৪১১২

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - যেসব প্রাণী খাওয়া হালাল ও হারাম

৪১১২-[৯] আবূ মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মুরগীর মাংস খেতে দেখেছি। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ مَا يَحِلُّ أَكْلُهُ وَمَا يَحْرُمُ

وَعَن أبي مُوسَى قَالَ: رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْكُلُ لَحْمَ الدَّجَاجِ

وعن ابي موسى قال رايت رسول الله صلى الله عليه وسلم ياكل لحم الدجاج

ব্যাখ্যাঃ আলোচ্য হাদীসে মুরগী গৃহপালিত কিংবা জংলী বা জঙ্গলে বাস করে এই মুরগীসহ সকল মুরগী খাওয়া বৈধ। আর এ মর্মে সকল ‘উলামার ঐকমত্য রয়েছে। তবে কোন ‘উলামা বলেছেন, যে সকল মুরগী নাপাক খায় এগুলো খাওয়া বৈধ নয়। আবূ মূসা (রাঃ)-এর বর্ণনায় স্পষ্টত প্রমাণিত হয় তাতেও কোন সমস্যা নেই। ইবনু আবূ শায়বাহ্ (রহিমাহুল্লাহ) সহীহ সনদে ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি (ইবনু ‘উমার) যে সকল মুরগী নাপাক খায় এগুলোকে তিনদিন আবদ্ধ করে রাখতেন এরপর খেতেন। ইমাম মালিক এবং আল লায়স (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, নাপাক খায় সেই মুরগীও খাওয়াতেও কোন সমস্যা নেই। বায়হাক্বীর বর্ণনায় আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নাপাক খায় এরূপ প্রাণী খাওয়া এবং তার দুধ পান করতে ও তাতে আরোহণ করতে নিষেধ করেছেন। ইবনু আবূ শায়বাহ্ হাসান সূত্রে এমনটিই বর্ণনা করেছেন। ইমাম শাফি‘ঈ (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, যদি নাপাক খাওয়ার কারণে প্রাণীর গোশত কোন পরিবর্তন হয় তবে তা খাওয়া মাকরূহ, নয়ত মাকরূহ নয়। তবে অধিকাংশ ‘উলামা প্রাধান্য দিয়েছেন যে, এ ধরনের প্রাণীর গোশত খাওয়া মাকরূহ তানযীহী বা বৈধ, তবে না খাওয়াই ভালো। আল্লাহ তা‘আলাই ভালো জানেন। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ১৮২৭)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২০: শিকার ও যাবাহ প্রসঙ্গে (كتاب الصيد والذبائح)