ইন্টারনেটে নাস্তিক্যবাদী প্রচারণার আধিপত্য

তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারে মত প্রকাশের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে ওঠা ব্লগকে একশ্রেণীর যুবক ইসলামের বিরুদ্ধে কুত্সা রটনার ও ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। ধর্মদ্রোহী ও নাস্তিক যুবগোষ্ঠী মহান আল্লাহ, পবিত্র গ্রন্থ আল-কুরআন, মহানুভব নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম, ঈদ, সালাত, সিয়াম ও হজ সম্পর্কে কদর্য ভাষায় বিষোদ্গার করে মুসলমানদের ঈমান ও আকীদায় আঘাত হানছে। তাদের কুৎসিত ও অশ্লীল লেখা পড়লে যে কোনো মুসলমানের স্থির থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। এমনকি বিবেকবান অমুসলিমদেরও গা শিউরে ওঠার কথা। ব্লগে ইসলামী বিধান, রীতি-নীতিকে কটাক্ষ করা হচ্ছে প্রকাশের অযোগ্য ভাষায়। নবী-রাসূলদের বিরুদ্ধে কাল্পনিক কাহিনী ও মতামত লেখা হচ্ছে অবলীলায়। ধর্মদ্রোহী ব্লগারদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মিরপুরে খুন হওয়া শাহবাগ আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা আহমেদ রাজিব হায়দার ওরফে থাবা বাবা।

নিহত ধর্মদ্রোহী নাস্তিক ব্লগার রাজিব :

ইসলাম বিদ্বেষী কুখ্যাত ব্লগার রাজিব আততায়ীর হাতে খুন হয়েছে। সে শুধু একজন স্বঘোষিত নাস্তিক, ধর্মদ্রোহী মুরতাদই ছিল না, যথারীতি একজন লম্পট ও নারীলোলুপ নেশাকারীও ছিল। পত্রিকান্তরে সেসব খবর বেরিয়েছে। রাজিব খুন হওয়ার পর থেকেই এর জন্য বাংলাদেশের একটি ইসলামী দলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙ্গুল তোলা হয়েছে। অথচ পুলিশি তদন্তে প্রথমেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তার স্ত্রী ও প্রেমিকাকে। অকুস্থলে তার ল্যাপটপে নারীর চুল পাওয়া গেছে বলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

দৈনিক ইনকিলাবে রাজিব নামের এ আলোচিত ইসলামবিদ্বেষী ব্লগার সম্পর্কে জেনে অবাক হয়ে গেলাম। সে যা লিখেছে তা মুসলিম বা অমুসলিম তো দূরের কথা কোনো ভদ্র মানুষের ভাষা হতে পারে না। সে কোথাও কোথাও নিজের এবং নিজ সতীর্থদের পীর ড. হুমায়ুন আজাদকেও ছাড়িয়ে গেছে। ওসব লিখে সে নিজেকে ইসলাম থেকে ছিন্ন করে নিয়েছে।

রাজিব ‘নুরানী চাপা’ নামের একটি ব্লগে নিয়মিত লেখালেখি করত। সেখানে ‘মোহাম্মকের (মোহাম্মদ+আহাম্মক) সফেদ লুঙ্গি, ঈদ মোবারক আর ঈদের জামাতের হিস্টরি, ঢিলা ও কুলুখ, সিজদা, হেরা গুহা, ইফতারি ও খুর্মা খেজুর, সিয়াম সাধনার ইতিবৃত্ত, লাড়াইয়া দে, মদ ও মোহাম্মক, আজল’ ইত্যাদি শিরোনামে বেশ কিছু বিতর্কিত ব্লগ লিখেছেন।