ন্যায়ের আদেশ ও অন্যায়ের নিষেধের বিধান

কখনো কখনো এ ওয়াজিব কাজটি কিছু লোকের ওপর ফরযে ‘আইন হয়ে দাঁড়ায়, যখন সে অন্যায় দেখতে পাবে আর তার কাছে সে ছাড়া তা প্রতিহত করার কেউ থাকবে না, তখন তার ওপর তা প্রতিহত করা ওয়াজিব হবে সামর্থ্য অনুপাতে, যেমন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী যা পূর্বে অতিবাহিত হয়েছে:

«مَنْ رَأَى مِنْكُمْ مُنْكَرًا فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ، فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ، فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهِ، وَذَلِكَ أَضْعَفُ الْإِيمَانِ».

“তোমাদের মধ্যে যে অন্যায় দেখবে সে যেন তা তার হাত দিয়ে বাধা দেয় আর যদি হাত দিয়ে বাধা না দিতে পারে তবে যেন মুখ দিয়ে বাধা দেয়, আর যদি মুখ দিয়ে বাধা না দিতে পারে তবে যেন অন্তর দিয়ে বাধা দেয়, আর এটি হলো দুর্বল ঈমানের পরিচয়।”[1]

আর যদি তারা কোনো শহরে, গ্রামে বা গোত্রে একদল হয় তবে তাদের ওপর (এটি) ফরযে কিফায়াহ হবে। তাদের মধ্যে যে এটি প্রতিহত করবে, আর যার দ্বারা উদ্দেশ্য অর্জন হবে সে প্রতিদান অর্জন করে সফল হবে। আর তারা সবাই যদি এটিকে বর্জন করে তবে সবাই পাপী হবে, সকল ফরযে কিফায়ার ন্যায়।

আর যদি কোনো গ্রামে বা গোত্রে কেবল একজন আলেম থাকে, তবে তার ওপর মানুষকে শিক্ষা দেওয়া ও তাদেরকে আল্লাহর দিকে আহ্বান করা ফরযে ‘আইন হয়ে যাবে। আর তার সামর্থ্য অনুযায়ী তাদেরকে ন্যায়ের আদেশ দিবে ও অন্যায়ের নিষেধ করবে, পূর্বে বর্ণিত হাদীসগুলোর কারণে ও নিম্নে বর্ণিত আল্লাহর তা‘আলার বাণীর কারণে:

﴿فَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ مَا ٱسۡتَطَعۡتُمۡ﴾ [التغابن: ١٦]

“সুতরাং তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর তোমাদের শক্তি অনুপাতে।” [সূরা আত-তাগাবুন, আয়াত: ১৬]

[1] সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪৯।