৬৮২

পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিলম্বে আযান

৬৮২-[৩] মালিক ইবনুল হুওয়াইরিস (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ও আমার চাচাতো ভাই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গেলাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদেরকে বললেন, তোমরা সফরে গেলে আযান দিবে ও ইক্বামাত(ইকামত/একামত) বলবে এবং তোমাদের মধ্যে যে বড় সে ইমামতি করবে। (বুখারী)[1]

بَابُ تَاخِيْرِ الْاَذَانِ

وَعَن مَالك بن الْحُوَيْرِث قَالَ: أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَا وَابْنُ عَمٍّ لِي فَقَالَ: «إِذَا سَافَرْتُمَا فأذنا وأقيما وليؤمكما أكبركما» . رَوَاهُ البُخَارِيّ

وعن مالك بن الحويرث قال اتيت النبي صلى الله عليه وسلم انا وابن عم لي فقال اذا سافرتما فاذنا واقيما وليومكما اكبركما رواه البخاري

ব্যাখ্যা: এ হাদীস থেকে জানা যায় যে, যখন দু’জন ব্যক্তি সফর করবে এবং সালাতের সময় হবে তখন তাদের একজন আযান দিবে এবং অপরজন তার জবাব দিবে। ত্ববারানীর বর্ণনায় এভাবে উল্লেখ রয়েছে যে, যখন তুমি তোমার ভাইয়ের সাথে থাকবে তখন আযান দিবে এবং ইক্বামাতও দিবে।

রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী- (وَأَقِيْمَا) ‘‘ইক্বামাত বলবে’’- (সহীহুল বুখারী- হাঃ ৬৫৮)। উল্লেখিত হাদীস থেকে প্রতীয়মান হয় যে, যে ব্যক্তি আযান দিবে তিনিই ইক্বামাত বলবে এবং মুয়াযযিনের ইক্বামাত দেয়া মুস্তাহাব প্রমাণিত হয়।

আর তোমাদের মধ্যে যার বয়স বেশী সে ইমামতি করবে। কেউ কেউ বলেছেন, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো- দু’জনের মধ্যে যে ব্যক্তি আযান দিতে পছন্দ করবে সে-ই আযান দিবে। আর ইমামতির ন্যায় আযানের ক্ষেত্রে বয়স কোন ধর্তব্য বিষয় নয়। এ হাদীসে যার বয়স বেশী তাকে ইমামতি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এটাকে খাস করার কারণ হলো- উপস্থিত লোকজন যখন ইমামতির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারের অন্যান্য বিষয়গুলো যেমন- ক্বিরাআত (কিরআত) শুদ্ধ হওয়া, সুন্নাতের ‘ইলম রাখা, মুক্বীম হওয়া- এ সকল বিষয়ে সমান হয় তখন তাদের মধ্যে যার বয়স বেশী হবে তিনিই ইমামতির ক্ষেত্রে অধিক হকদার হবেন। এ হাদীস থেকে আরো যে জিনিসটি প্রমাণিত হয় তা হলো- ফরয সালাতের ক্ষেত্রে আযান দেয়া ওয়াজিব। সর্বনিম্ন দু’জন ব্যক্তি হলেই জামা‘আতে সালাত আদায় করা যাবে এবং এটাতে মুসলিমদের ঐকমত্য রয়েছে। আর মুসাফিরদের জন্য আযান দেয়া এবং জামা‘আতে সালাত আদায় করার বিধান রয়েছে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)