(৩) আযানের পূর্বে ‘বিসমিল্লাহ’ বলা, কুরআনের আয়াত পড়া, ইসলামী গযল বলা, বিভিন্ন দু‘আ পড়া, মানুষকে ডাকাডাকি করা, ফজরের আযানের পূর্বে ‘আছ-ছালাতু খায়রুম মিনান্নাঊম’ বলা

(৩) আযানের পূর্বে ‘বিসমিল্লাহ’ বলা, কুরআনের আয়াত পড়া, ইসলামী গযল বলা, বিভিন্ন দু‘আ পড়া, মানুষকে ডাকাডাকি করা, ফজরের আযানের পূর্বে ‘আছ-ছালাতু খায়রুম মিনান্নাঊম’ বলা :

আযানের পূর্বে উপরিউক্ত কাজগুলো করা সম্পূর্ণ শরী‘আত বিরোধী। অনুরূপ রামাযান মাসে সাহারীর সময় আযান না দিয়ে সাইরেন বাজানো, ডাকাডাকি করা, ঢাক পেটানো, দলধরে চিৎকার করা ইত্যাদি জাহেলী রীতি।[1] বরং সুন্নাত অনুযায়ী সাহারীর জন্য আযান দিতে হবে।[2] আযান দেওয়ার পূর্বে কোনকিছু বলা বা দু‘আ পড়ার কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। আযানের পর মাইকে উচ্চকণ্ঠে দু‘আ পড়াও ঠিক নয়।[3] অনুরূপ আযানের পর মসজিদে আসার জন্য পুনরায় ডাকা যাবে না। যেমন বহু মসজিদে চালু আছে। এটা স্পষ্ট বিদ‘আত।[4]

[1]. বুখারী হা/১৯১৯, ১/২৫৭ পৃঃ, (ইফাবা হা/১৭৯৭, ৩/২৪৯ পৃঃ), ‘ছিয়াম’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-১৭; মুসলিম হা/২৫৮৮; মিশকাত হা/৬৮০, পৃঃ ৬৬; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৬২৯, ২/২০৭ পৃঃ ফাৎহুল বারী হা/৬২১-এর আলোচনা দ্রঃ, ‘আযান’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-১৩- ইবনু হাজার আসক্বালানী বলেন, وَادَّعَى بَعْضُ الْحَنَفِيَّة كَمَا حَكَاهُ السُّرُوْجِيُّ مِنْهُمْ أَنَّ النِّدَاء قَبْلَ الْفَجْر لَمْ يَكُنْ بِأَلْفَاظِ الْأَذَانِ وَإِنَّمَا كَانَ تَذْكِيْرًا أَوْ تَسْحِيْرًا كَمَا يَقَع لِلنَّاسِ الْيَوْمَ وَهَذَا مَرْدُودٌ لَكِنَّ الَّذِىْ يَصْنَعُهُ النَّاس الْيَوْمَ مُحْدَثٌ قَطْعًا وَقَدْ تَضَافَرَتْ الطُّرُق عَلَى التَّعْبِيْر بِلَفْظِ الْأَذَان فَحَمْلُهُ عَلَى مَعْنَاهُ الشَّرْعِيّ مُقَدَّمٌ।

[2]. বুখারী হা/১৯১৯, ১/২৫৭ পৃঃ, (ইফাবা হা/১৭৯৭, ৩/২৪৯ পৃঃ), ‘ছিয়াম’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-১৭; মুসলিম হা/২৫৮৮; মিশকাত হা/৬৮০, পৃঃ ৬৬; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৬২৯, ২/২০৭ পৃঃ।

[3]. বুখারী হা/২৯৯২, ১/৪২০ পৃঃ, (ইফাবা হা/২৭৮৪, ৫/২২২ পৃঃ), ‘জিহাদ’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-১৩১; মুসলিম হা/৭০৭৩; মিশকাত হা/২৩০৩, পৃঃ ২০১; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/২১৯৫, ৫/৮৭ পৃঃ, ‘দু‘আ সমূহ’ অধ্যায়, ‘সুবহা-নাল্লাহ, আল-হামদুলিল্লাহ’ বলার ছওয়াব’ অনুচ্ছেদ।

[4]. আবুদাঊদ হা/৫৩৮, ১/৭৯ পৃঃ, সনদ হাসান।