উত্তরঃ ঈমানের অনেক শাখাপ্রশাখা রয়েছে। আল্লাহ্ তাআ’লা বলেনঃ

لَيْسَ الْبِرَّ أَنْ تُوَلُّوا وُجُوهَكُمْ قِبَلَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ وَلَكِنَّ الْبِرَّ مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَالْمَلاَئِكَةِ وَالْكِتَابِ وَالنَّبِيِّينَ وَآتَى الْمَالَ عَلَى حُبِّهِ ذَوِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينَ وَابْنَ السَّبِيلِ وَالسَّائِلِينَ وَفِي الرِّقَابِ وَأَقَامَ الصَّلاَةَ وَآتَى الزَّكَاةَ وَالْمُوفُونَ بِعَهْدِهِمْ إِذَا عَاهَدُوا وَالصَّابِرِينَ فِي الْبَأْسَاءِ وَالضَّرَّاءِ وَحِينَ الْبَأْسِ أُولَئِكَ الَّذِينَ صَدَقُوا وَأُولَئِكَ هُمُ الْمُتَّقُونَ

‘‘তোমাদের মুখমণ্ডল পূর্ব কিংবা পশ্চিম দিকে ফেরানোতে কোন নেকী নেই; বরং প্রকৃত নেকী তো সেই অর্জন করেছে, যে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে আল্লাহর প্রতি, পরকালের প্রতি, ফেরেস্তাদের প্রতি, কিতাবসমূহের প্রতি এবং নবী-রাসুলদের প্রতি এবং তারা মালের প্রতি ভালবাসা থাকা সত্বেও তা দান করে আত্মীয়স্বজন, ইয়াতীম, মিসকীন, মুসাফির এবং ভিক্ষুকদেরকে। আর তারা ধনসম্পদ ব্যয় করে দাসত্ব মোচনের জন্য। আর তারা নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, অঙ্গিকার করলে তা পূর্ণ করে। আর তারা অভাবে, ক্লেশে, এবং যুদ্ধকালে ধৈর্যশীল। তারাই সত্যপরায়ন এবং তারাই আল্লাহ্ ভীরু’’। (সূরা বাকারাঃ ১৭৭) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

(الإيمَانُ بِضْعٌ وَسَبْعُونَ أَوْ بِضْعٌ وَسِتُّونَ شُعْبَةً فَأَفْضَلُهَا قَوْلُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَدْنَاهَا إِمَاطَةُ الأذَى عَنِ الطَّرِيقِ وَالْحَيَاءُ شُعْبَةٌ مِنَ الإِيمَانِ)

‘‘ঈমানের সত্তর অথবা ষাটের অধিক শাখা রয়েছে। তার মধ্যে সর্বোত্তম শাখা হচ্ছে এই সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কোন সত্য মাবুদ নেই। আর সর্ব নিম্ন শাখা হচ্ছে রাস্তা হতে কষ্টদায়ক বস্ত্ত ফেলে দেয়া। লজ্জাবোধ ঈমানের অন্যতম একটি শাখা’’[1]।

[1] - বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ঈমান।