বিকৃতি ও জালিয়াতির ধারা কুরআন নাযিলের পরেও অব্যাহত আছে। আপনি বাংলা ভাষায় প্রকাশিত বিগত ২০০ বৎসরের বাইবেলগুলি একত্রে অধ্যয়ন করলেই দেখবেন যে, প্রত্যেক সংস্করণেই অনেক পরিবর্তন। ভাষার পরিবর্তন নয়, বরং তথ্যের পরিবর্তন, বিকৃতি, এমনকি অনেক আয়াত বা শ্লোক পর্যন্ত বাদ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য যে, ইংল্যান্ডের রাজা প্রথম জেমস-এর সময়ে ১৬১১ খৃস্টাব্দে ইংরেজি ভাষায় ‘বাইবেলের’ বিশুদ্ধ অনুবাদ প্রকাশ করা হয়। এটিই অন্যান্য ভাষার কিতাবুল মোকাদ্দসের মূল ভিত্তি। এটি কিং জেমস ভার্শন (King James Version: KJV) এবং অথোরাইযড ভার্শন (Authorised Version: AV) নামে পরিচিত। ১৯৫২ খৃস্টাব্দে আমেরিকার ৩২ জন খৃস্টান ধর্মগুরু একত্রিত হয়ে কিং জেমস বাইবেলের ভুলভ্রান্তিদূর করে রিভাইযড স্টান্ডার্ড র্ভাশন (Revised Standerd Version)। এখানে এ দুটি সংস্করণের মধ্যে বিদ্যমান বৈপরীত্য ও প্রমাণিত কয়েকটি বিকৃতি উল্লেখ করছি।