৩২৫৪

পরিচ্ছেদঃ ১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার এবং তাদের প্রত্যেকের (স্বামী-স্ত্রীর) পারস্পরিক হক ও অধিকার সংক্রান্ত

৩২৫৪-[১৭] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো মহিলা যদি পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করে, রমাযানের সিয়াম পালন করে, গুপ্তাঙ্গের হিফাযাত করে, স্বামীর একান্ত অনুগত হয়। তার জন্য জান্নাতের যে কোনো দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশের সুযোগ থাকবে। (আবূ নু’আয়ম হিল্ইয়াহ্ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন)[1]

وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمَرْأَةُ إِذَا صَلَّتْ خَمْسَهَا وَصَامَتْ شَهْرَهَا وَأَحْصَنَتْ فَرْجَهَا وَأَطَاعَتْ بَعْلَهَا فَلْتَدْخُلْ مِنْ أَيِّ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ شَاءَتْ» . رَوَاهُ أَبُو نعيم فِي الْحِلْية

وعن انس قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «المراة اذا صلت خمسها وصامت شهرها واحصنت فرجها واطاعت بعلها فلتدخل من اي ابواب الجنة شاءت» . رواه ابو نعيم في الحلية

ব্যাখ্যা: মহিলার পাঁচ ওয়াক্ত সালাত তার রজঃকাল ছাড়া পবিত্র কালের সালাত। আর একমাস সওম হলো রমাযানের ফরয সওম! তাই তা রমাযান মাসেই আদায়ের মাধ্যমে পালন করা হোক অথবা অসুস্থাজনিত কারণে পরবর্তীতে কাযা আদায়ের মাধ্যমে পালন করা হোক।

(وَأَحْصَنَتْ فَرْجَهَا) এর অর্থ হলো যদি নারী তার যৌনাঙ্গকে হিফাযাত করে, অর্থাৎ নিজের ইজ্জত সম্ভ্রম ও সতীত্বকে রক্ষা করে। ব্যাখ্যাকারকগণ নিজের নফস্ বা প্রবৃত্তিকে সকল প্রকার অশ্লীলতা থেকে বিরত রাখার কথাও বলেছেন।

(وَأَطَاعَتْ بَعْلَهَا) ‘যদি সে স্বামীর ইত্বা‘আত বা আনুগত্য করে, স্বামীর আনুগত্য বলতে যা অবশ্য পালনীয় তা পালন করে। তাহলে সে জান্নাতের যে কোনো দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশ করতে পারবে। এর অর্থ হলো আটটি জান্নাতের যে কোনোটি সে প্রবেশ করতে পারবে। এখানে ইশারা রয়েছে জান্নাতের কোনো একটিতে যেতে তার বাধা নেই এবং সে দ্রুত তা অর্জন করতে পারবে এবং তাতে পৌঁছতে পারবে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৩: বিবাহ (كتاب النكاح)