৫৮২৩

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর স্বভাব-চরিত্রের বর্ণনা

৫৮২৩-[২৩] খারিজাহ্ ইবনু যায়দ ইবনু সাবিত (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন কতিপয় লোক যায়দ ইবনু সাবিত (রাঃ)-এর কাছে এসে বলল, আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর কিছু সংখ্যক হাদীস বর্ণনা করুন। তিনি বললেন, আমি ছিলাম তার প্রতিবেশী, যখন তার ওপরে ওয়াহী অবতীর্ণ হত, তখন তিনি লোক পাঠিয়ে আমাকে ডেকে আনতেন, আমি তাকে তা লিখে দিতাম। রাসূল (সা.) -এর সাধারণ অভ্যাস ছিল, যখন আমরা দুনিয়ার ব্যাপারে কোন আলোচনা করতাম, তিনিও আমাদের সাথে সেই আলোচনায় শামিল হতেন। আর আমরা যখন পরকাল সম্পর্ক কথাবার্তা বলতাম, তখন তিনিও আমাদের সাথে সেই আলোচনায় অংশ নিতেন এবং যখন আমরা খানাপিনার কথা বলতাম, তখন তিনিও আমাদের সাথে সেই আলোচনায় শামিল হতেন। মোটকথা, উল্লিখিত সকল বিষয়গুলো আমি তোমাদেরকে রাসূলুল্লাহ (সা.) হতে বর্ণনা করছি। (তিরমিযী)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَابٌ فِي أَخْلَاقِهِ وَشَمَائِلِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم)

وَعَنْ خَارِجَةَ بْنِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ قَالَ: دَخَلَ نَفَرٌ عَلَى زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ فَقَالُوا لَهُ: حَدِّثْنَا أَحَادِيثَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: كُنْتُ جَارَهُ فَكَانَ إِذَا نزل الْوَحْيُ بَعَثَ إِلَيَّ فَكَتَبْتُهُ لَهُ فَكَانَ إِذَا ذَكَرْنَا الدُّنْيَا ذَكَرَهَا مَعَنَا وَإِذَا ذَكَرْنَا الْآخِرَةَ ذَكَرَهَا مَعَنَا وَإِذَا ذَكَرْنَا الطَّعَامَ ذَكَرَهُ مَعَنَا فَكُلُّ هَذَا أُحَدِّثُكُمْ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

اسنادہ ضعیف ، رواہ الترمذی (فی الشمائل : 342) و البغوی فی شرح السنۃ (13 / 245 ح 3679)] * فیہ سلیمان بن خارجۃ : مجھول الحال ۔
(ضَعِيف)

وعن خارجة بن زيد بن ثابت قال دخل نفر على زيد بن ثابت فقالوا له حدثنا احاديث رسول الله صلى الله عليه وسلم قال كنت جاره فكان اذا نزل الوحي بعث الي فكتبته له فكان اذا ذكرنا الدنيا ذكرها معنا واذا ذكرنا الاخرة ذكرها معنا واذا ذكرنا الطعام ذكره معنا فكل هذا احدثكم عن رسول الله صلى الله عليه وسلم رواه الترمذياسنادہ ضعیف رواہ الترمذی فی الشماىل 342 و البغوی فی شرح السنۃ 13 245 ح 3679 فیہ سلیمان بن خارجۃ مجھول الحال ۔ضعيف

ব্যাখ্যা: (دَخَلَ نَفَرٌ) অর্থাৎ তাবিঈদের একটি দল। বলা হয়ে থাকে যে, ‘নাফার’ বলা হয় যেখানে তিন থেকে দশজন সদস্য হয়ে থাকে।
(إِذَا ذَكَرْنَا الدُّنْيَا) অর্থাৎ দুনিয়া আখিরাতের শস্যক্ষেত্র হিসেবে তিনি প্রশংসা ও নিন্দা করার জন্য আমাদের সাথে আলোচনায় শামিল হতেন।
(وَإِذَا ذَكَرْنَا الْآخِرَةَ ذَكَرَهَا مَعَنَا) অর্থাৎ তিনি (সা.) আমাদের সাথে শামিল থাকতেন যাতে বেশি কল্যাণ লাভ হয় ও তাক্বওয়ার কাজে সহযোগিতা হয়।
(وَإِذَا ذَكَرْنَا الطَّعَامَ ذَكَرَهُ مَعَنَا) অর্থাৎ তিনি (সা.) এখানে ইঙ্গিত করেছেন তার উপকারিতার প্রতি, তার হিকমাতের প্রতি, সূক্ষ্ম বিষয়ের প্রতি ও তার আদবের প্রতি।

মোটকথা তিনি (সা.) কথায় নমনীয়তা প্রকাশ করতেন যাতে কোন ধরনের ক্ষতি না হয়। তাকে যেভাবে শারী'আতের বিধি-বিধান প্রচারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে সেভাবে তিনি তার দায়িত্ব পালন করেছেন। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৯: চারিত্রিক গুণাবলি ও মর্যাদাসমূহ (كتاب الْفَضَائِل وَالشَّمَائِل)