৪৫৬৩

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৪৫৬৩-[৫০] আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জীন এবং মানুষের চক্ষু (বদনযর) হতে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইতেন, মু’আব্বিযাতায়ন (সূরাহ্ আল ফালাক ও সূরাহ্ আন্ নাস) নাযিল হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত। আর যখন সূরাহ্ দু’টি নাযিল হলো, তখন তিনি ও দু’টি দ্বারা পানাহ চাইতে লাগলেন এবং অন্য কিছু দ্বারা পানাহ চাওয়া পরিত্যাগ করলেন। [তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ; আর তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেনঃ এ হাদীসটি হাসান ও গরীব।[[1]

الْفَصْلُ الثَّانِي

وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَعَوَّذُ مِنَ الْجَانِّ وَعَيْنِ الْإِنْسَانِ حَتَّى نَزَلَتِ الْمُعَوِّذَتَانِ فَلَمَّا نزلت أَخذ بهما وَترك سِوَاهُمَا. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيث حسن غَرِيب

وعن ابي سعيد الخدري قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يتعوذ من الجان وعين الانسان حتى نزلت المعوذتان فلما نزلت اخذ بهما وترك سواهما رواه الترمذي وابن ماجه وقال الترمذي هذا حديث حسن غريب

ব্যাখ্যাঃ (أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الْجَانِّ وَعَيْنِ الْإِنْسَانِ) অর্থাৎ আমি জীন ও মানুষের বদনযর থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাচ্ছি। তারপর যখন সূরাহ্ নাস ও ফালাক নাযিল হলো রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দু’টি দ্বারা আশ্রয় প্রার্থনা শুরু করলেন। আর কুরআন ব্যতীত অন্য জিকর দ্বারা আশ্রয় প্রার্থনা ছেড়ে দিলেন এবং অন্যান্য ঝাড়ফুঁকও ছেড়ে দিলেন। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ২০৫৮; মিরক্বাতুল মাফাতীহ)

জীন শয়তান ও বদনযর থেকে বাঁচার সবচেয়ে বড় ও উপকারী মাধ্যম হলো সূরাহ্ ফালাক ও নাস ‘আমল করা। প্রতিনিয়ত এ দু’টি সূরাহ্ ‘আমল করলে উল্লেখিত সমস্যা সমাধান হবে যা বর্ণিত আছে সহীহ হাদীসে। কাজেই উক্ত সূরাহ্ দ্বারা ‘আমল করে মহান আল্লাহর ওপর ভরসা করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য আবশ্যক। [সম্পাদক]


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৩: চিকিৎসা ও ঝাড়-ফুঁক (كتاب الطب والرقى)