নারীরাও চক্ষুকে অবনত রাখতে নির্দেশিত। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿قُل لِّلۡمُؤۡمِنِينَ يَغُضُّواْ مِنۡ أَبۡصَٰرِهِمۡ وَيَحۡفَظُواْ فُرُوجَهُمۡۚ ذَٰلِكَ أَزۡكَىٰ لَهُمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ خَبِيرُۢ بِمَا يَصۡنَعُونَ ٣٠﴾ [النور : ٣٠]

“মুমিন পুরুষদেরকে বল, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাজত করবে। এটাই তাদের জন্য অধিক পবিত্র। নিশ্চয় তারা যা করে সে সম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবহিত”।[1]

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন,

﴿ وَقُل لِّلۡمُؤۡمِنَٰتِ يَغۡضُضۡنَ مِنۡ أَبۡصَٰرِهِنَّ﴾ [النور: ٣١]

“আর আপনি মুমিন নারীদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিশক্তিকে নত করে”। [সূরা আন-নূর: ৩১]

রাসূল সাল্লাল্লাহু ‌আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«وخير صفوف النساء المؤخر، وشرها المقدم، يا معشر النساء إذا سجد الرجال فاغضضن أبصاركن..» الحديث.

“নারীদের জন্য উত্তম কাতার শেষের কাতার আর নিকৃষ্ট কাতার হলো সামনের কাতার। হে নারীর দল! যখন পরুষেরা সেজদা করে, তখন তোমরা তোমাদের চক্ষুকে অবনত রাখ”[2]

সালফে সালেহীন তথা এ উম্মতের ভালো পূর্বসূরীগণ চক্ষুকে অবনত রাখা বিষয়ে অধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকতেন। আমরা তাদের থেকে এ বিষয়ে বিভিন্ন ওয়াজ নসিহত শুনতে পাই এবং তাদের অবস্থান বুঝতে পারি, যা আমাদেরকে তাদের সাহসিকতা বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দেন। যেমন, আনাস ইবন মালেক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন,

إذا مرت بك امرأة فغمض عينيك حتى تجاوزك".

“যদি তোমার পাশ দিয়ে কোনো নারী অতিক্রম করে, তখন অতিক্রম না করা পর্যন্ত তুমি তোমার চোখকে অবনত রাখ।”

কেউ কেউ বলেন,

من حفظ بصره أورثه الله نورا في بصيرته.

“যে ব্যক্তি তার দৃষ্টির হেফাযত করে, আল্লাহ তা‘আলা তার দূর-দৃষ্টির মধ্যে নূর ঢেলে দেন।”

আর সুফিয়ান রহ. যখন ঈদের দিন ঘর থেকে বের হতেন, তখন তিনি বলতেন,

«إن أول ما نبدأ به اليوم غض أبصارنا»

আজকের দিন আমি সর্বপ্রথম যে জিনিসটি দিয়ে শুরু করব, তা আমরা আমাদের চক্ষুকে অবনত রাখব।

এক ব্যক্তি যখন হাসান বসরীকে বলল, অনারব নারীরা তাদের বক্ষ ও মাথাকে খোলা রাখে, তখন সে বলল, اصرف بصرك. তুমি তোমার চোখকে বিরত রাখ। রবী ইবন খাসইয়াম তিনি সর্বদা দৃষ্টিকে নিচু করে রাখতেন। একদিন তার পাশ দিয়ে কতক নারী অতিক্রম করলে, তিনি তার মাথাকে নিচু করে তার বুক পর্যন্ত নিয়ে গেলেন। তখন মহিলা মনে করল, তিনি অন্ধ, ফলে তার অন্ধত্ব থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় কামনা করল।

>
[1] সূরা নূর, আয়াত: ৩০

[2] আহমদ, হাদিস: ১৫১৬১