আমরা জানলাম যে, প্রচলিত ‘মতানুসারে ইঞ্জিল চারটি’ ২য় শতকের কতিপয় খৃস্টানের পরনামে (pseudonymously) লেখা বই। এগুলির মধ্যে বৈপরিত্যের শেষ নেই। এ চারটির মধ্যে প্রথম তিনটিকে খৃস্টান পণ্ডিত ও ধর্মগুরুগণ Synoptic Gospels বা ‘একমতীয় ইঞ্জিল’ বলে আখ্যায়িত করেন। চতুর্থ যোহন বা ইউহোন্নার মতানুসারে ইঞ্জিলটিকে ব্যতিক্রম বলে গণ্য করেন। প্রথম তিনটির সাথে চতুর্থটির বৈপরীত্য আরো বেশি। খৃস্টান গবেষকগণ প্রায় সকলেই একমত যে, মথি, মার্ক ও লূকের সুসমাচারের উৎস মূল একটি সংক্ষিপ্ত ‘ইঞ্জিল’। হারিয়ে যাওয়া এই মূল ইঞ্জিলটিকে খৃস্টান গবেষকগণ ‘কিউ’ (Q) বলে অভিহিত করেন। জার্মান Quelle শব্দের অর্থ source বা উৎস। যেহেতু এতে শুধু যীশুর বচন সংকলন করা হয়েছিল এজন্য গবেষকগণ একে Logia বলে অভিহিত করেন। (The New Encyclopedia Britannica, 15th Ed, V-10, Jesus Christ, p 146) চতুর্থ ‘মতানুসারে ইঞ্জিলের’ উৎস, ভিত্তি, প্রেক্ষাপট ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে খৃস্টান গবেষকদের মত ও ভিন্নমত জানতে যে কোনো এনসাইক্লোপিডিয়াতে “বাইবেল” বিষয়ক প্রবন্ধ অধ্যয়ন করতে পারেন।