হা, তা জায়েয আছে।
(ক) রক্তশূন্যতা পূরণ জনিত ইনজেকশান
(খ) শক্তি বর্ধক ইনজেকশান
(গ) স্যালাইন ও পানাহারের স্থলাভিষিক্ত ইনজেকশান। এর কোন একটা পুশ করলে সিয়াম ভঙ্গ হয়ে যাবে।
তবে শুধুমাত্র ঔষধজনিত হলে সিয়াম ভঙ্গ হবে না।
দিবসের শুরু বা শেষ যে কোন অংশে স্রাব শুরু হলে সিয়াম ভঙ্গ হয়ে যাবে।
শুরু না হওয়া পর্যন্ত ভঙ্গ হবে না।
শুধুমাত্র সিয়াম কাযা করবে। সালাত কাযা করতে হবে না। আয়িশাহ বলেন :
كَانَ يُصِيبُنَا ذَلِكَ فَنُؤْمَرُ بِقَضَاءِ الصَّوْمِ وَلاَ نُؤْمَرُ بِقَضَاءِ الصَّلاَةِ
আমাদেরও এটা ঘটত (অর্থাৎ মাসিক হতো)। তখন আমরা শুধু সিয়াম কাযা করতে আদিষ্ট হতাম। কিন্তু সালাত কাযা করতে আদিষ্ট হতাম না। (মুসলিম: ৩৩৫)
হা, শুদ্ধ হবে এ জন্য যে, এটি তার অজানা ও অজ্ঞতাবশতঃ হয়ে গেছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
﴿ وَلَيۡسَ عَلَيۡكُمۡ جُنَاحٞ فِيمَآ أَخۡطَأۡتُم بِهِۦ وَلَٰكِن مَّا تَعَمَّدَتۡ قُلُوبُكُمۡۚ وَكَانَ ٱللَّهُ غَفُورٗا رَّحِيمًا ٥ ﴾ [الاحزاب: ٥]
‘ভুলক্রমে কোনকিছু করে ফেললে এতে কোন গুনাহ হবে না। তবে জেনে শুনে ইচ্ছাকৃত ভাবে কোন অপরাধ করলে অবশ্যই এতে গুনাহ হবে। আল্লাহ তা‘আলা অতিশয় ক্ষমাশীল ও মেহেরবান’। (আহযাব : ৫)
মনে হওয়ামাত্র মুখের বাকীখানা বা পানীয় ফেলে দেবে আর যতটুকু ভুলে খাওয়া হয়ে গেছে সেজন্য সিয়াম ভঙ্গ হবে না। তবে এ দৃশ্য যে দেখবে তার উপর ফরয হল সিয়াম পালনকারীকে স্মরণ করিয়ে দেয়া।
এতে সিয়াম ভঙ্গ হবে না। অনুরূপভাবে জোর করে কোন মুমিনকে কাফির বানাতে চাইলে সে কাফির হবে না।
অনুরূপভাবে স্ত্রীর সম্মতি ব্যতিরেকে স্ত্রীকে জোর করে সঙ্গম করলে স্ত্রীর সিয়াম ভাঙ্গবে না কিন্তু স্বামীর সিয়াম অবশ্যই ভেঙ্গে যাবে।
এটি একটি মহাপাপ। তাকে তাওবা করতে হবে এবং এসব রোযা কাযা করতে হবে।
এতে রোযা ভাঙ্গবে না। কারণ স্বপ্নদোষ নিজের ইচ্ছাকৃত কোন ঘটনা নয়।