৩০৫০

পরিচ্ছেদঃ ১৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ফারায়িয (মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বণ্টন সম্বন্ধীয়) ও অন্তিম উপদেশ বা আদেশ)

৩০৫০-[১০] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সন্তান যখন ভূমিষ্ঠ হয়ে চিৎকার করে, তার (মৃত্যুতে) জানাযা আদায় করতে হবে এবং সে ওয়ারিস হবে। (ইবনু মাজাহ ও দারিমী)[1]

وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا اسْتَهَلَّ الصَّبِيُّ صُلِّيَ عَلَيْهِ وَورث» . رَوَاهُ ابْن مَاجَه والدارمي

وعن جابر قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا استهل الصبي صلي عليه وورث رواه ابن ماجه والدارمي

ব্যাখ্যা: যদি কোনো নবজাতক শিশু জন্মগ্রহণের পর স্বর উচুঁ করে তথা হাঁচি, শ্বাস-প্রশ্বাস বা নড়াচড়ার মাধ্যমে জীবিত প্রমাণ করার পর মৃত্যুবরণ করে তাহলে তার গোসল ও কাফন কার্য সম্পন্ন করে তাকে সকল মৃত মুসলিমের ন্যায় দাফন করবে, আর সে ওয়ারিস হিসেবে উত্তরাধিকার সম্পদ লাভ করবে এবং তার থেকেও অন্যরা ওয়ারিস হবে।
শারহুস্ সুন্নাহে বর্ণিত আছে- যদি কোনো লোক মৃত্যুবরণ করে, এমতাবস্থায় তার কোনো সন্তান গর্ভে থাকে, তাহলে গর্ভস্থিত সন্তানের জন্যে সম্পদ বরাদ্দ রাখবে। যদি সন্তান জীবিতাবস্থায় জন্মগ্রহণ করে তাহলে উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পদ লাভ করবে, অন্যথায় নয়। জীবিতাবস্থায় জন্মগ্রহণ করে চাই আওয়াজ করুক বা না করুক নবজাতক উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পদ লাভ করবেই। আর এমনটিই বলেছেন ইমাম সাওরী, আওযা‘ঈ, শাফি‘ঈ ও ইমাম আবূ হানীফার শিষ্যবৃন্দ (রহঃ)।

অন্য আরেকদল অবশ্য ভিন্ন মত পোষণ করেছেন। তারা উক্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণ দিয়েছেন। আর اسْتِهْلَال অর্থ হলো স্বর উঁচু করা। ইমাম যুহরী (রহঃ) বলেনঃ اسْتِهْلَال প্রমাণিত হবে হাঁচির মাধ্যমে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১২: ক্রয়-বিক্রয় (ব্যবসা) (كتاب البيوع)