প্রশ্নঃ (৮৮) রাসূলদের প্রতি ঈমান আনয়নের অর্থ কি?

উত্তরঃ রাসূলদের প্রতি ঈমান আনয়নের অর্থ হল, এ দৃঢ় বিশ্বাস পোষণ করা যে, আল্লাহ তা’আলা প্রত্যেক জাতির নিকট তাদের মধ্য হতেই কোন না কোন রাসূল প্রেরণ করেছেন। তারা তাদের জাতির লোকদেরকে এককভাবে আল্লাহর এবাদতের প্রতি আহবান জানাতেন এবং আল্লাহ্ ছাড়া অন্যের এবাদত করতে নিষেধ করতেন। তাঁরা সকলেই ছিলেন সত্যবাদী ও সত্যবাদী বলে সমর্থিত, সৎকর্মপরায়ণ, সৎপথপ্রাপ্ত, সম্মানিত, মুত্তাকী, আমানতদার, সৎপথ প্রদর্শনকারী, এবং তাঁরা তাদের প্রভুর পক্ষ হতে সুস্পষ্ট প্রমাণ ও নিদর্শনাবলী দ্বারা সাহায্যপ্রাপ্ত। তাদেরকে আল্লাহ্ তা’আলা যা দিয়ে প্রেরণ করেছেন, তারা তার সবই পৌঁছিয়ে দিয়েছেন। তারা কোন কিছু গোপন করেন নি, পরিবর্তন করেন নি এবং তারা নিজেদের তরফ হতে একটি অক্ষরও বৃদ্ধি বা কম করেন নি। আল্লাহ্ তা’আলা বলেনঃ

فَهَلْ عَلَى الرُّسُلِ إِلاَّ الْبَلاَغُ الْمُبِينُ

‘‘রাসূলদের কর্তব্য তো শুধু পরিস্কারভাবে (আল্লাহর বাণী) পৌঁছিয়ে দেয়া’’। (সূরা নাহলঃ ৩৫) সমস্ত নবী-রাসূলই সুস্পষ্ট হকের উপর ছিলেন। আল্লাহ তা’আলা ইবরাহীম ও মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করেছেন, মুসা (আঃ)এর সাথে কথা বলেছেন এবং ইদরীছ (আঃ)কে উচ্চ আসনে উন্নিত করেছেন। ঈসা (আঃ) ছিলেন আল্লাহর বান্দা ও রাসূল এবং তাঁর কালেমা, যা তিনি মারইয়ামের প্রতি প্রেরণ করেছেন এবং তাঁর রূহ।[1] আল্লাহ তা’আলা কতক রাসূলকে কতকের উপর সম্মানিত করেছেন এবং কারো মর্যাদা বৃদ্ধি করেছেন।

[1] - ঈসা (আঃ) আল্লাহর কালেমা- এ কথার অর্থ এই যে, আল্লাহ্ তাঁকে স্বীয় কালেমা (-كُنْ فَيَكُوْن কুন ফায়াকুন) অর্থাৎ হয়ে যাও- এর মাধ্যমে সৃষ্টি করেছেন। আর আল্লাহর ‘রূহ’- এ কথার অর্থ এই যে, তিনি আল্লাহ তা’আলার সৃষ্টিকৃত রূহসমূহের অন্তর্ভূক্ত। তিনি আল্লাহ্ বা আল্লাহর পুত্র নন। যেমনটি ধারণা করে খৃষ্টান সম্প্রদায়।