৮২১

পরিচ্ছেদঃ ১১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - তাকবীরে তাহরীমার পর যা পড়তে হয়

৮২১-[১০] মুহাম্মাদ ইবনু মাসলামাহ্ (রাঃ)বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নফল সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতে দাঁড়ালে বলতেন, ’’আল্লা-হু আকবার, ওয়াজ্জাহতু ওয়াজহিয়া লিল্লাযী ফাত্বারাস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরযা হানীফাওঁ ওয়ামা আনা- মিনাল মুশরিকীন’’- (অর্থাৎ- আল্লাহ বড় মহামহিম। আমি সে সত্তার দিকেই আমার মুখ ফিরিয়েছি যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই।)।

ইমাম নাসায়ী বলেন, অবশিষ্ট হাদীস তিনি (উল্লিখিত) জাবির (রাঃ)-এর হাদীসের মতই বর্ণনা করেছেন। তবে ’তিনি’ পরিবর্তে বলেছেন, ’’আমি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত’’। এরপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলতেন, ’’আল্লা-হুম্মা আনতাল মালিকু, লা- ইলা-হা ইল্লা- আনতা সুবহা-নাকা ওয়া বিহামদিকা’’- (অর্থাৎ- হে আল্লাহ! তুমিই বাদশাহ। তুমি ছাড়া সত্যিকার কোন মা’বূদ নেই। তুমি পবিত্র। সব প্রশংসা তোমার জন্য।)। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ক্বিরাআত (কিরআত) শুরু করতেন। (নাসায়ী)[1]

وَعَن مُحَمَّد بن مسلمة قَالَ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا قَامَ يُصَلِّي تَطَوُّعًا قَالَ: «اللَّهُ أَكْبَرُ وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْض حَنِيفا مُسلما وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ» . وَذَكَرَ الْحَدِيثَ مِثْلَ حَدِيثِ جَابِرٍ إِلَّا أَنَّهُ قَالَ: «وَأَنَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ» . ثُمَّ قَالَ: «اللَّهُمَّ أَنْتَ الْمَلِكُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ وَبِحَمْدِكَ» ثُمَّ يَقْرَأُ. رَوَاهُ النَّسَائِيّ

وعن محمد بن مسلمة قال ان رسول الله صلى الله عليه وسلم كان اذا قام يصلي تطوعا قال الله اكبر وجهت وجهي للذي فطر السماوات والارض حنيفا مسلما وما انا من المشركين وذكر الحديث مثل حديث جابر الا انه قال وانا من المسلمين ثم قال اللهم انت الملك لا اله الا انت سبحانك وبحمدك ثم يقرا رواه النساىي

ব্যাখ্যা: (إِذَا قَامَ يُصَلِّىْ تَطَوُّعًا قَالَ اللّهُ أَكْبَرُ وَجَّهْتُ وَجْهِىَ.....) ‘‘রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন নফল সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতে দাঁড়াতেন তখন বলতেনঃ আল্লা-হু আকবার ওয়াজ্জাহতু ওয়াজহিয়া.....।’’

‘আল্লামা মুল্লা ‘আলী আলক্বারী বলেনঃ অত্র হাদীসের প্রকাশমান অর্থ এই যে, নফল বা সুন্নাত সালাতের প্রারম্ভে ‘‘ওয়াজ্জাহতু ওয়াজহিয়া.....’’ শেষ পর্যন্ত পাঠ করবে। আর এটিই আমাদের মাযহাব।

লাম্‘আতের লেখক বলেনঃ এ দু‘আটি নফল সালাতের জন্য খাস।

আমি (‘উবায়দুল্লাহ মুবারাকপূরী) বলছিঃ আবকারুল মিনান-এর লেখক তার স্বীয় গ্রন্থে (১১৬ পৃঃ) বলেনঃ এ হাদীসে বর্ণিত দু‘আটি নফলের জন্য খাস হওয়ার দলীল নেই। কেননা অনেক বিশুদ্ধ বর্ণনা দ্বারা সাব্যস্ত আছে যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘‘ওয়াজ্জাহতু ওয়াজহিয়া’’ দু‘আটি ফরয সালাতেও পাঠ করেছেন। তাছাড়া হানাফী ভাইয়েরা যে দু‘আটি ফরয সালাতে পাঠ করেন ‘‘সুবহা-নাকা আল্লা-হুম্মা ওয়া বিহামদিকা.....’’ এ দু‘আটি ইমাম আত্ তিরমিযী ও আবূ দাঊদ, আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন রাতে সালাতে দাঁড়াতেন তখন তাকবীর দিয়ে বলতেন- ‘‘সুবহা-নাকা আল্লা-হুম্মা.....’’ আর রাতের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) তো নফল সালাত (সালাত/নামায/নামাজ)। তাহলে ঐ দু‘আটিও নফলের জন্য খাস হয়ে যায়। অতএব অত্র হাদীসে বর্ণিত দু‘আটি নফল সালাতের জন্য খাস তাদের এ দাবী সঠিক নয়। আল্লাহ অধিক ভালো জানেন।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)