৮০৪

পরিচ্ছেদঃ রামাযান মাসের কিয়াম।

৮০৪. হান্নাদ (রহঃ) ...... আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে আমরা সিয়াম পালন করেছি। তিনি রামাযান মাসে আমাদের নিয়ে (নফল) সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেননি। অবশেষে সাত দিন বাকী তিনি আমাদের নিয়ে সালাত দাঁড়ালেন। এমনকি রাতের এক তৃতীয়াংশ এতে অতিবাহিত হয়ে গেল। এরপর আর ষষ্ঠ রাত আমাদের নিয়ে সালাতে দাড়ালেন না। কিন্তু প্রথম রাত থাকতে আবার আমাদের নিয়ে সালাতে দাড়ালেন। এমকি এতে অর্ধেক রাত অতিবাহিত হয়ে গেল। আমরা তাঁকে বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের অবশিষ্ট রাতটিও যদি নফল আদায় করে অতিবাহিত করে দিতেন। তিনি বললেন, কেউ যদি ইমামের সঙ্গে (ফরয) সালাতে দাঁড়ায় এবং ইমামের শেষ করা পর্যন্ত তাঁর সাথে দাড়ায় তবে তার জন্য সারারাত (নফল) সালাত আদায়ের সওয়াব লেখা হয়।

এরপর তিন মাসের তিন রাত অবশিষ্ঠ থাকা পর্যন্ত আমাদের নিয়ে সালাতে দাড়ালেন না। তৃতীয় (২৭শে) রাত থাকতে আবার তিনি আমাদের নিয়ে সালাতে দাড়ালেন। এই রাত তিনি তাঁর পরিজন ও স্ত্রীগণকেও ডেকে তুললেন। অনন্তর তিনি এত দীর্ঘক্ষণ সালাত আদায় করলেন যে আমাদের ফালাহ এর ব্যাপারে এর আশংকা সৃষ্টি হয়ে গেল। রাবী জুবায়র ইবনু নুফায়র (রহঃ) বলেন যে, আমি আবূ বকর (রাঃ) কে বললামঃ ফালাহ কি? তিনি বললেন, সাহরী খাওয়া। - ইবনু মাজাহ ১৩২৭, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৮০৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। রামাযানের কিয়াম সম্পর্কে আলিমগণের মতভেদ রয়েছে। কোন কোন আলিম বলেন, বিতরসহ এর রাকাত সংখ্যা একচল্লিশ। এ হল মদীনাবাসীদের অভিমত এবং মদিনা বাসীদেরও এইরূপ আমল রয়েছে। অধিকাংশ আলিমের অভিমত আলী ও উমার (রাঃ) প্রমূখ সাহাবায় কিরাম থেকে বর্ণিত রিওয়ায়াত অনুযায়ী রাকাআত সংখ্যা হল বিশ। সুফিয়ান সাওরী, ইবনু মুবারক ও শাফেঈ (রহঃ) এর অভিমত। ইমাম শাফেঈ (রহঃ) বলেন, আমাদের নগর মক্কায়ও এই ধরণের আমল দেখেছি। তাঁরা বিশ রাকআত সালাত আদায় করেন। আহমাদ (রহঃ) বলেন, এই বিষয়ে বিভিন্ন ধরণের রিওয়ায়াত বর্ণিত আছে। তিনি এই ক্ষেত্রে কোন সিদ্ধান্ত দেননি। ইসহাক বলেন, উবাই ইবনু কাব (রহঃ) এর রিওয়ায়াতের আদেশে আমরা এক চল্লিশ রাকআতের অভিমতটি গ্রহণ করি। ইবনু মুবারক, আহমাদ ও ইসহাক (রহঃ) রামাযান মাসে ইমামের সঙ্গে সালাত আদায় করা পছন্দীয় বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন। হাফিজুল কুরআন হলে তার জন্য একা সালাত আদায় করা উত্তম বলে ইমাম শাফেঈ (রহঃ) অভিমত দিয়েছেন।

باب مَا جَاءَ فِي قِيَامِ شَهْرِ رَمَضَانَ

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْفُضَيْلِ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْجُرَشِيِّ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ صُمْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ يُصَلِّ بِنَا حَتَّى بَقِيَ سَبْعٌ مِنَ الشَّهْرِ فَقَامَ بِنَا حَتَّى ذَهَبَ ثُلُثُ اللَّيْلِ ثُمَّ لَمْ يَقُمْ بِنَا فِي السَّادِسَةِ وَقَامَ بِنَا فِي الْخَامِسَةِ حَتَّى ذَهَبَ شَطْرُ اللَّيْلِ فَقُلْنَا لَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَوْ نَفَّلْتَنَا بَقِيَّةَ لَيْلَتِنَا هَذِهِ فَقَالَ ‏ "‏ إِنَّهُ مَنْ قَامَ مَعَ الإِمَامِ حَتَّى يَنْصَرِفَ كُتِبَ لَهُ قِيَامُ لَيْلَةٍ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ لَمْ يُصَلِّ بِنَا حَتَّى بَقِيَ ثَلاَثٌ مِنَ الشَّهْرِ وَصَلَّى بِنَا فِي الثَّالِثَةِ وَدَعَا أَهْلَهُ وَنِسَاءَهُ فَقَامَ بِنَا حَتَّى تَخَوَّفْنَا الْفَلاَحَ ‏.‏ قُلْتُ لَهُ وَمَا الْفَلاَحُ قَالَ السُّحُورُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي قِيَامِ رَمَضَانَ فَرَأَى بَعْضُهُمْ أَنْ يُصَلِّيَ إِحْدَى وَأَرْبَعِينَ رَكْعَةً مَعَ الْوِتْرِ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ أَهْلِ الْمَدِينَةِ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَهُمْ بِالْمَدِينَةِ ‏.‏ وَأَكْثَرُ أَهْلِ الْعِلْمِ عَلَى مَا رُوِيَ عَنْ عُمَرَ وَعَلِيٍّ وَغَيْرِهِمَا مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عِشْرِينَ رَكْعَةً ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَابْنِ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيِّ ‏.‏ وَقَالَ الشَّافِعِيُّ وَهَكَذَا أَدْرَكْتُ بِبَلَدِنَا بِمَكَّةَ يُصَلُّونَ عِشْرِينَ رَكْعَةً ‏.‏ وَقَالَ أَحْمَدُ رُوِيَ فِي هَذَا أَلْوَانٌ ‏.‏ وَلَمْ يَقْضِ فِيهِ بِشَيْءٍ ‏.‏ وَقَالَ إِسْحَاقُ بَلْ نَخْتَارُ إِحْدَى وَأَرْبَعِينَ رَكْعَةً عَلَى مَا رُوِيَ عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ ‏.‏ وَاخْتَارَ ابْنُ الْمُبَارَكِ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ الصَّلاَةَ مَعَ الإِمَامِ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ ‏.‏ وَاخْتَارَ الشَّافِعِيُّ أَنْ يُصَلِّيَ الرَّجُلُ وَحْدَهُ إِذَا كَانَ قَارِئًا ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ وَالنُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏

حدثنا هناد، حدثنا محمد بن الفضيل، عن داود بن ابي هند، عن الوليد بن عبد الرحمن الجرشي، عن جبير بن نفير، عن ابي ذر، قال صمنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم فلم يصل بنا حتى بقي سبع من الشهر فقام بنا حتى ذهب ثلث الليل ثم لم يقم بنا في السادسة وقام بنا في الخامسة حتى ذهب شطر الليل فقلنا له يا رسول الله لو نفلتنا بقية ليلتنا هذه فقال ‏ "‏ انه من قام مع الامام حتى ينصرف كتب له قيام ليلة ‏"‏ ‏.‏ ثم لم يصل بنا حتى بقي ثلاث من الشهر وصلى بنا في الثالثة ودعا اهله ونساءه فقام بنا حتى تخوفنا الفلاح ‏.‏ قلت له وما الفلاح قال السحور ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏ واختلف اهل العلم في قيام رمضان فراى بعضهم ان يصلي احدى واربعين ركعة مع الوتر ‏.‏ وهو قول اهل المدينة والعمل على هذا عندهم بالمدينة ‏.‏ واكثر اهل العلم على ما روي عن عمر وعلي وغيرهما من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم عشرين ركعة ‏.‏ وهو قول سفيان الثوري وابن المبارك والشافعي ‏.‏ وقال الشافعي وهكذا ادركت ببلدنا بمكة يصلون عشرين ركعة ‏.‏ وقال احمد روي في هذا الوان ‏.‏ ولم يقض فيه بشيء ‏.‏ وقال اسحاق بل نختار احدى واربعين ركعة على ما روي عن ابى بن كعب ‏.‏ واختار ابن المبارك واحمد واسحاق الصلاة مع الامام في شهر رمضان ‏.‏ واختار الشافعي ان يصلي الرجل وحده اذا كان قارىا ‏.‏ وفي الباب عن عاىشة والنعمان بن بشير وابن عباس ‏.‏


Abu Dharr narrated:
"We fasted with the Prophet, so he did not pray (the night prayer) with us until seven (nights) of the month remained. Then he (pbuh) led us in prayer until a third of the night had gone, then he did not lead us in prayer on the sixth. Then he led us in prayer on the fifth until half of the night had gone. We said to him: 'O Messenger of Allah! Wouldn't you lead us in prayer for the remainder of the night?' He said: 'Indeed, whoever stands (praying) with the Imam until he finished, then it is recorded for him that he prayed the whole night.; Then he did not lead us in prayer until three (nights) of the month remained. Then he led us in prayer on the third and he called his family and his women to pray with us until we feared missing the Falah" I (Jubair bin Nufair) said to him: "What is the Falah" He said: "The Suhur."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৮/ সাওম (রোজা) (كتاب الصوم عن رسول الله ﷺ)