আমি রমযানে একদিন ইচ্ছাকৃতভাবে সাওম ভঙ্গ করেছিলাম এবং ষাট জন মিসকীনকে খাওয়াতে চেয়েছি। এখন প্রশ্ন হল যে, মিসকীনদেরকে কি একবারেই খাওয়ানো শর্ত না কি আমি প্রতিদিন চার বা তিনজন মিসকীনকে খাওয়াতে পারি? আমার জন্য কি পরিবারের সদস্যদেরকে (যেমন আমার বাবা, মা ও ভাইদের) খাওয়ানো (ফিদইয়াহ দান) জায়েয, যদি তারা মিসকীন হয়ে থাকে?

ফাত্ওয়া নং- 132273

উত্তর : সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।

“সহবাস বা মিলন ছাড়া অন্য কোনো কারণে যদি রমযানের সাওম ভঙ্গ করা হয়ে থাকে, তবে সঠিক মতটি হল এর কোনো কাফফারাহ নেই। তবে এই ক্ষেত্রে ওয়াজিব হল তাওবা করা এবং সেই দিনের সাওম কাযা করা, যদি সাওম শুরু করার পর তা ভাঙ্গা হয়। আর যদি সহবাস/মিলন এর কারণে সাওম ভঙ্গ করা হয়ে থাকে তবে সে ক্ষেত্রে কর্তব্য হচ্ছে, তাওবাহ করা, সে দিনের সাওম কাযা করা এবং কাফফারাহ আদায় করা- আর তা হল একজন মুমিন দাস (শরীয়াত অনুমোদিত যুদ্ধলব্ধ) মুক্ত করা। তবে, যে তা পেল না, সে দুই মাস বিরতিহীনভাবে সিয়াম পালন করবে; আর যদি সে তাও না পারে, তবে সে ষাট জন মিসকীনকে খাওয়াবে (সংখ্যা ষাট ই হতে হবে)।

যদি সে পূর্বে উল্লেখিত দাসমুক্তি ও সিয়াম পালনে অক্ষমতার কারণে মিসকীন খাওয়ায় তবে তাঁর জন্য মিসকীনদের একসাথে খাওয়ানো জায়েয (বৈধ) এবং সাধ্যমত থেকে থেকে কয়েকবারে খাওয়ানোও জায়েয (বৈধ); তবে মিসকীনদের এই সংখ্যা (ষাট) অবশ্যই পূর্ণ করতে হবে।

এই কাফফারাহ এর খাবার বংশ মূল যেমন বাবা, মা, দাদা, দাদী, নানা, নানী এদের প্রদান করা জায়েয নয়। একইভাবে যার বংশধর শাখা যেমন ছেলেমেয়ে, তাঁদের ছেলেদের ও মেয়েদের, তঁদেরও প্রদান করা জায়েয নয়।

আল্লাহই তাওফীক্ব দাতা। আল্লাহ আমদের নবী মুহাম্মাদ, তার পরিবারবর্গ ও সাহাবীগনের উপর সালাত (প্রশংসা) ও সালাম (শান্তি) বর্ষণ করুন।” সমাপ্ত।

[গবেষণ ও ফাত্‌ওয়া ইস্যুকারী আল-লাজ্‌নাহ আদ্-দা’ইমাহ ]

আশ-শাইখ ইব্‌ন ‘আবদুল্লাহ ইব্‌ন ‘আবদুল ‘আযীয বিন বায, আশ-শাইখ ‘আবদুল্লাহ ইব্‌ন গুদাইইয়ান, আশ-শাইখ সালিহ আল ফাওযান, আশ-শাইখ ‘আবদুল ‘আযীয আল আশ-শাইখ, আশ-শাইখ বাক্‌র আবু যাইদ। ফাত্‌ওয়া আল-লাজনাহ আদ্-দা’ইমাহ, দ্বিতীয় গ্রুপ (৯/২২১)]

ফাত্‌ওয়া আল-লাজ্‌নাহ আদ্-দা’ইমাহ, দ্বিতীয় ভাগ (৯/২২১)