৪৭৭৮

পরিচ্ছেদঃ ৮. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নাম রাখা

৪৭৭৮-[২৯] হুযায়ফাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা এরূপ বলো না, ’’যা কিছু আল্লাহ চান এবং অমুক ব্যক্তি চায়’’; বরং তোমরা বলবে, ’’যা কিছু আল্লাহ চান’’ অতঃপর ’’অমুক ব্যক্তি চায়’’। (আহমাদ ও আবূ দাঊদ)[1]

وَعَنْ
حُذَيْفَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَا تَقُولُوا: مَا شَاءَ اللَّهُ وَشَاءَ فُلَانٌ وَلَكِنْ قُولُوا: مَا شَاءَ اللَّهُ ثُمَّ شَاءَ فلَان . رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو دَاوُد

وعنحذيفة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لا تقولوا ما شاء الله وشاء فلان ولكن قولوا ما شاء الله ثم شاء فلان رواه احمد وابو داود

ব্যাখ্যাঃ অপছন্দনীয় নাম পরিবর্তন করা উচিত। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)

(مَا شَاءَ اللهُ وَشَاءَ فُلَانٌ) ‘‘যা কিছু আল্লাহ চান এবং অমুক ব্যক্তি চায়’’ বলা যাবে না, এটাতে আল্লাহ তা‘আলার ক্ষমতা ও ব্যক্তির ক্ষমতা একই রূপ হয়ে যায়। আর এটা শির্কের পর্যায়ে পড়ে যায়। তাই এরূপ বলা যাবে না বরং ماشاء الله এর পরে واو হরফে আত্বফ রয়েছে তার পরিবর্তে ثم হরফে আত্বফ ব্যবহার করতে হবে। এটার ফলে মাখলূক ও খালিক-এর মাঝে দূরত্ব ও পার্থক্য উপলব্ধি করা যায়, এটার মাধ্যমে বিলম্ব বুঝা যায়। আল্লাহ তা‘আলা ও অন্যের মাঝে সাদৃশ্যপূর্ণ শির্ক হতে মুক্ত থাকা যায়। তাই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (مَا شَاءَ اللهُ وَشَاءَ فُلَانٌ) বলার পরিবর্তে (مَا شَاءَ اللهُ وَشَاءَ فُلَانٌ) বলতে নির্দেশ দিয়েছেন। আর এটাই সঠিক অন্যথায় শির্ক হবে। ইমাম আহমাদ, আবূ দাঊদ অনুরূপ বর্ণনা করেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, সূরাহ্ আত্ তাকভীর-এ وَمَا تَشَاءُونَ إِلَّا أَنْ يَشَاءَ اللهُ অর্থাৎ তোমরা চাইলে হবে না কোন কিছু, যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ তা‘আলা না চাইবেন’’- (সূরাহ্ আদ্ দাহর/ইনসান ৭৬ : ৩০)। [সম্পাদক]


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)