৪৫৬৮

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ

৪৫৬৮-[৫৫] ’উসমান ইবনু ’আবদুল্লাহ ইবনু মাওহাব (রহিমাহুল্লাহ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার পরিবারের লোকেরা পানির একটি পেয়ালা দিয়ে আমাকে উম্মু সালামাহ্ (রাঃ)-এর কাছে পাঠালেন। তখন নিয়ম ছিল, যদি কারো ওপর বদনযর লাগত কিংবা অন্য কোন অসুখ হত তখন উম্মু সালামার কাছে একটি পত্র পাঠিয়ে দিত। তিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কিছু পশম মুবারক বের করতেন, যা তিনি একটি রৌপ্য কৌটার মধ্যে রাখতেন। অতঃপর তিনি উক্ত পশম মুবারক পানির মধ্যে ডুবিয়ে দিতেন এবং সে পানিগুলো রোগীকে পান করানো হত। বর্ণনাকারী বলেন, আমি রূপার সে নলটির মধ্যে তাকিয়ে দেখলাম, তাতে (রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর) কয়েকটি লাল বর্ণের পশম রয়েছে। (বুখারী)[1]

الْفَصْلُ الثَّالِثُ

وَعَن عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ قَالَ: أَرْسَلَنِي أَهْلِي إِلَى أُمِّ سَلَمَةَ بِقَدَحٍ مِنْ مَاءٍ وَكَانَ إِذَا أَصَابَ الْإِنْسَانَ عَيْنٌ أَوْ شَيْءٌ بَعَثَ إِلَيْهَا مِخْضَبَهُ فَأَخْرَجَتْ مِنْ شَعْرُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَانَتْ تُمْسِكُهُ فِي جُلْجُلٍ مِنْ فِضَّةٍ فَخَضْخَضَتْهُ لَهُ فَشَرِبَ مِنْهُ قَالَ: فَاطَّلَعْتُ فِي الْجُلْجُلِ فَرَأَيْت شَعرَات حَمْرَاء. رَوَاهُ البُخَارِيّ

وعن عثمان بن عبد الله بن موهب قال ارسلني اهلي الى ام سلمة بقدح من ماء وكان اذا اصاب الانسان عين او شيء بعث اليها مخضبه فاخرجت من شعر رسول الله صلى الله عليه وسلم وكانت تمسكه في جلجل من فضة فخضخضته له فشرب منه قال فاطلعت في الجلجل فرايت شعرات حمراء رواه البخاري

ব্যাখ্যাঃ (إِذَا أَصَابَ الْإِنْسَانَ عَيْنٌ) অর্থাৎ চোখ লাগা বা বদনযরের কারণে অথবা চোখ উঠার (লালবর্ণ আকার ধারণ করার) কারণে।

(فِي الْجُلْجُلِ) ‘জুলজুল’ বলা হয় সেই ছোট ঘণ্টাকে যা চতুস্পদ জন্তুর গলায় ঝুলিয়ে দেয়া হয়। ‘কামূস’ প্রণেতা বলেন, জুলজুল হলো ছোট ঘণ্টা।

(مِنْ فِضَّةٍ) ‘আল্লামা ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ কা‘বাহ্ ঘরের সম্মান ও মর্যাদা প্রকাশার্থে যেভাবে রেশমী কাপড়ের গেলাফ ব্যবহার করা হয়, তদ্রূপ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পশম মুবারককে একটি রোপ্য কোটার ভিতরে রাখা হয়েছিল তার সম্মানার্থে। (فَرَأَيْت شَعرَات حَمْرَاء) অর্থাৎ খিযাব করা তথা মেহেদী করা। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ; ফাতহুল বারী ১০ম খন্ড, হাঃ ৫৮৯৬)

আলোচ্য হাদীসটি হতে বুঝা গেল, চুলে মেহেদী করা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত সুন্নাত। আমাদের সমাজে বহু লোক আছে যারা সাদা দাড়ি ও চুল মেহেদী করে না বরং ঐ অবস্থায়ই রেখে দেয়। এটি সুন্নাত বিরোধী কাজ। কাজেই সাদা দাড়ি মেহেদী দ্বারা রাঙিয়ে লাল করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য জরুরী। [সম্পাদক]


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৩: চিকিৎসা ও ঝাড়-ফুঁক (كتاب الطب والرقى)