাম হবে আর যাদের পাল্লা হালকা হবে তারা এমন হবে, যারা নিজেদের ক্ষতি করেছে। কেননা তারা আমার নিদর্শনসমূহকে অস্বীকার করত’’। (সূরা আ’রাফঃ ৮-৯) আল্লাহ্ তাআ’লা আরও বলেনঃ

يَوْمَ تَجِدُ كُلُّ نَفْسٍ مَا عَمِلَتْ مِنْ خَيْرٍ مُحْضَرًا وَمَا عَمِلَتْ مِنْ سُوءٍ

‘‘সেদিন প্রত্যেক ব্যক্তি যা কিছু সৎকর্ম করেছে, তা মজুদ পাবে এবং সে মন্দ কাজ করেছে তাও পাবে’’। (সূরা আল-ইমরানঃ ৩০) আল্লাহ্ তাআ’লা আরও বলেনঃ

يَوْمَ تَأْتِي كُلُّ نَفْسٍ تُجَادِلُ عَنْ نَفْسِهَا وَتُوَفَّى كُلُّ نَفْسٍ مَا عَمِلَتْ وَهُمْ لاَ يُظْلَمُونَ

‘‘স্মরণ কর সে দিনকে, যে দিন আত্মপক্ষ সমর্থনে যুক্তি উপস্থাপন করতে আসবে প্রত্যেক ব্যক্তি এবং প্রত্যেককে তার কৃতকর্মের পূর্ণ ফল দেয়া হবে। তাদের প্রতি যুলুম করা হবে না’’। (সূরা নাহ্লঃ ১১১) আল্লাহ্ তাআ’লা আরও বলেনঃ

وَاتَّقُوا يَوْمًا تُرْجَعُونَ فِيهِ إِلَى اللَّهِ ثُمَّ تُوَفَّى كُلُّ نَفْسٍ مَا كَسَبَتْ وَهُمْ لاَ يُظْلَمُونَ

‘‘আর তোমরা সেই দিনের ভয় কর, যে দিন তোমরা আল্লাহর পানে প্রত্যাবর্তিত হবে, তখন যে যা অর্জন করেছে তা পরিপূর্ণরূপে প্রদত্ত হবে এবং তারা অত্যাচারিত হবে না’’। (সূরা বাকারাঃ ২৮১) আল্লাহ্ তাআ’লা আরও বলেনঃ

يَوْمَئِذٍ يَصْدُرُ النَّاسُ أَشْتَاتًا لِيُرَوْا أَعْمَالَهُمْ * فَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَرَهُ * وَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا يَرَهُ

‘‘সেদিন মানুষ ভিন্ন ভিন্ন দলে বের হবে যাতে তাদের কৃতকর্ম দেখানো যায়। অতঃপর কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করে থাকলে তা দেখতে পাবে। আর কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম করলে তাও দেখতে পাবে’’। (সূরা যিলযালঃ ৬-৮) এছাড়া আরও অনেক আয়াত রয়েছে। আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

(مَنْ نُوقِشَ الْحِسَابَ عُذِّبَ قَالَتْ: قُلْتُ أَلَيْسَ يَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى ( فَسَوْفَ يُحَاسَبُ حِسَابًا يَسِيرًا) قَالَ ذَلِكِ الْعَرْضُ ولكن مَنْ نُوقِشَ الْحِسَابَ عُذِّبَ)

‘‘যাকে হিসাব নেয়ার জন্য পাকড়াও করা হবে তাকে শাস্তি দেয়া হবে। আয়েশা (রাঃ) বলেনঃ আমি বললামঃ আল্লাহ্ তাআলা কি বলেন নি? তার অতি সহজ হিসাব নেয়া হবে? তিনি বললেনঃ ওটা কেবল পেশ করা। কিন্তু যার হিসাব নেয়া হবে, তাকে শাস্তি দেয়া হবে’’।[1]

ইতিপূর্বে আমরা হাশর, হাশরের মাঠের অবস্থা, দাঁড়িপাল্লা, আমলনামা প্রদান, হিসাবের সম্মুখীন হওয়া, হিসাব গ্রহণ করা, পুলসিরাত শাফাআত ও অন্যান্য আলোচনায় অনেক দলীল প্রমাণ পেশ করেছি। যাতে প্রমাণিত হয় যে, দুনিয়াতে ভাল ও মন্দ আমল অনুযায়ী মানুষের আখেরাতেও তাদের স্তর ও অবস্থা বিভিন্ন রকম হবে। কেউ হবে অগ্রগামী, কেউ হবে মধ্যমপন্থী, আবার কেউ হবে নিজের নফসের উপর যুলুমকারী।

প্রিয় পাঠক! আপনি যখন উপরোক্ত পার্থক্যটি জানতে পারলেন, তখন আরো ভাল করে জেনে নিন যে, কুরআনের আয়াত, সুন্নাতে নববী, এই উম্মাতের প্রথম সারির সাহাবী ও উত্তমভাবে তাদের অনুসারী তাবেয়ীদের মধ্যে হতে তাফসীর, হাদীছ সুন্নাতের ইমামগণের উক্তি থেকে প্রমাণিত হয় যে, কিয়ামতের দিন তাওহীদপন্থী পাপী মুমিনগণ তিনটি স্তরে বিভক্ত হবে।

প্রথম স্তরঃ একদল লোকের গুনাহ্এর তুলনায় নেকী বেশী হবে। তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে। আগুন তাদেরকে কখনই স্পর্শ করবে না।

দ্বিতীয় স্তরঃ একদল লোকের নেকী ও বদী সমান সমান হবে। তাদের পাপ কাজ থাকার কারণে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। আর নেকী থাকার কারণে জাহান্নাম থেকে বেঁচে যাবে। এরা হবে ‘আস্হাবে আরাফ’। তাদের সম্পর্কে আল্লাহ্ তাআলা বলেছেন যে, তাদেরকে জান্নাত ও জাহান্নামের মাঝখানে আটক রাখা হবে। আল্লাহ্ যত দিন চাইবেন, ততদিন তারা সেখানে আটক থাকবে। অতঃপর তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশের অনুমতি প্রদান করা হবে। জান্নাতীগণ জান্নাতে এবং জাহান্নামীগণ জাহান্নামে প্রবেশ করার পর তারা আ’রাফ নামক জায়গায় অবস্থান করে জান্নাত ও জাহান্নামবাসীদেরকে ডাকাডকি করবে। এ সম্পর্কে আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ

وَبَيْنَهُمَا حِجَابٌ وَعَلَى الأَعْرَافِ رِجَالٌ يَعْرِفُونَ كُلاًّ بِسِيمَاهُمْ وَنَادَوْا أَصْحَابَ الْجَنَّةِ أَنْ سَلاَمٌ عَلَيْكُمْ لَمْ يَدْخُلُوهَا وَهُمْ يَطْمَعُونَ * وَإِذَا صُرِفَتْ أَبْصَارُهُمْ تِلْقَاءَ أَصْحَابِ النَّارِ قَالُوا رَبَّنَا لاَ تَجْعَلْنَا مَعَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ * وَنَادَى أَصْحَابُ الأَعْرَافِ رِجَالاً يَعْرِفُونَهُمْ بِسِيمَاهُمْ قَالُوا مَا أَغْنَى عَنْكُمْ جَمْعُكُمْ وَمَا كُنتُمْ تَسْتَكْبِرُونَ * أَهَؤُلاَءِ الَّذِينَ أَقْسَمْتُمْ لاَ يَنَالُهُمْ اللَّهُ بِرَحْمَةٍ ادْخُلُوا الْجَنَّةَ لاَ خَوْفٌ عَلَيْكُمْ وَلاَ أَنْتُمْ تَحْزَنُونَ

‘‘এই উভয় শ্রেণীর লোকদের মাঝে পার্থক্যকারী একটি পর্দা রয়েছে। আর আ’রাফে (জান্নাত ও জাহান্নামের মধ্যবর্তী স্থানে) অনেক লোক থাকবে। তারা প্রত্যেককে তাদের লক্ষণ ও চিহ্ন দ্বারা চিনতে পারবে। আর তারা জান্নাতবাসীদেরকে ডেকে বলবেঃ তোমাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। তখনও তারা জান্নাতে প্রবেশ করে নি বটে; কিন্তু ওর আকাঙ্খা করে। আর যখন জাহান্নামবাসীদের দিকে তাদের দৃষ্টি ফিরিয়ে দেয়া হবে, তখন তারা (আ’রাফবাসীরা) বলবেঃ হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদেরকে যালেম সম্প্রদায়ের সঙ্গী করবেন না। আ’রাফবাসীরা যেসব জাহান্নামী লোককে তাদের লক্ষণ দ্বারা চিনতে পারবে, তাদেরকে ডাক দিয়ে বলবেঃ তোমাদের বাহিনী এবং তোমাদের গর্ব অহংকার তোমাদের কোনই উপকারে আসল না। এরা কি তারাই যাদের সম্পর্কে তোমরা কসম খেয়ে বলতে যে, আল্লাহ্ এদের প্রতি অনুগ্রহ করবেন না? অথচ তাদের ব্যাপারে বলা হয়েছে যে, প্রবেশ কর জান্নাতে। তোমাদের কোন আশংকা নেই এবং তোমরা দুঃখিত হবে না’’। (সূরা আ’রাফঃ ৪৬-৪৯)

তৃতীয় স্তরঃ একদল লোক কবীরা গুনাহ করা অবস্থায় আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করবে। তবে তাদের মধ্যে তাওহীদ ও ঈমানের আলো থাকবে। তাদের নেক আমলের তুলনায় পাপ কাজের পরিমাণ বেশী হবে। এ সমস্ত লোক গুনাহ্ অনুযায়ী জাহান্নামে প্রবেশ করবে। আগুন কারো গোড়ালি পর্যন্ত, কারো হাঁটুর নিচ পর্যন্ত, কারো হাঁটু পর্যন্ত এমনকি কারো শুধু সিজদার স্থান তথা কপাল ব্যতীত সমস্ত শরীরে আগুন পৌঁছে যাবে। এই দলটির জন্যেই আল্লাহ্ তাআলা আমাদের নবীকে সুপারিশ করার অনুমতি দিবেন। তাঁর পরে অন্যান্য নবী, আওলীয়া, ফেরেশতা এবং আল্লাহ্ তাআলা যাদেরকে সম্মানিত করবেন, তারাও সুপারিশ করবেন। তাদের জন্যে একটি নিদৃষ্ট সংখ্যা নির্ধারণ করে দিবেন। তারা সুপারিশ করে তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করবেন। অতঃপর তাদের জন্যে আরো একটি সংখ্যা নির্ধারণ করে দিবেন। তারা তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করবেন। এভাবেই তারা জাহান্নাম থেকে বের করতে থাকবে। এমনকি যাদের অন্তরে এক দীনার পরিমাণ কল্যাণ আছে তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করবেন। অতঃপর যাদের অন্তরে অর্ধেক দীনার পর্যন্ত ঈমান থাকবে তাদেরকে বের করবেন। অতঃপর যাদের অন্তরে একটি গমের দানার সমপরিমাণ কল্যাণ থাকবে, তাদেরকে বের করবেন, অতঃপর যাদের অন্তরে সরিষার দানা পরিমাণ কল্যাণ থাকবে তাদেরকে বের করবেন। শেষ পর্যন্ত সুপারিশকারীগণ বলবেনঃ হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা জাহান্নামে সামান্য ভাল আমলকারীকেও রাখি নি। মোটকথা তাওহীদে বিশ্বাসী কোন মানুষ তাওহীদের উপর মৃত্যু বরণ করলে চিরকাল জাহান্নামে থাকবে না। তার আমল যাই হোক না কেন।

তবে তাদের মধ্যে যার ঈমান যত বড় হবে এবং গুনাহ্ যত হালকা হবে, জাহান্নামে তার আযাব তত হালকা হবে, তত কম সময় জাহান্নামে অবস্থান করবে এবং তত দ্রুত জাহান্নাম থেকে বের হয়ে আসবে। আর যার গুনাহ্ বড় ও বেশী হবে এবং ঈমান দুর্বল হবে, তার আযাব কঠিন হবে, দীর্ঘ সময় জাহান্নামে অবস্থান করবে এবং তা থেকে বের হতে দেরী হবে। এ ব্যাপারে এত সহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে, যা বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। এদিকে ইঙ্গিত করে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

(من قال لا إله إلا الله نفعته يوما من الدهر يصيبه قبل ذلك ما أصابه)

‘‘যে ব্যক্তি লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ পাঠ করবে, কোন না কোন দিন এই বাক্যটি তার উপকারে আসবে। যদিও তার পূর্বে তাকে শাস্তি ভোগ করতে হবে’’।[2]

এই মাসআলাটি তথা কবীরা গুনাহ্তে লিপ্ত ব্যক্তির পরিণাম সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বড় বড় জ্ঞানী ব্যক্তিরাও দিশেহারা হয়ে গেছেন, অনেকেই গোমরাহ হয়েছে আবার অনেকেই প্রচুর মতভেদও করেছেন। আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ

فَهَدَى اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا لِمَا اخْتَلَفُوا فِيهِ مِنَ الْحَقِّ بِإِذْنِهِ وَاللَّهُ يَهْدِي مَنْ يَشَاءُ إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ

‘‘আল্লাহ্ স্বীয় অনুগ্রহ ও ইচ্ছায় ঈমানদারদেরকে হেদায়াত করেছেন সেই সত্য বিষয়ে, যে ব্যাপারে লোকেরা মতভেদে লিপ্ত হয়েছিল। আর আল্লাহ্ যাকে ইচ্ছা সরল ও সঠিক পথ প্রদর্শন করেন’’। (সূরা বাকারাঃ ২১৩)

[1] - বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুর্ রিকাক।

[2] - ইমাম হায়ছামী হাদীছটি মাজমাউয্ যাওয়ায়েদে বর্ণনা করেছেন, (১/২২)। তিনি বলেনঃ ইমাম বায্যার ও তাবরানী মু’যামুল আওসাত ও সগীরে বর্ণনা করেছেন। হাদীছের রাবীগণ থেকে ইমাম বুখারী হাদীছ বর্ণনা করেছেন। ইমাম আলবানী হাদীছটিকে সহীহ বলেছেন। দেখুনঃ সিলসিলায়ে সহীহা, হাদীছ নং- ১৯৩২।