আপনি আপনার স্ত্রীর সাথে সবসময় ভালোবাসার কথা বলবেন, তাকে রোমান্টিকতা দিয়ে ভরপুর করে রাখবেন। আপনার স্ত্রী হয়ত ঘুরতে পছন্দ করেন, তাকে মাঝে মাঝে দূরে কোথাও বেড়াতে নিয়ে যান, হারিয়ে যান কোনো অজানা প্রান্তে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর স্ত্রীদেরকে অনেক সফরে নিয়ে যেতেন।

عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «كُنْتُ أَشْرَبُ وَأَنَا حَائِضٌ، ثُمَّ أُنَاوِلُهُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيَضَعُ فَاهُ عَلَى مَوْضِعِ فِيَّ، فَيَشْرَبُ، وَأَتَعَرَّقُ الْعَرْقَ وَأَنَا حَائِضٌ، ثُمَّ أُنَاوِلُهُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيَضَعُ فَاهُ عَلَى مَوْضِعِ فِيَّ»

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হায়েজ অবস্থায় পানি পান করে সে পাত্র রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দিতাম। আমার মুখ লাগানো স্থানে তিনি তাঁর মুখ লাগিয়ে পান করতেন। আমি হায়েজ অবস্থায় হাড়ের টুকরা চুষে তা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দিতাম। তিনি আমার মুখ লাগানো স্থানে তার মুখ লাগাতেন। [1]

عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: خَرَجْتُ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأنا خَفِيفَةُ اللَّحْمِ فَنَزَلْنَا مَنْزِلًا فَقَالَ لِأَصْحَابِهِ: «تَقَدَّمُوا» ثُمَّ قَالَ لِي: «تَعَالَيْ حَتَّى أُسَابِقَكِ فَسَابَقَنِي فَسَبَقْتُهُ» ثُمَّ خَرَجْتُ مَعَهُ فِي سَفَرٍ آخَرَ، وَقَدْ حَمَلْتُ اللَّحْمَ فَنَزَلْنَا مَنْزِلًا فَقَالَ لِأَصْحَابِهِ: «تَقَدَّمُوا» ثُمَّ قَالَ لِي: تَعَالَيْ أُسَابِقُكِ " فَسَابَقَنِي فَسَبَقَنِي فَضَرَبَ بِيَدِهِ كَتِفِي وَقَالَ: «هَذِهِ بِتِلْكَ»

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, “একবার আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে এক অভিযানে বের হলাম, তখন আমি অল্প বয়সী ছিলাম, শরীর তেমন মোটা ছিল না। তিনি তার সাথীদেরকে বললেন, তোমরা আগে চল, ফলে তারা এগিয়ে গেল। অতঃপর তিনি আমাকে বললেন, এসো আমরা দৌঁড় প্রতিযোগিতা দেই, প্রতিযোগিতায় আমি এগিয়ে গেলাম। এরপরে আমার শরীরে মেদ বেড়ে গেল, একটু মোটা হলাম। একদা এক সফরে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবার সাথীদেরকে বললেন, তোমরা আগে চল, ফলে তারা এগিয়ে গেল। অতঃপর আমাকে বললেন, এসো আমরা দৌড় প্রতিযোগিতা দেই, প্রতিযোগিতায় তিনি এবার এগিয়ে গেলেন। তিনি হেসে হেসে বললেন, এটা তোমার পূর্বের প্রতিযোগিতার উত্তর (অর্থাৎ তুমি আগে প্রথম হয়েছিলে, এবার আমি প্রথম হলাম, তাই মন খারাপ করোনা)।[2]

ইমাম তিরমিযী তার সুনান কিতাবের অধ্যায়ের শিরোনাম রচনা করেন: ‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রাত্রিকালীন খোশগল্প গুজব সম্পর্কে যা বর্ণিত।’

কাযী ‘ইয়াদ রহ. বলেন, বর্ণিত আছে যে, আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, “তোমরা এ অন্তরকে কিছুক্ষন পরপর শান্তনা দাও, কেননা তা লোহার প্রতিধধনির মত আওয়াজ করতে থাকে”।

তিনি আরো বলেন, “মানুষের অন্তরকে যখন তার অপছন্দ কাজ করতে বলা হয় তখন সে অন্ধ হয়ে যায় অর্থাৎ সে আর কাজ করতে পারে না”।

ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, “যখন তোমরা ফিকহের মাসলা মাসায়েল শুনতে শুনতে একটু বিরক্তবোধ করবে তখন তোমরা কবিতা ও আরবদের কিচ্ছা কাহিনী শুনো”।

>

[1] মুসলিম, হাদীস নং ৩০০।

[2] নাসায়ী, হাদীস নং ৮৮৯৪, মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং ২৪১১৯।