৩৮৮

পরিচ্ছেদঃ ১৪) সাধারণ ভাবে নামাযের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ, রুকু, সেজদা এবং বিনয় নম্রতার ফযীলত

৩৮৮. (সহীহ্ লি গাইরিহী) রাবিআ’ ইবনে কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সারাদিন রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর খেদমত করতাম এবং রাতে তার দরজার কাছে ঘুমাতাম। তখন আমি শুনতে পেতাম তিনি এই তসবীহগুলো পাঠ করছেন: সুবহানাল্লাহ্, সুবহানাল্লাহ্, সুবহানা রাববী। এটা শুনতে শুনতে আমি ক্লান্ত হয়ে যেতাম এবং আমার চোখ আমাকে পরাজিত করত তখন আমি ঘুমিয়ে পড়তাম।

একদা তিনি (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ রাবিআ’! আমার কাছে কিছু চাও আমি তোমাকে দিব।’’

আমি বললামঃ আমাকে একটু সময় দিন আমি চিন্তা-ভাবনা করে দেখি। একথা বলে আমি দুনিয়ার ক্ষনস্থায়িত্ব এবং তা বিনাশ হয়ে যাবার কথা স্মরণ করলাম। তারপর আমি বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমি চাই আপনি আল্লাহর কাছে দু’আ করবেন তিনি যেন আমাকে জাহান্নাম থেকে নাজাত দেন এবং জান্নাতে প্রবেশ করান।

রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিছুক্ষণ চুপ থাকলেন তারপর বললেনঃ ’’এ প্রশ্ন করতে তোমাকে কে আদেশ করেছে?’’

আমি বললাম: কেউ আমাকে একথা বলতে বলেনি। কিন্তু আমি এটা জানি যে দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী এবং ধ্বংসশীল এবং আপনি আল্লাহ রাববুল আ’লামীনের কাছে মর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তি। সুতরাং আমি চাই আপনি আমার জন্যে আল্লাহর কাছে দু’আ করবেন।

তিনি বললেন আমি করবো। সুতরাং বেশী বেশী সেজদার মাধ্যমে তোমার জন্যে আমাকে সহযোগিতা করো।’’

(ত্বাবরানী [কাবীর গ্রন্থে] হাদীছটি বর্ণনা করেছেন)

এবং ইমাম মুসলিম ও আবু দাউদ সংক্ষিপ্তভাবে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন।

মুসলিমের বর্ণনায় বলা হয়েছেঃ রাবিআ’ বলেছেনঃ

كُنْتُ أَبِيتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ  فأَتِيهِ بِوَضُوئِهِ وَحَاجَتِهِ ، فَقَالَ لِيْ : سَلْنِيْ فَقُلْتُ أَسْأَلُكَ مُرَافَقَتَكَ فِي الْجَنَّةِ قَالَ أَوَغَيْرَ ذَلِكَ قُلْتُ هُوَ ذَاكَ قَالَ فَأَعِنِّي عَلَى نَفْسِكَ بِكَثْرَةِ السُّجُودِ

আমি রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর সাথে রাত কাটাতাম এবং তাকে প্রয়োজনীয় জিনিস অথবা ওযুর পানি এনে দিতাম।

একদা তিনি আমাকে বললেনঃ ’’তুমি আমার কাছে কিছু চাও।’’ আমি বললামঃ আমি জান্নাতে আপনার সাথে থাকতে চাই।
তিনি বললেনঃ ’’এটা ছাড়া অন্য কিছু?’’
আমি বললামঃ এটাই।
তিনি বললেনঃ ’’অতএব বেশী বেশী করে সেজদা করে তোমার জন্য আমাকে সহযোগিতা কর।’’ (মুসলিম ৪৮৯, আবূ দাউদ ১৩২০)

الترغيب في الصلاة مطلقا وفضل الركوع والسجود والخشوع

(صحيح لغيره) و عَنْ رَبِيعَةَ بن كَعْبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ : كُنْتُ أَخْدُمُ أَخْدُمُ النبيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَارِي ، فَإِذَا كَانَ اللَّيْلُ آوَيْتُ إِلَى بَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَبِتُّ عِنْدَهُ ، فَلا أَزَالُ أَسْمَعُهُ ، يَقُولُ : سُبْحَانَ اللَّهِ سُبْحَانَ اللَّهِ سُبْحَانَ رَبِّي حَتَّى أَمَلُّ أَوْ تَغْلِبَنِي عَيْنِي فَأَنَامُ ، فَقَالَ يَوْماً : يَا رَبِيعَةُ سَلْنِي فَأُعْطِيَكَ ، قُلْتُ : أَنْظِرْنِي حَتَّى أَنْظُرَ ، وتَذَكَرْتُ أَنَّ الدُّنْيَا فَانِيَةٌ مُنْقَطِعَةٌ فَقُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، أَسْأَلُكَ أنْ تَدْعُوَ اللَّهَ أَنْ يُنْجِيَنِيْ مِنَ النَّارِ وَيُدْخِلَنِي الْجَنَّةَ،
فَسَكَتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، ثُمَّ قَالَ : مَنْ أَمَرَكَ بِهَذَا ؟ قُلْتُ : مَا أَمَرَنِي بِهِ أَحَدٌ ، وَلَكِنِّي عَلِمْتُ أَنَّ الدُّنْيَا مُنْقَطِعَةٌ فَانِيَةٌ وَأَنْتَ مِنَ اللَّهِ بِالْمَكَانِ الَّذِي أَنْتَ مِنْهُ فأَحْبَبْتُ أنْ تَدْعُوَ اللَّهَ ، قَالَ : إِنِّي فَاعِلٌ ، فَأَعِنِّي على نَفْسِكَ بِكَثْرَةِ السُّجُودِ.
رواه الطبراني في الكبير ورواه مسلم وأبو داود مختصرا

صحيح لغيره و عن ربيعة بن كعب رضي الله عنه قال كنت اخدم اخدم النبي صلى الله عليه وسلم نهاري فاذا كان الليل اويت الى باب رسول الله صلى الله عليه وسلم فبت عنده فلا ازال اسمعه يقول سبحان الله سبحان الله سبحان ربي حتى امل او تغلبني عيني فانام فقال يوما يا ربيعة سلني فاعطيك قلت انظرني حتى انظر وتذكرت ان الدنيا فانية منقطعة فقلت يا رسول الله اسالك ان تدعو الله ان ينجيني من النار ويدخلني الجنة فسكت رسول الله صلى الله عليه وسلم ثم قال من امرك بهذا قلت ما امرني به احد ولكني علمت ان الدنيا منقطعة فانية وانت من الله بالمكان الذي انت منه فاحببت ان تدعو الله قال اني فاعل فاعني على نفسك بكثرة السجودرواه الطبراني في الكبير ورواه مسلم وابو داود مختصرا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব
৫. সালাত (كتاب الصلاة)