(৩) ‘উমরী ক্বাযা’ আদায় করা :

যারা পূর্বে ছালাত আদায় করত না তারা ছালাত শুরু করার পর অতীতের বকেয়া ছালাত সমূহ ফরয ছালাতের পর আদায় করে থাকে। অথচ উক্ত আমলের পক্ষে কোন দলীল নেই। মূলতঃ এটি একটি বিদ‘আতী প্রথা’।[1] রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের স্বর্ণযুগে উক্ত প্রথার অস্তিত্ব ছিল না। সুতরাং পূর্বের ছুটে যাওয়া ছালাতের জন্য আল্লাহর কাছে বেশী বেশী ক্ষমা প্রার্থনা করবে। আল্লাহ চাইলে পূর্বের পাপ সমূহ ক্ষমা করে দিতে পারেন এবং তা নেকীতে পরিণত করতে পারেন (ফুরক্বান ৭০-৭১; যুমার ৫৩)। তাছাড়া ইসলাম তার পূর্বেকার সবকিছুকে ধসিয়ে দেয়।[2] সম্ভবতঃ একাধিক ছালাত ক্বাযা হওয়ার কারণেই মহিলাদের মাসিক অবস্থার ছালাত পূরণ করার নির্দেশ দেয়া হয়নি; বরং ছিয়াম ক্বাযা করার কথা বলা হয়েছে।[3] উল্লেখ্য যে, রামাযানের শেষ জুম‘আয় পূর্বের ক্বাযা হওয়া ছালাত আদায় করার যে ফযীলত বর্ণনা করা হয়, তা মিথ্যা।

[1]. আলোচনা দ্রষ্টব্য : আলবানী-মিশকাত হা/৬০৩, টীকা-২।

[2]. মুসলিম হা/৩৩৬, ১/৭৬ পৃঃ, (ইফাবা হা/২২১), ‘ঈমান’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৫৬; মিশকাত হা/২৮, ‘ঈমান’ অধ্যায়।

[3]. ছহীহ মুসলিম হা/৭৮৯, ১/১৫৩ পৃঃ, (ইফাবা হা/৬৫৪), ‘ঋতু’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-১৫; মিশকাত হা/২০৩২, ‘ছিয়াম’ অধ্যায়, ‘ক্বাযা ছিয়াম’ অনুচ্ছেদ।