কুলুখ নিয়ে চল্লিশ কদম হাঁটা, কাশি দেওয়া, নাচানাচি করা, দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকা, টয়লেটে কুলুখের আবর্জনার স্তূপ তৈরি করা সবই নব্য মূর্খতা। ইসলামে এরূপ বেহায়াপনার কোন স্থান নেই। মিথ্যা ফযীলতের ধোঁকা মানুষকে এত নীচে নামিয়েছে। উল্লেখ্য যে, পুরুষদের চেয়ে মহিলাদের পেশাবে অপবিত্রতার মাত্রা বেশী।[1] অথচ তাদের ব্যাপারে এ ধরনের চরম ফতোয়া দেয়া হয় না। অনুরূপভাবে একই ব্যক্তি যখন টয়লেট থেকে বের হয় তখন কিন্তু হাঁটাহাঁটি করে না, কুলুখও ধরে না। এগুলো তামাশা মাত্র। এই অভ্যাস ইসলামের বিশ্বজনীন মর্যাদাকে চরমভাবে ক্ষুণ্ণ করেছে। ইসলাম সৌন্দর্য মন্ডিত জীবন বিধান। যাবতীয় নোংরামী এখানে নিষিদ্ধ। শরী‘আতে পেশাব থেকে সাবধানতা অবলম্বনের কথা বলা হয়েছে। তাই বলে এর নামে নতুন আরেকটি বিদ‘আত তৈরি করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। পেশাবের ছিটা কাপড়ে লেগে যাওয়ার আশংকায় ইসলাম তার জন্য সুন্দর বিধান দিয়েছে। আর তা হল, ওযূ করার পর হাতে পানি নিয়ে লজ্জাস্থান বরাবর ছিটিয়ে দেওয়া। যেমন-

كَانَ رَسُوْلُ اللهِ  إِذَا بَالَ يَتَوَضَّأُ وَيَنْتَضِحُ.

‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যখন পেশাব করতেন, তখন ওযূ করতেন এবং পানি ছিটিয়ে দিতেন’।[2] অতএব প্রচলিত বেহায়াপনার আশ্রয় নেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। নারী-পুরুষ সকলকে এ ব্যাপারে সাবধান ও সতর্ক থাকতে হবে।

[1]. আবুদাঊদ হা/৩৭৬, ১/৫৪ পৃঃ; সনদ ছহীহ, মিশকাত হা/৫০২, পৃঃ ৫২; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৪৬৮, ২/১২৫ পৃঃ, ‘পবিত্র’ অধ্যায়, ‘অপবিত্রতা হতে পবিত্রকরণ’ অনুচ্ছেদ- يُغْسَلُ مِنْ بَوْلِ الْجَارِيَةِ وَيُرَشُّ مِنْ بَوْلِ الْغُلاَمِ ; বুখারী হা/২২২ ও ২২৩।

[2]. ছহীহ আবুদাঊদ হা/১৬৬ ও ৬৭, ১/২২ পৃঃ; মুসনাদে আহমাদ হা/১৭৫১৫; সিলসিলা ছহীহাহ হা/৮৪১; মিশকাত হা/৩৬৬ পৃঃ ৪৩; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৩৩৮, ২/৬৮ পৃঃ; ছহীহ নাসাঈ হা/১৬৮; মিশকাত হা/৩৬১, পৃঃ ৪৩; বঙ্গনুবাদ মিশকাত হা/৩৩৪, ২/৬৭ পৃঃ।