আপনার সার্চকৃত শব্দ/বাক্যঃأحمدদিয়ে পাওয়া গেছে ১৩৩৬ টি ফলাফল
১৫১৮. মক্কাবাসীদের পড়ে থাকা জিনিসের কিভাবে ঘোষণা দেওয়া হবে। তাউস (র) ইব্‌ন আব্বাস (রা) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্‌ (সা) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্‌ (সা) বলেছেন, মককায় পড়ে থাকা জিনিস কেবল সেই ব্যক্তি উঠাবে, যে তার ঘোষণা দিবে। খালিদ (র), ইকরিমা (রা) এর মাধ্যমে ইব্‌ন আব্বাস (রা) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্‌ (সা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, মক্কায় পড়ে থাকা জিনিস কেবল সেই ব্যক্তি উঠাবে যে তার ঘোষনা দিবে। আহমদ ইব্‌ন সাঈদ (র).... ইব্‌ন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্‌ (সা) বলেছেন, সেখানকার গাছ কাটা যাবে না, সেখানকার শিকার কাড়ানো যাবে না এবং সেখানকার পড়েথাকা জিনিস যে ঘোষণা দিবে, সে ব্যতীত অন্য কারো জন্য তুলে নেওয়া হালাল হবে না, সেখানকার ঘাস কাটা যাবে না। তখন আব্বাস (রা) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্‌! ইযখির (এক প্রকার ঘাস) ব্যতীত। তখন রাসূলুল্লাহ্‌ (সা) বললেন, ইযখির ব্যতীত (অর্থাৎ ইযখির ঘাস কাটা যাবে)।

২২৭১। ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু মূসা (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আল্লাহ তা’আলা যখণ তাঁর রাসূলসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে মক্কা বিজয় দান করলেন, তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) লোকদের মাঝে দাঁড়িয়ে আল্লাহর হাম্‌দ ও সানা (প্রশংসা) বর্ণনা করলেন। এরপর বললেন, আল্লাহ তা’আলা মক্কায় (আবরাহার) হস্তি বাহিনীকে প্রবেশ করতে দেননি এবং তিনি তাঁর রাসূল ও মু’মিন বান্দাদেরকে মক্কার উপর আধিপত্য দান করেছেন। আমার আগে অন্য কারুর জন্য মক্কায় যুদ্ধ করা বৈধ ছিল না, তবে আমার পক্ষে দিনের সামান্য সময়ের জন্য বৈধ করা হয়েছিল, আর তা আমার পরেও কারুর জন্য বৈধ হবে না। কাজেই এখানকার শিকার তাড়ানো যাবে না, এখানকার গাছ কাটা ও উপড়ানো যাবে না, ঘোষণাকারী ব্যাক্তি ব্যতীত এখানকার পড়ে থাকা জিনিস তুলে নেওয়া যাবে না।

যার কোন লোক এখানে নিহত হয় তবে দু’টির মধ্যে তার কাছে যা ভাল বলে বিবেচিত হয়, তা গ্রহণ করবে। ফিদ্‌ইয়া গ্রহণ অথবা কিসাস। আব্বাস (রাঃ) বলেন, ইযখিরের অনুমতি দিন। কেননা আমরা এগুলো আমাদের কবরের উপর এবং ঘরের কাজে ব্যবহার করে থাকি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ইযখির ব্যতীত (অর্থাৎ তা কাটা ও ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হল)। তখন ইয়ামানবাসী আবূ শাহ (রাঃ) দাঁড়িয়ে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে লিখে দিন। তিনি বললেন, তোমরা আবূ শাহকে লিখে দাও। (ওয়ালিদ ইবনু মুসলিম বলেন) আমি আওযায়ীকে জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে লিখে দিন- তাঁর এ উক্তির অর্থ কি? তিনি বলেন, এ ভাষণ যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছ থেকে তিনি শুনেছেন, তা লিখে দিন।

باب كيف تعرف لقطة أهل مكة وقال طاوس عن ابن عباس رضي الله عنهما عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لا يلتقط لقطتها إلا من عرفها وقال خالد عن عكرمة عن ابن عباس عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لا تلتقط لقطتها إلا لمعرف وقال أحمد بن سعيد حدثنا روح حدثنا زكرياء حدثنا عمرو بن دينار عن عكرمة عن ابن عباس رضي الله عنهما أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لا يعضد عضاهها ولا ينفر صيدها ولا تحل لقطتها إلا لمنشد ولا يختلى خلاها فقال عباس يا رسول الله إلا الإذخر فقال إلا الإذخر

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ لَمَّا فَتَحَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ صلى الله عليه وسلم مَكَّةَ قَامَ فِي النَّاسِ، فَحَمِدَ اللَّهَ، وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ إِنَّ اللَّهَ حَبَسَ عَنْ مَكَّةَ الْفِيلَ، وَسَلَّطَ عَلَيْهَا رَسُولَهُ وَالْمُؤْمِنِينَ، فَإِنَّهَا لاَ تَحِلُّ لأَحَدٍ كَانَ قَبْلِي، وَإِنَّهَا أُحِلَّتْ لِي سَاعَةً مِنْ نَهَارٍ، وَإِنَّهَا لاَ تَحِلُّ لأَحَدٍ بَعْدِي، فَلاَ يُنَفَّرُ صَيْدُهَا وَلاَ يُخْتَلَى شَوْكُهَا، وَلاَ تَحِلُّ سَاقِطَتُهَا إِلاَّ لِمُنْشِدٍ، وَمَنْ قُتِلَ لَهُ قَتِيلٌ فَهْوَ بِخَيْرِ النَّظَرَيْنِ، إِمَّا أَنْ يُفْدَى، وَإِمَّا أَنْ يُقِيدَ ‏"‏‏.‏ فَقَالَ الْعَبَّاسُ إِلاَّ الإِذْخِرَ، فَإِنَّا نَجْعَلُهُ لِقُبُورِنَا وَبُيُوتِنَا‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِلاَّ الإِذْخِرَ ‏"‏‏.‏ فَقَامَ أَبُو شَاهٍ ـ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ ـ فَقَالَ اكْتُبُوا لِي يَا رَسُولَ اللَّهِ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اكْتُبُوا لأَبِي شَاهٍ ‏"‏‏.‏ قُلْتُ لِلأَوْزَاعِيِّ مَا قَوْلُهُ اكْتُبُوا لِي يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ هَذِهِ الْخُطْبَةَ الَّتِي سَمِعَهَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم‏.‏

Narrated Abu Huraira:

When Allah gave victory to His Apostle over the people of Mecca, Allah's Messenger (ﷺ) stood up among the people and after glorifying Allah, said, "Allah has prohibited fighting in Mecca and has given authority to His Apostle and the believers over it, so fighting was illegal for anyone before me, and was made legal for me for a part of a day, and it will not be legal for anyone after me. Its game should not be chased, its thorny bushes should not be uprooted, and picking up its fallen things is not allowed except for one who makes public announcement for it, and he whose relative is murdered has the option either to accept a compensation for it or to retaliate." Al-`Abbas said, "Except Al-Idhkhir, for we use it in our graves and houses." Allah's Messenger (ﷺ) said, "Except Al-Idhkhir." Abu Shah, a Yemenite, stood up and said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Get it written for me." Allah's Messenger (ﷺ) said, "Write it for Abu Shah." (The sub-narrator asked Al-Auza'i): What did he mean by saying, "Get it written, O Allah's Apostle?" He replied, "The speech which he had heard from Allah's Messenger (ﷺ) ."

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

আল্লাহ্‌র বাণীঃ من بعدي اسمه أحمد "যিনি আমার পরে আসবেন এবং যার নাম হবে আহমাদ" (৬১ঃ ৬)

সুরা সাফ্‌ফ

وَقَالَ مُجَاهِدٌ مَنْ أَنْصَارِي إِلَى اللَّهِ مَنْ يَتَّبِعُنِي إِلَى اللَّهِ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ مَرْصُوصٌ مُلْصَقٌ بَعْضُهُ بِبَعْضٍ وَقَالَ يَحْيَى بِالرَّصَاصِ

মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, مَنْ أَنْصَارِيْٓ إِلَى اللهِ অর্থ, আল্লাহর পথে কে আমার অনুসরণ করবে? ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, مَرْصُوْصٌ ঐ বস্তু যার এক অংশ অপর অংশের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে সংযুক্ত। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) ব্যতীত অপরাপর তাফসীরকারের মধ্যে رَّصَاصِ (মানে শিলা) ধাতু থেকে مَرْصُوْصًا শব্দটির উৎপত্তি।


৪৫৩৬। আবূল ইয়ামান (রহঃ) ... জুবাইর ইবনু মুত’ইম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, “আমার অনেকগুলো নাম আছে। আমি মুহাম্মাদ, আমি আহমাদ এবং আমি মাহী, যার দ্বারা আল্লাহ সকল কুফরী বিলুপ্ত করবেন এবং আমি হাশির, আমার পিছনে সকল মানুষকে সমবেত করা হবে এবং আমি আকিব, সর্বশেষ আগমনকারী”।

باب قوله تعالى من بعدي اسمه أحمد

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ أَبِيهِ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ إِنَّ لِي أَسْمَاءً، أَنَا مُحَمَّدٌ، وَأَنَا أَحْمَدُ، وَأَنَا الْمَاحِي الَّذِي يَمْحُو اللَّهُ بِيَ الْكُفْرَ، وَأَنَا الْحَاشِرُ الَّذِي يُحْشَرُ النَّاسُ عَلَى قَدَمِي، وَأَنَا الْعَاقِبُ ‏"‏‏.‏

Narrated Jubair bin Mut`im:

I heard Allah's Messenger (ﷺ) saying, 'I have several names: I am Muhammad and I am Ahmad, and I am Al- Mahi with whom Allah obliterates Kufr (disbelief), and I am Al-Hashir (gatherer) at whose feet (i.e. behind whom) the people will be gathered (on the Day of Resurrection), and I am Al-Aqib (i.e. who succeeds the other prophets in bringing about good).

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

২। যে ব্যাক্তির সালাত (নামায/নামাজ) তাঁকে তাঁর নির্লজ্জ ও অশোভনীয় কাজ হতে বিরত করে না, আল্লাহর নিকট হতে তাঁর শুধু দূরত্বই বৃদ্ধি পায়।

হাদীসটি বাতিল।

যদিও হাদীসটি মানুষের মুখে মুখে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে তবুও সেটি সনদ এবং ভাষা ও উভয় দিক দিয়েই সহীহ নয়।

সনদ সহীহ না হওয়ার কারনঃ হাদীসটি তাবারানী “আল-মুজামুল কাবীর” গ্রন্থে (৩/১০৬/২), কাযাঈ “মুসনাদুশ শিহাব” গ্রন্থে (২/৪৩) এবং ইবনু আবী হাতিম বর্ণনা করেছেন, যেমনটি “তাফসীর ইবনু কাসীর” গ্রন্থে (২/৪১৪) এবং “আল কাওয়াকাবুদ দুরারী” গ্রন্থে (৮৩/২/১) লাইস সূত্রে তাউস এর মাধ্যমে ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে।

এ লাইসের কারণে হাদীসটির সনদ দুর্বল – তিনি হচ্ছেন লাইস ইবনু আবী সুলাইম- কারন তিনি দুর্বল বর্ণনাকারী।

হাফিয ইবনু হাজার “তাকরীবুত তাহযীব” গ্রন্থে তার জীবনী লিখতে গিয়ে বলেনঃ তিনি সত্যবাদী, কিন্তু শেষ জীবনে তার মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছিল। তার হাদীস পৃথক করা যেত না, ফলে তার হাদীস মাতরূক (অগ্রহণযোগ্য)।

হায়সামী “মাজমা’উয যাওয়াঈদ” গ্রন্থে (১/১৩৪) একই কারন উল্লেখ করেছেন। তার শাইখ হাফিয আল-ইরাকী “ তাখরীজুল ইহইয়া” গ্রন্থে (১/১৪৩) বলেছেনঃ হাদীসটির সনদ লাইয়েনুন (দুর্বল)।

আমি (আলবানী) বলছিঃ হাদীসটি ইবনু জারীর তার “তাফসীর” গ্রন্থে (২০/৯২) ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে অন্য সূত্রে মওকুফ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। সম্ভবত এটিই সহীহ অর্থাৎ সাহাবীর কথা। যদিও তার সনদে এমন ব্যক্তি রয়েছেন যার নাম উল্লেখ করা হয়নি।

ইমাম আহমাদ “কিতাবুয যুহুদ” গ্রন্থে (পৃঃ ১৫৯) আত তাবারানী “মু’জামুল কাবীর” গ্রন্থে হাদীসটি ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে মওকুফ হিসাবে ভিন্ন ভাষায় বর্ণনা করেছেন।

হাফিয ইরাকী বলেনঃ তার সনদটি সহীহ। অতএব হাদীসটি মওকুফ।

ইবনুল আ’রাবী তার “আল-মু’জাম” গ্রন্থে (১/১৯৩) হাদীসটি হাসান বাসরী হতে মুরসাল হিসাবে বর্ণনা করেছেন। হাসান হচ্ছেন মুদাল্লিস।

হাফিস যাহাবী “মীযানুল ই’তিদাল” গ্রন্থে বলেনঃ তিনি বেশী বেশী তাদলীস করতেন। তিনি আন শব্দে বর্ণনা করলে তার হাদীস দ্বারা দলীল গ্রহণ করাটা দুর্বল হয়ে যায়। আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে তার শ্রবন সাব্যস্ত হয়নি। এ কারনে মুহাদ্দিসগণ আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে তার হাদীসকে মুনকাতি’ হিসাবে গণ্য করেছেন।

তবে হাসান বাসরীর নিজের কথা হিসাবে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন এমন কথা বলেননি। ইমাম আহমাদ “আয-যুহুদ” গ্রন্থে (পৃঃ ২৬৪) এভাবেই বর্ণনা করেছেন আর তার সনদটি সহীহ। অনুরূপভাবে ইবনু জারীরও বিভিন্ন সূত্রে তার থেকেই (২০/৯২) বর্ণনা করেছেন এবং এটই সঠিক।

“মুসনাদুস শিহাব” গ্রন্থে (২/৪৩) মিকদাম ইবনু দাউদ সূত্রে হাসান বাসরী হতে মারফূ’’ হিসাবে বর্ণিত হয়েছে।

কিন্তু এই মিকদাম সম্পর্কে নাসাঈ বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্য নন।

মোটকথা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত এটির সনদ সহীহ নয়। ইবনু মাসউদ (রাঃ) এবং হাসান বাসরী হতে সহীহ সনদ বর্ণিত হয়েছে। ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতেও বর্ণনা করা হয়েছে।

এ কারণেই ইবনু তাইমিয়্যা “কিতাবুল ঈমান” গ্রন্থে (পৃঃ ১২) মওকুফ হিসাবেই উল্লেখ করেছেন।

ইবনু উরওয়াহ্‌ “আল-কাওয়াকিব” গ্রন্থে বলেছেনঃ এটই বেশী সঠিক।

ভাষার দিক দিয়ে সহীহ না হওয়ার কারনঃ

হাদীসটি যে ব্যক্তি সালাতের শর্ত এবং আরকান সমূহের দিকে যত্নবান হয়ে যথাযথভাবে আদায় করে সে ব্যক্তিকেও সম্পৃক্ত করে। অথচ শারী’আত তার সালাতকে বিশুদ্ধ বলে রায় প্রদান করেছে। যদিও এ মুসল্লি কোন গুনাহের সাথে জড়িত থাকে। অতএব কিভাবে এ সালাতের কারনে তা সাথে আল্লাহর দূরত্ব বৃদ্ধি পাবে? এটি বিবেক বর্জিত কথা। শারী’আত এ কথার সাক্ষ্য দেয় না। হাদীসটি মওকুফ হওয়ার ক্ষেত্রেও সালাত দ্বারা এমন সালাতকে বুঝানো হয়েছে যে সালাতে এমন কোন অংশ ছেড়ে দেয়া হয়েছে যা ছেড়ে দিলে সালাত শুদ্ধ হয় না।

আল্লাহ্‌ বলেনঃ (إِنَّ الصَّلَاةَ تَنْهَىٰ عَنِ الْفَحْشَاءِ وَالْمُنْكَرِ) অর্থ ’নিশ্চয় সালাত নির্লজ্জ ও অশোভনীয় কাজ হতে বিরত রাখে ’ (আনকাবুতঃ ৪৫)

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল অমুক ব্যক্তি সারা রাত ধরে ইবাদাত করে অতঃপর যখন সকাল হয় তখন সে চুরি করে! উত্তরে তিনি উক্ত আয়াতের গুরুত্ব দিয়ে বলেছিলেনঃ

’তুমি যা বলছ তা থেকেই অচিরেই তাকে তার সালাত বিরত করবে অথবা বলেনঃ তাকে তার সালাত বাধা প্রদান করবে’

হাদীসটি ইমাম আহমাদ, বায্‌যার, তাহাবী “মুশকিল আসার” গ্রন্থে (২/৪৩০), বাগাবী “হাদীসু আলী ইবনুল যা’আদ” গ্রন্থে (৩১/১/৬৯/১) সহীহ্‌ সনদে আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।

লক্ষ্য করুন! রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সংবাদ দিয়েছেন যে, এ ব্যক্তি তার সালাতের কারনে চুরি করা হতে বিরত থাকবে (যদি তার সালাতটি যথাযথ ভাবে হয়)। তিনি বলেননি যে, তার দূরত্ব বৃদ্ধি করবে, যদিও সে তার চুরি হতে বিরত হয়নি। এ কারনেই আব্দুল হক ইশবীলী “আত-তাহাজ্জুদ” গ্রন্থে (কাফ-১/২৪) বলেনঃ সত্যিকার অর্থে যে ব্যক্তি সালাত আদায় করবে এবং সালাতকে আঁকড়ে ধরে রাখবে, তার সালাত তাকে হারামে জড়িত হওয়া এবং হারামে পতিত হওয়া থেকে বিরত রাখবে।

অতএব প্রমাণিত হচ্ছে যে, হাদীসটি সনদ এবং ভাষা উভয় দিক দিয়েই দুর্বল।

এ ছাড়া আহমাদ ইবনু মুহাম্মাদ ইয্‌যুদ্দ্বীন ইবনু আব্দিস সালাম ইবনু আব্বাস (রাঃ) এর আসারটি উল্লেখ করে বলেছেনঃ এ ধরনের হাদীসকে ভীতি প্রদর্শনমূলক হাদীস হিসাবে গণ্য করা বাঞ্ছনীয়।

এ হাদীসকে তার বাহ্যিক অর্থে নেয়া ঠিক হবেনা। কারন তার বাহ্যিক অর্থ সহীহ হাদীসে যা সাব্যস্ত হয়েছে তার বিপরীত অর্থ বহন করছে। সহীহ হাদীসে বলা হয়েছে যে, সালাত গুনাহ সমূহকে মোচন করে, অতএব আল্লাহর সাথে দূরত্ব বৃদ্ধি করলে সালাত কিভাবে গুনাহ মোচনকারী হতে পারে?

আমি (আলবানী) বলছিঃ এরূপ ব্যাখ্যা করা যেতে পারে তবে মওকুফ হিসাবে গণ্য করে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী হিসাবে নয়।

উপরের আলোচনার সাক্ষ্য দেয় বুখারীতে বর্ণিত হাদীস। এক ব্যক্তি কোন মহিলাকে চুমু দিয়ে দেয়। অতঃপর সে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট ঘটনাটি উল্লেখ করলে আল্লাহ্‌ তা’আলা নিম্নোক্ত আয়াতটি নাযিল করেনঃ

إِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ

’নিঃসন্দেহে সৎ কর্মগুলো অসৎ কর্মগুলোকে মুছে ফেলে’ (হুদঃ ১১৪)

হাফিয যাহাবী “আল-মীযান” গ্রন্থে (৩/২৯৩) ইবনুুয যুনায়েদ হতে বর্ণনা করে (আলোচ্য) হাদীসটি সম্পর্কে বলেনঃ এটি মিথ্যা।

(من لم تنهه صلاته عن الفحشاء والمنكر لم يزدد من الله إلا بعدا)
باطل

-

وهو مع اشتهاره على الألسنة لا يصح من قبل إسناده، ولا من جهة متنه. أما إسناده فقد أخرجه الطبراني في " المعجم الكبير " (3 / 106 / 2 مخطوطة الظاهرية) والقضاعي في " مسند الشهاب " (43 / 2) وابن أبي حاتم كما في " تفسير ابن كثير " (2 / 414) و" الكواكب الدراري " (83 / 2 / 1) من طريق ليث عن طاووس عن ابن عباس
وهذا إسناد ضعيف من أجل ليث هذا - وهو ابن أبي سليم - فإنه ضعيف، قال الحافظ ابن حجر في ترجمته من " تقريب التهذيب ": صدوق اختلط أخيرا ولم يتميز حديثه فترك
وبه أعله الهيثمي في " مجمع الزوائد " (1 / 134)
وقال شيخه الحافظ العراقي في " تخريج الإحياء " (1 / 143) : إسناده لين
قلت: وقد أخرجه الحافظ ابن جرير في تفسيره (20 / 92) من طريق أخرى عن ابن عباس موقوفا عليه من قوله، ولعله الصواب وإن كان في سنده رجل لم يسم
ورواه الإمام أحمد في كتاب " الزهد " (ص 159) والطبراني في " المعجم الكبير " عن ابن مسعود موقوفا عليه بلفظ: " من لم تأمره الصلاة بالمعروف وتنهاه عن المنكر لم يزدد بها إلا بعدا "
وسنده صحيح كما قال الحافظ العراقي، فرجع الحديث إلى أنه موقوف، ثم رأيته في معجم ابن الأعرابي قال (193 / 1) ، أنبأنا عبد الله - يعني ابن أيوب المخرمي - أنبأنا يحيى بن أبي بكير عن إسرائيل عن إسماعيل عن الحسن قال: لما نزلت هذه الآية (إن الصلاة تنهى عن الفحشاء والمنكر) (العنكبوت: 45) قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ... فذكره
وهذا مرسل، وإسماعيل هو ابن مسلم، فإن كان أبا محمد البصري فهو ثقة، وإن كان أبا إسحاق المكي فهو ضعيف، لكن قال الحافظ العراقي: رواه علي بن معبد في كتاب " الطاعة والمعصية " من حديث الحسن مرسلا بإسناد صحيح
قلت: يعني أن إسناده إلى الحسن صحيح، ولا يلزم منه أن يكون الحديث صحيحا لما عرف من علم " مصطلح الحديث " أن الحديث المرسل من أقسام الحديث الضعيف عند جمهو ر علماء الحديث، ولا سيما إذا كان من مرسل الحسن وهو البصري، قال ابن سعد في ترجمته: كان عالما جامعا رفيعا ثقة ... ما أرسله فليس بحجة
وحتى إنه لوفرض أن الحسن وصل الحديث وأسنده ولم يصرح بالتحديث أو بسماعه من الذي أسنده إليه كما لوقال: عن سمرة أو عن أبي هريرة لم يكن حديثه حجة، فكيف لوأرسله كما في هذا الحديث؟ ! قال الحافظ الذهبي في " ميزان الاعتدال ": كان الحسن كثير التدليس، فإذا قال في حديث عن فلان ضعف احتجاجه ولا سيما عمن قيل: إنه لم يسمع منهم كأبي هريرة ونحوه، فعدوا ما كان له عن أبي هريرة في
جملة المنقطع
على أنه قد ورد الحديث عن الحسن من قوله أيضا لم ينسبه إلى النبي صلى الله عليه وسلم، كذلك أخرجه الإمام أحمد في " الزهد " (ص 264) وإسناده صحيح، وكذلك رواه ابن جرير (20 / 92) من طرق عنه وهو الصواب
ثم وجدت الحديث في " مسند الشهاب " (43 / 2) من طريق مقدام بن داود قال: أنبأنا علي بن محمد بن معبد بسنده المشار إليه آنفا عن الحسن مرفوعا، ومقدام هذا قال النسائي: ليس بثقة، فإن كان رواه غيره عن علي بن معبد وكان ثقة فالسند صحيح مرسلا كما سبق عن العراقي وإلا فلا يصح
وجملة القول أن الحديث لا يصح إسناده إلى النبي صلى الله عليه وسلم وإنما صح من قول ابن مسعود والحسن البصري، وروي عن ابن عباس. ولهذا لم يذكره شيخ الإسلام ابن تيمية في " كتاب الإيمان " (ص 12) إلا موقوفا على ابن مسعود وابن عباس رضي الله عنهما
وقال ابن عروة في " الكواكب ": إنه الأصح
ثم رأيت الحافظ ابن كثير قال بعد أن ساق الحديث عن عمران بن حصين وابن عباس وابن مسعود والحسن مرفوعا: والأصح في هذا كله الموقوفات عن ابن مسعود وابن عباس والحسن وقتادة والأعمش وغيرهم
قلت: وسيأتي حديث عمران في المائة العاشرة إن شاء الله تعالى وهو بهذا اللفظ إلا أنه قال: " فلا صلاة له " بدل " لم يزدد عن الله إلا بعدا " وهو منكر أيضا كما سيأتي بيانه هناك بإذن الله تعالى فانظره برقم (985)
وأما متن الحديث فإنه لا يصح، لأن ظاهره يشمل من صلى صلاة بشروطها وأركانها بحيث أن الشرع يحكم عليها بالصحة وإن كان هذا المصلي لا يزال يرتكب بعض المعاصي، فكيف يكون بسببها لا يزداد بهذه الصلاة إلا بعدا؟ ! هذا مما لا يعقل ولا تشهد له الشريعة، ولهذا تأوله شيخ الإسلام ابن تيمية بقوله
وقوله " لم يزدد إلا بعدا " إذا كان ما ترك من الواجب منها أعظم مما فعله، أبعده ترك الواجب الأكثر من الله أكثر مما قربه فعل الواجب الأقل
وهذا بعيد عندي، لأن ترك الواجب الأعظم منها معناه ترك بعض ما لا تصح الصلاة إلا به كالشروط والأركان، وحينئذ فليس له صلاة شرعا، ولا يبدو أن هذه الصلاة هي المرادة في الحديث المرفوع والموقوف، بل المراد الصلاة الصحيحة التي لم تثمر ثمرتها التي ذكرها الله تعالى في قوله: (إن الصلاة تنهى عن
الفحشاء والمنكر) (العنكبوت: 45) وأكدها رسول الله صلى الله عليه وسلم لما قيل له: إن فلانا يصلي الليل كله فإذا أصبح سرق! فقال: " سينهاه ما تقول أو قال: ستمنعه صلاته "
رواه أحمد والبزار والطحاوي في " مشكل الآثار " (2 / 430) والبغوي في حديث علي بن الجعد (9 / 97 / 1) وأبو بكر الكلاباذي في " مفتاح معاني الآثار " (31 / 1 / 69 / 1) بإسناد صحيح من حديث أبي هريرة
فأنت ترى أن النبي صلى الله عليه وسلم أخبر أن هذا الرجل سينتهي عن السرقة بسبب صلاته - إذا كانت على الوجه الأكمل طبعا كالخشوع فيها والتدبر في قراءتها - ولم يقل: إنه " لا يزداد بها إلا بعدا " مع أنه لما ينته عن السرقة
ولذلك قال عبد الحق الإشبيلي في " التهجد " (ق 24 / 1) : يريد عليه السلام أن المصلي على الحقيقة المحافظ على صلاته الملازم لها تنهاه صلاته عن ارتكاب المحارم والوقوع في المحارم
فثبت بما تقدم ضعف الحديث سندا ومتنا والله أعلم
ثم رأيت الشيخ أحمد بن محمد عز الدين بن عبد السلام نقل أثر ابن عباس هذا في كتابه " النصيحة بما أبدته القريحة " (ق 32 / 1) عن تفسير الجاربردي وقال: ومثل هذا ينبغي أن يحمل على التهديد لما تقرر أن ذلك ليس من الأركان والشرائط ثم استدل على ذلك بالحديث المتقدم: " ستمنعه صلاته " واستصوب الشيخ أحمد كلام الجاربردي هذا وقال: لا يصح حمله على ظاهره، لأن ظاهره معارض بما ثبت في
الأحاديث الصحيحة المتقدمة من أن الصلاة مكفرة للذنوب، فكيف تكون مكفرة ويزداد بها بعدا؟ ! هذا مما لا يعقل! ثم قال: قلت: وحمل الحديث على المبالغة والتهديد ممكن على اعتبار أنه موقوف على ابن عباس أو غيره وأما على اعتباره من كلامه صلى الله عليه وسلم فهو بعيد عندي والله أعلم
قال: ويشهد لذلك ما ثبت في البخاري أن رجلا أصاب من امرأة قبلة فذكر للنبي صلى الله عليه وسلم فأنزل الله تعالى (إن الحسنات يذهبن السيئات)
ثم رأيت شيخ الإسلام ابن تيمية قال في بعض فتاواه: هذا الحديث ليس بثابت عن النبي صلى الله عليه وسلم لكن الصلاة تنهى عن الفحشاء والمنكر كما ذكر الله في كتابه، وبكل حال فالصلاة لا تزيد صاحبها بعدا، بل الذي يصلي خير من الذي لا يصلي وأقرب إلى الله منه وإن كان فاسقا
قلت: فكأنه يشير إلى تضعيف الحديث من حيث معناه أيضا وهو الحق وكلامه المذكور رأيته في مخطوط محفوظ في الظاهرية (فقه حنبلى 3 / 12 / 1 - 2) وقد نقل الذهبي في " الميزان " (3 / 293) عن ابن الجنيد أنه قال في هذا الحديث: كذب وزور

হাদিসের মানঃ জাল (Fake)

৩। পুরুষদের ইচ্ছা (মনোবল) পর্বতমালাকে স্থানচ্যুত করতে পারে।

এটি হাদীস নয়।

ইসমাঈল আজলুনী “কাশফুল খাফা” গ্রন্থে বলেনঃ এটি যে হাদীস তা অবহিত হতে পারিনি। তবে কোন ব্যক্তি শাইখ আহমাদ গাযালীর উদ্ধৃতিতে বলেছেন যে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ (همة الرجال تزيل الجبال) ’পুরুষদের মনোবল পর্বতমালার উচ্ছেদ ঘটাতে পারে’

আমি (আলবানী) বলছিঃ সুন্নাতের গ্রন্থগুলো খুঁজেছি এর (হাদীসটির) কোন অস্তিত্ব পাইনি। শাইখ আহমাদ গাযালী কর্তৃক হাদীস বলে উল্লেখ করাটা তাকে সাব্যস্ত করে না। কারন তিনি মুহাদ্দিসদের দলভুক্ত নন, বরং তিনি তার ভাই মুহাম্মাদের ন্যায় সূফী সম্প্রদায়ভুক্ত একজন ফকীহ ছিলেন। তার ভাই কর্তৃক রচিত “আল-ইয়াহিয়া” গ্রন্থে কতইনা হাদীস নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উদ্ধৃতিতে দৃঢ়তার সাথে বলা হয়েছে এগুলো হাদীস। অথচ সেগুলোর কোন ভিত্তি নেই। যেমনিভাবে হাফিয ইরাকীও আরো অনেকে বলেছেন। সেগুলোর একটি নিম্নের হাদীসটি।

همة الرجال تزيل الجبال
ليس بحديث

-

قال الشيخ إسماعيل العجلونى في " كشف الخفاء ": لم أقف على أنه حديث، لكن نقل بعضهم عن الشيخ أحمد الغزالي أنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: " همة الرجال تقلع الجبال " فليراجع
قلت: قد راجعنا مظانه في كتب السنة فلم نجد له أصلا، وإيراد الشيخ أحمد الغزالي له لا يثبته، فليس هو من المحدثين، وإنما هو مثل أخيه محمد من فقهاء الصوفية، وكم في كتاب أخيه " الإحياء" من أحاديث جزم بنسبتها إلى النبي صلى الله عليه وسلم وهي مما يقول الحافظ العراقي وغيره فيها: لا أصل له منها

হাদিসের মানঃ জাল (Fake)

৫। কোন বান্দা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশে যখন কিছু ত্যাগ করে, তখন আল্লাহ তাঁকে তাঁর দ্বীন ও দুনিয়াবী ক্ষেত্রে তাঁর চাইতেও অতি কল্যাণকর বস্তু প্রতিদান হিসেবে দান করেন।

এ ভাষায় হাদীসটি বানোয়াট।

আমি (আলবানী) বলছিঃ হাদীসটি ১৩৭৯ হিজরী সনের রমাযান মাসে রেডিও দামেস্কে প্রচারিত কোন এক সন্মানিত ব্যক্তির বক্তব্যে শুনি। হাদীসটি আবূ নো’য়াইম “হিলইয়াতুল আওলিয়া” গ্রন্থে (২/১৯৬), দাইলামী “আল-গারায়েবুল মুলতাকাতাহ্‌” গ্রন্থে, আস-সিলাফী “আত-তায়ুরীয়াত” গ্রন্থে (২/২০০) এবং ইবনু আসাকীর (৩/২০৮/২,১৫/৭০/১) আবদুল্লাহ ইবনু সা’দ আর-রাকী সূত্রে... বর্ণনা করেছেন।

অতঃপর আবূ নু’য়াইম বলেনঃ হাদীসটি গারীব।
আমি (আলবানী) বলছিঃ হাদীসটির সনদ বানোয়াট, কারন হাদীসটির সনদে বর্ণিত যুহ্‌রীর নিচের বর্ণনাকারীগণের মধ্য থেকে আবদুল্লাহ ইবনু সা’দ আর-রাকী ব্যতীত অন্য কোন বর্ণনাকারীর বিবরণ হাদীসের গ্রন্থসমূহে মিলে না। তিনি পরিচিত, তবে মিথ্যুক হিসাবে!

হাফিয যাহাবী “মীযানুল ই’তিদাল” গ্রন্থে এবং তার অনুসরণ করে হাফিয ইবনু হাজার আসকালানী “লিসানুল মীযান” গ্রন্থে বলেনঃ

(كذبه الدارقطني وقال: كان يضع الحديث) দারাকুতনী তাকে মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন। তিনি আরো বলেছেনঃ তিনি হাদীস জাল করতেন। আর আহমাদ ইবনু আব্দান তাকে খুবই দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন।

হাদীসটিতে অন্য একটি সমস্যা রয়েছে, সেটি হচ্ছে বাক্কার ইবনু মুহাম্মাদ। তিনি মাজহূল (অপরিচিত)। ইবনু আসাকীর তার জীবনীতে তার সম্পর্কে ভাল মন্দ কিছুই বলেননি। তবে হ্যাঁ হাদীসটি (في دينه ودنياه) এ শব্দ ছাড়া সহীহ। যা ওয়াকী’ “আল-যুহুদ” নামক গ্রন্থে (২/৬৮/২) এবং তার থেকে ইমাম আহমাদ (৫/৩৬৩) ও কাযা’ঈ “মুসনাদুশ শিহাব” গ্রন্থে (১১৩৫) নিম্নের ভাষায় উল্লেখ করেছেনঃ

إنك لن تدع شيئا لله عز وجل إلا بدلك الله به ما هو خير لك منه

’তুমি আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিনের উদ্দেশ্যে কিছু ত্যাগ করলে অবশ্যই আল্লাহ্‌ তার প্রতিদান হিসাবে তোমাকে তার চেয়ে উত্তম কিছু দান করবেন।’

ইমাম মুসলিমের শর্তানুযায়ী হাদীসটির সনদ সহীহ। হাদীসটি ইসপাহানীও “আত-তারগীব” গ্রন্থে (১/৭৩) বর্ণনা করেছেন। অতঃপর তিনি উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) হতে তার একটি শাহেদ [সাক্ষীমূলক] হাদীস এমন এক সনদে বর্ণনা করেছেন, শাহেদ হওয়ার ক্ষেত্রে যাতে কোন সমস্যা নেই।

(ما ترك عبد شيئا لله لا يتركه إلا لله إلا عوضه منه ما هو خير له فى دينه ودنياه)
موضوع بهذا اللفظ

-

وقد سمعته في كلمة ألقاها بعض الأفاضل من إذاعة دمشق في هذا الشهر المبارك شهر رمضان
أخرجه أبو نعيم في " حلية الأولياء " (2 / 196) وعنه الديلمي (4 / 27 ـ الغرائب الملتقطة) والسلفي في " الطيوريات " (200 / 2) وابن عساكر (3 / 208 / 2 و15 / 70 / 1) من طريق عبد الله بن سعد الرقي حدثتني والدتي مروة بنت مروان قالت حدثتني والدتي عاتكة بنت بكار عن أبيها قالت: سمعت الزهري يحدث عن سالم بن عبد الله عن ابن عمر أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: فذكره وقال أبو نعيم عقبه: حديث غريب
وأقول: أن إسناده موضوع، فإن من دون الزهري لا ذكر لهم في شيء من كتب الحديث غير عبد الله بن سعد الرقي فإنه معروف، ولكن بالكذب
قال الحافظ الذهبي في " ميزان الاعتدال في نقد الرجال " وتبعه الحافظ أحمد بن حجر العسقلاني في " لسان الميزان ": كذبه الدارقطني وقال: كان يضع الحديث وهاه أحمد بن عبدان
وفيه علة أخرى وهي جهالة بكار هذا وهو ابن محمد وفي ترجمته أورده ابن عساكر ولم يذكر فيه جرحا ولا تعديلا
نعم صح الحديث بدون قوله في آخره في دينه ودنياه
أخرجه وكيع في " الزهد " (2 / 68 / 2) وعنه أحمد (5 / 363) والقضاعي في " مسند الشهاب " (رقم 1135) بلفظ: " إنك لن تدع شيئا لله عز وجل إلا بدلك الله به ما هو خير لك منه
وسنده صحيح على شرط مسلم
وأخرجه الأصبهاني أيضا في " الترغيب " (73 / 1) ثم روى له شاهدا من حديث أبي
ابن كعب بسند لا بأس به في الشواهد

হাদিসের মানঃ জাল (Fake)

১৩। শামের অধিবাসীরা আল্লাহর পৃথিবীতে তাঁর চাবুক। তিনি তাঁদের দ্বারা তাঁর বান্দাদের থেকে যাকে চান শাস্তি দেন। তাঁদের মুমিনদের উপর তাঁদের মুনাফিকদের প্রাধান্য বিস্তারকে হারাম করে দেয়া হয়েছে। তাঁদের মুনাফিকরা শুধুমাত্র চিন্তা ও অস্থির অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে।

হাদীসটি দুর্বল।

এটি তাবরানী “মুজামুল কাবীর” গ্রন্থে (৪১৬৩) ওয়ালীদ বিন মুসলিম হতে দুটি সূত্রে বর্ণনা করেছেন।

দুটি কারণে হাদীসটি সহীহ নয়ঃ

১। ওয়ালীদ আন আন শব্দ দ্বারা বর্ণনা করেছেন। কারণ তিনি ’তাদলীসুত তাসবিয়া’ করতেন। যাহাবী “আল-মীযান” গ্রন্থে বলেনঃ তিনি যখন আন আন্ শব্দ দ্বারা ইবনু জুরায়েজ ও আওযাঈ হতে বর্ণনা করেন তখন তার বর্ণনা নির্ভরযোগ্য নয়। কারণ তিনি মিথ্যুকদের থেকে তাদলীস করতেন। তবে যখন ثنا ’আমাদেরকে হাদীস বর্ণনা করেছেন’ এ শব্দ ব্যবহার করেছেন তখন তার হাদীস গ্রহণযোগ্য। [তাদলীসের ব্যাখ্যা সম্পর্কে ৫৭ পৃষ্ঠায় দেখুন।]

হাফিয ইবনু হাজার “আত-তাকরীব” গ্রন্থে বলেনঃ তিনি নির্ভরশীল। কিন্তু তিনি বহু তাদলীস এবং তাসবিয়া কারী।

২। মওকুফঃ মওকুফ (সাহাবীর বাণী) হিসাবে ইমাম আহমাদ (৩/৪৯৮) বর্ণনা করেছেন। এ সনদটি সহীহ। ইবনু তাইমিয়া সন্দেহ বশত হাদীসটিকে মারফু বলেছেন। কিন্তু আসলে সেরূপ নয়।

মুনযেরী “তারগীব ওয়াত তারহীব” গ্রন্থে (৪/৬৩) বলেনঃ হাদীসটি মওকূফ হিসাবেই সঠিক।

أهل الشام سوط الله في أرضه ينتقم بهم ممن يشاء من عباده، وحرام على منافقيهم أن يظهروا على مؤمنيهم، ولا يموتوا إلا غما وهما
ضعيف

-

أخرجه الطبراني في " المعجم الكبير " (4163) من طريقين عن الوليد بن مسلم عن محمد بن أيوب بن ميسرة بن حلبس عن أبيه عن خريم بن فاتك الأسدي صاحب رسول الله صلى الله عليه وسلم أنه سمع رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: فذكره
وهذا إسناد ظاهره الصحة ولعله لذلك احتج به شيخ الإسلام ابن تيمية في فصل له في فضائل الشام (ق 259 / 1 من مسودته) وليس بصحيح فإن له علتين: الأولى: عنعنعة الوليد فإنه يدلس تدليس التسوية، قال الذهبي في " الميزان ": " إذا قال الوليد: عن ابن جريج أو عن الأو زاعى فليس بمعتمد لأنه يدلس عن كذابين فإذا قال: ثنا فهو حجة
وقال الحافظ في " التقريب ": هو ثقة لكنه كثير التدليس والتسوية
الأخرى: الوقف فقد رواه موقوفا هيثم بن خارجة قال: حدثنا محمد بن أيوب به موقوفا على خريم
أخرجه أحمد (3 / 498) وسنده صحيح، وأو هم ابن تيمية أنه مرفوع وليس كذلك
والحديث أورده المنذري في " الترغيب والترهيب " (4 / 63) وقال: رواه الطبراني مرفوعا وأحمد موقوفا ولعله الصواب، ورواتهما ثقات

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)

১৪। তোমরা তোমাদেরকে এবং সার দেয়া ভূমির সবুজ বর্ণকে রক্ষা কর। জিজ্ঞাসা করা হল, সার দেয়া ভূমির সবুজ বর্ণ কি? (উত্তরে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ নিকৃষ্ট উৎপত্তি স্থল হতে জন্ম গ্রহণ করা সুন্দরী নারী।

হাদীসটি নিতান্তই দুর্বল।

হাদীসটি কাজা’ঈ “মুসনাদুশ শিহাব” গ্রন্থে (কাফ ৮১/১) ওয়াকেদী এবং গাযালী “আল-ইহইয়া” গ্রন্থে (২/৩৮) উল্লেখ করেছেন।

তার তাখরাজকারী ইরাকী বলেনঃ হাদীসটি দারাকুতনী “আল-আফরাদ” গ্রন্থে এবং রামহুরমুজী “আল-আমসাল" গ্রন্থে আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ)-এর হাদীস হতে উল্লেখ করেছেন। দারাকুতনী বলেনঃ এ হাদীসটি ওয়াকেদী এককভাবে বর্ণনা করেছেন, তিনি দুর্বল বর্ণনাকারী।

ইবনুল মুলাক্কান “খুলাসাতুল বাদরিল মুনীর” গ্রন্থে (কাফ ১১৮/১) তার মতই উক্তি করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ তিনি মাতরূক। ইমাম আহমাদ, নাসাঈ ও ইবনুল মাদীনী প্রমুখ মুহাদ্দিসগণ তাকে (ওয়াকেদীকে) মিথ্যুক বলেছেন। কোন কোন গোড়া ব্যক্তি তাকে নির্ভরযোগ্য বলার চেষ্টা করেছেন, সেদিকে দৃষ্টি দেয়া যাবে না। কারণ তা মুহাদ্দিসগণের প্রসিদ্ধ সূত্র (ব্যাখ্যাকৃত দোষারোপ অগ্রাধিকার পাবে নির্দোষীতার উপর) বিরোধী। এ জন্য কাওসারী হাদীসটিকে জাল বলেছেন।

إياكم وخضراء الدمن، فقيل: وما خضراء الدمن؟ قال: المرأة الحسناء فى المنبت السوء
ضعيف جدا

-

رواه القضاعي في " مسند الشهاب " (ق 81 / 1) من طريق الواقدي قال: أنبأنا يحيى بن سعيد بن دينار عن أبي وجيزة يزيد بن عبيد عن عطاء بن يزيد الليثي عن أبي سعيد الخدري، وأورده الغزالي في " الإحياء " (2 / 38) وقال مخرجه العراقي: رواه الدارقطني في " الأفراد " والرامهرمزى في " الأمثال " من حديث أبي سعيد الخدري، قال الدارقطني: تفرد به الواقدى وهو ضعيف
وذكر نحوه ابن الملقن في " خلاصة البدر المنير " (ق 118 / 1)
قلت: بل هو متروك فقد كذبه الإمام أحمد والنسائي وابن المديني وغيرهم
ولا تغتر بتوثيق بعض المتعصبين له ممن قدم لبعض كتبه، وغيره من الحنفية، فإنه على خلاف القاعدة المعروفة عند المحدثين: الجرح المبين مقدم على التعديل ولذا حكم الكوثري بوضعه كما سيأتي تحت الحديث (25)

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)

১৬। আমার উম্মাতের দু’শ্রেণীর লোক যখন ঠিক হয়ে যাবে, তখন মানুষ ভাল হয়ে যাবে। নেতাগণ এবং ফাকীহগণ। (অন্য বর্ণনায় এসেছে ’আলেমগণ’)।

হাদীসটি জাল

তাম্মাম “আল-ফাওয়াইদ” গ্রন্থে (১/২৩৮), আবু নোয়াইম “হিলইয়াহ” গ্রন্থে (৪/৯৬) এবং ইবনু আবদিল বার "জামেউ বায়ানিল ইলম” গ্রন্থে (১/১৮৪) মুহাম্মাদ বিন যিয়াদ ইয়াশকুরী সূত্রে ... হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।

এ সনদটি বানোয়াট। এ মুহাম্মাদ ইবনু যিয়াদ সম্পর্কে ইমাম আহমাদ বলেনঃ كذاب أعور يضع الحديث ’তিনি মিথ্যুক, চোখ টেরা, হাদীস জালকারী’।

ইবনু মাঈন ও দারাকুতনী বলেনঃ “كذاب” তিনি মিথ্যুক । আবূ যুর’আহ ও অন্যরাও তাকে মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন। সুয়ূতী হাদীসটি “জামেউস সাগীর” গ্রন্থে তার শর্তের বিরোধিতা করে উল্লেখ করেছেন। গাযালী “আল-ইহইয়া” গ্রন্থে (১/৬) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর হাদীস হিসাবে উল্লেখ করেছেন। তার তাখরীজকারী হাফিয ইরাকী বলেনঃ সনদটি দুর্বল। হাফিয যে বলেছেন সনদটি দুর্বল আর আমরা বলেছি বানোয়াট তার মধ্যে কোন দ্বন্ধ নেই। কারণ বানোয়ট হচ্ছে দুর্বল হাদীসের প্রকারগুলোর একটি। যেমনটি হাদীস শাস্ত্রের নীতির উপর রচিত গ্রন্থ সমূহে এসেছে। এ মিথ্যুকের আরেকটি হাদীসঃ (দেখুন পরেরটি)

صنفان من أمتي إذا صلحا صلح الناس: الأمراء والفقهاء، [وفي رواية: العلماء]
موضوع

-

أخرجه تمام في " الفوائد " (238 / 1) وأبو نعيم في " الحلية " (4 / 96) وابن عبد البر في " جامع بيان العلم " (1 / 184) من طريق محمد بن زياد اليشكري عن ميمون بن مهران عن ابن عباس مرفوعا
وهذا سند موضوع محمد بن زياد هذا قال أحمد: كذاب أعور يضع الحديث وقال ابن معين والدارقطني: كذاب
وكذبه أبو زرعة أيضا وغيره
والحديث مما أورده السيوطي في " الجامع " خلافا لشرطه! وأورده الغزالي في " الإحياء " (1 / 6) جازما بنسبته إليه صلى الله عليه وسلم! وقال مخرجه الحافظ العراقي بعد أن عزاه لابن عبد البر وأبي نعيم: سنده ضعيف
(تنبيه)
ولا منافاة بين قول الحافظ هذا وبين حكمنا عليه بالوضع إذ أن الموضوع من أنواع الحديث الضعيف كما هو مقرر في علم المصطلح

হাদিসের মানঃ জাল (Fake)

১৮। তোমরা পরকাটা কবুতর গ্রহণ কর, কারন তা তোমাদের বাচ্চাদের (সন্তানদের) থেকে জ্বীনকে বিমুখ করে দেয়।

হাদীসটি জাল।

এটি ইবনু আদী “আল-কামিল” গ্রন্থে (২/২৮৮), খাতীব বাগদাদী (৫/২৭৮) ও ইবনু আসাকির (১৭/৪৬৯) মুহাম্মাদ বিন যিয়াদ সূত্রে পূর্বের সনদেই ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।

এ হাদীসটিকেও সুয়ুতী “জামেউস সাগীর” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন তার ভাষ্যকার মানবী তার সমালোচনা করে বলেছেনঃ মুহাম্মাদ ইবনু যিয়াদ সম্পর্কে ইমাম আহমাদ, ইবনু মাঈন প্রমুখ মুহাদ্দিসগণ বলেছেনঃ তিনি ছিলেন মিথ্যুক, হাদীস জালকারী।

ইবনু হাজার বলেনঃ তাকে তারা মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন। যাহাবী “আল-মীযান” গ্রন্থে বলেনঃ তিনি মিথ্যুক, জালকারী। ইবনু হিব্বান বলেছেনঃ তিনি নির্ভরশীলদের উদ্ধৃতিতে জাল হাদীস বর্ণনা করেছেন। এ কারণেই ইবনুল জাওয়ী হাদীসটি জাল বলে হুকুম লাগিয়েছেন। ইবনু ইরাক, হিন্দী ও অন্যরাও হাদীসটি জাল বলেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ তাদের মধ্যে “আল-মানার” গ্রন্থে (৩৯) জাল আখ্যাদানকারী হিসাবে ইবনুল কাইয়্যিমও রয়েছেন। এ মিথ্যুকের আরো একটি হাদীসঃ (দেখুন পরেরটি)

اتخذوا الحمام المقاصيص فإنها تلهي الجن عن صبيانكم
موضوع

-

أخرجه ابن عدي في " الكامل " (288 / 2) والخطيب (5 / 279) وابن عساكر (17 / 469) من طريق محمد بن زياد بإسناده السابق عن ابن عباس
وهو من أحاديث " الجامع الصغير " أيضا! وقد عزاه فيه للخطيب والديلمي في " مسند الفردوس " عن ابن عباس وابن عدي عن أنس فتعقبه شارحه المناوي بقوله: وقضيته أن مخرجه الخطيب خرجه ساكتا عليه والأمر بخلافه، فإنه عقبه بنقله عن أحمد وابن معين وغيرهما أن محمد بن زياد كان كذابا يضع الحديث
انتهى
وقال ابن حجر: فيه محمد بن زياد اليشكري كذبوه، وفي " الميزان " كذاب وضاع ثم أورد له هذا الخبر، وابن عدي رواه من حديث عثمان بن مطر عن ثابت عن أنس بن مالك قال في الميزان عن ابن حبان بعد ما ساق له هذا الخبر: يروي الموضوعات عن الأثبات، ومن ثم حكم ابن الجوزي بوضعه وتبعه المؤلف في " مختصر الموضوعات " ساكتا عليه، وحكاه عنه في " الكبير " وأقره فكان ينبغي حذفه من هذا الكتاب وفاء بشرطه
وممن جزم بوضعه ابن عراق والهندي وغيرهما
قلت: ومنهم ابن القيم في " المنار " (39)

হাদিসের মানঃ জাল (Fake)

২৩। আল্লাহ এমন এক সত্তা যিনি জীবন দান করেন, আবার মৃত্যুও দেন। তিনি চিরঞ্জীব মৃত্যুবরণ করবেন না। তুমি ক্ষমা কর আমার মা ফাতিমা বিনতু আসা’দকে। তাঁকে উপাধি দাও তাঁর অলংকার হিসেবে, তাঁর প্রবেশ পথকে প্রশস্ত কর, তোমার নবীকে সত্য ও আমার পূর্ববর্তী সকল নবীকে সত্য জানার দ্বারা। কারন তুমিই সকল দয়ালুর মাঝে সর্বাপেক্ষা দয়াবান।

হাদীসটি দুর্বল।

হাদীসটি তাবারানী “মুজামুল কাবীর” গ্রন্থে (২৪/৩৫১,৩৫২) ও “মুজামুল আওসাত” গ্রন্থে (১/১৫২-১৫৩) বর্ণনা করেছেন এবং তার সূত্রে আবু নু’য়াইম "হিলইয়াহতুল আওলিয়া” গ্রন্থে (৩/১২১) উল্লেখ করেছেন। যখন আলী (রাঃ)-এর মা ফাতিমা বিনতে আসাদ বিন হিশাম মারা গেলেন, তখন কবর খোড়ার পর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উক্ত দোআ পড়েন বলে কথিত আছে।

এ হাদীসের সনদে রাওহ ইবনু সলাহ নামক একজন বর্ণনাকারী আছেন। তার সম্পর্কে তাবারানী বলেনঃ তিনি হাদীসটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন । তাকে মুহাদ্দিসগণ দুর্বল বর্ণনাকারী বলে আখ্যা দিয়েছেন। যেমন ইবনু আদী (৩/১০০৫) বলেছেনঃ তিনি দুর্বল। ইবনু ইউনুস বলেনঃ তার থেকে বহু মুনকার হাদীস বর্ণিত হয়েছে। দারাকুতনী বলেছেনঃ তিনি হাদীসের ক্ষেত্রে য’ঈফ। ইবনু মাকুলা বলেনঃ মুহাদ্দিসগণ তাকে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন।

কোন কোন শিথিলতা প্রদর্শনকারী মুহাদ্দিস তাকে নির্ভরযোগ্য বলেছেন। যেমন ইবনু হিব্বান ও হাকিম। কিন্তু তাদের কথা গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ মুহাদ্দিসগণের মধ্যে যখন কোন হাদীসের ক্ষেত্রে এরূপ দ্বন্দ্ব দেখা দেয়, তখন তাদের দু’জনের কথা গৃহীত হয় না। কারণ তারা বহু অজ্ঞাত বর্ণনাকারীর হাদীসকেও সহীহ আখ্যা দিয়েছেন, অথচ হাদীসটি সহীহ নয়। তারা উভয়ে শিথিলতা প্রদর্শনকারী হিসাবে প্রসিদ্ধ। এ শাস্ত্রে যারা বেশি বিজ্ঞ তাদের নিকট রাওহ দুর্বল। আর হাদীস শাস্ত্রের থিওরি অনুযায়ী ব্যাখ্যাকৃত দোষারোপ প্রাধান্য পাবে যারা কাউকে নির্ভরযোগ্য বলবেন তার উপর।

কাওসারীও তার "আল-মাকালাত” গ্রন্থে (পৃ. ১৮৫) বলেছেনঃ সহীহ আখ্যা দেয়ার ক্ষেত্রে হাকিম ও ইবনু হিব্বান শিথিলতা প্রদর্শনকারী হিসাবে প্রসিদ্ধ। এ কথা বলে তিনি হাকিম এবং ইবনু হিব্বান কর্তৃক নির্ভরযোগ্য বলা ব্যক্তির বর্ণনাকৃত হাদীসকে গ্রহণ করেননি। অতএব যেখানে অন্যান্য মুহাদ্দিসগণ তাকে দুর্বল হিসাবে উল্লেখ করেছেন, সেখানে ইবনু হিব্বান ও হাকিম নির্ভরযোগ্য বলেছেন, এ কথা বলে তার (কাওসারী কর্তৃক) এ হাদীসটিকে সহীহ বলা গ্রহণযোগ্য নয়।

الله الذي يحيي ويميت وهو حي لا يموت، اغفر لأمي فاطمة بنت أسد ولقنها حجتها ووسع عليها مدخلها، بحق نبيك والأنبياء الذين من قبلي فإنك أرحم الراحمين
ضعيف

-

رواه الطبراني في " الكبير " (24 / 351 ـ 352) و" الأوسط " (1 / 152 ـ 153 ـ الرياض) ، ومن طريقه أبو نعيم في " حلية الأولياء " (3 / 121) : حدثنا أحمد بن حماد بن زغبة قال روح بن صلاح قال: حدثنا سفيان الثوري عن عاصم الأحول ومن طريقه أبو نعيم في " حلية الأولياء " (3 / 121) عن أنس بن مالك قال: لما ماتت فاطمة بنت أسد بن هاشم أم علي رضي الله عنهما ... دعا أسامه بن زيد وأبا أيوب الأنصاري وعمر بن الخطاب وغلاما أسود يحفرون ... فلما فرغ، دخل رسول الله صلى الله عليه وسلم فاضطجع فيه فقال ... فذكره، وقال الطبراني: تفرد به روح بن صلاح.
قلت: قال الهيثمي في " مجمع الزوائد " (9 / 257) : وفيه روح بن صلاح وثقه ابن حبان والحاكم وفيه ضعف، وبقية رجاله رجال الصحيح.
وفي قوله: وبقية رجاله رجال الصحيح نظر رجيح، ذلك لأن زغبة هذا ليس من رجال الصحيح، بل لم يروله إلا النسائي، أقول هذا مع العلم أنه في نفسه ثقة.
بقي النظر في حال روح بن صلاح وقد تفرد به كما قال الطبراني، فقد وثقه ابن حبان والحاكم كما ذكر الهيثمي، ولكن قد ضعفه من قولهم أرجح من قولهما لأمرين: الأول: أنه جرح والجرح مقدم على التعديل بشرطه.
والآخر: أن ابن حبان متساهل في التوثيق فإنه كثيرا ما يوثق المجهولين حتى الذين يصرح هو نفسه أنه لا يدري من هو ولا من أبوه؟ كما نقل ذلك ابن عبد الهادي في " الصارم المنكي " ومثله في التساهل الحاكم كما لا يخفى على المتضلع بعلم التراجم والرجال فقولهما عند التعارض لا يقام له وزن حتى ولوكان الجرح مبهما لم يذكر له سبب، فكيف مع بيانه كما هو الحال في ابن صلاح هذا؟ ! فقد ضعفه ابن عدي (3 / 1005) ، وقال ابن يونس: رويت عنه مناكير، وقال الدارقطني: ضعيف في الحديث، وقال ابن ماكولا: ضعفوه، وقال ابن عدي بعد أن خرج له حديثين: وفي بعض حديثه نكرة.
فأنت ترى أئمة الجرح قد اتفقت عباراتهم على تضعيف هذا الرجل، وبينوا أن السبب روايته المناكير، فمثله إذا تفرد بالحديث يكون منكرا لا يحتج به، فلا يغتر بعد هذا بتوثيق من سبق ذكره إلا جاهل أو مغرض.
ومما تقدم يتبين للمنصف أن الشيخ زاهدا الكوثري ما أنصف العلم حين تكلم على هذا الحديث محاولا تقويته حيث اقتصر على ذكر التوثيق السابق في روح بن صلاح دون أن يشير أقل إشارة إلى أن هناك تضعيفا له ممن هم أكثر وأو ثق ممن وثقه! انظر (ص 379) من " مقالات الكوثرى " نفسه!
ومن عجيب أمر هذا الرجل أنه مع سعة علمه يغلب عليه الهوى والتعصب للمذهب ضد أنصار السنة وأتباع الحديث الذين يرميهم ظلما بالحشوية فتراه هنا يميل إلى تقوية هذا الحديث معتمدا على توثيق ابن حبان ما دام هذا الحديث يعارض ما عليه أنصار السنة!
فإذا كان الحديث عليه لا له فتراه يرده وإن كان ابن حبان صححه أو وثق رواته!
فانظر إليه مثلا يقول في حديث مضيه صلى الله عليه وسلم في صلاته بعد خلع النعل النجسة وقد أخرجه ابن حبان والحاكم في " صحيحيهما " قال: وتساهل الحاكم وابن حبان في التصحيح مشهور! ! (انظر ص 185) من " مقالاته ".
والحديث صحيح كما بينته في " صحيح أبي داود " وإعلاله بتساهل المذكورين تدليس خبيث، لأنه ليس فيه من لم يوثقه غيرهما، بل رجاله كلهم رجال مسلم.
وانظر إليه في كلامه على حديث الأو عال وتضعيفه إياه وهو في ذلك مصيب تراه يعتمد في ذلك على أن راويه عبد الله بن عميرة مجهول، ثم يستدرك في التعليق فيقول (ص 309) : نعم ذكره ابن حبان في الثقات، لكن طريقته في ذلك أن يذكر في الثقات من لم يطلع على جرح فيه، فلا يخرجه ذلك عن حد الجهالة عند الآخرين، وقد رد ابن حجر شذوذ ابن حبان هذا في " لسان الميزان ".
قلت: فقد ثبت بهذه النقول عن الكوثري أن من مذهبه عدم الاعتماد على توثيق ابن حبان والحاكم لتساهلهما في ذلك، فكيف ساغ له أن يصحح الحديث الذي نحن في صدد الكلام عليه لمجرد توثيقهما لراويه روح بن صلاح، ولاسيما أنه قد صرح غيرهما ممن هو أعلم منهما بالرجال بتضعيفه؟ ! اللهم لولا العصبية المذهبية لم يقع في مثل هذه الخطيئة، فلا تجعل اللهم تعصبنا إلا للحق حيثما كان.
ومن الأحاديث الضعيفة في التوسل وهي في الوقت نفسه تدل على تعصب الكوثري

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)

২৫। আদম (আঃ) যখন গুনাহ করে ফেললেন, তিনি বললেনঃ হে আমার প্রভু! তোমার নিকট মুহাম্মদকে সত্য জেনে প্রার্থনা করেছি। আমাকে ক্ষমা করে দাও। আল্লাহ বললেনঃ হে আদম! তুমি কিভাবে মুহাম্মদকে চিনলে, অথচ আমি তাকে সৃষ্টি করিনি? (আদম) বললেনঃ হে আমার প্রভু! আপনি আমাকে যখন আপনার হাত দ্বারা সৃষ্টি করেছিলেন এবং আমার মধ্যে আপনার আত্মা থেকে আত্মার প্রবেশ ঘটান, তখন আমি আমার মাথা উঁচু করেছিলাম। অতঃপর আমি আরশের স্তম্ভগুলোতে (খুঁটি) লিখা দেখেছিলাম লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ। আমি জেনেছি যে, আপনার কাছে সর্বাপেক্ষা ভালবাসার সৃষ্টি ব্যাতীত অন্য কাউকে আপনি আপনার নামের সাথে সম্পৃক্ত করবেন না। সত্যই বলেছ হে আদম! নিশ্চয় তিনি আমার নিকট সর্বাপেক্ষা ভালবাসার সৃষ্টি। তুমি তাঁকে হক জানার দ্বারা আমাকে ডাক। আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিব। মুহাম্মদ যদি না হতো আমি তোমাকে সৃষ্টি করতাম না।

হাদীসটি জাল।

ইমাম হাকিম “আল-মুসতাদরাক” গ্রন্থে (২/৬১০) এবং তার সূত্রে ইবনু আসাকির (২/৩২৩/২) ও বাইহাকী “দালায়েলুন নবুওয়াহ" গ্রন্থে (৫/৪৮৮) রহমান ইবনু যায়েদ ইবনে আসলাম হতে ... বর্ণনা করেছেন।

হাকিম বলেনঃ হাদীসটির সনদ সহীহ। যাহাবী তার বিরোধিতা করে বলেছেনঃ বরং হাদীসটি বানোয়াট। আব্দুর রহমান দুর্বল আর আব্দুল্লাহ ইবনু মুসলিম আল-ফিহরী কে তা জানি না।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ ফিহরীকে “মীযানুল ইতিদাল” গ্রন্থে এ হাদীসটির কারণে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি (যাহাবী) বলেছেনঃ হাদীসটি বাতিল।

বাইহাকী বলেনঃ হাদীসটি আব্দুর রহমান ইবনু যায়েদ একক ভাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি দুর্বল।

ইবনু কাসীর তার “আত-তারীখ” গ্রন্থে (২/৩২৩) তা সমর্থন করেছেন। আর হাফিয ইবনু হাজার “আল-লিসান” গ্রন্থে যাহাবীর সাথে ঐকমত্য পোষণ করে বলেছেনঃ হাদীসটি বাতিল। আমি (আলবানী) বলছিঃ ইবনু হিব্বান বর্ণনাকারী আব্দুল্লাহ ইবনু মুসলিম ইবনে রাশীদ সম্পর্কে বলেনঃ তিনি হাদীস জাল করার দোষে দোষী। তিনি লাইস, মালেক এবং ইবনু লাহিয়ার উপর হাদীস জাল করতেন। তার হাদীস লিখা হালাল নয়।

হাকিম কর্তৃক এ হাদীসের বর্ণনা তার বিপক্ষেই গেছে। কারণ হাকিম সহীহ বললেও তিনি “আল-মাদখাল ইলা মারিফাতিস সহীহে মিনাস সাকিমে” নামক গ্রন্থে বলেছেনঃ আব্দুর রহমান ইবনু যায়েদ ইবনে আসলাম তার পিতা হতে কতিপয় জাল হাদীস বর্ণনা করেছেন। একই কথা আবু নু’য়াইমও বলেছেন।

ইবনু তাইমিয়া বলেছেনঃ এ আব্দুর রহমান ইবনু আসলাম দুর্বল হওয়ার ব্যাপারে সকল মুহাদ্দিসগণ একমত। ইবনুল জাওযী বলেনঃ আপনি যদি হাদীস শাস্ত্রের পণ্ডিতদের কিতাবগুলো খুঁজেন, তাহলে তাকে কেউ দুর্বল বলেননি এরূপ পাবেন না। বরং তাকে আলী ইবনুল মাদীনী এবং ইবনু সাদ অত্যন্ত দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন।

ইমাম তাহাবী বলেনঃ তার হাদীসের বিদ্বানদের নিকটে চরম পর্যায়ের দুর্বল। ইবনু হিব্বান বলেনঃ তিনি না জেনে হাদীসকে উলট পালট করে ফেলতেন। তিনি বহু মুরসাল বর্ণনা ও মওকুফ সনদকে মারফু করে ফেলেছেন। এ জন্য তাকে পরিত্যাগ করাই হচ্ছে তার প্রাপ্য।

আমি (আলবানী) বলছিঃ সম্ভবত হাদীসটি ইসরাইলী বর্ণনা হতে এসেছে। ভুল করে আব্দুর রহমান ইবনু যায়েদ মারফু করে ফেলেছেন। কারণ আলোচিত ফেহরী সূত্রেই হাদীসটি মওকুফ হিসাবে বর্ণিত হয়েছে। আবূ বকর আজুরী “আশ-শারীয়াহ" গ্রন্থে (পৃ. ৪২৭) তা উল্লেখ করেছেন। এছাড়া আবূ মারওয়ান উসমানী সূত্রে উসমান ইবনু খালিদ হতে মওকুফ হিসাবে বর্ণিত হয়েছে, কিন্তু তারা দু’জনই দুর্বল। ইবনু আসাকিরও অনুরূপ ভাবে (২/৩১০/২) মদিনাবাসী এক শাইখ হতে ইবনু মাসউদ (রাঃ)-এর সাথীদের থেকে বর্ণনা করেছেন। এটির সনদে একাধিক মাজহুল বর্ণনাকারী রয়েছেন। মোটকথা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে হাদীসটির কোন ভিত্তি নেই। হাদীসটিকে দু’ হাফিয যাহাবী ও আসকালানী বাতিল বলে হুকুম লাগিয়েছেন। যেমনটি পূর্বে আলোচনা করা হয়েছে।

পরবর্তীতে বর্ণিত ৪০৩ নং হাদীসটিও এ হাদীসটি বাতিল হওয়ার প্রমাণ বহন করে।*

لما اقترف آدم الخطيئة، قال: يا رب أسألك بحق محمد لما غفرت لي، فقال الله: يا آدم وكيف عرفت محمدا ولم أخلقه؟ قال: يا رب لما خلقتني بيدك، ونفخت في من روحك، رفعت رأسي، فرأيت على قوائم العرش مكتوبا لا إله إلا الله محمد رسول الله، فعلمت أنك لم تضف إلى اسمك إلا أحب الخلق إليك، فقال الله: صدقت يا آدم إنه لأحب الخلق إلي، ادعني بحقه فقد غفرت لك، ولولا محمد ما خلقتك
موضوع

-

أخرجه الحاكم في " المستدرك " (2 / 615) وعنه ابن عساكر (2 / 323 / 2) وكذا البيهقي في باب ما جاء فيما تحدث به صلى الله عليه وسلم بنعمة ربه من " دلائل النبوة " (5 / 488) من طريق أبي الحارث عبد الله بن مسلم الفهري، حدثنا إسماعيل ابن مسلمة، نبأنا عبد الرحمن بن زيد بن أسلم عن أبيه عن جده عن عمر بن الخطاب مرفوعا، وقال الحاكم: صحيح الإسناد، وهو أول حديث ذكرته لعبد الرحمن بن زيد بن أسلم في هذا الكتاب
فتعقبه الذهبي بقوله: بل موضوع، وعبد الرحمن واه، وعبد الله بن مسلم الفهري لا أدري من هو.
قلت: والفهري هذا أورده في " ميزان الاعتدال " لهذا الحديث وقال: خبر باطل رواه البيهقي في " دلائل النبوة " وقال البيهقي: تفرد به عبد الرحمن بن زيد ابن أسلم وهو ضعيف
وأقره ابن كثير في " تاريخه " (2 / 323) ووافقه الحافظ ابن حجر في " اللسان " أصله " الميزان" على قوله: خبر باطل وزاد عليه قوله في هذا الفهري: لا أستبعد أن يكون هو الذي قبله فإنه من طبقته
قلت: والذي قبله هو عبد الله بن مسلم بن رشيد، ذكره ابن حبان فقال: متهم بوضع الحديث، يضع على ليث ومالك وابن لهيعة لا يحل كتب حديثه، وهو الذي روى عن ابن هدبة نسخة كأنها معمولة
والحديث أخرجه الطبراني في " المعجم الصغير " (207) من طريق أخرى عن عبد الرحمن بن زيد ثم قال: لا يروي عن عمر إلا بهذا الإسناد.
وقال الهيثمي في " المجمع " (8 / 253) : رواه الطبراني في " الأوسط " و" الصغير " وفيه من لم أعرفهم
قلت: وهذا إعلال قاصر ما دام فيه عبد الرحمن بن زيد، قال شيخ الإسلام ابن تيمية في " القاعدة الجليلة في التوسل والوسيلة " (ص 69) : ورواية الحاكم لهذا الحديث مما أنكر عليه، فإنه نفسه قد قال في كتاب " المدخل إلى معرفة
الصحيح من السقيم ": عبد الرحمن بن زيد بن أسلم روى عن أبيه أحاديث موضوعة لا يخفى على من تأملها من أهل الصنعة أن الحمل فيها عليه
قلت: وعبد الرحمن بن زيد بن أسلم ضعيف باتفاقهم يغلط كثيرا
وصدق شيخ الإسلام في نقله اتفاقهم على ضعفه وقد سبقه إلى ذلك ابن الجوزي، فإنك إذا فتشت كتب الرجال، فإنك لن تجد إلا مضعفا له، بل ضعفه جدا علي بن المديني وابن سعد، وقال الطحاوى: حديثه عند أهل العلم بالحديث في النهاية من الضعف
وقال ابن حبان: كان يقلب الأخبار وهو لا يعلم حتى كثر ذلك في روايته من رفع المراسيل وإسناد الموقوف، فاستحق الترك
وقال أبو نعيم نحوما سبق عن الحاكم: روى عن أبيه أحاديث موضوعة
قلت: ولعل هذا الحديث من الأحاديث التي أصلها موقوف ومن الإسرائيليات، أخطأ عبد الرحمن بن زيد فرفعها إلى النبي صلى الله عليه وسلم، ويؤيد هذا أن أبا بكر الآجري أخرجه في " الشريعة " (ص 427) من طريق الفهري المتقدم بسند آخر له عن عبد الرحمن بن زيد عن أبيه عن جده عن عمر بن الخطاب موقوفا عليه
ورواه (ص 422 - 425) من طريق أبي مروان العثماني قال: حدثني أبي (في الأصل: ابن وهو خطأ) عثمان بن خالد عن عبد الرحمن بن أبي الزناد عن أبيه قال: " من الكلمات التي تاب الله عز وجل على آدم عليه السلام أنه قال: اللهم إني أسألك بحق محمد عليك.. " الحديث نحوه وليس فيه ادعني بحقه إلخ
وهذا موقوف وعثمان وابنه أبو مروان ضعيفان لا يحتج بهما لورويا حديثا مرفوعا، فكيف وقد رويا قولا موقوفا على بعض أتباع التابعين وهو قد أخذه - والله أعلم - من مسلمة أهل الكتاب أو غير مسلمتهم أو عن كتبهم التي لا ثقة لنا بها كما بينه شيخ الإسلام في كتبه
وكذلك رواه ابن عساكر (2 / 310 / 2) عن شيخ من أهل المدينة من أصحاب ابن مسعود من قوله موقوفا عليه وفيه مجاهيل
وجملة القول: أن الحديث لا أصل له عنه صلى الله عليه وسلم فلا جرم أن حكم عليه بالبطلان الحافظان الجليلان الذهبي والعسقلاني كما تقدم النقل عنهما
ومما يدل على بطلانه أن الحديث صريح في أن آدم عليه السلام عرف النبي صلى الله عليه وسلم عقب خلقه، وكان ذلك في الجنة، وقبل هبوطه إلى الأرض، وقد جاء في حديث إسناده خير من هذا على ضعفه أنه لم يعرفه إلا بعد نزوله إلى الهند وسماعه باسمه في الأذان! انظر الحديث (403)
ومع هذا كله فقد جازف الشيخ الكوثري وصححه مع اعترافه بضعف عبد الرحمن بن زيد لكنه استدرك (ص 391) فقال: إلا أنه لم يتهم بالكذب، بل بالوهم، ومثله ينتقى بعض حديثه
قلت: لقد بلغ به الوهم إلى أنه روى أحاديث موضوعة كما تقدم عن الحاكم وأبي نعيم، فمثله لا يصلح أن ينتقى من حديثه حتى عند الكوثري لولا العصبية والهوى، فاسمع إن شئت ما قاله (ص 42) في صدد حكمه بالوضع على حديث " إياكم وخضراء الدمن ... " وقد تقدم برقم (14)
وإنما مدار الحكم على الخبر بالوضع أو الضعف الشديد من حيث الصناعة الحديثية هو انفراد الكذاب أو المتهم بالكذب أو الفاحش الخطأ به
وقد علمت مما سبق أن مدار الحديث على عبد الرحمن بن زيد الفاحش الخطأ، فيكون حديثه ضعيفا جدا على أقل الأحوال عنده لو أنصف
ومن عجيب أمره أنه يقول عقب عبارته السابقة (ص 391) : وهذا هو الذي فعله الحاكم حيث رأى أن الخبر مما قبله مالك فيما روى ابن حميد عنه حيث قال لأبي جعفر المنصور: وهو وسيلتك ووسيلة أبيك آدم عليه السلام
فمن أين له أن الحاكم رأى أن الخبر مما قبله مالك؟ ! فهل يلزم من كون الرجل كان حافظا أنه كان يحفظ كل شيء عن أي إمام، هذا ما لا يقوله إنسان؟ ! فمثل هذا لابد فيه من نقل يصرح بأن الحاكم رأى ... وإلا فمن ادعى ذلك فقد قفى ما ليس له به علم
ثم هب أن مالكا قبل الخبر، فهل ذلك يلزم غيره أن يقبله وهو لم يذكر إسناده المتصل منه إلى النبي صلى الله عليه وسلم، أفلا يجوز أن يكون ذلك من الإسرائيليات التي تساهل العلماء في روايتها عن بعض مسلمة أهل الكتاب مثل كعب الأحبار، فقد كان يروي عنه بعضها ابن عمر وابن عباس وأبوهريرة باعتراف الكوثري نفسه (ص 34 ـ " مقالة كعب الأحبار والإسرائيليات ") فإذا جاز هذا لهؤلاء، أفلا يجوز ذلك لمالك؟ بلى ثم بلى
فثبت أن قول مالك المذكور لا يجوز أن يكون شاهدا مقويا للحديث المروى عن النبي صلى الله عليه وسلم
وهذا كله يقال لوثبت ذلك عن مالك، كيف ودون ثبوته خرط القتاد! فإنه يرويه عنه ابن حميد وهو محمد بن حميد الرازي في الراجح عند الكوثري ثم اعتمد هو على توثيق ابن معين إياه وثناء أحمد والذهلي عليه، وتغافل عن تضعيف جمهو ر الأئمة له، بل وعن تكذيب كثيرين منهم إياه، مثل أبي حاتم والنسائي وأبي زرعة وصرح هذا أنه كان يتعمد الكذب، ومثل ابن خراش فقد حلف بالله أنه كان يكذب، وقال صالح بن محمد الأسدي: كل شيء كان يحدثنا ابن حميد كنا نتهمه فيه، وقال في موضع آخر: كانت أحاديثه تزيد، وما رأيت أحدا أجرأ على الله منه، وقال أيضا: ما رأيت أحدا أحذق بالكذب من رجلين سليمان الشاذكوني ومحمد ابن حميد، كان يحفظ حديثه كله
وقال أبو علي النيسابوري: قلت لابن خزيمة: لوحدث الأستاذ عن محمد بن حميد فإن أحمد قد أحسن الثناء عليه؟ فقال: إنه لم يعرفه، ولوعرفه كما عرفناه ما أثنى عليه أصلا
فهذه النصوص تدل على أن الرجل كان مع حفظه كذابا، والكذب أقوى أسباب الجرح وأبينها، فكيف ساغ للشيخ تقديم التعديل على الجرح المفسر مع أنه خلاف معتقده؟
علم ذلك عند من يعرف مبلغ تعصبه على أنصار السنة وأهل الحديث، وشدة عداوته إياهم سامحه الله وعفا عنه
فتبين مما ذكرناه أن هذه القصة المروية عن مالك قصة باطلة موضوعة، وقد حقق القول في ذلك على طريقة أخرى شيخ الإسلام في " القاعدة الجليلة " (1 / 227 - ضمن مجموع الفتاوى) وابن عبد الهادي في " الصارم المنكي " فليراجعهما من أراد المزيد من الاطلاع على بطلانها، فإن فيما أوردت كفاية
وبذلك ثبت وضع حديث توسل آدم بالنبي صلى الله عليه وسلم، وخطأ من خالف.ولقد أطلت كثيرا في تحقيق الكلام عليه وعلى الأحاديث التي قبله، وما كنت أو د ذلك لولا أنى وجدت نفسي مضطرا لذلك، لما وقفت على مغالطات الشيخ الكوثري، فرأيت من الواجب الكشف عنها لئلا يغتر بها من لا علم له بما هنالك! فمعذرة إلى القراء الكرام
هذا وإن من الآثار السيئة التي تركتها هذه الأحاديث الضعيفة في التوسل أنها صرفت كثيرا من الأمة عن التوسل المشروع إلى التوسل المبتدع، ذلك لأن العلماء متفقون - فيما أعلم - على استحباب التوسل إلى الله تعالى باسم من أسمائه أو صفة من صفاته تعالى، وعلى توسل المتوسل إليه تعالى بعمل صالح قدمه إليه عز وجل
ومهما قيل في التوسل المبتدع فإنه لا يخرج عن كونه أمرا مختلفا فيه، فلو أن الناس أنصفوا لانصرفوا عنه احتياطا وعملا بقوله صلى الله عليه وسلم " دع ما يريبك إلى ما لا يريبك " إلى العمل بما أشرنا إليه من التوسل المشروع، ولكنهم مع الأسف أعرضوا عن هذا وتمسكوا بالتوسل المختلف فيه كأنه من الأمور اللازمة التي لابد منها ولازموها ملازمتهم للفرائض! فإنك لا تكاد تسمع شيخا أو عالما يدعوبدعاء يوم الجمعة وغيره إلا ضمنه التوسل المبتدع، وعلى العكس من ذلك فإنك لا تكاد تسمع أحدهم يتوسل بالتوسل المستحب كأن يقول مثلا: اللهم إنى أسألك بأن لك الحمد لا إله ألا أنت وحدك لا شريك لك المنان، يا بديع السموات والأرض، يا ذا الجلال والإكرام يا حي يا قيوم إني أسألك ... مع أن فيه الاسم الأعظم الذي إذا دعي به أجاب وإذا سئل به أعطى كما قال صلى الله عليه وسلم فيما صح عنه
فهل سمعت أيها القارئ الكريم أحدا يتوسل بهذا أو بغيره مما في معناه؟ أما أنا فأقول آسفا: إننى لم أسمع ذلك، وأظن أن جوابك سيكون كذلك، فما السبب في هذا؟ ذلك هو من آثار انتشار الأحاديث الضعيفة بين الناس
وجهلهم بالسنة الصحيحة، فعليكم بها أيها المسلمون علما وعملا تهتدوا وتعزو ا
وبعد طبع ما تقدم اطلعت على رسالة في جواز التوسل المبتدع لأحد مشايخ الشمال المتهو رين، متخمة بالتناقض الدال على الجهل البالغ، وبالضلال والأباطيل والتأويلات الباطلة والافتراء على العلماء بل الإجماع! مثل تجويز الاستغاثة بالموتى والنذر لهم، وزعمه أن توحيد الربوبية وتوحيد الألوهية متلازمان
وغير ذلك مما لا يقول به عالم مسلم، كما أنه حشاها بالأحاديث الضعيفة والواهية كما هي عادته في كل ما له من رسائل - وليته سكت عنها، بل إنه صحح بعض ما هو معروف منها بالضعف كقوله (ص 42) وفي الأحاديث الصحيحة: " إن أحب الخلق إلى الله أنفعهم لعباده " وغير ذلك مما لا يمكن البحث فيه الآن
وإنما القصد أن أنبه القراء على ما وقع في كلامه على الأحاديث المتقدمة في التوسل من التدليس بل الكذب المكشوف ليوهمهم صحتها، كي يكونوا في حذر منه ومن أمثاله من الذين لا يتقون الله فيما يكتبون، لأن غرضهم الانتصار لأهو ائهم وما وجدوا عليه آبائهم وأمهاتهم
فحديث أنس (رقم 23) الذي بينا ضعف إسناده، أو هم هو أنه صحيح بتمكسه بتوثيق ابن حبان والحاكم لروح بن صلاح! وقد أثبتنا ضعف هذا الراوي وعدم اعتداد العلماء بتوثيق المذكورين فتذكر، كما أثبتنا عدم أمانة الكوثري في النقل واتباعه للهو ى وقد جرى على طريقته هذه مؤلف هذه الرسالة بل زاد عليه! فإنه بعد أن ساق الحديث موهما القاريء أنه صحيح قال عقبه (ص 15): ولهذا طرق منها عن ابن عباس عند أبي نعيم في " المعرفة " والديلمي في " الفردوس " بإسناد حسن كما قاله الحافظ السيوطي
فهذا كذب منه على ابن عباس رضي الله عنه - وربما على السيوطي أيضا - فليس في حديث ابن عباس موضع الشاهد من حديث أنس وهو قوله " بحق نبيك والأنبياء الذين قبلي فإنك أرحم الراحمين " وذلك مما يوهن هذه الزيادة ولا يقويها خلافا لمحاولة المؤلف الفاشلة المغرضة
وأما حديث عمر (رقم 25) فقال في تخريجه (ص 15)
وأخرج البيهقي في " دلائل النبوة " وقد التزم أن لا يذكر في هذا الكتاب حديثا موضوعا
قلت: والجواب من وجهين
الأول: أن الالتزام المذكور غير مسلم به، فقد أخرج فيه غيرما حديث موضوع وقد نص على ذلك بعض النقاد، ومن يتتبع مقالاتنا هذه في الأحاديث الضعيفة والموضوعة يجد أمثلة على ذلك وحسبك دليلا الآن هذا الحديث فقد حكم عليه الحافظان الذهبي والعسقلاني بأنه حديث باطل كما سبق، فما بال المؤلف يتغاضى عن حكمهما وهما المرجع في هذا الشأن ويتعلق بالمتشابه من الكلام؟
الآخر: أن البيهقي الذي أخرجه في " الدلائل " قد ضعف الحديث فيه كما سبق نقله عنه، فإن لم يكن الحديث عنده موضوعا فهو على الأقل ضعيف، فهو حجة على الشيخ الذي يحاول بتحريف الكلام أن يجعله صحيحا؟
ثم نقل المؤلف تخريج الحاكم للحديث وتصحيحه إياه، وتغاضى أيضا عن تعقب الذهبي إياه الذي سبق أن ذكرناه، والذي يصرح فيه أنه حديث موضوع! كما تغاضى عن حال راويه عبد الرحمن بن زيد بن أسلم، الذي اتهمه الحاكم نفسه بالوضع
وعن غيره ممن لا يعرف حاله أو هو متهم، وعن قول الحافظ الهيثمي في الحديث فيه من لم أعرفهم
عجبا من هذا المؤلف وأمثاله إنهم يزعمون أن باب الاجتهاد قد أغلق على الناس فليس لهم أن يجتهدوا لا في الحديث تصحيحا وتضعيفا، ولا في الفقه، ترجيحا وتفريعا، ثم هم يجتهدون فيما لا علم لهم فيه البتة، وهو علم الحديث
ويضربون بكلام ذوي الاختصاص عرض الحائط! ثم هم إن قلدوا قلدوا دون علم متبعين أهواءهم، وإلا فقل لي بالله عليك: إذا صحح الحاكم حديثا - وهو معروف بتساهله في ذلك - ورده عليه أمثال الذهبي والهيثمي والعسقلاني أفيجوز والحالة هذه التعلق بتصحيح الحاكم؟! اللهم إن هذا لا يقول به إلا جاهل أو مغرض! اللهم فاحفظنا من اتباع الهوى حتى لا يضلنا عن سبيلك
ثم زعم المؤلف (ص 16) أن الإمام مالكا قد صح عنده محل الشاهد من هذا الحديث حيث قال للخليفة العباسى: ولم تصرف وجهك عنه صلى الله عليه وسلم وهو وسيلتك ووسيلة أبيك آدم؟
وقد بينا فيما سلف بطلان نسبة هذه القصة إلى مالك، وأما المؤلف فلا يهمه التحقق من ذلك، وسيان عنده أثبتت أو لم تثبت، ما دام أنها تؤيد هواه وبدعته إذ الغاية عنده تسوغ الوسيلة
ومن تهو ر هذا المؤلف وجهله أنه يصرح (ص 12) : أن التوسل برسول الله صلى الله عليه وسلم وسائر الأنبياء والأولياء والصالحين والاستغاثة بهم ... مما أجمعت عليه الأمة قبل ظهور هذا المبتدع ابن تيمية الذي جاء في القرن الثامن الهجري وابتدع بدعته
فإن إنكار التوسل بغير الله تعالى مما صرح به بعض الأئمة الأولين المعترف بفضلهم وفقههم، وقد نقلنا نص أبي حنيفة في ذلك (ص 77) من الكتب الموثوق بها من كتب الحنفية وفيها عن صاحبيه الإمام محمد وأبي يوسف نحوذلك مما يعتبر قاصمة الظهر لهؤلاء المبتدعة، فأين الإجماع المزعوم أيها المتهور؟ ! وإن من أكبر الافتراء على الإجماع أن ينسب إليه هذا المؤلف جواز الاستغاثة بالأموات من الصالحين؟ وهذه ضلالة كبري لم يقل بها - والحمد لله - أحد من سلف الأمة وعلمائها، ونحن نتحدى المؤلف وغيره من أمثاله أن يأتينا ولو بشبه نص عنهم في جواز ذلك، بل المعروف في كتب أتباعهم خلاف ذلك ولولا ضيق المجال لنقلنا بعض النصوص عنهم
وأما حديث أبي سعيد الخدري (رقم 24) فاكتفى المؤلف (ص 36) بأن نقل تحسينه عن بعض العلماء، وقد بينا خطأ ذلك من وجوه بما لا مرد لها فأغنى عن الإعادة، والمؤلف لا يهمه مطلقا التحقيق العلمي لأنه ليس من أهله، بل هو يتعلق في سبيل تأييد هو اه بالأوهام ولوكانت كخيوط القمر أو مدد الأموات
وبهذه المناسبة أريد أن أقول كلمة وجيزة من جهة استدلال المؤلف بهذا الحديث وأمثاله على التوسل المبتدع فأقول
إن حق السائلين على الله تعالى هو أن يجيب دعاءهم، فلوصح هذا الحديث وما في معناه فليس فيه توسل ما إلى الله بالمخلوق، بل هو توسل إليه بصفة من صفاته وهي الإجابة، وهذا أمر مشروع خارج عن محل النزاع فتأمل منصفا، وبهذا يسقط قول هذا المؤلف عقب الحديث: فالنبى صلى الله عليه وسلم توسل بالسائلين الأحياء والأموات، لأننا نقول هذا من تحريف الكلم فإننا نقول - إنما توسل - لوصح الحديث بحق السائلين، وعرفت المعنى الصحيح - وبحق الممشى، وهو الإثابة من الله لعبده، وذلك أيضا صفة من صفاته تعالى فأين التوسل المبتدع وهو التوسل بالذات؟
وأنهي هذا الرد السريع بتنبيه القراء الكرام إلى أمرين آخرين وردا في الرسالة المذكورة: الأمر الأول ذكر (ص 16) حديث الأعمى وقد سبق بيان معناه، ثم أتبعه بذكر قصة عثمان بن حنيف مع الرجل صاحب الحاجة وكيف أنه شكي إليه أنه يدخل على عثمان بن عفان فلا يلتفت إليه! فأمره ابن حنيف أن يدعو بدعاء الأعمى ... فدخل على عثمان بن عفان فقضى له حاجته! احتج المؤلف بهذه القصة على التوسل به صلى الله عليه وسلم بعد وفاته
وجوابنا من وجهين
الأول: أنها قصة موقوفة، والصحابة الآخرون لم يتوسلوا مطلقا به صلى الله عليه وسلم بعد وفاته، لأنهم يعلمون أن التوسل به معناه التوسل بدعائه وهذا غير ممكن كما سبق بيانه
الآخر: أنها قصة لا تثبت عن ابن حنيف، وبيان ذلك في رسالتنا الخاصة " التوسل أنواعه وأحكامه " وقد سبقت الإشارة إليها
ونحوذلك أنه: ذكر (ص 25) قصة مجيء بلال بن الحارث المزني الصحابى لما قحط الناس في عهد عمر إلى قبر النبي صلى الله عليه وسلم ومنادته إياه
يا رسول الله استسق لأمتك فإنهم قد هلكوا
فهذه أيضا قصة غير ثابتة وأو هم المؤلف صحتها محرفا لكلام بعض الأئمة، مقلدا في ذلك بعض ذوي الأهواء قبله، وتفصيل ذلك في الرسالة المومىء إليها

হাদিসের মানঃ জাল (Fake)

২৭। ধর্মীয় চেতনা আচ্ছাদিত করবে কুরআন বহনকারীদেরকে। তাঁদের পেটে কুরআনকে ইয্‌যত করার উদ্দেশ্যে।

হাদীসটি জাল।

হাদীসটি ইবনু আদী “আল-কামিল” গ্রন্থে (৭/২৫২৯) ওয়াহাব ইবনু ওয়াহাব সূত্রে নিজ সনদে মুয়ায ইবনু জাবাল (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। অতঃপর বলেছেনঃ وهب يضع الحديث ওয়াহাব হাদীস জাল করতেন। উকায়লী (৪/৩২৫) বলেনঃ أحاديثه كلها بواطيل তার সকল হাদীস বাতিল।

সুয়ুতীও ইবনু আদীর বর্ণনায় "জামেউস সাগীর” গ্রন্থে হাদীসটি উল্লেখ করেছেন। মানবী বলেনঃ তার সনদে ওয়াহাব ইবনু ওয়াহাব ইবনে কাসীর রয়েছেন। তার সম্পর্কে যাহাবী “আল-মীযান” গ্রন্থে বলেন, ইবনু মাঈন বলেছেনঃ তিনি মিথ্যা বলতেন। ইমাম আহমাদ বলেনঃ তিনি জাল করতেন। অতঃপর তার কতিপয় হাদীস উল্লেখ করে বলেছেন (যেগুলোর শেষে এটিও রয়েছে) এ হাদীসগুলো মিথ্যা।

الحدة تعتري حملة القرآن لعزة القرآن في أجوافهم
موضوع

-

أخرجه ابن عدي في " الكامل " (7 / 2529 ـ بيروت) من طريق وهب بن وهب بسنده عن معاذ بن جبل مرفوعا به، وقال: وهب يضع الحديث
وقال العقيلي (4 / 325 ـ دار الكتب) : أحاديثه كلها بواطيل
وأورده السيوطي في " الجامع الصغير " برواية ابن عدي عن معاذ، فقال المناوي
وفيه وهب بن وهب بن كثير قال في " الميزان ": قال ابن معين: يكذب، وقال أحمد: يضع
ثم سرد له أخبارا ختمها بهذا ثم قال: وهذه أحاديث مكذوبة

হাদিসের মানঃ জাল (Fake)

৪৩। আসমান ও যমীনের মাঝে রমাযান মাস ঝুলন্ত থাকে। তাঁকে যাকাতুল ফিতর প্রদান না করা পর্যন্ত আল্লাহর নিকটে উঠিয়ে নেয়া হয় না।

হাদীসটি দুর্বল।

হাদীসটি “জামেউস সাগীর” গ্রন্থে এসেছে। তাতে বলা হয়েছে ইবনু শাহীন তার “আত-তারগীব” গ্রন্থে এবং যিয়া জারীর হতে বর্ণনা করেছেন। অতঃপর তাকে দুর্বল হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। মানবী তার কারণ ব্যাখ্যা করে বলেছেনঃ হাদীসটি ইবনুল জাওযী “আল-ওয়াহিয়াত” গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেছেনঃ সহীহ নয়। সনদে মুহাম্মাদ ইবনু ওবায়েদ আল-বাসরী নামক বর্ণনাকারী আছেন, তিনি মাজহুল।

আমি (আলবানী) বলছিঃ “ইলালুল মুতানাহিয়া” গ্রন্থে (৮২৪) ইবনুল জাওযীর পূর্ণাঙ্গ কথা হচ্ছেঃ لا يتابع عليه তার অনুসরণ করা যায় না। হাফিয ইবনু হাজার তার কথাকে সমর্থন করেছেন।

আনাস (রাঃ)-এর হাদীস হতে আল-খাতীব (৯/১২১) বর্ণনা করেছেন, তার থেকে ইবনুল জাওযী “আল-ইলাল” গ্রন্থে (৮২৩) এবং ইবনু আসাকির (১২/২৩৯/২) বাকিয়া ইবনুল ওয়ালিদ সূত্রে আব্দুর রহমান ইবনু উসমান ইবনে উমার হতে বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ আব্দুর রহমানকে আমি চিনি না। বাহ্যিক ব্যাপার এই যে, তিনি বাকিয়ার মাজহুল শাইখদের একজন। ইবনুল জাওযী ধারণা করেছেন যে, তিনি হচ্ছেন বাকরাবী। যার সম্পর্কে ইমাম আহমাদ বলেনঃ লোকেরা তার হাদীসকে গ্রহণ করেনি।

شهر رمضان معلق بين السماء والأرض، ولا يرفع إلى الله إلا بزكاة الفطر
ضعيف

-

عزاه في " الجامع الصغير " لابن شاهين في " ترغيبه " والضياء عن جرير ورمز له بالضعف وبين سببه المناوي في شرحه فقال: أورده ابن الجوزي في " الواهيات " وقال: لا يصح فيه محمد بن عبيد البصري مجهول
قلت: وتمام كلام ابن الجوزي " العلل المتناهية " (824) : لا يتابع عليه
وأقره الحافظ عليه في اللسان
وأما قول المنذري في " الترغيب " (2 / 100) : رواه أبو حفص بن شاهين في " فضائل رمضان " وقال: حديث غريب جيد الإسناد
ففيه نظر من وجهين
الأول: ثبوت هذا النص في كتاب ابن شاهين المذكور، فإنى قد راجعت " فضائل رمضان " له في نسخة خطية جيدة في المكتبة الظاهرية بدمشق، فلم أجد الحديث فيه مطلقا، ثم إننى لم أره تكلم على حديث واحد مما أورده فيه بتصحيح أو تضعيف
ثم رأيت الحديث رواه أحمد بن عيسى المقدسي في " فضائل جرير " (2 / 24/ 2) من هذا الوجه وقال: رواه أبو حفص بن شاهين وقال: حديث غريب جيد الإسناد قال
ومعناه لا يرفع إلى الله عز وجل بغفران مما جنى فيه إلا بزكاة الفطر
فلعل ابن شاهين ذكر ذلك في غير " فضائل رمضان " أو في نسخة أخرى منه، فيها زيادات على التي وقفت عليها
الآخر: على افتراض ثبوت النص المذكور عن ابن شاهين فهو تساهل منه، وإلا فأنى للحديث الجودة مع جهالة راويه وقد تفرد به كما قال ابن الجوزي، وتبعه الحافظ ابن حجر العسقلاني كما سبق
وروي من حديث أنس أخرجه الخطيب (9 / 121) وعنه ابن الجوزي في " العلل " (823) ، وابن عساكر (12 / 239 / 2) عن بقية بن الوليد حدثني عبد الرحمن بن عثمان بن عمر عنه مرفوعا
قلت: وعبد الرحمن هذا لم أعرفه والظاهر أنه من شيوخ بقية المجهولين، وزعم ابن الجوزي أنه البكراوي الذي قال أحمد فيه: طرح الناس حديثه مردود، فإن هذا متأخر الوفاة مات سنة (195 هـ) فهو من طبقة بقية
ثم إن الحديث لوصح لكان ظاهر الدلالة على أن قبول صوم رمضان متوقف على إخراج صدقة الفطر، فمن لم يخرجها لم يقبل صومه، ولا أعلم أحدا من أهل العلم يقول به، والتأويل الذي نقلته آنفا عن المقدسي بعيد جدا عن ظاهر الحديث، على أن التأويل فرع التصحيح، والحديث ليس بصحيح
أقول هذا، وأنا أعلم أن بعض المفتين ينشر هذا الحديث على الناس كلما أتى شهر رمضان، وذلك من التساهل الذي كنا نطمع في أن يحذروا الناس منه، فضلا عن أن يقعوا فيه هم أنفسهم

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)

৪৭। যে ব্যাক্তি হাজ্জ (হজ্জ) করবে, অতঃপর আমার মৃত্যুর পর আমার কবর যিয়ারত করবে, সে যেন ঐ ব্যাক্তির ন্যায় যে জীবদ্দশায় আমার সাথে সাক্ষাৎ করেছে।

হাদীসটি জাল।

হাদীসটি তাবারানী “মুজামুল কাবীর” গ্রন্থে (৩/২০৩/২) এবং “আওসাত" গ্রন্থে (১/১২৬/২), ইবনু আদী “আল-কামিল” গ্রন্থে, দারাকুতনী তার “সুনান” গ্রন্থে (পৃ ২৭৯), বাইহাকী (৫/২৪৬) ও সিলাফী “আস-সানী আশার মিনাল মাশীখাতিল বাগদাদীয়াহ" গ্রন্থে (২/৫৪) বর্ণনা করেছেন। তারা প্রত্যেকেই হাফস ইবনু সুলায়মান আবী উমার সূত্রে লাইস ইবনু আবী সুলাইম হতে ... বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ দুটি কারণে হাদীসটির সনদ নিতান্তই দুর্বলঃ

১। লাইস ইবনু সুলাইম-এর মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছিল, যেমনটি বলা হয়েছে ২ নং হাদীসের আলোচনায়।

২। হাফস ইবনু সুলায়মান হচ্ছেন আল-কারী, তাকে আল-গাযেরী বলা হয়। তিনি নিতান্তই দুর্বল, যেমনটি ইঙ্গিত দিয়েছেন হাফিয ইবনু হাজার “আত-তাকরীব" গ্রন্থে নিম্নোক্ত কথার দ্বারাঃ

متروك الحديث তিনি হাদীসের ক্ষেত্রে মাতরূক [অগ্রহণযোগ্য]।

কারণ তার সম্পর্কে ইবনু মাঈন বলেনঃ كان كذابا তিনি ছিলেন মিথ্যুক; যেমনটি ইবনু আদীর “আল-কামিল” গ্রন্থে এসেছে।

ইবনু খাররাশ বলেন كذاب يضع الحديث তিনি মিথ্যুক, হাদিস জাল করতেন ।

এ হাদীসের সনদের সমর্থন সূচক আরো কিছু সনদ দ্বারা হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।* যেগুলো এটিকে শক্তিশালী করে না। কারণ দুর্বলের দিক থেকে সেগুলোর অবস্থা এটির সনদ চেয়ে কম নয়। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কবর যিয়ারতের ব্যাপারে আরো হাদীস এসেছে, যেগুলো সুবকী “আল-শেফা” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। সেগুলোর সবই দুর্বলের অন্তর্ভুক্ত, যার একটি অপরটির চেয়ে বেশী দুর্বল।

ইবনু তাইমিয়া “আল-কায়েদাতুল জলীলা" গ্রন্থে (পৃঃ ৫৭) বলেনঃ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কবর যিয়ারতের ব্যাপারে যে সব হাদীস এসেছে সবই দুর্বল। দ্বীনি বিষয়ে সেগুলোর কোনটির উপরেই নির্ভর করা যায় না। সে কারণেই সহীহ গ্রন্থ এবং “সুনান” গ্রন্থের লেখকগণ এ সংক্রান্ত কোন হাদীস তাদের গ্রন্থগুলোতে বর্ণনা করেননি। সেগুলো বর্ণনা করেছেন তারাই যারা দুর্বল হাদীস বর্ণনা করে থাকেন। যেমন দারাকুতনী, বাযযার ও আরো অনেকে।

অতঃপর তিনি এ হাদীসটি উল্লেখ করার পর বলেছেন যে, এ হাদীসের মিথ্যাবদিতা সুস্পষ্ট, এটি মুসলিমদের ধর্ম বিরোধী। কারণ যে ব্যক্তি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জীবিত থাকাকালীন মুমিন অবস্থায় তাঁকে যিয়ারত করেছে, সে সাহাবীগণের দলভুক্ত, যাদের ফযীলত বর্ণনা করে হাদীস বর্ণিত হয়েছে। কোন ব্যক্তি সাহাবীগণের পরে যে কোন আমলের দ্বারা, যদিও সেটি ওয়াজিব এর পর্যায়ভুক্ত হয় যেমন হজ্জ, জিহাদ, পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ও তাঁর উপর দুরূদ পাঠ করা তবুও সাহাবগণের সমকক্ষ হতে পারবে না। অতএব কীভাবে তাদের সমকক্ষ হবে এমন একটি আমলের দ্বারা যেটি (তাঁর কবর যিয়ারত) সকল মুসলিমের ঐক্যমতে ওয়াজিব নয়। বরং তাঁর কবর যিয়ারতের উদ্দেশ্যে সফর করাই শারীয়াত সম্মত নয়। বরং সেটি নিষিদ্ধ। তবে কেউ যদি তাঁর মসজিদে সালাত কায়েমের উদ্দেশ্যে সফর করে তাহলে তা মুস্তাহাব এবং সে সাথে কবর যিয়ারতও করতে পারবে।

সতর্কবাণীঃ বহু লোক মনে করেন যে, ইবনু তাইমিয়া এবং সালাফীদের মধ্য থেকে যারা তার নীতির অনুসরণ করেছেন শুধুমাত্র তারাই বলেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কবর যিয়ারত করা নিষেধ। এটি মিথ্যা ও অপবাদ মাত্র। যাদের ইবনু তাইমিয়্যার (কিতাবের) গ্ৰন্থরাজী সম্পর্কে জ্ঞান আছে, তারা জানেন যে, ইবনু তাইমিয়া নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কবর যিয়ারতকে শারীয়াত সম্মত এবং মুস্তাহাব বলেছেন। যদি তার সাথে কোন প্রকার শারীয়াত বিরোধী কর্মকাণ্ড এবং বিদ’আত জড়িত না হয় তাহলেই। যেমন যিয়ারতের উদ্দেশ্যে বাহন প্রস্তুত করা বা শুধু তাঁর কবর যিয়ারতের উদ্দেশ্যে সফর করা।

রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ব্যাপক ভিত্তিক নিম্নোক্ত হাদীসের কারণেঃ لا تشد الرحل إلا إلى ثلاثة مساجد তিনটি মসজিদ ব্যতীত অন্য কোন স্থানের উদ্দেশ্যে বাহন প্রস্তত কর না। তিনটি মসজিদ ছাড়া শুধুমাত্র অন্য মসজিদগুলোতে যাওয়াকেই বাতিল করা হয়নি, যেমনটি বহুলোকে ধারণা করে থাকেন বরং আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে যে কোন স্থানে যাওয়াকেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। চাই সেটি মসজিদ বা কবর বা অন্য কোন স্থান হোক না কেন। এর দলীল আবু হুরাইরাহ (রাঃ)-এর হাদীসঃ

বুসরা ইবনু আবূ বুসরা বলেনঃ আমি তুর পাহাড় হতে ফিরে এসে আবূ হুরাইরা (রাঃ)-এর সাথে মিলিত হলাম। আমাকে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, কোথা হতে আসলে? আমি বললামঃ তুর হতে। অতঃপর তিনি বললেনঃ আমি যদি তোমাকে তুরের দিকে বের হওয়ার পূর্বে পেতাম তাহলে তুমি বের হতে না। কারণ আমি রসূলকে সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ আরোহী প্রস্তুত কর না তিনটি মসজিদ ব্যতীত অন্য কোন স্থানের উদ্দেশ্যে বাহন তৈরি করো না। (আল হাদীস)। হাদীসটি ইমাম আহমাদ ও অন্যান্য মুহাদ্দিসগণ সহীহ সনদে বর্ণনা করেছেন। দেখুন "আহকামুল জানায়েয" (পৃঃ ২২৬)।

من حج فزار قبري بعد موتي كان كمن زارني في حياتي
موضوع

-

أخرجه الطبراني في " المعجم الكبير " (3 / 203 / 2) وفي " الأوسط " (1 /126 / 2 من " زوائد المعجمين: الصغير والأوسط ") وابن عدي في " الكامل " والدارقطني في " سننه " (ص 279) والبيهقي (5 / 246) والسلفي في " الثاني عشر من المشيخة البغدادية " (54 / 2) كلهم من طريق حفص بن سليمان أبي عمر عن الليث بن أبي سليم عن مجاهد عن عبد الله بن عمر مرفوعا به وزاد ابن عدي
" وصحبني "
قلت: وهذا سند ضعيف جدا، وفيه علتان
الأولى: ضعف ليث بن أبي سليم فإنه كان قد اختلط كما تقدم بيانه في الحديث (2)
الأخرى: أن حفص بن سليمان هذا وهو القاريء ويقال له الغاضري ضعيف جدا كما أشار إليه الحافظ ابن حجر بقوله في " التقريب ": متروك الحديث وذلك لأنه قد قال فيه ابن معين: كان كذابا كما في " كامل " ابن عدي، وقال ابن خراش: كذاب يضع الحديث وقد تفرد بهذا الحديث كما قال الطبراني وابن عدي والبيهقي وقال: وهو ضعيف، وقال ابن عدي بعد أن ساق الحديث في أحاديث أخرى له
وعامة حديثه غير محفوظ
ومما سبق تعلم أن قول ابن حجر الهيثمي في " الجوهر المنظم " (ص 7) أن ابن عدي رواه بسند يحتج به مما لا يتلفت إليه، فلا يغتر به أحد كما فعل الشيخ محمد أمين الكردي في " تنوير القلوب في معاملة علام الغيوب " حيث نقل (ص 245) ذلك عنه مرتضيا له! فوجب التنبيه عليه
ثم وقفت على متابع لحفص بن سليمان فقال الطبراني في " الأوسط " (1 / 126 / 2) من " زوائد المعجمين ": حدثنا أحمد بن رشدين حدثنا علي بن الحسن بن هارون الأنصارى حدثني الليث ابن بنت الليث بن أبي سليم حدثتني عائشة بنت يونس امرأة الليث ابن أبي سليم عن ليث بن أبي سليم به وقال: لا يروى عن الليث إلا بهذا الإسناد تفرد به علي
قلت: ولم أجد له ترجمة، ومثله الليث ابن بنت أبي الليث وامرأته عائشة لم أجد من ذكرها، وبها أعل الهيثمي الحديث في " المجمع " (4 / 2) فقال: لم أجد من ترجمها وهذا إعلال قاصر لما علمت من حال من دونها، ثم إن شيخ الطبراني فيه أحمد بن رشدين قال ابن عدي: كذبوه، وأنكرت عليه أشياء
وذكر له الذهبي أحاديث من أباطيله
ومن طريقه رواه الطبراني في " الكبير " أيضا
وإذا عرفت حال هذا الإسناد تبين لك أن المتابعة المذكورة لا يعتد بها البتة، فلا تغتر بإيراد السبكي إياها في " شفاء السقام " (ص 20) دون أن يتكلم عليها ولا على الطريق إليها
وقد قال المحقق العلامة محمد بن عبد الهادي في الرد عليه في " الصارم المنكي " (ص 63) : ليس هذا الإسناد بشيء يعتمد عليه، ولا هو مما يرجع إليه، بل هو إسناد مظلم ضعيف جدا، لأنه مشتمل على ضعيف لا يجوز الاحتجاج به (وهو ليث بن أبي سليم) ، ومجهول لم يعرف من حاله ما يوجب قبول خبره، وابن رشدين شيخ
الطبراني قد تكلموا فيه، وعلي بن حسن الأنصارى ليس هو ممن يحتج بحديثه، والليث ابن بنت الليث بن أبي سليم وجدته عائشة مجهولان لم يشتهر من حالهما عند أهل العلم ما يوجب قبول روايتهما ولا يعرف لهما ذكر في غير هذا الحديث، قال: والحاصل أن هذا المتابع الذي ذكره المعترض (السبكي) من رواية الطبراني لا يرتفع به الحديث عن درجة الضعف والسقوط ولا ينهض إلى رتبة تقتضي الاعتبار والاستشهاد، لظلمة إسناده، وجهالة رواته، وضعف بعضهم واختلاطه، ولو كان الإسناد صحيحا إلى ليث بن أبي سليم لكان فيه ما فيه، فكيف والطريق إليه ظلمات بعضها فوق بعض؟
واعلم أنه قد جاءت أحاديث أخرى في زيارة قبره صلى الله عليه وسلم وقد ساقها كلها السبكي في " الشفاء " وكلها واهية وبعضها أو هى من بعض، وهذا أجودها كما قال شيخ الإسلام ابن تيمية في كتابه الآتي ذكره، وقد تولى بيان ذلك الحافظ ابن عبد الهادي في الكتاب المشار إليه آنفا بتفصيل وتحقيق لا تراه عند غيره فليرجع إليه من شاء
وقال شيخ الإسلام ابن تيمية في " القاعدة الجليلة " (ص 57) : وأحاديث زيارة قبره صلى الله عليه وسلم كلها ضعيفة لا يعتمد على شيء منها في الدين، ولهذا لم يروأهل الصحاح والسنن شيئا منها، وإنما يرويها من يروي الضعاف كالدارقطني والبزار وغيرهما
ثم ذكر هذا الحديث ثم قال: فإن هذا كذبه ظاهر مخالف لدين المسلمين، فإن من زاره في حياته وكان مؤمنا به كان من أصحابه، لاسيما إن كان من المهاجرين إليه المجاهدين معه، وقد ثبت عنه صلى الله عليه وسلم أنه قال: " لا تسبوا أصحابي فوالذي نفسي بيده لو أنفق أحدكم مثل أحد ذهبا ما بلغ مد أحدهم ولا نصيفه " خرجاه في الصحيحين، والواحد من بعد الصحابة لا يكون مثل الصحابة بأعمال مأمور بها واجبة كالحج والجهاد والصلوات الخمس، والصلاة عليه صلى الله عليه وسلم فيكف بعمل ليس بواجب باتفاق المسلمين (يعني زيارة قبره صلى الله عليه وسلم) بل ولا شرع السفر إليه، بل هو منهي عنه، وأما السفر إلى مسجده للصلاة فيه فهو مستحب
(تنبيه) : يظن كثير من الناس أن شيخ الإسلام ابن تيمية ومن نحى نحوه من السلفيين يمنع من زيارة قبره صلى الله عليه وسلم، وهذا كذب وافتراء وليست أول فرية على ابن تيمية رحمه الله تعالى، وعليهم، وكل من له اطلاع على كتب ابن تيمية يعلم أنه يقول بمشروعية زيارة قبره صلى الله عليه وسلم واستحبابها إذا لم يقترن بها شيء من المخالفات والبدع، مثل شد الرحل والسفر إليها لعموم قوله صلى الله عليه وسلم: " لا تشد الرحل إلا إلى ثلاثة مساجد " والمستثنى منه في هذا الحديث ليس هو المساجد فقط كما يظن كثيرون بل هو كل مكان يقصد للتقرب إلى الله فيه سواء كان مسجدا أو قبرا أو غير ذلك، بدليل ما رواه
أبوهريرة قال (في حديث له) : فلقيت بصرة بن أبي بصرة الغفاري فقال: من أين أقبلت؟ فقلت: من الطور، فقال: لوأدركتك قبل أن تخرج إليه ما خرجت! سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: " لا تعمل المطي إلا إلى ثلاثة مساجد " الحديث أخرجه أحمد وغيره بسند صحيح، وهو مخرج في " أحكام الجنائز " (ص 226)
فهذا دليل صريح على أن الصحابة فهموا الحديث على عمومه، ويؤيده أنه لم ينقل عن أحد منهم أنه شد الرحل لزيارة قبر ما، فهم سلف ابن تيمية في هذه المسألة، فمن طعن فيه فإنما يطعن في السلف الصالح رضي الله عنهم، ورحم الله من قال
وكل خير في اتباع من سلف * وكل شر في ابتداع من خلف

হাদিসের মানঃ জাল (Fake)

৪৯। যে ব্যাক্তি তার পিতা-মাতা উভয়ের কবর অথবা যে কোন একজনের কবর প্রত্যেক জুম’আর দিবসে যিয়ারত করবে, তাঁকে ক্ষমা করে দেয়া হবে এবং তাঁকে সৎকর্মশীলদের তালিকায় লিপিবদ্ধ করা হবে।

হাদীসটি জাল।

তাবারানী হাদীসটি “মু’জামুস সাগীর” গ্রন্থে (পৃ. ১৯৯) এবং “মু’জামুল কাবীর” গ্রন্থে (১/৮৪/১) উল্লেখ করেছেন। তার থেকে ইস্পাহানী “আত-তারগীব” গ্রন্থে (২/২২৮) মুহাম্মাদ ইবনু নু’মান সূত্রে ইয়াহইয়া ইবনু ’আলা বাজালী হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি আবদুল করীম আবী উমাইয়াহ হতে ... বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ হাদীসটি বানোয়াট। এ মুহাম্মাদ ইবনু নুমান সম্পর্কে যাহাবী “আল-মীযান” গ্রন্থে এবং তার অনুসরণ করে “আল-লিসান” গ্রন্থে ইবনু হাজার বলেছেনঃ مجهول، قاله العقيلي، ويحيى متروك

উকায়লী বলেনঃ তিনি মজহুল এবং ইয়াহইয়া হচ্ছেন মাতরূক অগ্রহণযোগ্য।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ ইয়াহইয়ার দুর্বল হওয়ার ব্যাপারে সকলেই একমত। তাকে ওয়াকী মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন। অনুরূপ ভাবে ইমাম আহমাদ বলেছেনঃ كذاب يضع الحديث তিনি মিথ্যুক, হাদীস জালকারী।

ইবনু আদী বলেনঃ তার বর্ণনাগুলোতে দুর্বলতা সুস্পষ্ট এবং তার হাদীসগুলো বানোয়াট।

তার শাইখ আব্দুল করীম আবু উমাইয়াহ ইবনু আবিল মুখারিকও দুর্বল। তবে তাকে মিথ্যার দোষে দোষী করা যায় না। এ কারণে শুধুমাত্র তার (আব্দুল করীম) কথা উল্লেখ করে হাদীসটি দুর্বল হওয়ার কারণ বর্ণনা করে হাফিয হায়সামী সঠিক কাজটি করেননি।

তিনি বলেছেনঃ (৩/৬০) তাবারানী হাদীসটি “মু’জামুস সাগীর" এবং “মু’জামূল কাবীর” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। তাতে আব্দুল করীম আবু উমাইয়াহ নামক একজন বর্ণনাকারী আছেন, তিনি দুর্বল।

ইমাম সুয়ুতী “আল-লাআলী” গ্রন্থে (২/২৩৪) বলেছেনঃ عبد الكريم ضعيف، ويحيى بن العلاء ومحمد بن النعمان مجهولان (আবদুল করীম দুর্বল, ইয়াহইয়া ইবনুল আলা এবং মুহাম্মাদ ইবনু নুমান দু’জনই মাজহুল)। শুধুমাত্র এভাবে কারণ দর্শিয়ে ঠিক করেননি। কারণ ইয়াহইয়া ইবনুল আলা মাজহুল নন বরং তিনি পরিচিত, তবে মিথ্যুক হিসাবে। এছাড়াও হাদীসটির সনদে ইযতিরাব সংঘটিত হয়েছে। এর কারণও বর্ণনা করা হয়েছে।

من زار قبر أبو يه أو أحدهما في كل جمعة غفر له وكتب برا
موضوع

-

أخرجه الطبراني في " الصغير " (ص 199) وفي " الأوسط " (1 / 84 / 1 - من " زوائد المعجمين) ، وعنه الأصبهاني في " الترغيب " (228 / 2) من طريق محمد بن النعمان بن عبد الرحمن عن يحيى بن العلاء البجلي عن عبد الكريم أبي أمية عن مجاهد عن أبي هريرة مرفوعا وقال: لا يروى عن أبي هريرة إلا بهذا الإسناد
قلت: وهو موضوع: محمد بن النعمان هذا قال في " الميزان " وتبعه في " اللسان ": مجهول، قاله العقيلي، ويحيى متروك
قلت: ويحيى هذا مجمع على ضعفه، وقد كذبه وكيع، وكذا أحمد فقال: كذاب يضع الحديث وقال ابن عدي: والضعف على رواياته بين، وأحاديثه موضوعات
وشيخه عبد الكريم أبي أمية هو ابن أبي المخارق ضعيف أيضا ولكنه لم يتهم، ولذلك لم يصب الحافظ الهيثمي حين أعل الحديث به فقط، فقال (3 / 60) : رواه الطبراني في " الأوسط " و" الصغير "، وفيه عبد الكريم أبو أمية وهو ضعيف
وأما شيخه العراقي، فقد أعله في " تخريج الإحياء " (4 / 418) بما نقلته آنفا عن " الميزان " فأصاب وكذلك أخطأ السيوطي في " اللآليء " حيث قال (2 /234) حيث قال: عبد الكريم ضعيف، ويحيى بن العلاء ومحمد بن النعمان مجهولان فإن يحيى بن العلاء ليس بالمجهول، بل هو معروف ولكن بالكذب
ثم إن للحديث علة أخرى وهي الاضطراب، فقد أخرجه ابن أبي الدنيا في " القبور " ومن طريقه عبد الغني المقدسي في " السنن " (92 / 2) عن محمد بن النعمان يرفع الحديث إلى النبي صلى الله عليه وسلم، وهذا معضل
وقال ابن أبي حاتم في " العلل " (2 / 209) : سألت أبي عن حديث رواه أبو موسى محمد (بن) المثنى عن محمد بن النعمان أبي النعمان الباهلي عن يحيى بن العلاء عن عمه خالد بن عامر عن أبي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم في الرجل يعق والديه أو أحدهما فيموتان فيأتي قبره كل ليلة؟ قال أبي: هذا إسناد مضطرب، ومتن الحديث منكر جدا كأنه موضوع

হাদিসের মানঃ জাল (Fake)

৫০। যে ব্যাক্তি তার পিতা-মাতা উভয়ের কবর প্রত্যেক জুম’আর দিবসে যিয়ারত করবে। অতঃপর তাদের উভয়ের নিকট অথবা পিতার কবরের নিকট সূরা ইয়াসিন পাঠ করবে, প্রত্যেক আয়াত অথবা অক্ষরের সংখ্যার বিনিময়ে তাকে ক্ষমা করে দেয়া হবে।

হাদীসটি জাল।

হাদীসটি ইবনু আদী (১/২৮৬), আবূ নু’য়াইম “আখবারু আসবাহান” গ্রন্থে (২/৩৪৪-৩৪৫) ও আব্দুল গনী আল-মাকদেসী “সুনান” গ্রন্থে (২/৯১) ... আমর ইবনু যিয়াদ সূত্রে ...বর্ণনা করেছেন।

কোন মুহাদ্দিস (আমার ধারণা তিনি হচ্ছেন ইবনু মুহিব কিংবা যাহাবী) “সুনানুল মাকদেসী” গ্রন্থের হাশিয়াতে (টীকাতে) লিখেছেন, هذا حديث غير ثابت এ হাদীসটি সাব্যস্ত হয়নি।

ইবনু আদী বলেনঃ হাদীসটি বাতিল। এ সনদে এটির কোন ভিত্তি নেই। আমর ইবনু যিয়াদ (তিনি হচ্ছেন আবুল হাসান আস-সাওবানী)-এর জীবনী বর্ণনা করতে গিয়ে তার অন্যান্য হাদীসের সাথে এ হাদীসটির ব্যাপারে উল্লেখিত মন্তব্যটি করেন। সে সব হাদীসের একটি সম্পর্কে বলেনঃ موضوع জাল (বানোয়াট)।

অতঃপর বলেনঃ আমর ইবনু যিয়াদ-এর এ হাদীসটি ছাড়া আরো হাদীস রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে কিছু আছে নির্ভরযোগ্যদের থেকে চুরি করা এবং কিছু আছে বানোয়াট। তাকে সেগুলো জালকারী হিসাবে দোষী করা হয়েছে। দারাকুতনী বলেনঃ يضع الحديث তিনি হাদীস জাল করতেন।

এ কারণে ইবনুল জাওযী হাদীসটিকে তার “আল-মাওযু আত” গ্রন্থে (৩/ ২৩৯) ইবনু আদীর সূত্রে উল্লেখ করেছেন। তিনি ঠিকই করেছেন। অথচ সুয়ূতী তার সমালোচনা করে “আল-লাআলী” গ্রন্থে (২/৪৪০) বলেছেনঃ হাদীসটির সমর্থনে শাহেদ আছে। অতঃপর তিনি এ হাদীসটিতে পূর্বের হাদীসের সনদটিই উল্লেখ করেছেন। যেটি সম্পর্কে আপনি জেনেছেন যে, সেটিও জাল হাদীস। যদিও বলা হয়েছে সেটি শুধু দুর্বল। তা সত্ত্বেও সেটিকে এ হাদীসের শাহেদ হিসাবে ধরা যেতে পারে না। কারণ এটির সাথে সেটির ভাষার মিল নেই। আর জাল হাদীসের শাহেদ হিসাবে জাল হাদীস উল্লেখ করাতে কোন উপকারীতাও নেই। [শাহেদ অর্থ জানতে দেখুনঃ ৫৬ নং পৃষ্ঠা]

উল্লেখ্য কবরের নিকট কুরআন পাঠ করা মুস্তাহাব এ মর্মে সহীহ সুন্নাহ হতে কোন প্রমাণ মিলে না। বরং সহীহ সুন্নাহ প্রমাণ করে যে, কবর যিয়ারতের সময় মৃত্যু ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে শুধুমাত্র সালাম প্রদান করা এবং আখেরাতকে স্বরণ করাই হচ্ছে শারীয়াত সম্মত। সালাফে সালেহীনের আমল এর উপরেই হয়ে আসছে। অতএব কবরের নিকট কুরআন পাঠ করা ঘৃণিত বিদ’আত। যেমনটি স্পষ্ট ভাবে পূর্ববর্তী একদল ওলামা বলেছেন। যাদের মধ্যে রয়েছেন ইমাম আবু হানীফা, ইমাম মালিক, ইমাম আহমাদ ও অন্যান্য ইমামগণ, কারণ এ মর্মে কোন হাদীস বর্ণিত হয়নি।

ইবনু উমার (রাঃ) হতে দাফনের সময় সূরা বাকারার প্রথম এবং শেষ অংশ পাঠের যে কথা বলা হয়েছে তা সহীহ সনদে প্রমাণিত হয়নি। যদি ধরেইনি সহীহ তাহলে তা শুধুমাত্র দাফনের সময়ের সাথে সংশ্লিষ্ট [কিন্তু ধরে নিয়ে কি সহিহ বানানো সঠিক]।

অতএব আমাদেরকে সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরতে হবে আর বিদ’আত হতে সতর্ক হয়ে তা হতে বেঁচে চলতে হবে। যদিও লোকেরা বিদ’আতকে ভাল কাজ হিসাবে দেখে। কারণ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সকল বিদ’আতই পথভ্রষ্টতা।

من زار قبر والديه كل جمعة، فقرأ عندهما أو عنده (يس) غفر له بعدد كل آية أو حرف
موضوع

-

رواه ابن عدي (286 / 1) وأبو نعيم في " أخبار أصبهان " (2 / 344 - 345) وعبد الغني المقدسي في " السنن " (91 / 2) من طريق أبي مسعود يزيد بن خالد، حدثنا عمرو بن زياد، حدثنا يحيى بن سليم الطائفي عن هشام بن عروة عن أبيه عن عائشة عن أبي بكر الصديق مرفوعا وكتب بعض المحدثين - وأظنه ابن المحب أو الذهبي - على هامش نسخة " سنن المقدسي ": هذا حديث غير ثابت، وقال ابن عدي
باطل ليس له أصل بهذا الإسناد، ذكره في ترجمة عمرو بن زياد هذا، وهو أبو الحسن الثوباني مع أحاديث أخرى له، قال في أحدها: موضوع، ثم قال
ولعمرو بن زياد غير هذا من الحديث، منها سرقة يسرقها من الثقات، ومنها موضوعات، وكان هو يتهم بوضعها
وقال الدارقطني: يضع الحديث ولهذا أورد الحديث ابن الجوزي في " الموضوعات " (3 / 239) من رواية ابن عدي فأصاب، وتعقبه السيوطي في " اللآليء " (2 /440) بقوله: قلت: له شاهد، ثم ساق سند الحديث الذي قبله! وقد علمت أنه حديث موضوع أيضا! ولوقيل بأنه ضعيف فقط فلا يصلح شاهدا لهذا، لوجهين
الأول: أنه مغاير له في المعنى ولا يلتقي معه إلا في مطلق الزيارة
الآخر: ما ذكره المناوي في شرحه على " الجامع الصغير " فإنه قال بعد أن نقل كلام ابن عدي المتقدم: ومن ثم اتجه حكم ابن الجوزي عليه بالوضع، وتعقبه المصنف بأن له شاهدا (وأشار إلى الحديث المتقدم) وذلك غير صواب لتصريحهم حتى هو بأن الشواهد لا أثر لها في الموضوع بل في الضعيف ونحوه
والحديث يدل على استحباب قراءة القرآن عند القبور، وليس في السنة الصحيحة ما يشهد لذلك، بل هي تدل على أن المشروع عند زيارة القبور إنما هو السلام عليهم وتذكر الآخرة فقط، وعلى ذلك جرى عمل السلف الصالح رضي الله عنهم، فقراءة القرآن عندها بدعة مكروهة كما صرح به جماعة من العلماء المتقدمين، منهم
أبو حنيفة، ومالك، وأحمد في رواية كما في " شرح الإحياء " للزبيدي (2 /285) قال: لأنه لم ترد به سنة، وقال محمد بن الحسن وأحمد في رواية: لا تكره، لما روى عن ابن عمر أنه أو صى أن يقرأ على قبره وقت الدفن بفواتح سورة البقرة وخواتمها
قلت: هذا الأثر عن ابن عمر لا يصح سنده إليه، ولوصح فلا يدل إلا على القراءة عند الدفن لا مطلقا كما هو ظاهر
فعليك أيها المسلم بالسنة، وإياك والبدعة، وإن رآها الناس حسنة، فإن " كل بدعة ضلالة " كما قال صلى الله عليه وسلم

হাদিসের মানঃ জাল (Fake)

৫১। বহু সন্তানের পিতা দরিদ্র সৎ মু’মিন বান্দাকে আল্লাহ ভালোবাসেন।

হাদীসটি দুর্বল।

হাদীসটি ইবনু মাজাহ (২/৫২৯) এবং উকায়লী “আয-যুয়াফা" গ্রন্থে (পৃঃ ৩৬১) হাম্মাদ ইবনু ঈসার সূত্রে মূসা ইবনু ওবায়দাহ হতে, তিনি কাসিম ইবনু মিহরান হতে ... বর্ণনা করেছেন। উকায়লী কাসেম-এর জীবনী বর্ণনা করতে গিয়ে বলেনঃ

لا يثبت سماعه من عمران بن حصين، رواه عنه موسى بن عبيدة وهو متروك

কাসেম কর্তৃক ইমরান ইবনু হুসাইন হতে শ্রবণ সাব্যস্ত হয়নি এবং তার থেকে হাদীসটি বর্ণনাকারী মূসা ইবনু ওবায়দাহ মাতরূক।’

বূসয়রী “আয-যাওয়াইদ" গ্রন্থে (২/২৫৩) উকায়লীর এ কথাকে সমর্থন করে বলেছেনঃ এ সনদটি দুর্বল।

আমি (আলবানী) বলছিঃ উকায়লীর কথা হতে হাদীসটি দুর্বল হওয়ার দুটি কারণ স্পষ্ট হয়েছে। কারণ দুটি হচ্ছে সনদে বিচ্ছিন্নতা এবং ইবনু ওবায়দার দুর্বলতা। এটির তৃতীয় কারণ হচ্ছে কাসেম ইবনু মিহরানের মাজহুল হওয়া। হাফিয ইবনু হাজার “আত-তাকরীব” গ্রন্থে তার সম্পর্কে বলেনঃ তিনি মাজহুল [অপরিচিত)।

চতুর্থ কারণ হাম্মাদ ইবনু ঈসা ওয়াসেতী সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ তিনি দুর্বল। এ কারণে হাফিয ইরাকী বলেনঃ হাদীসটির সনদ দুর্বল, যেমনভাবে মানবী উল্লেখ করেছেন। হাদীসটিকে সাখাবীও “আল-মাকাসিদ” গ্রন্থে (২৪৬) দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ হাদীসটির আরেকটি সূত্র পেয়েছি। কিন্তু সেটির দ্বারা শুধু এটির দুর্বলতাই বৃদ্ধি পায়। কারণ এটি মুহাম্মাদ ইবনু ফযল-এর সূত্রে যায়েদ ইবনু ’আমী মুহাম্মাদ ইবনু সীরীন হতে বর্ণনা করেছেন। এটি ইবনু আদী (১/২৯৫) ও আবু নু’য়াইম (২/২৮২) উল্লেখ করেছেন। এটি দুর্বল হওয়ার পিছনে তিনটি কারণঃ

১। মুহাম্মাদ ইবনু সীরীন ও ইমরান ইবনু হুসাইনের মধ্যে সনদে বিচ্ছিন্নতা। কারণ তিনি ইমরান হতে শুনেননি, যেমনটি দারাকুতনী বলেছেন।

২। যায়েদ আল-’আমী, তিনি হচ্ছেন ইবনুল হাওয়ারী, তিনি দুর্বল।

৩। মুহাম্মাদ ইবনু ফযল; তিনি একজন মিথ্যুক, যেমনভাবে ফাল্লাস ও আরো অনেকে বলেছেন।

إن الله يحب عبده المؤمن الفقير المتعفف أبا العيال
ضعيف

-


أخرجه ابن ماجه (2 / 529) والعقيلي في " الضعفاء " (ص 361) من طريق حماد ابن عيسى، حدثنا موسى بن عبيدة، أخبرني القاسم بن مهران عن عمران بن حصين مرفوعا
وقال العقيلي في ترجمة القاسم: لا يثبت سماعه من عمران بن حصين، رواه عنه موسى بن عبيدة وهو متروك
وأقره البوصيري في " الزوائد " (253 / 2) وقال: هذا إسناد ضعيف
قلت: فللحديث علتان تبينتا في كلام العقيلي وهما الانقطاع وضعف ابن عبيدة
وله علة ثالثة: وهي جهالة ابن مهران هذا، قال الحافظ في التقريب
مجهول
وعلة رابعة وهي حماد بن عيسى وهو الواسطي، قال الحافظ: ضعيف، ولذلك قال العراقي: سنده ضعيف كما نقله المناوي وضعفه السخاوي أيضا في " المقاصد " (رقم 246)
قلت: وقد وجدت للحديث طريقا أخرى ولكنه لا يزداد بها إلا ضعفا، لأنه من رواية محمد بن الفضل عن زيد العمي عن محمد بن سيرين عن عمران بن حصين به دون قوله: " أبا العيال "، أخرجه ابن عدي (295 / 1) وأبو نعيم (2 / 282) وقال: غريب من حديث محمد بن سيرين، لم نكتبه إلا من حديث زيد ومحمد بن الفضل بن عطية
قلت: وفي هذا السند ثلاث علل أيضا
الأولى: الانقطاع بين عمران وابن سيرين، فإنه لم يسمع منه كما قال الدارقطني خلافا لما رواه عبد الله بن أحمد عن أبيه
الثانية: زيد العمي وهو ابن الحواري، ضعيف
الثالثة: محمد بن الفضل بن عطية وهو كذاب؛ كما قال الفلاس وغيره

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)

৫৫। দ্রুত চলা মু’মিনের উজ্জলতাকে বিতাড়িত করে দেয়।

হাদীসটি নিতান্তই মুনকার।

হাদীসটি আবু হুরাইরা, ইবনু উমার, আনাস ও ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে।

প্রথমতঃ আবু হুরাইরা (রঃ)-এর হাদীস; এটি তিনটি সূত্রে বর্ণিত হয়েছেঃ

প্রথম সূত্রঃ হাদীসটি আবু সাঈদ আল-মালীনী "আল-আরবাউন ফি শুয়ুখিস সুফিয়া” গ্রন্থে (৫/১), আবু নু’য়াইম "হিলইয়াহ" গ্রন্থে (১০/২৯০), আল-খাতীব “তারীখু বাগদাদ” গ্রন্থে (১/৪১৭) এবং তার সূত্রে ইবনুল জাওযী “আল ওয়াহিয়াত” গ্রন্থে (১১৭৮) উল্লেখ করেছেন। যাহাবী মুহাম্মাদ ইবনুল আসমাঈর জীবনী বর্ণনা করতে গিয়ে বলেনঃ হাদীসটি নিতান্তই মুনকার। অতঃপর তিনি হাদীসটির সনদ উল্লেখ করে বলেনঃ এটি সহীহ নয়। হাফিয ইবনু হাজারও “আল-লিসান” গ্রন্থে তার (যাহাবীর) কথাকে সমর্থন করেছেন।[ মুনকার অর্থ জানার জন্য দেখুন (৫৬) পৃষ্ঠা]।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ প্রথম সূত্রটি দুর্বল হওয়ার কারণ তিনটিঃ
১। এতে মুহাম্মাদ ইবনু আসমাঈ নামক একজন বর্ণনাকারী রয়েছেন। তিনি মাজহুল [অপরিচিত]।
২। ইবনু আসমাঈ হতে বর্ণনাকারী মুহাম্মাদ ইবনু ইয়াকুব আল-ফারাজীর জীবনী পাচ্ছি না।
৩। আবু মাশার যার নাম নাজীহ ইবনু আবদির রহমান সিন্দী, সবার ঐক্যমতে তিনি দুর্বল। ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ তাকে নিতান্তই দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। অনুরূপভাবে ইমাম বুখারীও বলেছেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীস।

দ্বিতীয় সূত্রঃ ইবনু আদী “আল-কামিল” গ্রন্থে (৫/৭২), তার থেকে ইবনুল জাওযী “আল-ওয়াহিয়াত” গ্রন্থে (২/২১৯) আব্দুল্লাহ ইবনু সালেম সূত্রে আম্মার ইবনু মাতার রাহাবী হতে বর্ণনা করে ইবনুল জাওযী বলেছেনঃ হাদীসটি সহীহ নয়। এ সূত্রের বর্ণনাকারী আম্মার ইবনু মাতার রাহাবী সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেনঃ তিনি মিথ্যা বলতেন। ইবনু আদী বলেনঃ তার হাদীসগুলো বাতিল। দারাকুতনী বলেনঃ তিনি দুর্বল।

তৃতীয় সূত্রঃ ইবনু আদী “আল-কামিল” গ্রন্থে (৫/৭২) এবং তার থেকে ইবনুল জাওযী আবূ শিহাব আব্দুল কুদ্দুস সূত্রে ... বর্ণনা করেছেন। তার সম্পর্কে যাহাবী বলেনঃله أكاذيب وضعها তার বহু মিথ্যা [হাদীস] রয়েছে যেগুলো তিনি জাল করেছেন।

হাফিয ইবনু হাজার “আল-লিসান” গ্রন্থে এটিকে মুনকার হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।

এ তিনটি সুত্রের প্রথমটি উত্তম তা সত্ত্বেও সেটি দুর্বল বহুবিধ কারণে।

দ্বিতীয়তঃ ইবনু উমার (রাঃ)-এর হাদীস;

এটি আব্বাস দাওরী “তারীখু ইবনু মা’ঈন” গ্রন্থে (কাফ ২/৪১), ইবনু আদী (৫/১৩, ৭/৭৭), আল-খাতীব “আল-জামে” গ্রন্থে (৫/৯১/২), ওয়াহেদী "ওয়াসীত" গ্রন্থে (৩/১৯৪/১০), সালাবী “তাফসীর” গ্রন্থে (৩/৭৮/২) ও ইবনুল জাওযী “আল-ওয়াহিয়াত” গ্রন্থে (১১৭৭) বর্ণনা করেছেন।

এর সনদে ওয়ালীদ ইবনু সালামা (জর্ডানের কাজী) এবং উমার ইবনু সহবান নামক দু’জন বর্ণনাকারী রয়েছেন।

এ উমার সম্পর্কে ইবনু আদী বলেনঃ নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারীগণ এ উমারের হাদীসগুলোর অনুসরণ করেননি। তার অধিকাংশ হাদীস মুনকার।

আমি (আলবানী) বলছিঃ তিনি খুবই দুর্বল। তার সম্পর্কে ইমাম বুখারী বলেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীস।

দারাকুতনী বলেনঃ তিনি মাতরূকুল হাদীস। তার থেকে বর্ণনাকারী ওয়ালীদ ইবনু সালামা তার চাইতেও মন্দ। তার সম্পর্কে একাধিক ব্যক্তি বলেছেনঃ তিনি বড়ই মিথ্যুক। ইবনু হিব্বান বলেনঃ يضع الحديث على الثقات তিনি নির্ভরযোগ্যদের উদ্ধৃতিতে হাদীস জাল করতেন।

তৃতীয়তঃ আনাস (রাঃ) এর হাদিস;

হাদিসটি ইবনু বিশারন আল আমলী গ্রন্থে (২৩/৬৯/২) ও আল-খাতীব “আল-জামে” গ্রন্থে (২/২২/১) মুহাম্মাদ ইবনু ইউনুস সূত্রে ইউসুফ ইবনু কামেল হতে, তিনি আব্দুস সালাম ইবনু সুলায়মান আযদী হতে, তিনি আবান হতে ... বর্ণনা করেছেন।

এ সনদটি বাতিল। এ সনদে উল্লেখিত কোন ব্যক্তিই নির্ভরযোগ্য নয়।

আবান সম্পর্কে ইমাম আহমাদ বলেনঃ তিনি মাতরূকুল হাদীস।
শু’বা বলেনঃلأن يزني الرجل خير من أن يروي عن أبان আবানের নিকট হতে হাদীস বর্ণনা করার চেয়ে কোন ব্যক্তির যেনা করাটা বেশী উত্তম (অর্থাৎ জাল হাদীস বর্ণনা করা যেনার চেয়েও জঘন্য)। এ কথাটিই প্রমাণ করে যে তিনি মিথ্যুক হিসাবে প্রসিদ্ধ ছিলেন।

আব্দুস সালাম ইবনু সুলায়মান আল-আযদী মাজহুলুল হাল (তার অবস্থা অজ্ঞাত)।

তিনি একজন শামী বর্ণনাকারী। অথচ এ সনদটি শামী নয়। অতএব তিনি এ হাদীসের বর্ণনাকারী নন এটিই সুস্পষ্ট।

ইউসুফ ইবনু কামিল আল-আত্তার; তার সম্পর্কে ভাল মন্দ কিছুই বলা হয়নি। অর্থাৎ তিনি মাজহুল (অপরিচিত)। মু

হাম্মাদ ইবনু ইউনুস; তিনি হচ্ছেন কুদাইমী। তার সম্পর্কে ইবনু আদী বলেনঃ قد اتهم بالوضع তাকে (হাদীস) জাল করার দোষে দোষী করা হয়েছে।

ইবনু হিব্বান বলেনঃ সম্ভবত তিনি হাজারাধিক হাদীস জাল করেছেন।

আবু দাউদ, মূসা ইবনু হারুন এবং কাসিম ইবনু মুতাররীয তাকে মিথ্যুক বলেছেন।

দারাকুতনী বলেনঃ তাকে হাদীস জাল করার ব্যাপারে দোষারোপ করা হয়েছে।

চতুর্থতঃ ইবনু আব্বাস (রাঃ)-এর হাদীস;

সুয়ূতী তার “জামেউস সাগীর” গ্রন্থে হাদীসটি ইবনু নাজ্জারের উদ্ধৃতিতে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তার সনদটি পাইনি। আমার বেশীর ভাগ ধারণা এটিও অন্যান্যটির ন্যায় দুর্বল ।

এক কথায় এ হাদীসটি সম্পর্কে বর্ণিত সকল সনদ নিতান্তই দুর্বল। এ জন্য একটি সনদ অপরটিকে শক্তিশালী করে না।

শাইখ ’আলী আল-কারী “শারহুশ শামায়েল” গ্রন্থে (১/৫২) এটিকে যুহরীর বাণী বলে উল্লেখ করেছেন।

এটি যে হাদীস নয় তার জন্য এ কথাই যথেষ্ট যে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চলার সময় দ্রুত চলতেন। (দেখুন তিরমিযীর “মুখতাসারুশ শামায়েল” (পৃঃ ৭১ ও ২০), ইমাম বুখারীর “আদাবুল মুফরাদ” (১১৯), তাবাকাতু ইবনু সা’দ (১/৩৭৯-৩৮০) এবং “মাজমাউয যাওয়াইদ” (৮/২৭৩,২৮১)। এটি সহীহ্ সনদে বর্ণিত হয়েছে। উমারও (রাঃ) দ্রুত চলতেন। দেখুন “তাবাকাতু ইবনে সা’দ” (১/৩৭৯-৩৮০)।

سرعة المشي تذهب بهاء المؤمن
منكر جدا

-

وقد روي من حديث أبي هريرة وابن عمر وأنس وابن عباس
1 - أما حديث أبي هريرة فقد روي من ثلاث طرق عن أبي سعيد المقبري عنه
الأولى: عن محمد بن يعقوب الفرجي قال: نبأنا محمد بن عبد الملك بن قريب الأصمعي قال: نبأنا أبي عن أبي معشر عن أبي سعيد المقبري عن أبي هريرة
أخرجه أبو سعد الماليني في " الأربعين في شيوخ الصوفية " (5 / 1) وأبو نعيم في " الحلية " (10 / 290) والخطيب في " تاريخ بغداد " (1 / 417) ، ومن طريقه ابن الجوزي في " الواهيات " (1178) وقال: لم أسمع لمحمد بن الأصمعي ذكرا إلا في هذا الحديث، قال الذهبي في ترجمته: وهو حديث منكر جدا، ثم ساقه بهذا السند ثم قال: هذا غير صحيح، وأقره الحافظ في " اللسان
قلت: ولهذا الإسناد ثلاث علل
أ - ابن الأصمعي هذا وهو مجهول كما يشير إليه كلام الخطيب السابق
ب - الراوي عنه محمد بن يعقوب الفرجي، لم أجد له ترجمة إلا أن الماليني أورده في " شيوخ الصوفية ولم يذكر فيه تعديلا ولا جرحا، وكذلك فعل الخطيب في " تاريخ بغداد " (3 / 388) إلا أنه قال: وكان يحفظ الحديث، ولعله هو الآفة
ج - أبو معشر واسمه نجيح بن عبد الرحمن السندي ضعيف اتفاقا، وضعفه يحيى بن سعيد جدا، وكذا البخاري حيث قال: منكر الحديث
الطريق الثانية: قال عبد الله بن سالم: حدثنا عمار بن مطر الرهاوي - وكان حافظا للحديث - حدثنا ابن أبي ذئب عن المقبري عن أبي هريرة، أخرجه ابن عدي في " الكامل " (5 / 72 ـ بيروت) ، وعنه ابن الجوزي في " الواهيات " (2 / 219) وقال: لا يصح، وذكره الذهبي في ترجمة عمار هذا، وقال: هالك، وثقه بعضهم ومنهم من وصفه بالحفظ، ثم ساقه ثم ذكر أحاديث منكرة، ثم ختم ترجمته بقوله
قال أبو حاتم الرازي: كان يكذب، وقال ابن عدي: أحاديثه بواطيل. وقال الدارقطني: ضعيف
قلت: فهذه متابعة قوية لأبي معشر من ابن أبي ذئب، ولكنه لا يعتد بها، فإنه وإن كان ثقة ففي الطريق إليه ذلك الهالك، لكنه روي من طريق غيره وهو
الطريق الثالثة: أخرجه ابن عدي في " الكامل " (5 / 72) ، ومن طريقه ابن الجوزي عن أبي شهاب عبد القدوس بن عبد القاهر بن أبي ذئب أبي شهاب سمعه من صدقة ابن أبي الليث الحصني - وكان من الثقات - عن ابن أبي ذئب، ذكره ابن حجر في " اللسان " في ترجمة عبد القدوس هذا بعد أن قال فيه الذهبي: له أكاذيب وضعها
ثم ذكر منها حديثا، ثم ذكر الحافظ منها حديثا آخر هو هذا ثم قال: وهذا إنما يعرف برواية عمار بن مطر عن ابن أبي ذئب، وكان الناس ينكرونه على عمار، وقد عرفت حال عمار آنفا
وخير هذه الطرق الأولى، ومع ذلك فهي واهية لكثرة عللها، وقد قال الحافظ في " تخريج الكشاف " (130 رقم 181) : وإسناده ضعيف
2 ـ وأما حديث ابن عمر، فأخرجه عباس الدوري في " تاريخ ابن معين " (ق 41 /2) ، وابن عدي (5 / 13 و7 / 77) ، والخطيب في " الجامع " (5 / 91 / 2) نسخة الإسكندرية والواحدي في " الوسيط " (3 / 194 / 1) والثعلبي في " التفسير " (3 / 78 / 2) ، وابن الجوزي في " الواهيات " (1177) عن الوليد ابن سلمة - قاضي الأردن - حدثنا عمر بن صهبان عن نافع عنه، وقال ابن عدي
وعمر هذا عامة أحاديثه لا يتابعه الثقات عليه ويغلب على حديثه المناكير
قلت: وهو ضعيف جدا، قال البخاري: منكر الحديث، وقال الدارقطني: متروك الحديث
قلت: لكن الراوي عنه الوليد بن سلمة شر منه فقد قال فيه أبو مسهر ودحيم وغيرهما: كذاب، وقال ابن حبان: يضع الحديث على الثقات
وقد ساق ابن عدي له أحاديث، ومنها هذا الحديث أورده في ترجمته أيضا وقال وكذا في " المنتخب منه " (ق 350 / 1) وغيره: عامتها غير محفوظة
3 وأما حديث أنس، فأخرجه ابن بشران في " الأمالي " (23 / 69 / 2) ، والخطيب في " الجامع " (2 / 22 / 1) من طريق محمد بن يونس حدثنا يوسف بن كامل حدثنا عبد السلام بن سليمان الأزدي عن أبان عنه مرفوعا بلفظ: (بهاء الوجه ...)
وهذا إسناد باطل ليس فيهم من هو معروف بالثقة باستثناء أنس طبعا
أما أبان فهو ابن أبي عياش الزاهد البصري، وقال أحمد: متروك الحديث، وقال شعبة: لأن يزني الرجل خير من أن يروي عن أبان
قلت: ولا يجوز أن يقال مثل هذا إلا فيمن هو كذاب معروف بذلك وقد كان شعبة يحلف على ذلك، ولعله كان لا يتعمد الكذب، فقد قال فيه ابن حبان: كان أبان من العباد يسهر الليل بالقيام ويطوي النهار بالصيام، سمع من أنس أحاديث وجالس الحسن فكان يسمع كلامه ويحفظ، فإذا حدث ربما جعل كلام الحسن عن أنس مرفوعا وهو لا يعلم! ولعله روى عن أنس عن النبي صلى الله عليه وسلم أكثر من ألف حديث وخمس مئة حديث ما لكبير شيء منها أصل يرجع له
وأما عبد السلام بن سليمان الأزدي، فالظاهر أنه أبوهمام العبدي، فإنه من طبقته سمع داود بن أبي هند روى عنه حرمي بن عمارة وأبو سلمة ويحيى بن يحيى كما قال أبو حاتم على ما في " الجرح والتعديل " (3 / 1 / 46) ولم يذكر فيه جرحا ولا تعديلا فهو مجهول الحال، وأما ابن حبان فأورده في " الثقات " (2 /182) على قاعدته وأورد قبله راويا آخر فقال: عبد السلام بن سليمان يروي عن يزيد بن سمرة، عداده في أهل الشام، روى عنه الأوزاعي
والظاهر أنه ليس هو راوي هذا الحديث فإن إسناده ليس شاميا، فإنما هو الذي قبله
وأما يوسف بن كامل، فالظاهر أنه العطار، روى عن سويد بن أبي حاتم ونافع بن عمر الجمحي، روى عنه عمرو بن علي الصيرفي كما في " الجرح والتعديل " (4 /2 / 228) ولم يذكر فيه جرحا ولا تعديلا، ولعله في " ثقات ابن حبان " فليراجع في أتباع أتباع التابعين منه، فإن نسختنا منه ينقص منها هذا المجلد وما دونه
وأما محمد بن يونس فهو الكديمي قال ابن عدي: قد اتهم بالوضع
وقال ابن حبان: لعله وضع أكثر من ألف حديث، وكذبه أبو داود وموسى بن هارون والقاسم بن المطرز، وقال الدارقطني: يتهم بوضع الحديث، وما أحسن فيه القول إلا من لم يخبر حاله
4 وأما حديث ابن عباس فعزاه السيوطي في " الجامع " لابن النجار، ولم أقف على إسناده، وغالب الظن أنه واه كغيره، وقد بيض له المناوي
فتبين من هذا التحقيق أن هذه الطرق كلها واهية جدا فلا تصلح لتقوية الطريق الأولى منها، وهي على ضعفها أحسنها حالا، فلا تغتر بقول الحافظ السخاوي في " المقاصد " (240) : وشواهده كثيرة، فإنها لا تصلح للشهادة كما ذكرنا
والظاهر أن أصل الحديث موقوف رفعه أولئك الضعفاء عمدا أوسهو ا، فقد رأيت في " المنتقى من المجالسة " للدينوري (52 / 2) بسند صحيح عن مغيرة قال: قال إبراهيم: ليس من المروءة كثرة الالتفات في الطريق، ويقال: سرعة المشي تذهب بهاء المؤمن
وذكره الشيخ على القاري في " شرح الشمائل " (1 / 52) من قول الزهري
ويكفي في رد هذا الحديث أنه مخالف لهدي النبي صلى الله عليه وسلم في مشيه، فقد كان صلى الله عليه وسلم سريع المشي كما ثبت ذلك عنه في غير ما حديث، وروى ابن سعد في " الطبقات عن الشفاء بنت عبد الله أم سليمان قالت: كان عمر إذا مشى أسرع
ولعل هذا الحديث من افتراء بعض المتزهدين الذين يرون أن الكمال أن يمشي المسلم متباطئا متماوتا كأن به مرضا! وهذه الصفة ليست مرادة قطعا بقوله تعالى
(وعباد الرحمن الذين يمشون على الأرض هو نا، وإذا خاطبهم الجاهلون قالوا سلاما) ، قال الحافظ ابن كثير في تفسيرها: هو نا: أي بسكينة ووقار من غير جبرية ولا استكبار، كقوله تعالى: (ولا تمش في الأرض مرحا) ، فأما
هؤلاء فإنهم يمشون بغير استكبار ولا مرح ولا أشر ولا بطر
وليس المراد أنهم يمشون كالمرضى تصنعا ورياء، فقد كان سيد ولد آدم عليه الصلاة والسلام إذا مشى كأنما ينحط من صبب وكأنما تطوى الأرض له، وقد كره بعض السلف المشي بتضعف، حتى روى عن عمر أنه رأى شابا يمشي رويدا، فقال: ما بالك أأنت مريض؟ قال: لا يا أمير المؤمنين، فعلاه بالدرة وأمره أن يمشي
بقوة، وإنما المراد بالهو ن هنا: السكينة والوقار
وقد روى الإمام أحمد (رقم 3034) من حديث ابن عباس: أن النبي صلى الله عليه وسلم كان إذا مشى مشى مجتمعا ليس فيه كسل، ورواه البزار (2391 - زوائده) وسنده صحيح، وله شاهد عن سيار أبي الحكم مرسلا، رواه ابن سعد (1 / 379)

হাদিসের মানঃ মুনকার (সহীহ হাদীসের বিপরীত)

৫৮। আমার সাহাবীগণ নক্ষত্রের ন্যায়, তোমরা তাদের যে কোন একজনের অনুসরণ করলে সঠিক পথপ্রাপ্ত হবে।

হাদীসটি জাল।

হাদীসটি ইবনু আদিল বার “জামেউল ইলম” (২/৯১) ও ইবনু হাযম “আল-ইহকাম” (৬/৮২) গ্রন্থে সালাম ইবনু সুলাইম সূত্রে হারিস ইবনু গোসাইন হতে, তিনি আমাশ হতে, তিনি আবূ সুফিইয়ান হতে ... বর্ণনা করেছেন।

ইবনু আদিল বার বলেনঃ

هذا إسناد لا تقوم به حجة لأن الحارث بن غصين مجهول

“এ সনদটি দ্বারা দলীল সাব্যস্ত হয় না, কারণ এ সনদের বর্ণনাকারী হারিস ইবনু গোসাইন মাজহুল।

ইবনু হাযম বলেনঃ এ বর্ণনাটি নিম্ন পর্যায়ের। তাতে আবূ সুফিইয়ান রয়েছেন, তিনি দুর্বল আর হারিস ইবনু গোসাইন হচ্ছেন মাজহুল। আর সালাম ইবনু সুলাইম কতিপয় জাল হাদীস বর্ণনা করেছেন। এটি নিঃসন্দেহে সেগুলোর একটি।

আমি (আলবানী) বলছিঃ সালাম ইবনু সুলাইমকে বলা হয় ইবনু সুলায়মান আত-তাবীল, তার দুর্বলতার ব্যাপারে সকলে একমত। এমনকি তার সম্পর্কে ইবনু খাররাশ বলেনঃ তিনি মিথ্যুক।

ইবনু হিব্বান বলেনঃ روى أحاديث موضوعة তিনি কতিপয় জাল হাদীস বর্ণনা করেছেন।

হারিস মাজহুল হলেও আবূ সুফিইয়ান দুর্বল নয় যেমনভাবে ইবনু হাযম বলেছেন। তিনি বরং সত্যবাদী যেরূপ ইবনু হাজার "আত-তাকরীব" গ্রন্থে বলেছেন। ইমাম আহমাদ বলেনঃ হাদীসটি সহীহ নয়, যেমনভাবে ইবনু কুদামার “আল-মুনতাখাব” গ্রন্থে (১০/১৯৯/২) এসেছে।

তবে হাদীসটি জাল হওয়ার জন্য সালামই যথেষ্ট।

أصحابي كالنجوم، بأيهم اقتديتم اهتديتم
موضوع

-

رواه ابن عبد البر في " جامع العلم " (2 / 91) وابن حزم في " الإحكام " (6 / 82) من طريق سلام بن سليم قال: حدثنا الحارث بن غصين عن الأعمش عن أبي سفيان عن جابر مرفوعا به، وقال ابن عبد البر: هذا إسناد لا تقوم به حجة لأن الحارث بن غصين مجهول
وقال ابن حزم: هذه رواية ساقطة، أبو سفيان ضعيف، والحارث بن غصين هذا هو أبو وهب الثقفي، وسلام بن سليمان يروي الأحاديث الموضوعة وهذا منها بلا شك
قلت: الحمل في هذا الحديث على سلام بن سليم - ويقال: ابن سليمان وهو الطويل - أولى فإنه مجمع على ضعفه، بل قال ابن خراش: كذاب، وقال ابن حبان
روى أحاديث موضوعة
وأما أبو سفيان فليس ضعيفا كما قال ابن حزم، بل هو صدوق كما قال الحافظ في " التقريب "، وأخرج له مسلم في صحيحه
والحارث بن غصين مجهول كما قال ابن حزم، وكذا قال ابن عبد البر وإن ذكره ابن حبان في " الثقات، ولهذا قال أحمد: لا يصح هذا الحديث كما في " المنتخب " لابن قدامة (10 / 199 / 2)
وأما قول الشعراني في " الميزان " (1 / 28) : وهذا الحديث وإن كان فيه مقال عند المحدثين، فهو صحيح عند أهل الكشف، فباطل وهراء لا يتلفت إليه
ذلك لأن تصحيح الأحاديث من طريق الكشف بدعة صوفية مقيتة، والاعتماد عليها يؤدي إلى تصحيح أحاديث باطلة لا أصل لها، كهذا الحديث لأن الكشف أحسن أحواله - إن صح - أن يكون كالرأي، وهو يخطيء ويصيب، وهذا إن لم يداخله الهوى، نسأل الله السلامة منه، ومن كل ما لا يرضيه
وروي الحديث عن أبي هريرة بلفظ: " مثل أصحابي " وسيأتي برقم (438)
وروي نحوه عن ابن عباس وعمر بن الخطاب وابنه عبد الله

হাদিসের মানঃ জাল (Fake)

৬১। অবশ্যই আমার সাথীগণ নক্ষত্রতুল্য। অতএব তোমরা তাদের যে কারো কথা গ্রহণ করলে সঠিক পথপ্রাপ্ত হবে।

হাদীসটি জাল।

হাদীসটি ইবনু আবদিল বার মুয়াল্লাক হিসাবে (২/৯০) বর্ণনা করেছেন এবং তার থেকে ইবনু হাযম মারফু হিসাবে আবূ শিহাব হান্নাত সূত্রে হামযা যাযারী হতে ... বর্ণনা করেছেন। এছাড়া আবদু ইবনে হুমায়েদ “আল-মুনতাখাব মিনাল মুসনাদ” (১/৮৬) গ্রন্থে, এবং ইবনু বাত্তা “আল-ইবানাহ" গ্রন্থে (৪/১১/২) ভিন্ন ভিন্ন সূত্রে বর্ণনা করেছেন।

অতঃপর ইবনু আদিল বার বলেছেনঃ

هذا إسناد لا يصح، ولا يرويه عن نافع من يحتج به

এ সনদটি সহীহ নয়, হাদিসটি নাফে’ হতে এমন কেউ বর্ণনা করেননি যার দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যায়।’

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ হামযা হচ্ছে আবু হামযার ছেলে; দারাকুতনী তার সম্পর্কে বলেনঃ তিনি মাতরূক।

ইবনু আদী বলেনঃ عامة مروياته موضوعة তার অধিকাংশ বর্ণনা জাল (বানোয়াট)।

ইবনু হিব্বান বলেনঃ

ينفرد عن الثقات بالموضوعات حتى كأنه المتعمد لها، ولا تحل الرواية عنه

তিনি নির্ভরযোগ্য উদ্ধৃতিতে এককভাবে জাল (বানোয়াট) হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি যেন তা ইচ্ছাকৃতই করেছেন। সুতরাং তার থেকে হাদীস বর্ণনা করাই হালাল নয়। যাহাবী “আল-মীযান” গ্রন্থে তার জাল হাদীসগুলো উল্লেখ করেছেন। সেগুলোর একটি হচ্ছে এটি ।

ইবনু হাযম “আল-মুহাল্লা” গ্রন্থে ৬/৮৩) বলেনঃ এটিই স্পষ্ট হয়েছে যে, এ বর্ণনাটি আসলে সাব্যস্ত হয়নি। বরং বর্ণনাটি যে মিথ্যা তাতে কোন সন্দেহ নেই। কারণ আল্লাহ তাঁর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর গুণাগুণ বর্ণনা করে বলেছেনঃ

وما ينطق عن الهو ى، إن هو إلا وحي يوحى

তিনি মনোবৃত্তি হতে কিছু বলেন না। তাঁর উক্তি অহী ছাড়া অন্য কিছু নয়।” (সূরা নাজম: ৩-৪)

যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সকল কথা শরীয়তের মধ্যে সত্য এবং তা গ্রহণ করা ওয়াজিব, তখন তিনি যা বলেন তা নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট হতেই বলেন। আর আল্লাহর নিকট হতে যা আসে তাতে মতভেদ থাকতে পারে না, তার এ বাণীর কারণে।

ولوكان من عند غير الله لوجدوا فيه اختلافا كثيرا

অর্থঃ “আর যদি আল্লাহ ব্যতীত অন্য করে নিকট হতে হতো, তাহলে তারা তাতে বহু মতভেদ পেত।” (সূরা নিসাঃ ৮২)

আল্লাহ তা’আলা মতভেদ ও দ্বন্দ্ব করতে নিষেধ করেছেন, তাঁর এ বাণী দ্বারাঃ ولا تنازعوا "আর তোমরা আপোষে বিবাদ করো না।" (আনফালঃ ৪৬)।

অতএব এটি অসম্ভবমূলক কথা যে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাহাবীগণের প্রত্যেকটি কথার অনুসরণ করার নির্দেশ দিবেন, অথচ তাদের মধ্য হতে কেউ কোন বস্তুকে হালাল বলেছেন আবার অন্যজন সেটিকে হারাম বলেছেন। ইবনু হাযম এ বিষয়ে আরো বলেছেনঃ সাহাবীগণের মধ্য হতে এমন মতামতও আছে যে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবদ্দশায় তারা তাতে ভুল করেছেন সুন্নাত বিরোধী হওয়ার কারণে। অতঃপর (৬/৮৬) বলেছেনঃ কীভাবে সম্ভব তাদের অন্ধ অনুসরণ করা যারা ভুল করেছেন, আবার সঠিকও করেছেন?

ইবনু হাযম মতভেদ নিন্দনীয় অধ্যায়ে (৫/৬৪) আরো বলেনঃ আমাদের উপর ফরয হচ্ছে আল্লাহর নিকট হতে কুরআনের মধ্যে যা এসেছে ইসলাম ধর্মের শারীয়াত হিসাবে তার অনুসরণ করা এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে সহীহ বর্ণনায় যা এসেছে তার অনুসরণ করা। কারণ সেগুলোও আল্লাহর নির্দেশ হিসাবে তাঁর নিকট ধর্মের ব্যাখ্যায় এসেছে। অতএব মতভেদ কখনও রহমত হতে পারে না, আবার তা গ্রহণীয় হতে পারে না।

মোটকথা হাদীসটি মিথ্যা, বানোয়াট, বাতিল, কখনও সহীহ নয়, যেমনটি ইবনু হাযম বলেছেন।

إنما أصحابي مثل النجوم فأيهم أخذتم بقوله اهتديتم
موضوع

-

ذكره ابن عبد البر معلقا (2 / 90) وعنه ابن حزم من طريق أبي شهاب الحناط عن حمزة الجزري عن نافع عن ابن عمر مرفوعا به
وقد وصله عبد بن حميد في " المنتخب من المسند " (86 / 1) : أخبرني أحمد بن يونس حدثنا أبو شهاب به، ورواه ابن بطة في " الإبانة " (4 / 11 / 2) من طريق آخر عن أبي شهاب به، ثم قال ابن عبد البر: وهذا إسناد لا يصح، ولا يرويه عن نافع من يحتج به
قلت: وحمزة هذا هو ابن أبي حمزة، قال الدارقطني: متروك، وقال ابن عدي
عامة مروياته موضوعة، وقال ابن حبان: ينفرد عن الثقات بالموضوعات حتى كأنه المتعمد لها، ولا تحل الرواية عنه، وقد ساق له الذهبي في الميزان
أحاديث من موضوعاته هذا منها
قال ابن حزم (6 / 83) : فقد ظهر أن هذه الرواية لا تثبت أصلا، بل لا شك أنها مكذوبة، لأن الله تعالى يقول في صفة نبيه صلى الله عليه وسلم: (وما ينطق عن الهو ى، إن هو إلا وحي يوحى) ، فإذا كان كلامه عليه الصلاة والسلام في الشريعة حقا كله وواجبا فهو من الله تعالى بلا شك، وما كان من الله تعالى فلا يختلف فيه لقوله تعالى: (ولوكان من عند غير الله لوجدوا فيه اختلافا كثيرا)
وقد نهى تعالى عن التفرق والاختلاف بقوله: (ولا تنازعوا) ،فمن المحال أن يأمر رسوله صلى الله عليه وسلم باتباع كل قائل من الصحابة رضي الله عنهم وفيهم من يحلل الشيء، وغيره يحرمه، ولوكان ذلك لكان بيع الخمر حلالا اقتداء بسمرة بن جندب، ولكان أكل البرد للصائم حلالا اقتداء بأبي طلحة، وحراما اقتداء بغيره منهم، ولكان ترك الغسل من الإكسال واجبا بعلي وعثمان وطلحة وأبي أيوب وأبي بن كعب وحراما اقتداء بعائشة وابن عمر وكل هذا مروى عندنا بالأسانيد الصحيحة
ثم أطال في بيان بعض الآراء التي صدرت من الصحابة وأخطأوا فيها السنة، وذلك في حياته صلى الله عليه وسلم وبعد مماته، ثم قال (6 / 86) : فكيف يجوز تقليد قوم يخطئون ويصيبون؟
وقال قبل ذلك (5 / 64) تحت باب ذم الاختلاف: وإنما الفرض علينا اتباع ما جاء به القرآن عن الله تعالى الذي شرع لنا دين الإسلام، وما صح عن رسول الله صلى الله عليه وسلم الذي أمره الله تعالى ببيان الدين ... فصح أن الاختلاف لا يجب أن يراعى أصلا، وقد غلط قوم فقالوا: الاختلاف رحمة، واحتجوا بما روي عن النبي صلى الله عليه وسلم: " أصحابي كالنجوم بأيهم اقتديتم اهتديتم "، قال: وهذا الحديث باطل مكذوب من توليد أهل الفسق لوجوه ضرورية
أحدها: أنه لم يصح من طريق النقل
والثاني: أنه صلى الله عليه وسلم لم يجز أن يأمر بما نهى عنه، وهو عليه السلام قد أخبر أن أبا بكر قد أخطأ في تفسير فسره، وكذب عمر في تأويل تأوله في الهجرة، وخطأ أبا السنابل في فتيا أفتى بها في العدة، فمن المحال الممتنع
الذي لا يجوز البتة أن يكون عليه السلام يأمر باتباع ما قد أخبر أنه خطأ
فيكون حينئذ أمر بالخطأ تعالى الله عن ذلك، وحاشا له صلى الله عليه وسلم من هذه الصفة، وهو عليه الصلاة والسلام قد أخبر أنهم يخطئون، فلا يجوز أن يأمرنا باتباع من يخطيء، إلا أن يكون عليه السلام أراد نقلهم لما رووا عنه فهذا صحيح لأنهم رضي الله عنهم كلهم ثقات، فمن أيهم نقل، فقد اهتدى الناقل
والثالث: أن النبي صلى الله عليه وسلم لا يقول الباطل، بل قوله الحق، وتشبيه المشبه للمصيبين بالنجوم تشبيه فاسد وكذب ظاهر، لأنه من أراد جهة مطلع الجدي، فأم جهة مطلع السرطان لم يهتد، بل قد ضل ضلالا بعيدا وأخطأ خطأ فاحشا، وليس كل النجوم يهتدى بها في كل طريق، فبطل التشبيه المذكور ووضح كذب ذلك الحديث وسقوطه وضوحا ضروريا
ونقل خلاصته ابن الملقن في " الخلاصة " (175 / 2) وأقره، وبه ختم كلامه على الحديث فقال: وقال ابن حزم: خبر مكذوب موضوع باطل لم يصح قط

হাদিসের মানঃ জাল (Fake)

দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৩৩৬ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 5 6 · · · 64 65 66 67 পরের পাতা »