৫৬৬৩

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - আল্লাহ তাআলার দর্শনলাভ

৫৬৬৩-[৯] ইমাম মালিক (রহিমাহুল্লাহ) ইবনু আনাস (রহিমাহুল্লাহ)-কে আল্লাহর বাণী- (اِلٰی رَبِّهَا نَاظِرَۃٌ) “তারা তাদের প্রতিপালকের দিকে তাকিয়ে থাকবে”- (সূরাহ্ আল কিয়া-মাহ্ ৭৫ : ২৩); সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয় এবং বলা হয়, এক সম্প্রদায় (মু’তাযিলাগণ) বলে যে, এর অর্থ তারা স্বীয় সাওয়ারের দিকে তাকিয়ে থাকবে। তখন ইমাম মালিক (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, তারা মিথ্যা বলেছে। তারা এ আয়াতের কি ব্যাখ্যা করবে? (کَلَّاۤ اِنَّهُمۡ عَنۡ رَّبِّهِمۡ یَوۡمَئِذٍ لَّمَحۡجُوۡبُوۡنَ) “কাফিরদেরকে তাদের প্রভুর দর্শন থেকে আলাদা রাখা হবে”- (সূরাহ্ আল মুত্বাফফিফীন ৮৩ : ১৫)।
অতএব ইমাম মালিক (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, আয়াতটির ভাষ্য থেকে সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, ঈমানদার লোকেরা কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা’আলাকে চাক্ষুষ দেখতে পাবে। তিনি আরো বলেন, কিয়ামতের দিন যদি ঈমানদারগণ তাদের প্রভুর দেখা না পায়, তাহলে- (كَلَّا إِنَّهُمْ عَنْ رَبِّهِمْ يَوْمَئِذٍ لمحجوبون) এ বাক্য দ্বারা আল্লাহ তা’আলা কাফিরদেরকে তাঁর দর্শন না পাওয়াতে তিরস্কার করতেন না। (শারহুস্ সুন্নাহ)

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب رؤيةالله تَعَالَى)

وسُئل مَالك بن أَنسٍ عَن قَوْله تَعَالَى (إِلى ربِّها ناظرة) فَقِيلَ: قَوْمٌ يَقُولُونَ: إِلَى ثَوَابِهِ. فَقَالَ مَالِكٌ: كَذَبُوا فَأَيْنَ هُمْ عَنْ قَوْلُهُ تَعَالَى: (كَلَّا إِنَّهُمْ عَنْ رَبِّهِمْ يَوْمَئِذٍ لمحجوبونَ) ؟ قَالَ مَالِكٌ النَّاسُ يَنْظُرُونَ إِلَى اللَّهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِأَعْيُنِهِمْ وَقَالَ: لَوْ لَمْ يَرَ الْمُؤْمِنُونَ رَبَّهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ لَمْ يُعَيِّرِ اللَّهُ الْكَفَّارَ بِالْحِجَابِ فَقَالَ (كَلَّا إِنَّهُمْ عَنْ رَبِّهِمْ يَوْمَئِذٍ لمحجوبون) رَوَاهُ فِي «شرح السّنة»

ضعیف ، رواہ البغوی فی شرح السنۃ (15 / 329 ۔ 330 قبل ح 4393 بدون سند) ۔
(ضَعِيف)

وسىل مالك بن انس عن قوله تعالى الى ربها ناظرة فقيل قوم يقولون الى ثوابه فقال مالك كذبوا فاين هم عن قوله تعالى كلا انهم عن ربهم يومىذ لمحجوبون قال مالك الناس ينظرون الى الله يوم القيامة باعينهم وقال لو لم ير المومنون ربهم يوم القيامة لم يعير الله الكفار بالحجاب فقال كلا انهم عن ربهم يومىذ لمحجوبون رواه في شرح السنةضعیف رواہ البغوی فی شرح السنۃ 15 329 ۔ 330 قبل ح 4393 بدون سند ۔ضعيف

ব্যাখ্যা: (فَقِيلَ: قَوْمٌ يَقُولُونَ...) উল্লেখিত গোষ্ঠী দ্বারা উদ্দেশ্য হলো মু'তাযিলা ফিরকা। কেননা তারা আখিরাতে আল্লাহর দর্শনকে অস্বীকার করে, তাই তারা ঐ আয়াতের (إِلى ربِّها ناظرة) অর্থাৎ তাদের রবের দিকে তাকিয়ে থাকবে ব্যাখ্যা করে এভাবে: তাদের রবের প্রতিদানের দিকে তাকিয়ে থাকবে। যা একদম স্পষ্ট অপব্যাখ্যা, তাই ইমাম মালিক (রহিমাহুল্লাহ) রাগান্বিত হয়ে বললেন যে, তারা আল্লাহর উপরে মিথ্যারোপ করে, এরপর তিনি কুরআন থেকে একটি দলীল দিলেন যে, আল্লাহ বলেন, (کَلَّاۤ اِنَّهُمۡ عَنۡ رَّبِّهِمۡ یَوۡمَئِذٍ لَّمَحۡجُوۡبُوۡنَ) অর্থাৎ তারা (কাফিরগণ) সেদিন তাদের রবের থেকে আড়ালকৃত হবে- (সূরাহ আল মুত্বাফিফীন ৮৩ : ১৫)। অতএব এ আয়াতের তারা কি ব্যাখ্যা করবে? আর সমস্ত মানুষ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো মুমিনগণ, কেননা কাফিররা আল্লাহকে দেখতে পারবে না। অতএব যদি মু'মিনগণ আল্লাহকে না দেখে তাহলে কাফিরদেরকে আড়াল করার কোন অর্থ হয় না? তাই স্পষ্ট হয়ে গেল যে, মু'তাযিলাদের মতাদর্শ ভ্রান্ত। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ ইমাম মালিক (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৮: সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামতের বিভিন্ন অবস্থা (كتاب أَحْوَال الْقِيَامَة وبدء الْخلق)