পরিচ্ছেদঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - যে নারীদেরকে বিয়ে করা হারাম
৩১৬৮-[৯] উক্ত রাবী [’আয়িশাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার ঘরে প্রবেশ করে (অপরিচিত) একজন পুরুষকে দেখতে পেয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন। আমি বললাম, সে তো আমার (দুধ) ভাই। প্রত্যুত্তরে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, (শারী’আতের বিধানে দেখ) কারা তোমার দুধ ভাই? কেননা, দুধের বিধান দুধপানের ক্ষুধার তাড়নায় দুধ পান করলে (অর্থাৎ- দুধপানের বয়সের মধ্যে দুধপান করলে বিয়ে হারাম হয় ও পর্দার শিথিলতা থাকে, কিন্তু ঐ বয়সের পরে পান করলে তা নাজায়িয)। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
بَابُ الْمُحَرَّمَاتِ
وَعَنْهَا: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ عَلَيْهَا وَعِنْدَهَا رَجُلٌ فَكَأَنَّهُ كَرِهَ ذَلِكَ فَقَالَت: إِنَّه أخي فَقَالَ: «انظرن من إخوانكن؟ فَإِنَّمَا الرضَاعَة من المجاعة»
ব্যাখ্যা: শারী‘আতে দুধ মা সাব্যস্ত হওয়াটা নির্ভর করে, শিশুর ক্ষুধা নিবারণের উপর। আর এটা শিশুকাল ছাড়া হওয়া সম্ভব নয়। সুতরাং প্রমাণিত হয় বড়দের ক্ষেত্রে দুধ পান করলেও এর কোনো প্রভাব পড়বে না, অর্থাৎ- দুধ মা সাব্যস্ত হবে না। কারণ দুধ পানে তার ক্ষুধা নিবারণ হবে না এবং রুটি বা অন্য কোনো উঠানো খাবার ছাড়া সে পরিতৃপ্তও হবে না। সুতরাং বড় কোনো ছেলেকে কোনো মহিলা দুধ পান করালেও সে দুধ মা হিসেবে পরিগণিত হবে না। শারহেস্ সুন্নাহতেও অনুরূপ বর্ণনা রয়েছে। অন্যদিকে একজন ধাত্রী কত দিন দুধ পান করাবেন- এ মর্মে ইখতিলাফ রয়েছে। একদল ‘উলামাগণের মত হলো, পূর্ণ দুই বছর।
দলীলঃ ‘‘ধাত্রীগণ তাদের সন্তানদেরকে পূর্ণ দুই বছর দুধ পান করাবেন’’- (সূরা আল বাকারা ২ : ২৩৩)। সুতরাং দু’ বছর পূর্ণ হলে দুধ পান করানোর হুকুম আর থাকবে না। ইবনু মাস্‘ঊদ, আবূ হুরায়রাহ্, উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) অনুরূপ বলেছেন, ইমাম শাফি‘ঈ (রহঃ) অনুরূপ বলেছেন। ইমাম মালিক (রহঃ) দুই বছরের বেশী পান করানোর কথা বলেছেন। ইমাম আবূ হানীফাহ্ (রহঃ)-এর মতে দুধপানের সময়সীমা ৩০ মাস। তার দলীল তাকে গর্ভধারণ করতে ও স্তন্য ছাড়াতে সময় লাগে ৩০ মাস। (ফাতহুল বারী ৫ম খন্ড, হাঃ ২৬৪৭; শারহে মুসলিম ৯/১০ খন্ড, হাঃ ১৪৫৫; মিরকাতুল মাফাতীহ)