পরিচ্ছেদঃ সালাতে দাঁড়ানোর সময় কাতার সোজা করার নির্দেশ সম্পর্কে বর্ণনা
২১৬৪. হিত্তান বিন আব্দুল্লাহ আর রাকাশী (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আশ‘আরী গোত্রের একজন ব্যক্তি (আবূ মূসা আশ‘আরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) একবার তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে সালাত আদায় করেন। যখন তিনি তাঁর সালাতের বৈঠকে বসেন, তখন কওমের মধ্যে এক ব্যক্তি বললেন, “সালাত কি পূণ্য ও যাকাতের সাথে স্থির করে দেওয়া হয়েছে?” তারপর আশ‘আরী গোত্রের সেই ব্যক্তি (আবূ মূসা আশ‘আরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) যখন সালাত শেষ করলেন, তখন তিনি বললেন, “এরকম এরকম কথা কে বললো?” তখন লোকজন নিশ্চুপ থাকলো। তখন তিনি বলেন, “হে হিত্তান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু, সম্ভবত এটা তুমি বলেছো?” জবাবে তিনি বলেন, “আল্লাহর কসম, আমি এটা বলিনি, তবে আমি আশংকা করছিলাম যে, আপনি হয়তো একাজের জন্য আমাদের দোষারোপ করবেন!” তখন কওমের মধ্যে এক ব্যক্তি বললেন, “আমি এটা বলেছি। আমি এর দ্বারা ভালো ছাড়া অন্য কিছু উদ্দেশ্য নেইনি।” তখন তারপর আশ‘আরী গোত্রের সেই ব্যক্তি (আবূ মূসা আশ‘আরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, “তোমরা কি জানো না যে, তোমরা সালাতে কী বলবে? নিশ্চয়ই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের উদ্দেশ্যে ভাষন দিয়েছেন, আমাদেরকে সুন্নাত শিক্ষা দিয়েছেন এবং আমাদের কাছে সালাতের বিধি-বিধান স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, “যখন সালাতের জন্য ইকামত দেওয়া হবে, তখন তোমরা তোমাদের কাতারগুলো সোজা করবে। এবং তোমাদের একজন ইমামতি করবে। অতঃপর তিনি (ইমাম) যখন তাকবীর দিবেন, তখন তোমরাও তাকবীর দিবে। আর যখন তিনি وَلَا الضَّالِّينَ (আর তাদের পথ নয়, যারা পথভ্রষ্ট। -সূরা ফাতিহা: ৭) বলবেন, তখন তোমরা ‘আমীন’ বলবে, তাহলে আল্লাহর তোমাদের দু‘আ কবূল করবেন। তারপর ইমাম যখন তাকবীর দিবেন এবং রুকূ‘ করবেন, তখন তোমরাও তাকবীর দিবে এবং রুকূ‘ করবে। কেননা ইমাম তোমাদের আগে রুকূ‘ করে এবং আগে রুকূ‘ থেকে মাথা উত্তলন করে।” আল্লাহর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “কাজেই এটি ঐটির সমান হয়ে গেলো। আর ইমাম যখন سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ (আল্লাহ শ্রবন করেন, যে তাঁর প্রশংসা করে) বলবেন, তখন তোমরা বলবে اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ (হে আল্লাহ, আমাদের প্রভু, আপনার জন্যই সকল প্রশংসা), কেননা আল্লাহ তা‘আলা তাঁর রাসূলের জবানে বলেন, “سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ (আল্লাহ শ্রবন করেন, যে তাঁর প্রশংসা করে)।” তারপর ইমাম যখন তাকবীর দিবেন এবং সাজদায় যাবেন, তখন তোমরাও তাকবীর দিবে এবং সাজদায় যাবে। কেননা ইমাম তোমাদের আগে সাজদা করে এবং আগে সাজদা থেকে মাথা উত্তলন করে।” আল্লাহর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “কাজেই এটি ঐটির সমান হয়ে গেলো। অতঃপর যখন ইমাম বৈঠকে থাকবেন, তখন তোমরা বলবে, التَّحِيَّاتُ الصَّلَوَاتُ لِلَّهِ السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ محمدا عبده ورسوله (সমস্ত অভিবাদন, সালাত আল্লাহর জন্য। হে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আপনার প্রতি বর্ষিত হোক আল্লাহর রহমত, বরকত ও সালাত। শান্তি বর্ষিত হোক আমাদের উপর এবং আল্লাহর সৎবান্দাদের উপর। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন মা‘বূদ নেই আমি এবং নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল)।”[1]
ذِكْرُ الْأَمْرِ بِتَسْوِيَةِ الصُّفُوفِ وَإِقَامَتِهَا عِنْدَ الْقِيَامِ إلى الصلاة
2164 - أَخْبَرَنَا الْفَضْلُ بْنُ الْحُبَابِ الْجُمَحِيُّ حَدَّثَنَا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ يُونُسَ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ حِطَّانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الرَّقَاشِيِّ: أَنَّ الْأَشْعَرِيَّ صَلَّى بِأَصْحَابِهِ فَلَمَّا جَلَسَ فِي صَلَاتِهِ قَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ: أُقِرَّتِ الصَّلَاةُ بِالْبِرِّ وَالزَّكَاةِ؟ فَلَمَّا قَضَى الْأَشْعَرِيُّ صَلَاتَهُ أَقْبَلَ عَلَى الْقَوْمِ فَقَالَ: أيكم القائل كلمة كذا وكذا؟ فَأَرَمَّ الْقَوْمُ فَقَالَ: لَعَلَّكَ يَا حِطَّانُ قُلْتُهَا قَالَ: وَاللَّهِ مَا قُلْتُهَا وَلَقَدْ خِفْتُ أَنْ تَبْكَعَنِي بِهَا فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ: أَنَا قُلْتُهَا وَمَا أَرَدْتُ بِهَا إِلَّا الْخَيْرَ فَقَالَ الْأَشْعَرِيُّ: أَمَا تَعْلَمُونَ مَا تَقُولُونَ فِي صَلَاتِكُمْ؟ إن رسول الله صلى الله عليه وسلم خَطَبَنَا فعلَّمنا سُنَّتَنَا وَبَيَّنَ لَنَا صَلَاتَنَا فَقَالَ: (إِذَا أُقِيمَتِ الصَّلَاةُ فَأَقِيمُوا صُفُوفَكُمْ وَلْيَؤْمَّكُمْ أَحَدُكُمْ فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا وَإِذَا قَالَ: {وَلَا الضَّالِّينَ} [الفاتحة: 7] فَقُولُوا: آمِينَ يُجِبْكُمُ اللَّهُ ثُمَّ إِذَا كَبَّرَ فَرَكَعَ فَكَبِّرُوا وَارْكَعُوا فَإِنَّ الْإِمَامَ يَرْكَعُ قَبْلَكُمْ وَيَرْفَعُ قَبْلَكُمْ) قَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (فَتِلْكَ بِتِلْكَ وَإِذَا قَالَ: سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ فَقُولُوا: اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ فَإِنَّ اللَّهَ جَلَّ وَعَلَا قَالَ عَلَى لِسَانِ نَبِيِّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ثُمَّ إِذَا كَبَّرَ وَسَجَدَ فَكَبِّرُوا وَاسْجُدُوا فَإِنَّ الْإِمَامَ يَسْجُدُ قَبْلَكُمْ وَيَرْفَعُ قَبْلَكُمْ) قَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (فَتِلْكَ بِتِلْكَ فَإِذَا كَانَ عِنْدَ الْقَعْدَةِ فَلْيَكُنْ مِنْ قَوْلِ أَحَدِكُمُ: التَّحِيَّاتُ الصَّلَوَاتُ لِلَّهِ السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ محمدا عبده ورسوله)
الراوي : حِطَّان بْن عَبْدِ اللَّهِ الرَّقَاشِيّ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 2164 | خلاصة حكم المحدث: صحيح - ((صحيح أبي داود)) (893) , ((الإرواء)) (332).
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহ আবূ দাঊদ: ৬৬৯)