মুসলিম যখন প্রয়োজনীয় ইলম সঞ্চয় করে নেবে, যে বিষয়ের দাওয়াত দেবে, সে বিষয়ে পরিপূর্ণ জ্ঞান লাভ করে নেবে, তখন সে মানুষকে দাওয়াত দিতে পারবে। তার জন্য সর্ব বিষয়ে আলেম হওয়া জরুরী নয়। যেহেতু মহানবী (সঃ) বলেছেন,

“একটি আয়াত হলেও তা আমার নিকট থেকে (মানুষের কাছে) পৌঁছে দাও।” (বুখারি ৩৪৬১ নং)

বলা বাহুল্য, দাঈ হওয়ার জন্য আলেম হওয়া জরুরী নয়। বরং যে বিষয়ের দাওয়াত দেবে, সে বিষয়ে পরিপক্বতা থাকা জরুরী। পক্ষান্তরে যথেষ্ট ইলম সঞ্চয় না করে আবেগের বসে অথবা বক্তিতার ঢং আছে বলে অর্থ সঞ্চয়ের খাতিরে দাওয়াতের কাজ করতে লাগা অবশ্যই বৈধ নয়। নচেৎ এমন হতে পারে যে, সেই দাঈর দাওয়াতে লাভের চাইতে ক্ষতিই বেশি হবে। যেহেতু ‘নিম হাকিমে খতরায়ে জান, নিম মোল্লা খতরায়ে ঈমান।’ আবেগের বশে বিনা ইলমে হালালকে হারাম ও হারামকে হালাল করবে এবং সন্মান বাঁচাতে গিয়ে ভুল ফতোয়া দিয়ে সমাজে ফিতনা সৃষ্টি করবে। অথচ মহান আল্লাহ বলেছেন,

“তোমাদের জিহ্বা মিথ্যা আরোপ করে বলে আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করার জন্য তোমরা বলো না, ‘এটা হালাল এবং এটা হারাম।’ যারা আল্লাহ সম্বন্ধে মিথ্যা উদ্ভাবন করবে তারা সফলকাম হবে না।” (নাহলঃ ১১৬)

তাতে হয়তো ওই শ্রেণীর বক্তার লাভ আছে। কিন্তু সে লাভ অতি নগণ্য, অতি তুচ্ছ। উক্ত আয়াতের পরপরই মহান আল্লাহ বলেছেন,

“(ইহকালে) তাদের সামান্য সুখ সম্ভোগ রয়েছে এবং (পরকালে) তাদের জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক শাস্তি।” (নাহলঃ ১১৭)