এক মহিলার অভ্যাস যে, সে তাঁর সন্তানদেরকে অভিশাপ ও গালিমন্দ করে থাকে। কখনো বা তাদেরকে প্রত্যেক ছোট বড় দোষে কথা দ্বারা, কখনো বা প্রহার করে কষ্ট দেয়। এই অভ্যাস থেকে ফিরে আসতে আমি তাকে একাধিকবার উপদেশ দিয়েছি। কিন্তু সে উত্তরে বলেছে, ‘তুমিই ওদের স্পর্ধা বাড়ালে অথচ ওরা কত দুষ্ট।’ শেষ ফল এই দাঁড়াল যে, ছেলেরা তাকে অবজ্ঞা করে তাঁর কথা নেহাতই অগ্র্যাহ্য করতে লাগল। তাঁর বুঝে নীল যে, শেষ পরিণাম তো গালি ও প্রহার।
এই স্ত্রীর ব্যাপারে আমার ভূমিকা কি হতে পারে? এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে দ্বীনের নির্দেশ কি? যাতে সে উপদেশ গ্রহণ করতে পারে। আমি কি তাকে তালাক দিয়ে দুরে সরে যাব এবং সন্তানরা তাঁর সঙ্গে থাকবে? অথবা আমি কি করব?

ছেলে মেয়েদেরকে অভিসম্পাত করা অন্যতম কবিরাহ গোনাহ; অনুরূপ অন্যান্যদেরকেও অভিশাপ করা, যারা এর উপযুক্ত নয়। নবী (সঃ) হতে শুদ্ধভাবে প্রমাণিত যে, তিনি বলেন, “মুমিনকে অভিশাপ করা তাকে হত্যা করার সমান।”

তিনি আরও বলেন, “অভিসম্পাতকারীরা কিয়ামতের দ্বীন সাক্ষী ও সুপারিশকারি হতে পারবে না।”

সুতরাং ঐ মহিলার তওবা করা ওয়াজেব এবং ছেলে মেয়েদেরকে গালি মন্দ করা থেকে তাঁর জিভকে হিফাজত করা আবশ্যিক। তাঁদের জন্য সৎপথ প্রাপ্তি ও সংশোধনের উদ্দেশ্যে অধিক দুয়া করা তাঁর পক্ষে বিধেয়।

আর হে গৃহস্বামী! তোমার জন্য বিধেয়, স্ত্রীকে সর্বদা নসিহত করা ও সন্তারদেরকে অভিশাপ করা থেকে তাকে সাবধান করা। যদি নসিহত লাভদায়ক না হয়, তবে বিচ্ছিন্নতা (কথা না বলা, শয্যাত্যাগ করা ইত্যাদি) অবলম্বন করবে--- সেই বিচ্ছিন্নতা বড় ধৈর্যের সাথে ও সওয়াবের আশা রেখে অবলম্বন করবে; যা তাতে ফলদায়ক বলে বিশ্বাস করবে। আর তালাক দেওয়াতে অবশ্যই তাড়াহুড়া করবে না। (ইবনে বাজ)