২১৩১

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

২১৩১-[২৩] ’উকবাহ্ ইবনু ’আমির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আজ রাতে এমন কিছু আশ্চর্যজনক আয়াত নাযিল হয়েছে আগে এ রকম কোন আয়াত (নাযিল) হতে দেখা যায়নি। (আর তা হলো) ’’কুল আ’ঊযু বিরাব্বিল ফালাক’’’’কুল আ’ঊযু বিরাব্বিন্‌না-স’’। (মুসলিম)[1]

اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ

وَعَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَلَمْ تَرَ آيَاتٍ أُنْزِلَتِ اللَّيْلَةَ لَمْ يُرَ مِثْلُهُنَّ قَطُّ (قل أعوذ بِرَبّ الفلق)
و (قل أعوذ بِرَبّ النَّاس)
رَوَاهُ مُسلم

وعن عقبة بن عامر قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم الم تر ايات انزلت الليلة لم ير مثلهن قط قل اعوذ برب الفلقو قل اعوذ برب الناسرواه مسلم

ব্যাখ্যা: ‘‘এ রকম কোন আয়াত ইতিপূর্বে দেখা যায়নি’’ তার মানে এই নয় যে, পুরো কুরআনে এর মতো কোন আয়াত নেই, বরং আল্লাহর নিকট সৃষ্টির অনিষ্টতা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা বা বাঁচার জন্য এ দু’টি সূরার চেয়ে ভালো কোন সূরা কিংবা আয়াত নেই। এজন্য নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিন্-ইনসানের অনিষ্টতা থেকে বাঁচার জন্য সর্বদাই এ দু’টি সূরা পাঠ করে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন।

আশ্রয় প্রার্থনার অন্যান্য দু‘আ যা ইতিপূর্বে পড়তেন তা ছেড়ে দিলেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে যাদু করলে তিনি এ দু’টি সূরার মাধ্যমে আরোগ্য লাভ করেন।

এ হাদীস দ্বারা আরো প্রমাণিত যে, এ দু’টি কুরআনের সূরার উপর উম্মাতের ইজমা রয়েছে। ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) এ দু’টি সূরাকে কুরআনের সূরা হিসেবে না মানার যে কথাটি তা সঠিক নয় বরং মিথ্যা এবং বাতিল। বরং তার নিকট সহীহভাবে কুরআনের সূরা হওয়ার স্বীকৃতি রয়েছে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৮: কুরআনের মর্যাদা (كتاب فضائل القراٰن)