৬২০৮

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - সমষ্টিগতভাবে মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য

৬২০৮-[১৩] উম্মু সুলায়ম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন তিনি (রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নিকট এসে) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার সেবক আনাস-এর জন্য আল্লাহর কাছে দুআ করুন। তখন তিনি (সা.) এভাবে দু’আ করলেন, “হে আল্লাহ! তার সম্পদ ও সন্তান বাড়িয়ে দাও। আর তুমি তাকে যা কিছু দান করেছ তাতে বরকত প্রদান কর।” আনাস (রাঃ) বলেন, আল্লাহর শপথ! আমার ধন-সম্পদ প্রচুর এবং আমার সন্তান-সন্ততির সংখ্যা আজ প্রায় একশত অতিক্রম করেছে। (বুখারী ও মুসলিম)

الفصل الاول (بَاب جَامع المناقب)

وَعَنْ أُمِّ سُلَيْمٍ أَنَّهَا قَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنَسٌ خَادِمُكَ ادْعُ اللَّهَ لَهُ قَالَ: «اللهمَّ أَكثر مَاله وَولده وَبَارك فِيمَا أَعْطيته» قَالَ أنس: فو الله إِنَّ مَالِي لَكَثِيرٌ وَإِنَّ وَلَدِي وَوَلَدَ وَلَدِي لَيَتَعَادُّونَ عَلَى نَحْوِ الْمِائَةِ الْيَوْمَ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ

متفق علیہ ، رواہ البخاری (6334) و مسلم (143 / 2481)، (6376) ۔
(مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

وعن ام سليم انها قالت يا رسول الله انس خادمك ادع الله له قال اللهم اكثر ماله وولده وبارك فيما اعطيته قال انس فو الله ان مالي لكثير وان ولدي وولد ولدي ليتعادون على نحو الماىة اليوم متفق عليهمتفق علیہ رواہ البخاری 6334 و مسلم 143 2481 6376 ۔متفق عليه

ব্যাখ্যা: ইবনু হাজার (রহিমাহুল্লাহ) তাঁর ‘শামায়িল' গ্রন্থের ব্যাখ্যায় বলেন, হাদীস বর্ণনা করার সময় পর্যন্ত আনাস (রাঃ) -এর দুই একজন কম ১২৫ জন সন্তান ও নাতি-নাতনি হয়েছিল আর আনাস (রাঃ)-এর জমিনে বছরে দুবার ফল দিতো।
ইবনু আবদুল বার (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, আনাস (রাঃ)-এর ১০০ জন সন্তান ছিল, এটিই অধিক বিশুদ্ধ মত। আবার কেউ কেউ বলেন, তার সন্তান ছিল ৮০ জন। তাদের মধ্য থেকে ৭৮ জন হলো পুরুষ আর দু’জন হলো নারী। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর জন্য ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততির ব্যাপারে দু'আ করার সাথে সাথে বরকতেরও দু'আ করেছেন। অতএব, এখান থেকে বুঝা যায় যে, দু'আর অন্যতম একটি আদব হলো কারো জন্য কোন কিছু বৃদ্ধি হওয়ার দু'আ করলে সাথে বরকতেরও দু'আ করা। কারণ হলো উক্ত বিষয়ের মধ্যে বরকত থাকলেই কেবল তা টিকে থাকবে এবং তাতে কোন ক্ষতি ও বিপদ সাধিত হবে না। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ; শারহুন নাবাবী ১৬শ খণ্ড, ৩৫ পৃ., হা, ২৪৮০)

মিক্বাতুল মাফাতীহ প্রণেতা আনাস (রাঃ) সম্পর্কে বলেন, তিনি হলেন, আনাস ইবনু মালিক ইবনু নাবীর আল- খাযরামী। তাঁর কুনিয়াত হলো আবু হামযাহ্। রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন হিজরত করে মাদীনায় আসেন, তখন তার বয়স ছিল দশ বছর। উমার (রাঃ)-এর শাসন আমলে দীন শিক্ষা দেয়ার জন্য তিনি বাসরায় গিয়ে ছিলেন, বাসরায় মৃত্যুবরণকারী সাহাবীদের মধ্যে তিনিই ছিলেন সর্বশেষ। যিনি ৯১ হিজরীতে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১০৩ বছর। আবার কেউ কেউ বলেন, ৯৯ বছর। তার থেকে অনেক মানুষ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু সুলায়ম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩০: মান-মর্যাদা (كتاب المناقب)