জ্ঞান অর্জনের উদ্দেশ্য থাকতে হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ। পার্থিব উদ্দেশ্য জ্ঞান অর্জন করা দ্বারা অর্জিত জ্ঞান মানবতার কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে না। আর যে জ্ঞান মানুষের মাঝে ও তার প্রভুর মাঝে সুসম্পর্ক তৈরি করে সে জ্ঞানই হল মানবতার কল্যাণ, সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা এবং ইহকাল ও পরকাল উভয় জগতের শান্তির গ্যারান্টি। কিন্তু তিক্ত হলেও সত্য বর্তমানে যুব সমাজ যে জ্ঞান অর্জন বা শিক্ষা গ্রহণ করছে, তাও পার্থিব উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই করছে। মানবতার কল্যাণ সাধন করার মত কোনো শিক্ষা তাদের পাঠ্য তালিকাতেই নেই। পশ্চিমা তথা বিজাতিদের অনুকরণে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকেও সেভাবেই সাজানো হয়েছে। ফলে মানুষের সাথে তাদের রবের সাথে সম্পর্ক না হয়ে আল্লাহর সাথে দূরত্ব তৈরি হচ্ছে, যা মানবতার জন্য বড় ধরনের শূন্যতা এবং সামাজিক অবক্ষয়ের অন্যতম কারণ।

আবার অনেক সময় দেখা যাচ্ছে যে শরয়ী জ্ঞান বা দ্বীনী জ্ঞান দ্বারা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করাই লক্ষ্য হওয়ার কথা, সে জ্ঞানকেও পার্থিব উদ্দেশ্যে অর্জন করা হচ্ছে অথবা দুনিয়াতে সু-খ্যাতি লাভ করার উদ্দেশ্যে অর্জন করা হচ্ছে। ফলে লোকটি দুনিয়াও আখিরাত উভয় জাহানে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‌আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,

«من تعلم علما مما يبتغى به وجه الله عز وجل لا يتعلمه إلا ليصيب به عرضا من الدنيا لم يجد عرف الجنة يوم القيامة»

যে ব্যক্তি এমন ইলম যা দ্বারা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা হয় তা পার্থিব কোনো সুবিধা লাভের উদ্দেশ্যে শিখে, সে কিয়ামতের দিন জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না[1]।

>
[1] আহমদ, হাদিস: ৮৪৫৭ আবুদাউদ, হাদিস:৩৬৬৪, ইবনু মাযা, হাদিস: ২৫২