(৮) ক্বিরাআতের জবাব প্রদানে ত্রুটি :

(ক) সূরা ত্বীনের শেষে ‘বালা ওয়া আনা ‘আলা যা-লিকা মিনাশ শা-হেদ্বীন’ বলা (খ) সূরা মুরসালাত-এর শেষে ‘আ-মান্না বিল্লাহ’ বলা (গ) ক্বিয়ামাহ শেষে ‘বালা’ বলার হাদীছ যঈফ। এর সনদে একজন রাবী আছে, যার কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি। শুধু তার পরিচয় বলা হয়েছে ‘আরাবী’। [1]

(ঘ) বাক্বারাহ শেষে ‘আমীন’ বলা যঈফ।[2]

(ঙ) সূরা যোহা থেকে সূরা নাস পর্যন্ত সকল সূরা শেষে ‘আল্লাহু আকবার’ বলার যে বর্ণনা এসেছে তা মুনকার বা অগ্রহণযোগ্য।[3]

(চ) সূরা জুম‘আ শেষে ‘আল্ল-হুম্মারযুক্বনা রিযক্বান হাসানাহ’ বলার কোন ভিত্তি নেই। (ছ) সূরা বাণী ইসরাঈল শেষ করে ‘আল্লাহু আকবার কাবীরা’ বলা (জ) সূরা ওয়াক্বিয়াহ ও হাক্কাহ শেষে ‘সুবহা-না রবিবয়াল আযীম’ বলা (ঝ) মুলক শেষে ‘আল্লাহু ই’য়াতীনা ওয়া হুয়া রাববুল আলামীন’ বলার যে প্রথা চালু আছে, তার কোন ছহীহ ভিত্তি নেই।

উল্লেখ্য যে, এছাড়া বিভিন্ন প্রেস থেকে প্রকাশিত কুরআনের শেষে কুরআন তেলাওয়াত শেষ করার দু‘আ হিসাবে ‘ছাদাক্বাল্লাহুল আযীম’ বলে যে দু‘আ যোগ করা হয়েছে, তার কোন ভিত্তি নেই। এই দু‘আ অবশ্যই পরিত্যাজ্য।[4] রাসূল (ছাঃ) মজলিস শেষে এবং কুরআন তেলাওয়াত শেষে নিম্নোক্ত দু‘আটি পড়তেন।[5] سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوْبُ إِلَيْكَ উক্ত দু‘আ বৈঠক শেষের দু‘আর ন্যায়।[6] তবে বায়হাক্বী ‘শু‘আবুল ঈমানের’ মধ্যে কুরআন খতমের যে লম্বা দু‘আ বর্ণিত হয়েছে, সেই হাদীছের সনদ জাল।[7]

[1]. আবুদাঊদ হা/৮৮৭, ১/১২৯ পৃঃ; মিশকাত হা/৮৬০; যঈফ আবুদাঊদ হা/১৫৬; সিলসিলা যঈফাহ হা/৪২৪৫।

[2]. মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ হা/৮০৬২; তাহক্বীক্ব তাফসীরে ইবনে কাছীর ২/৩৭৪।

[3]. হাকেম হা/৫৩২৫; সিলসিলা যঈফাহ হা/৬১৩৩।

[4]. ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ফৎওয়া নং ৩৩০৩।

[5]. তিরমিযী হা/৩৪৩৩, নাসাঈ কুবরা হা/১০১৪০; সিলসিলা ছহীহাহ হা/৩১৬৪।

[6]. নাসাঈ হা/১৩৪৪।

[7]. সিলসিলা যঈফাহ হা/৬১৩৫ ও ৬৩২২।