জানাযার কিছু বিধান জানাযা বিষয়ে প্রশ্নাবলী শায়খ আব্দুল আযীয ইব্‌ন আব্দুল্লাহ ইব্‌ন বায রাহিমাহুল্লাহ (ইসলামহাউজ) ২৫ টি
প্রশ্ন ১ - পুরুষদের কবর কতটুকু গভীর হবে আর নারীদের কবর কতটুকু গভীর হবে?

উত্তর - উত্তম হচ্ছে উভয়ের কবর মানবাকৃতির অর্ধেক পরিমাণ গভীর করা, যেন হিংস্রপ্রাণীর আক্রমণ হতে নিরাপদ থাকে।

প্রশ্ন ২ - পাহাড়ি এলাকায় মৃতব্যক্তিকে পাহাড়ের গর্তে বা গুহায় দাফন করা হয় এটা কেমন?

উত্তর - সম্ভব হলে কবর খনন করা এবং কাচা ইটের দেয়াল তৈরি করে দেয়া উত্তম। আর যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে পাহাড়ের গুহায় মাটি দেবে এবং হিংস্র জন্তু হতে নিরাপদ থাকার ব্যবস্থা করবে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ তালা বলেন,

﴿فَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ مَا ٱسۡتَطَعۡتُمۡ ١٦﴾ [التغابن:16]

“অতএব তোমরা যথাসাধ্য আল্লাহকে ভয় কর”। সূরা আত্তাগাবুনঃ (১৬)

প্রশ্ন ৩ - কাচা ইট পাওয়া না গেলে পাথর ব্যাবহার করা যাবে কি?

উত্তর - বর্ণিত আয়াতের দ্বারা বুঝা যায় যে কাচা ইট পাওয়া না গেলে কাঠ, পাথর, পাত ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে, যার দ্বারা মৃতের সুরক্ষা হয়, অতঃপর মাটি দেবে। আল্লাহ তালা বলেছেন,

﴿فَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ مَا ٱسۡتَطَعۡتُمۡ ١٦﴾ [التغابن:16]

“অতএব তোমরা যথাসাধ্য আল্লাহকে ভয় কর”। সূরা আত্তাগাবুনঃ (১৬)

অনুরূপ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

 «إذا أمرتكم بأمر فأتوا منه ما استطعتم» (رواه البخاري)

“আমি যখন তোমাদেরকে কোন বিষয়ে নির্দেশ করি, তোমরা তোমাদের সাধ্যানুযায়ী তা বাস্তবায়ন কর”। (বুখারি)

প্রশ্ন ৪ - অনেক জায়গায় দেখা যায় যে, নারী-পুরুষের কবর সহজে পার্থক্য করার জন্য, নারীদের জন্য একধরনের চিহ্ন আর পুরুষদের জন্য অন্য ধরনের চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। এ ধরনের কাজের কোন ভিত্তি আছে কি?

উত্তর - আমার জানামতে এর কোন ভিত্তি নেই, সুন্নত হচ্ছে দাফন, উচ্চতা ও গভীরতা নারী-পুরুষ সকলের জন্য সমান হবে।

প্রশ্ন ৫ - সহজে পার্থক্য করার সুবিধার্থে গোরস্থানের কিছু অংশ পুরুষদের জন্য আর কিছু অংশ মহিলাদের জন্য নির্দিষ্ট করা কেমন?

উত্তর - আমার জানা মতে এর কোন ভিত্তি নেই। শরিয়ত সম্মত নিয়ম হল সমগ্র গোরস্থান সকলের জন্য সমপর্যায়ের থাকবে, এটাই সকলের জন্য সহজতর উপায়। ইসলামের ঊষালগ্ন হতে অধ্যাবদি এ পদ্ধতিই চলে আসছে। মদিনার ‘বাকি’ নামক গোরস্থান নারী-পুরুষের জন্য সমান ছিল, আর সমস্ত কল্যাণ ও মঙ্গল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং সাহাবাগণের অনুসরণের মধ্যেই বিদ্যমান।

প্রশ্ন ৬ - সহজে পরিচিতির জন্য অনেক গোরস্থানের প্রতিরক্ষা দেয়ালে নম্বর লাগানো হয় এটা কেমন?

উত্তর – অনেক ক্ষেত্রে কবরের উপর লিখার কারণে কবর কেন্দ্রিক ফেতনা সৃষ্টি হয়, তাই কবরের উপর লিখা সম্পুর্ণ নিষেধ ও না-জায়েয। আর প্রতিরক্ষা দেয়ালে নম্বর লাগানো নিষেধ হওয়া সম্পর্কে আমার নিকট যদিও কোন প্রমাণ নেই, তবুও বলব যেহেতু এটাও কবরের উপর লিখার সাদৃশ্য তাই এটা বর্জন করা উচিৎ।

প্রশ্ন ৭ - অনেক সান্ত্বনা প্রদানকারীকে দেখা যায় যে, সহজে সান্ত্বনা দেয়ার জন্যে তারা শোকাহত লোকদেরকে কবর হতে দূরে এক জায়গায় দাঁড় করিয়ে তাদের সাথে কথা-বার্তা বলে, এরূপ করা কেমন?

উত্তর - আমার জানামতে এরূপ করাতে কোন সমস্যা নেই, কারণ এতে সান্ত্বনা জ্ঞাপন সহজ হয়।

প্রশ্ন ৮ - মুমূর্ষু বা মৃত মহিলাদেরকে মেহেদী দেয়া কেমন?

উত্তর - আমার জানা মতে এর কোন ভিত্তি নেই।

প্রশ্ন ৯ – মৃত ব্যক্তিকে মিসওয়াক করানো কেমন?

উত্তর - আমার জানামতে এর কোন ভিত্তি নেই, শরি‘আতের বিধান হচ্ছে মৃতকে অযু করানো, অযু করানোর সময় যখন কুলি করানো হয় তখন যদি জীবিতদের ন্যায় তাকেও মিসওয়াক করিয়ে দেয়া হয়, তাহলে করানো যেতে পারে।

প্রশ্ন ১০ - উপস্থিত লোকজন মুমূর্ষু ব্যক্তিকে কিভাবে কিবলামুখী করবে?

উত্তর – ডানপাশে শোয়াবে এবং মুখমণ্ডল কিবলামুখী করে দেবে, যেমনটি করা হয় কবরে শোয়াবার সময়।

দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১০ পর্যন্ত, সর্বমোট ২৫ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 পরের পাতা »