২৮১৫

পরিচ্ছেদঃ ১৮৯৭. তোমার শত্রুর মুখোমুখী হওয়ায় আকাঙ্ক্ষা পোষণ করো না

২৮১৫। ইউসুফ ইবনু মূসা (রহঃ) ... উমর ইবনু উবাইদুল্লাহর আযাদকৃত গোলামা আবূন নাযার (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি উমর ইবনু উবাইদুল্লাহর লেখক ছিলাম। তিনি বলেন, তাঁর নিকট আবদুল্লাহ ইবনু আবূ আওফা (রাঃ) একখানি পত্র লিখেন। যখন তিনি হারুরিয়ার দিকে অভিযানে বের হন। আমি পত্রটি পাঠ করলাম তাতে লেখা ছিল যে, শত্রুর সাথে কোন এক মুখোমুখি যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূর্য ঢলে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করলেন। এরপর তিনি তাঁর সাহাবীদের সামনে দাঁড়িয়ে ঘোষণা দিলেন, ’হে লোক সকল, তোমরা শত্রুর সাথে মোকাবেলায় অবতীর্ণ হওয়ার কামনা করবে না এবং আল্লাহ তা’য়ালার নিকট নিরাপত্তার দুআ করবে। তারপর যখন তোমরা শত্রুর সম্মুখীন হবে তখন তোমরা ধৈর্যধারণ করবে। জেনে রাখবে, জান্নাত তরবারীর ছায়া তলে অবস্থিত।’

এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুআ করলেন, ’হে আল্লাহ, কুরআন অবতীর্ণকারী, মেঘমালা পরিচালনাকারী, সৈন্য দলকে পরাজয় দানকারী, আপনি কাফির সম্প্রদায়কে পরাজিত করুন এবং আমাদেরকে তাদের উপর বিজয় দান করুন।’ মূসা ইবনু উকবা (রহঃ) বলেন, সালিম আবূ নাযর আমাকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমি উমর ইবনু উবাইদুল্লাহর লেখক ছিলাম। তখন তার কাছে আবদুল্লাহ ইবনু আবূ আওফা (রাঃ)-এর একখানা পত্র পৌছালো এই মর্মে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা শত্রুর মুখোমুখী হওয়ার আকাঙ্ক্ষা করবে না। আবূ আমির (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা শত্রুর মুখোমুখী হওয়ার আকাঙ্ক্ষা করবে না। আর যখন তোমরা তাদের মুখোমুখী হবে তখন ধৈর্যধারণ করবে।

হাদিস নং- ৩০২৪, ৩০২৫ ও ৩০২৬

باب لاَ تَمَنَّوْا لِقَاءَ الْعَدُوِّ

حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ يُوسُفَ الْيَرْبُوعِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ الْفَزَارِيُّ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي سَالِمٌ أَبُو النَّضْرِ، مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ كُنْتُ كَاتِبًا لَهُ قَالَ كَتَبَ إِلَيْهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي أَوْفَى حِينَ خَرَجَ إِلَى الْحَرُورِيَّةِ فَقَرَأْتُهُ فَإِذَا فِيهِ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَعْضِ أَيَّامِهِ الَّتِي لَقِيَ فِيهَا الْعَدُوَّ انْتَظَرَ حَتَّى مَالَتِ الشَّمْسُ‏.‏ ثُمَّ قَامَ فِي النَّاسِ فَقَالَ ‏"‏ أَيُّهَا النَّاسُ لاَ تَمَنَّوْا لِقَاءَ الْعَدُوِّ وَسَلُوا اللَّهَ الْعَافِيَةَ، فَإِذَا لَقِيتُمُوهُمْ فَاصْبِرُوا وَاعْلَمُوا أَنَّ الْجَنَّةَ تَحْتَ ظِلاَلِ السُّيُوفِ ـ ثُمَّ قَالَ ـ اللَّهُمَّ مُنْزِلَ الْكِتَابِ وَمُجْرِيَ السَّحَابِ وَهَازِمَ الأَحْزَابِ اهْزِمْهُمْ وَانْصُرْنَا عَلَيْهِمْ ‏"‏‏.‏ وَقَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ حَدَّثَنِي سَالِم أَبُو النَّضْرِ كُنْتُ كَاتِبًا لِعُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ فَأَتَاهُ كِتَابُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى ـ رضى الله عنهما أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ لاَ تَمَنَّوْا لِقَاءَ الْعَدُو ‏"‏‏.‏

حدثنا يوسف بن موسى حدثنا عاصم بن يوسف اليربوعي حدثنا ابو اسحاق الفزاري عن موسى بن عقبة قال حدثني سالم ابو النضر مولى عمر بن عبيد الله كنت كاتبا له قال كتب اليه عبد الله بن ابي اوفى حين خرج الى الحرورية فقراته فاذا فيه ان رسول الله صلى الله عليه وسلم في بعض ايامه التي لقي فيها العدو انتظر حتى مالت الشمس ثم قام في الناس فقال ايها الناس لا تمنوا لقاء العدو وسلوا الله العافية فاذا لقيتموهم فاصبروا واعلموا ان الجنة تحت ظلال السيوف ثم قال اللهم منزل الكتاب ومجري السحاب وهازم الاحزاب اهزمهم وانصرنا عليهم وقال موسى بن عقبة حدثني سالم ابو النضر كنت كاتبا لعمر بن عبيد الله فاتاه كتاب عبد الله بن ابي اوفى رضى الله عنهما ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لا تمنوا لقاء العدو


Narrated Salim Abu An-Nadr:

(the freed slave of 'Umar bin 'Ubaidullah) I was Umar's clerk. Once Abdullah bin Abi Aufa wrote a letter to 'Umar when he proceeded to Al-Haruriya. I read in it that Allah's Messenger (ﷺ) in one of his military expeditions against the enemy, waited till the sun declined and then he got up amongst the people saying, "O people! Do not wish to meet the enemy, and ask Allah for safety, but when you face the enemy, be patient, and remember that Paradise is under the shades of swords." Then he said, "O Allah, the Revealer of the Holy Book, and the Mover of the clouds and the Defeater of the clans, defeat them, and grant us victory over them."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৪৮/ জিহাদ (كتاب الجهاد والسير)