৪৫৬৪

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৪৫৬৪-[৫১] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেনঃ তোমাদের মধ্যে কি মুগর্রিবূন পরিলক্ষিত হয়? আমি জিজ্ঞেস করলামঃ ’মুগর্রিবূন’ কি? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ ’মুগর্রিবূন’ ঐ সমস্ত লোক, যাদের মধ্যে জীন অংশীদার হয়। (আবূ দাঊদ)[1]

الْفَصْلُ الثَّانِي

وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «هَلْ رُئِيَ فِيكُمُ الْمُغَرِّبُونَ؟» قُلْتُ: وَمَا الْمُغَرِّبُونَ؟ قَالَ: «الَّذِينَ يَشْتَرِكُ فِيهِمُ الْجِنُّ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

ব্যাখ্যাঃ (مُغَرِّبُونَ) ‘মুগররিবূন’ অর্থ- দূরীভূত (আল্লাহর জিকর হতে)।

الَّذِينَ يَشْتَرِكُ فِيهِمُ الْجِنُّ অর্থাৎ তাদের বীর্যে অথবা সন্তানাদিতে। এর কারণ হলো, সহবাসের সময় তারা আল্লাহর জিকর ছেড়ে দিয়েছে। ফলে জীন শয়তান নিজের দেহটি ঐ ব্যক্তির দেহের সাথে মিশিয়ে দিয়ে তার সাথে সহবাস করে।

মহান আল্লাহর বলেনঃ وَشَارِكْهُمْ فِي الْأَمْوَالِ وَالْأَوْلَادِ ‘‘আর শয়তান সম্পদে ও সন্তানে তাদের অংশীদার হও’’- (সূরাহ্ বানী ইসরাঈল ১৭ : ৬৪)। অতএব প্রতিটি মানুষের উচিত যখন সে তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করে তখন যেন এ দু‘আটি পাঠ করে- بِسْمِ اللهِ اَللّٰهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا ‘‘আমি আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি। হে আল্লাহ! তুমি আমাদের থেকে শয়তানকে দূরে রাখো এবং আমাদের যে রিজিক দিবে তা থেকেও শয়তানকে দূরে রেখো’’- (সহীহ মুসলিম হাঃ ১১৬-[১৪৩৪])।

সুতরাং যখন এ দু‘আটি পাঠ করা ছেড়ে দিবে ও ‘বিসমিল্লা-হ’ পাঠ না করবে তখন শয়তান তার সাথে সহবাসে মিলিত হবে। আর তাতে সন্তান আসলে সে সন্তানকে মুগর্রিব বলা হবে। কেননা তার সাথে অপরিচিত বংশ প্রবেশ করেছে।

আমাদের সমাজে বহু মানুষ আছে যারা উল্লেখিত দু‘আটি মুখস্থ করে পড়ে নেয়। যারা সহবাসের সময় আল্লাহর নামটি পর্যন্ত স্মরণ করেন না। উল্লেখিত হাদীসটি স্মরণ রেখে শারী‘আতের নির্দেশিত পন্থায় সহবাস করে ইহকালীন শান্তি ও উপকার এবং পরকালীন মুক্তি কামনা করা প্রতিটি মুসলিমের দায়িত্ব ও কর্তব্য। [সম্পাদক]